রাশেদ আহমেদের জন্ম ফরিদপুরে। ছেলেবেলা থেকেই নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন রাশেদ।অল্প বয়সে বাবার মৃত্যুতে সঠিক দিক-নির্দেশনার জন্য কাউকেই পাশে পাননি তিনি। ঝলসে যাওয়া জীবনের নির্মম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হতে মাধ্যমিক শেষে কলেজে পাড়ি জমান ব্যবসায় শিক্ষা পড়তে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে যখন সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
ক্যারিয়ার শুরু করলেন একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে৷ ছোট চাকরি আর অল্প বেতন হওয়ায় শুরুর দিকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হলেও, নিজেকে গুছিয়ে নিতে থাকেন আস্তে আস্তে। একটা পর্যায়ে তিনি দেখলেন; বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে যখন তার বন্ধুরা হন্যে হয়ে একটা চাকরির খোঁজ করছে, তখন তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানের সেলস টেরিটোরি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তখন তিনি বুঝে গেলেন, শুধু ডিগ্রী নয়-দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার মিশেলই পারে ক্যারিয়ারকে কাংখিত অবস্থানে নিয়ে যেতে।
শুধু রাশেদ নয়, আশেপাশে তাকালে এমন অনেক নায়ককেই পাওয়া যাবে যারা শুধু ডিগ্রির উপর ভরসা না করে নিজের হাতেই লিখে গেছেন নিজেদের গল্প। কিন্তু রাশেদের এই গল্পের নায়ক হয়ে ওঠাটা মোটেও সহজ ছিল না। তাই চাকরি জীবনে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে নজর রাখুন পাঁচটি ধাপের উপর যা ক্রমান্বয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে।
সময়কে ধরে রাখতে শিখুন:
সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই নিজের সময়কে যথাযথ ব্যবহার করে কাজগুলো করে নিতে হবে। কাজের তালিকার সকল কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি কাজের জন্য আনুমানিক সময় নির্ধারণ করে রাখুন। এতে কাজগুলো যথাসময়ে খুব সহজে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সময় অপচয় হবে না।
কঠিন, অপছন্দনীয় বা একঘেয়ে বিষয়গুলোকে বিশেষ ভাবে সাজান :
আমাদের দৈনন্দিন কাজ গুলোর মধ্যে এমন অনেক কাজই থাকে যেগুলো আমরা ইচ্ছা না থাকলেও করি সেগুলো আমাদের পছন্দের কাজ নয় কিংবা সেগুলো বড়ই একঘেয়েমির কাজ। তাই দিনরাতের যে সময়ে আপনি বেশি মনোযোগী ও সক্রিয় থাকেন তালিকার কঠিন, অপছন্দনীয় বা একঘেয়ে কাজগুলোকে সেসময় করার জন্য রাখুন। এতে একঘেয়েমি দূর হবে ও মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে।
বিশ্রাম, বিনোদন ও খাদ্যাভাসের বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখুন:
বিশ্রামহীন ভাবে কাজ করতে থাকলে যেমন কাজে মনোযোগের অভাব হতে পারে ঠিক তেমনি শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা আসতে পারে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত ঘুম, বিনোদন, পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি অভ্যাস শরীরের কর্মদক্ষতাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই পরিকল্পনায় এই বিষয়গুলো কেউ সমান গুরুত্ব দিন।
মাল্টিটাস্কিং এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিন:
মাল্টিটাস্কিং বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। কাজগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্যে অনেকেই একসাথে একাধিক কাজ করতে থাকেন। একই সময়ে দুই বা ততোধিক কাজ করলে তার কর্মদক্ষতা কমে যায় এবং সম্পন্ন হওয়া কাজগুলোর মধ্যে ও ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়। যা পুনরায় করতে আরো সময়ের প্রয়োজন হয়।
অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপচয় হওয়ার সময়কে কাজে লাগান:
নির্দিষ্ট পরিকল্পনার বাইরেও কখনো কখনো রাস্তায় যানজট বা কারো কাছে কোন কাজে যেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়। সময় তালিকায় থাকা সেই কাজগুলোর সময় নির্দিষ্ট নয় এমন কাজগুলো এই সময়ের মধ্যে করে ফেলুন। এতে কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন হবে এবং সময়েরও অপচয় হবে না।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো লিস্টে চিহ্নিত করে রাখুন:
গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলোর উপর ফোকাস রাখতে সে কাজগুলোকে তালিকায় চিহ্নিত করে রাখুন, যাতে এগুলো যেন কোনভাবে অসম্পন্ন না থাকে। প্রয়োজনে সে কাজগুলোকে আগে শেষ করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের ক্যালেন্ডার বা গুগল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা এলার্ম টুল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে কাজগুলো অসম্পন্ন থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে।
প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই সম্পন্ন করুন:
অতিরিক্ত কাজের চাপ অথবা কাজের প্রতি অনীহার কারণে আমরা প্রতিদিনের কাজগুলো প্রতিদিন শেষ করি না। এতে পরবর্তী দিনের কাজের চাপ আরো বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিনের কাজের তালিকায় সকল কাজ যথাসময়ে শেষ করতে চেষ্টা করুন। কারণ কোন কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেলে তা পরের দিনের কাজের সাথে যুক্ত হবে এবং সে দিনের কাজ সম্পাদনে বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে।
পরিকল্পনামাফিক চলতে গিয়ে হতাশ হবেন না:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমরা যা পরিকল্পনা করি সবসময়ই সেভাবেই কাজগুলো হয়, তেমন কিন্তু নয়। পরিকল্পনামাফিক চলতে গিয়ে অনেক বাধা বা প্রতিবন্ধকতা আসতেই পারে বা পরিকল্পনা অনুসরণে কখনো ছেদ পড়তে পারে। এতে কখনোই হতাশ হবেন না। দৃঢ়তার সাথে পরের কাজগুলোর জন্য পরিকল্পনায় ফিরে আসুন। মনে রাখবেন একবার যদি আপনি হতাশ হয়ে পড়েন তাহলে পুনরায় সেই কাজগুলোকে শুরু করা খুবই কষ্টকর হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন