নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৯ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেকের মধ্যেই একটি ধারণা আছে বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়া হলে অন্য যেকোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যায়। সেই ধারনার বশবর্তী হয়েই শুধু বিসিএসের জন্যই পড়াশুনা করেছিলেন সৌম্য। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার এক সপ্তাহ পরেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষা মন মতো হয়নি সৌম্যের। কারণ ব্যাংকের জন্য আলাদা প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।
এ বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে সমন্বিতভাবে সিনিয়র অফিসার,অফিসার ও ক্যাশ(অফিসার) পদে সাত হাজার ৩৭২ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছে।
বর্তমান সময়ে তরুণদের কাছে ব্যাংকের চাকরি পছন্দের তালিকাতেও অন্যতম। ব্যাংকের চাকরিতে বেতন,ভাতা,বোনাস এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভালো থাকায় তরুণদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই চাকরি। কিন্তু অন্যান্য চাকরির তুলনায় ব্যাংকের প্রশ্ন কঠিন হয়। তাই প্রস্তুতিও নিতে হবে বুঝেশুনে।
১। ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পাশ করতে হবে। এতদূর না ভেবে প্রথমে প্রিলির জন্যই পড়াশুনা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ব্যাংকে আসা প্রশ্নগুলো পড়া যেতে পারে। তাতে প্রশ্নের ধরন বোঝা যাবে একই সঙ্গে নিজের ভিতও শক্ত হবে।
২। নিজে নিজের পরীক্ষা নিয়ে যাচাই করা যেতে পারে। নিজের কাছে সময় ধরে পরীক্ষা দিলে পরীক্ষার সময়টুকু কীভাবে ব্যবহার করা যাবে সেই দিকটি পরিস্কার হয়।
৩। পরীক্ষার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়া যেতে পারে কিন্তু তাঁর জন্য বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রশ্নের ধরন বুঝতে এমন পড়া উচিত। এছাড়া কম সময়ে গণিত করা ও পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে উপকার পাওয়া যায়।
৪। অনেকে ইংরেজি ভালো পারে না। কিন্তু অনেক ব্যাংকের প্রশ্নই আসে ইংরেজিতে। তাই প্রশ্ন বোঝা ও উত্তর করার ক্ষেত্রে ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
৫। যে বিষয়টিতে একজন চাকরি প্রার্থী দুর্বল সেই বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে।
৬। বিশেষ দিবস বা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যু দিবসের দিকে খেয়াল রাখুন। ওই দিনের দৈনিকে বিশেষ নিবন্ধ, আলোকপাত বা ক্রোড়পত্র থাকে, সংগ্রহে রাখুন।
৭। বর্তমানে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পড়াশুনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাই ফেসবুকে ঢুকলে সময় নষ্ট না করে এগুলো লক্ষ্য করা যেতে পারে।
৮। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি সমার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ মুখস্থ করলেও ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বারবার পড়তে হবে। যেকোনো বই বা ইংরেজি পত্রিকা দেখে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি নতুন শব্দ আয়ত্ত করার চেষ্টা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৯। অনেকে গণিত শেখার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে। কিন্তু ব্যাংকের পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় না। তাই ক্যালকুলেটর ছাড়া গণিত অনুশীলন করতে হবে।
১০। মাধ্যমিকের পর মাস্টার্স পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ায় গণিত থেকে অনেক দূরে থাকে। তাই নতুন করে অনেকেরই গণিত করতে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু ব্যাংকে চাকরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই গণিত পারতে হবে।
১১। প্রতিদিন বাংলা ও ইংরেজি উভয় পত্রিকা পড়লে যেমন অনুবাদ দক্ষতা বাড়ে, তেমনি ভালো লেখার কৌশলও আয়ত্ত করা যায়। জাতীয় দৈনিকের অর্থনীতি, সাহিত্য ও প্রযুক্তি পাতা নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তা প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
১২। বাংলাদেশের জিডিপি, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয়, কৃষি উৎপাদন ও দারিদ্র্য হ্রাস, পর্যটন বিকাশ ও পরিবেশ-সম্পর্কিত তথ্য লিখে রাখা যেতে পারে । সম্ভব হলে রেফারেন্সসহ সাল অনুযায়ী গ্রাফ করে রাখতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন