ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ৫০: 'ধর্মনিরপেক্ষতা' কি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে?

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিজয়ের ৫০: 'ধর্মনিরপেক্ষতা' কি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে?

বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই ৫০ বছরে উন্নত বিশ্বের নজর কেড়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মেগা প্রকল্পগুলো। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের সুপারিশ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কিছু রাজনৈতিক লক্ষ্যের ব্যাপক বিচ্যুতি ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় তৈরি ৭২-এর সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও কার্যত তার বাস্তবায়ন নেই। আমরা সাংবিধানিকভাবে আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছি 'ধর্মনিরপেক্ষতা'। অথচ ধর্মনিরপেক্ষতাকে এখনও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারিনি। আওয়ামী লীগসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে, নেতা-কর্মীর বক্তব্যে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মৌলবাদ, ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে৷ বিশেষ করে সুবিধাবাদীর রাজনীতি চর্চার ফলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ার বদলে দিনে দিনে মূল ধারার দল বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে ধর্মীয় রাজনীতির উত্থান ঘটেছে। দুর্গাপূজার সময়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘাতও আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আমরা কতটা ধর্মনিরপেক্ষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক বাঁকের কারণে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখোমুখি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সমাজকর্মী খুশি কবির বলেন, এবারের দুর্গাপূজা-ই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা কোথায় চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন যে, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ কিন্তু এবার দুর্গাপূজার সময়, যে পূজায় শুধু হিন্দুরা নয়, সবাই অংশগ্রহণ করে, সেখানে সংঘাত ঘটেছে। দুর্গাপূজা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। যেমন করে ঈদের সময় অনেক হিন্দু বাচ্চাকে তার বাবা মা নতুন কাপড় পড়ায়, ভালো-মন্দ খেতে দেয়, নিজেরা খায়, তেমনি দুর্গাপূজাও সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দুর্গাপূজা উৎসবে সবাই যাচ্ছে, উৎসব করছে। আমরা অন্যদের বলতাম যে, আমরা সব ধর্মকে সম্মান করতে জানি। বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালি কোনোদিন উগ্র সাম্প্রদায়িক হবে না। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু এবারের পূজা উৎসবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে তাণ্ডব ঘটলো, সেখানে দেখা যাচ্ছে মোটেই আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ নয়। বরঞ্চ আমরা উগ্র সাম্প্রদায়িকতার দিকে যাচ্ছি।

সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতির একটি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। লালিত সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্রের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে পাকিস্তানপন্থি ঘাতকদের হাতে নিহত হতে হয় বঙ্গবন্ধুকে। উল্টোপথে হাটতে শুরু করে দেশ। উলট-পালট হয়ে যায় সংবিধানের মূল স্পিরিট। জিয়া-এরশাদ-খালেদা, এই তিনে মিলে ২৮ বছরে তছনছ করে ফেলে গোটা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। 

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ করবো। এবং এর প্রতিফলন বাহাত্তরের সংবিধানে ঘটেছিল। ধর্মনিরপেক্ষতার গ্যারান্টি চুক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধু ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিলুপ্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি ধর্মের নামে রাজনীতি করার বিষয়টিও তুলে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৫ এর পর থেকে দেশের সমাজ, রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি, সব জায়গায় মৌলবাদীকরণ হয়েছে। সাম্প্রদায়িকরণ হয়েছে। পাকিস্তানিকরণ হয়েছে। এই কাজটি এখনও হচ্ছে। জামায়াতে ইসলাম এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয়, যাদের রাজনীতি বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। 

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরই বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাবিরোধীতা প্রকাশ্যে ব্যাপক মাত্রা পায়৷ পরবর্তীতে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা' বাদ দেয়া হয়৷ প্রস্তাবনার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহিম' রেখে ‘ইসলাম'-কে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেয়া হয়৷ জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের আইন থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সরিয়ে দেন এবং তার স্থলে ‘মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্য স্থাপন করেন। দুই যুগেরও বেশি সময় পর্যন্ত সংবিধানে এ বাক্যটি ছিল। ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফেরা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে সংশোধনী এনে সংবিধানে আবার ‘ধর্মনিরপেক্ষতা'-কে ফিরিয়ে আনে৷ কাজীর গরু যেভাবে কিতাবে আছে, কিন্তু গোয়ালে নেই, তেমনি আজ সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা থাকলেও বাস্তবে হিতের উল্টো স্রোতে প্রবল বেগে ধর্মীয় রাজনীতির জয়জয়কার। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আজ রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। 

শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যদিও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে এনেছেন, তবে এখনও সংবিধানে সাম্প্রদায়িকতার অনেক ক্ষত চিহ্ন রয়ে গেছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়ে গেছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা সংবিধানের যেখানে বলা আছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র কোনো বিষয়ে ধর্মকে প্রতিপাদ্য করবে না। সুতরাং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে ধর্মনিরপেক্ষতা কখনো কার্যকর হতে পারে না। এ জন্যই আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই ৭২ এর সংবিধান পুন:প্রবর্তনের জন্য গত ৩০ বছর ধরে আন্দোলন করছি। আমরা মনে করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও ৩০ লক্ষ শহিদের চাওয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এর জন্যই মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকেও ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্যই হত্যা করা হয়। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। কিন্তু তার ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা ছিল না। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত জীবনে ধর্ম পালন করতেন। ধর্ম পালনের সব রকমের স্বাধীনতাই তিনি দিয়েছিলেন। ধর্মকে শুধু রাষ্ট্র এবং রাজনীতি থেকে তিনি পৃথক রেখেছিলেন। আমাদেরকে সেই জায়গায় যেতে হবে। তাহলেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সার্থক হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন হবে।

ধর্মনিরপেক্ষতা   বিজয়ের ৫০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।  

প্রায় এক সপ্তাহে (১৬ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি আরব পৌঁছান তারা। শুক্রবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। 

বুলেটিনে বলা হয়, মোট ৬১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


পবিত্র হজ   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনা চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। 

 

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত দুই বোন হলেন মিম (২০) ও লাম (২০) । তারা পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে।

 

আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২) । তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

 

এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই বোনের বাবা রেজাউল করিম। 

 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে গিয়ে বলে গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়। 

 

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার জমজ বোন মিম এগিয়ে আসলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলে জমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে। 

 

পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 

এ বিষয়ে চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত দুই বোনের পিতা রেজাউল করিম রিজু।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, ‘আমার মায়ের সাথে ওরা দুই বোন মারামারি করছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।’

 

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জাড়িতদের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।’

এ বিষয়ে চাটনোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ছাত্রলীগ   হাতুড়ি   মারধর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ধোলাইখালে চার তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর ধোলাইখালে চার তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। 

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানিয়েছে।

তিনি বলেন, 'ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।'

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আগুন   ধোলাইখাল   ৪ তলা ভবন   ফায়ার সার্ভিস   মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারওয়ান বাজারের আগুন

প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় ১০টা ৩৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। 


কারওয়ান বাজার   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুসহ দু’জনের

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সড়কের পার্শ্ববর্তী পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পড়ে যায়। এসময় ফুটপাতে থাকা অন্তত ৬ জন লরির ধাক্কায় পুকুরে তলিয়ে যায়। এঘটনায় বছর বয়সী এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই মোড়ে প্রজাপতি পার্কের পাশে ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায় যায়নি। এছাড়া আসাদুজ্জামান সানি (১৯) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সানির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন। তারা হলেন, ইমরান (৮), নুরুল আমিন (২১), তাসপিয়া (২০) ও নুসরাত (৩৫) ।

জানা গেছে, একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটি প্রজাপতি পার্কের পাশে মোড় নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ফুটপাতে থাকা ছয়জনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটিসহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে পাঁচজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় হতাহতরা বেশিরভাগই একই পরিবারের। তারা পার্শ্ববর্তী নেভালে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন।

কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মামুনুর রশীদ জানান, ‘দুর্ঘটনার পর আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে শিশুটির মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘পতেঙ্গা দুর্ঘটনায় জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।’


লরি   নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে   পুকুরে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন