নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রথমবারের মতো বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে উজ্জ্বল। সে খুবই নার্ভাস ছিল। তাই পরীক্ষার হলে ওএমআর ফরম পূরণ করতে গিয়ে ভুল করে সে। দায়িত্বে নিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে তার ভুলের কথটি বলে উজ্জ্বল। কিন্তু বিসিএসে ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে আলাদা ফরম দেওয়ার নিয়ম নেই।
উজ্জ্বল সেদিন পরীক্ষা দিতে পেরেছিল। কিন্তু ওএমআরে ভুল করাতে পরীক্ষার পুরো দুই ঘন্টা তাঁর টেনশনে কেটেছে। তাই সহজ অনেক প্রশ্নও সে ভুল করে এসেছে। বিসিএস খুবই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হওয়ায় প্রস্তুতি পর্ব থেকে পরীক্ষা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ছোটখাট কিছু বিষয় আছে যেগুলো কোনোভাবেই ভুল করা উচিত নয়।
১। বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার আগে অনেক ছাত্রেরই ধারনা থাকে বিসিএস ফরম ছাড়ার পর বা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পর পড়াশুনা শুরু করবে। কিন্তু বিসিএসের মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি হওয়া উচিত সারা বছরই।
২। বিসিএসের আবেদন ফরম যতটা সম্ভব শুদ্ধভাবে পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে বিষয় নির্বাচন ফরমটি ধীরে সুস্থে পূরণ করতে হবে।
৩। অনেকের বিশ্বাস রয়েছে চাকরি করেও বিসিএসে টেকা যাবে। অসম্ভব না হলেও চাকরি করে বিসিএসে টেকা সত্যিই কঠিন। তাই আর্থিক সমস্যা থাকলে বিসিএস পরীক্ষার আগে একটি বা দুটি টিউশনি করা যেতে পারে তাতে সময় কম নষ্ট হবে।
৪। বিসিএসের আগে নিজে একাই পড়ব অন্যদের নিজের পড়াশুনার ব্যাপারে কিছু বলব না এমন ধারনা পোষণ করা উচিত নয়। কারণ অন্যদের সঙ্গে নিজের পড়াশুনার বিষয়ে আলোচনা করলে কে কি পড়ছে তা জানা যাবে। কয়েকজন মিলে এক গ্রুপ হয়ে পড়াশুনা করলে তা অনেক বিষয় জানতেও সহায়তা করবে।
৫। অনেকে সারাবছর না পড়াশুনা করে পরীক্ষার আগে সাজেশন্স খুঁজে। কিন্তু বুঝতে হবে যে বিসিএস গতানুগতিক কোনো পরীক্ষা নয়। এর কোনো শর্ট সাজেশন্সও নেই।
৬। অনেকের মনে আবার ধারণা থাকে সারাবছর না পড়াশুনা করলেও বিসিএসে ভালো করা যায়। সত্যি বলতে পড়াশুনা না করে বিসিএসে ভালো করা অসম্ভব।
৭। বিসিএসে অন্যের উত্তর দেখে উত্তর করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই পরীক্ষার হলে ভুলেও সেই চেষ্টা করা যাবেনা।
৮। বিসিএস পরীক্ষায় ইচ্ছা করলেই বন্ধুবান্ধবের পাশাপাশি সিট ফেলা সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের চিন্তাও করা যাবে না।
৯। বিসিএস পরীক্ষা দিতে যেয়ে নির্দেশনা না দেখেই ওএমআর ফরম পূরণ করা উচিত নয়। নির্দেশনা দেখে ধীরে সুস্থে ফরম পূরণ করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
১০। বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক পড়াশুনা করতে হবে একথা সত্যি কিন্তু তাই বলে ঘুম ও ঠিকমত খাবার না খেয়ে নয়। কারণ ঘুম ও খাবার ঠিকমত না হলে অসুস্থ হবার আশঙ্কা থাকে। পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে পড়াশুনারও ক্ষতি হবে।
১১। বিসিএস পরীক্ষার দিন পরীক্ষার হলে পৌঁছুতে অবশ্যই দেরি করা যাবে না। কারণ এটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। নিজের একটু দেরির জন্যই পরীক্ষাতে তা প্রভাব ফেলতে পারে।
১২। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নের উত্তর না পারলে তা দাগানো যাবে না। কারণ অনেক প্রশ্ন কমন পড়লেও না পারা প্রশ্নগুলো দাগানোর কারণে প্রিলি পাস করা কঠিন হয়ে যেতে পারে।
১৩। পরীক্ষার হলে কোনো ধরনের অসৎ উপায় অবলম্বন করা যাবে না। কারণ ধরা পড়লে নিশ্চিত বহিস্কার। পরবর্তী সময় বিসিএস দেওয়ার ক্ষেত্রেও তা প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন