ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের পঞ্চাশে সেরা ৫

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিজয়ের পঞ্চাশে সেরা ৫

বিজয়ের ৫০ বছরে আজ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সাফল্য আজ ঈর্ষণীয়। একের পর এক সাফল্যে বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি নয় বরং উন্নয়নের রোল মডেল। বিজয়ের পঞ্চাশে সেরা অর্জন নিয়েই এই প্রতিবেদন।

পদ্মা সেতু: স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এক সময়ের স্বপ্নের সেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে। পদ্মা সেতু শুধু রড, সিমেন্ট ও পাথরের সেতু নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৬ কোটি মানুষের আবেগ। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করার পর সরে যায় আর্ন্তজাতিক আরও তিনটি সংস্থা- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এতে পদ্মার আকাশে দেখা দেয় কালো মেঘের ঘনঘটা। ওই সময়ে প্রকল্পটির ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। যা ওই বছরের মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৫০ শতাংশ। ফলে নাগালের বাইরে চলে যায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের স্বপ্ন। পরের ইতিহাস সবার জানা। সব বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এতেই কেটে যায় কালো মেঘ, দিগন্ত আলোকিত করে হেসে উঠে সূর্য। সেতু নির্মাণের কর্মযজ্ঞের মধ্যদিয়ে শুরু হয় স্বপ্নের বীজ বোনা। আর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে ধরা দিচ্ছে।

পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাচ্ছে। সেতুকে ঘিরেই মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলাচ্ছে। এখানে বিশ্বমানের অলিম্পিক ভিলেজ, বেনারসি তাঁতপল্লী, রাজউকের উদ্যোগে আইকন টাওয়ার, দেশের মধ্যে একমাত্র ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিসহ বড় বড় প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১: ২০১৮ সালের ১২ মে উৎক্ষেপণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় এই স্যাটেলাইট। এটির নামকরণ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এই স্যাটেলাইট স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে টেলিযোগাযোগ স্থাপন, নিরবচ্ছিন্ন সম্প্রচার সেবা নিশ্চিত করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক বা ট্রান্সমিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয়। এর মধ্য দিয়ে ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশের নাম।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ১৬০০ মেগাহার্জ ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৪০টি কে-ইউ এবং সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার বহন করে এবং এটির আয়ু ধরা হয়েছে ১৫ বছরের মতো। স্যাটেলাইটের বাইরের অংশে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার রঙের নকশার ওপর ইংরেজিতে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু-১। বাংলাদেশ সরকারের একটি মনোগ্রামও সেখানে রয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’টির কে-ইউ ব্যান্ডের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশ, বঙ্গোপসাগরে তার জলসীমাসহ ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চল। বঙ্গবন্ধু-১ কৃত্রিম উপগ্রহটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের ভূকেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় ভূকেন্দ্র তৈরি করা হয়। জয়দেবপুরের ভূকেন্দ্রটি হলো মূল স্টেশন। আর বেতবুনিয়ায় স্টেশনটি বিকল্প হিসেবে রাখা হয়। শুধু দেশি সংস্থা নয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হচ্ছে হন্ডুরাস, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ক্যামেরুন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপনের লক্ষ বাংলাদেশের।

মেট্রোরেল: সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান এক বাস্তবতা। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছরের আগ্রগতির অন্যতম এক উদাহরণ ঢাকা মেট্রোরেল। ঢাকার এলিভেটেড মেট্রোরেল বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। যাত্রী পরিবহনের নতুন এই ধরন দেশের মাটিতে আগে কখনো দেখা যায়নি। দেশের পরিবহন খাতের জন্য এটা বড় ঘটনা। বাংলাদেশের মতো একটি অধিক জনবহুল, দ্রুত নগরায়ন হতে থাকা ও জায়গার স্বল্পতায় ধুঁকতে থাকা একটি দেশের জন্য মেট্রো রেলের সুবিধা অনেক। এটা যে কেবল দৈনিক যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে, তা না। বরং একসঙ্গে প্রচুর সংখ্যক যাত্রীবহনের মাধ্যমে পরিবহনের অন্য মাধ্যমগুলোর ওপরও চাপ কমিয়ে দেবে।

এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে।

২০৩০ সালের মাধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সব কয়টি লাইনের কাজ সম্পন্ন হলে রাজধানীর গণপরিবহণ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে সন্দেহ নেই। অসহনীয় যানজট থেকেও মুক্ত হবে নগরবাসী।

কর্ণফুলী টানেল: কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে দুই টিউববিশিষ্ট বহু লেনের কর্ণফুলী টানেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের এ টানেল সংযুক্ত করবে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তকে। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেলটি হবে চার লেনের। টুইন টিউব টাইপের মূল টানেলের দৈর্ঘ হবে ৩.৩১৫ কিলোমিটারের বাইরে পতেঙ্গা প্রান্তে ৫৫০ মিটার এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৪.৮ কিলোমিটারসহ মোট ৫.৩৫ কিলোমিটার।

এই টানেল নির্মাণের ফলে পণ্যসেবা ও জ্বালানির বাজার প্রবেশগম্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি অশুল্ক বাধা দূর হবে। বাণিজ্য সহজীকরণ ত্বরান্বিত করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করা এবং খনিজদ্রব্য পানি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের যৌথ উত্তোলন ও উন্নয়ন সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম নগরীতে নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়নেও ভুমিকা পালন করবে এই টানেল।

এই টানেল নির্মাণের আরও কিছু উদ্দেশ হল চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রামকেও ‘ওয়ান সিটি’ অ্যান্ড টু টাউনের আদলে গড়ে তোলা, বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে আবর্তিত ব্লু ইউকোনমি সমর্থন দেয়া, পরিবহন কেন্দ্রস্থল হিসেবে চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক শহরকে আরো বেশি শক্তিশালী করা, কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি প্রসার ঘটানো, কর্ণফুলী নদীর ওপর বিদ্যমান দুই সেতুুর ওপর থেকে যানবাহনের চাপ কমিয়ে আনা, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান স্থানের সাথে কর্ণফুলী পূর্বপাশে নির্মীয়মাণ শহরের সংযোগ স্থাপন এবং উন্নয়ন কাজে গতি বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে নির্মীত হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ২'শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গতক পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটি পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই নদীতীরে অবস্থিত।

পদ্মা সেতু   বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১   মেট্রোরেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঝিনাইদহে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

বর্ষা নির্বাচনে তিনজন নারী প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন। তিনি ঝিনাইদহ পৌর এলাকার আরাপপুর মাস্টারপাড়ার আলীজান মীরের সন্তান। এর আগেও ঝিনাইদহ জেলা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের দুজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রজাপতি মার্কা প্রতীকে বর্ষা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আরতী দত্ত পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৫২ ভোট। ৩০ হাজার ৯০৬ ভোটের বিরাট ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বর্ষা। এ ছাড়াও অপর দুই প্রার্থী কলস প্রতীকের পাপিয়া সমাদ্দার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট ও ফুটবল মার্কা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজা তাহের পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৯ ভোট।

 

 

 

 

 

 


ঝিনাইদহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ ও মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমানের নের্তৃত্বে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকালে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নের্তৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরণের কার্যক্রম বিশেষত রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন’।

তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দূরদর্শী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, মোট ৪০ প্রজাতির মাছ ‘রেডি টু কুক হিসেবে স্থায়ীভাবে’ ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্রগ্রাম মৎস্য বন্দর বিপণন করা হচ্ছে।

এছাড়া ঢাকা শহরের ১৬ টি স্পটে ০৬ টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান ভিত্তিতে 'বিএফডিসি রেডি ফিস' বাজারজাত করা হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ স্পট গুলো হলো-

১) মিরপুর ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড

২) বনানী, নেভী হেডকোয়াটার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ সংলগ্ন)

৩) সচিবালয় এর দক্ষিণ গেইট

৪) মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর

৫) স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট

৬) মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর

৭) ধানমন্ডি ৬ নম্বর

৮) আজিমপুর কলোনী আজিমপুর

৯) লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন

১০) সচিব কোয়াটার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার)

১১) দুদক অফিস সংলগ্ন, সেগুনবাগিচা

১২) এজিবি কলোনী, মতিঝিল

১৩) শংকর, ধানমন্ডি

১৪) সেচভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার)

১৫) ধানমন্ডি ২৮

১৬) মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।

এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাত করা হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানীয় সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ডা. মোঃ গোলাম রব্বানী এসময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী   ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’   মিল্কিং   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তায় দেশটির অর্থায়ন আগ্রহের কথা জানান।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।

তিস্তায় ভারতের মতো চীনও অর্থায়ন করতে চাচ্ছে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাচ্ছে, সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে’।


তিস্তা প্রকল্প   অর্থায়ন   ভারত   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনার তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে পাবনার সুজানগর, বেড়া সাঁথিয়া এই তিনটি উপজেলায় বুধবার ( মেইভিএম ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দু'টি উপজেলায় এসেছে নতুন মুখ। আর একটিতে রয়েছে পুরোনো মুখ।

ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে সুজানগর উপজেলায় আব্দুল ওহাব, বেড়া উপজেলায় রেজাউল হক বাবু সাঁথিয়া উপজেলায় সোহেল রানা খোকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সুজানগর সাঁথিয়া উপজেলায় নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বুধবার (৮ মে) মধ্যরাতে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুজানগরে ৭২টি কেন্দ্রের ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটর সাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট। অর্থাৎ ওহাব হাজার ৩১১ ভোটে শাহীনকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল রানা চশমা প্রতীকে ৬৩ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস মোস্তফা আহমেদ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন আক্তার শিপ্রা ফুটবল প্রতীকে ৬৪ হাজারে ৮৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মর্জিনা খাতুন কলস প্রতীকে  পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৪৭ ভোট।

বেড়া উপজলায় ৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। অর্থাৎ বাবু হাজার ৯২৩ ভোটে বাতেনকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেসবাহ-উল-হক চশমা প্রতীকে ২৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী নাজমুল বাসার বই প্রতীকে  পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শায়লা শারমীন ইতি হাঁস প্রতীকে  ৪৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী সুষমা রানী সাহা কলস প্রতীকে  পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামান টুটুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। অর্থাৎ খোকন হাজার ৮১৪ ভোটে আশরাফুজ্জামানকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামসুল হক স্বপন টিউবওয়েল প্রতীকে ৪৬ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেহেদি হাসান রুবেল উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৯ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসিমা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ৩০ হাজার ২৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিমা সুলতানা শীলা হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৭ ভোট।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই উপজেলায় জামানত হারালেন ১১ প্রার্থী

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে হবিগঞ্জের বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে জামানত হারিয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন জামানত হারিয়েছেন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান (আনারস) মো. রেজাউল করিম (মোটরসাইকেল) ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন হারুনুর রশীদ (মাইক) হীরেন্দ্র পুরকায়স্থ (বই) 

বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানপদে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন (উড়োজাহাজ), আরশাদ হোসেন খান (পালকি), এস এম সুরুজ আলী (মাইক), তাফাজ্জুল হক (বই), প্রিতোষ রঞ্জন দেব (বৈদ্যুতিক বাল্ব), সৈয়দ নাসিরুল ইমাম (টিয়া পাখি) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলি রানী দাস (কলস) জামানত হারিয়েছেন।


উপজেলা   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন