নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিসিএস ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসতে পারে এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আজকের বিশেষ আয়োজন। বিজয়ের দিনে সেসব প্রশ্নের উত্তর নতুন করে জেনে নিন;
১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি তথা জাতির পিতার নাম কী?
উঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কোন সেক্টরের অধীনে ছিলো?
উত্তরঃ দুই নম্বর সেক্টর
৩. অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারী কে ছিল?
উত্তর : ইয়াহিয়া খান
৪. সর্ব কনিষ্ঠ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধার নাম কী?
উঃ শহীদুল ইসলাম (বীর প্রতীক ১২ বছর)
৫. ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত লোকসংখ্যা কত ছিলো?
উত্তরঃ প্রায় দশ লক্ষ
৬.মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান কে?
উত্তরঃ এম. মনসুর আলি।
৭. সরকারিভাবে নিয়মিত বাহিনির নাম কী ছিলো?
উত্তরঃ এম. এফ
৮.রাজাকার বাহিনি গঠন করেন কে?
উত্তরঃ মওলানা এ কে এম ইউসুফ
৯.১৯৭১ এ ভারতীয় বিমান ঘাটিতে পাকিস্তান বোমা হামলা চালায় কবে?
উত্তরঃ ৩রা নভেম্বর
১০. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকার কোন এলাকায় অবস্থিত?
উত্তরঃ সেগুনবাগিচা
১১. কোন নেতা নির্বাচিত দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর বানচাল করতে ইয়াহিয়া খানের সাথে ষড়যন্ত্র করেন?
উত্তরঃ জুলফিকার আলী ভুট্ট
১২. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে নিযুক্ত হন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৩. মুক্তিবাহিনী কবে গঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই
১৪. মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
উত্তর: ১১টি সেক্টরে
১৫. শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে পালন করা হয়?
উত্তর: ১৪ ডিসেম্বর
১৬. মুক্তিযুদ্ধে কত লোক প্রাণ হারায়?
উত্তর: প্রায় ৩০ লাখ
১৭. মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বসূচক উপাধি কয়টি?
উত্তর: চারটি
১৮. মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রিয় ধ্বনি ছিল কোনটি?
উত্তর: ‘জয় বাংলা’।
১৯. যৌথবাহিনী গঠিত হয়েছিল কবে?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর
২০. আভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল চালনা কোন সেক্টরের অন্তভুর্ক্ত ছিল?
উত্তরঃ ১০নং সেক্টরে
২১. শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যিদ্ধে জয়লাভের জন্য মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা নানা ধরণের কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। এর মধ্যে প্রধান কৌশল ছিল কোনটি?
উত্তরঃ গেরিলা আক্রমন ও সন্মুখ যুদ্ধ
২২. শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উ: ২৩ মার্চ ১৯৬৬
২৩. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন?
উত্তরঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
২৪. ‘কে’ ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তরঃ মেজর খালেদ মোশারফ
২৫. মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী কোনটি ছিলো?
উত্তরঃ মুক্তিফৌজ
২৬. কবে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ ঘোষনা করা হয় ?
উ: ৩ মার্চ ১৯৭১
২৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য সর্বমোট কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ ৬৭৬ জন
২৮.মুক্তিযুদ্ধে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবপ্রাপ্ত দুই জন নারী মুক্তিযোদ্ধা কে কে?
উত্তরঃ ডা. সেতারা বেগম ও তারামন বিবি
২৯. কত তারিখে বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ৭ই মার্চ ১৯৭৩
৩০. বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রের ঘোষণা হয়েছিল
উত্তরঃ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
৩১.মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন ?
উত্তরঃ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
৩২.মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন??
উত্তরঃ তাজউদ্দিন আহমেদ
৩৩. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলার নাম – উত্তরঃ যশোর
৩৪. মুজিবনগর সরকার কোন দেশে মিশন স্থাপন করেছিলো?
উত্তরঃ যুক্তরাজ্য
৩৫.১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক অভিযানের সাংকেতিক নাম?
উত্তরঃ অপারেশন সার্চ লাইট
৩৬.কখন মুক্তিযুদ্ধের বিরধিতাকারী মালিক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন?
উত্তরঃ১৪ই ডিসেম্বর
৩৭. শরনার্থী কর আইন আরোপ করেছে কোন সরকার?
উত্তরঃ ভারত সরকার
৩৮. মার্ক টলী কোন সংবাদ মাদ্যমের সাংবাদিক?
উত্তরঃ বিবিসি
৩৯.সাইমন ড্রিং কে ছিলেন?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সাংবাদিক
৪০.বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব লাভকারী একমাত্র বিদেশী নাগরিক কোন দেশের? ?
উত্তরঃ ডাচ
৪১.মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিগেড আকারে মোট কয়টি ফোর্স গঠিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ ৩ টি
৪২.আত্মসমর্পনের পরে পাকিস্তানী দের যুদ্ধবন্দি হিসেবে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়?
উত্তরঃ ঢাকা সেনানিবাসে।
৪৩. বাংলার মুক্তি সনদ’ হিসেবে কি পরিচিত?
উত্তরঃ ৭ই মার্চের ভাষন
৪৪.কোন দেশে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’?
উত্তরঃ আইভরি কোস্ট
৪৫. কে ভারত থেকে আত্মসমর্পন দলিল নিয়ে আসেন?
উত্তরঃ মেজর জেনারেল জ্যাকব
৪৬. ১৯৭১ সালে ২২শে মার্চ আলোচনার উদ্দেশ্যে ঢাকা আগমন কোন নেতার সাথে সম্পৃক্ত?
উত্তরঃ জুলফিকার আলী ভুট্টো
৪৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে জনমত তৈরিতে কার নাম জড়িত?
উত্তরঃ বিচারপতি আবু সায়িদ চৌধুরী
৪৮.মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর গৌরবাঙ্গন, শ্বাশ্বত বাংলা এবং ভাস্মর চেতন’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ যশোর, রংপুর ও ময়মনসিংহ সেনানিবাস
৪৯. এম. ভি. সোয়াত চট্টগ্রামে পৌছে কত তারিখে?
উত্তরঃ ৩রা মার্চ
৫০. অপারেশন জ্যাকপটে মোট কতটি পাকিস্তানী জাহাজ ধ্বংস করে?
উত্তরঃ ৬০ টি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন