ইনসাইড ইকোনমি

কয়লা মাপার যন্ত্র নেই, রাজস্ব ফাঁকি

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail কয়লা মাপার যন্ত্র নেই, রাজস্ব ফাঁকি

আগের মতোই চলছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দুই স্থলবন্দর। ওজন মাপার যন্ত্র নেই। চোখের আন্দাজ আর ভারতীয় শুল্ক বিভাগ থেকে লিখে দেওয়া ওজনকে সত্য মেনে রাজস্ব আদায় করেন বাংলাদেশের শুল্ক কর্মকর্তারা। ফলে রাজস্ব ফাঁকির পুরনো অভিযোগ থেকে বের হতে পারছে না এই দুই বন্দর।

এই দুই স্থলবন্দরের মধ্যে গোবরাকুড়া বড়। ছোট বন্দরটি কড়ইতলি। এক বছর আগে এই দুই বন্দর সরেজমিন ঘুরে যে চিত্র দেখা গেছে তা থেকে বের হতে পারেনি বন্দর দুটি।

গোবরাকুড়া বন্দর দিয়ে গত বছর কয়লা আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৮০৬ টন। রাজস্ব আদায় হয়েছে সাত কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। অভিযোগ আছে, কয়লা আমদানিকারক আর শুল্ক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই সময়ে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়।

কিভাবে এই ফাঁকির ঘটনা ঘটে, জানতে চাইলে বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রতিটি ট্রাকে ২০-২২ টন কয়লা ভারত থেকে আসে। কিন্তু শুল্ক আদায় হয় গড়ে প্রতি ট্রাকে ১২ টন কয়লা ধরে। এতে আমদানিকারক প্রতিটি ট্রাকে প্রায় আট টন কয়লার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। টাকার অঙ্কে তা ১৭ হাজার ৩২২ টাকা।

এই একই প্রক্রিয়ায় চলছে আট মাইল দূরে অবস্থিত কড়ইতলি বন্দর। গত বছর এই বন্দর দিয়ে কয়লা এসেছে ২৩ হাজার টন। এখানেও প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ আছে। এতে বেশি লাভবান হচ্ছেন এই বন্দর দিয়ে কয়লা নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা।

প্রতিদ্বন্দ্বী কয়লা ব্যবসায়ীদের দাবি, শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় এই দুই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা কয়লা কিছুটা কম দামে বিক্রি করে দ্রুত লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। এতে বিপদে পড়ছেন যথাযথ শুল্ক দিয়ে অন্য স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা কয়লা ব্যবসায়ীরা। আবার মান দেখার সুযোগ না থাকায় নিম্ন মানের কয়লাও ঢুকছে এই দু্ই বন্দর দিয়ে। মূলত ইটভাটায় এসব কয়লা ব্যবহার করা হয়। 

সম্প্রতি গোবরাকুড়া বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে কয়লা নিয়ে ঢুকছে একটার পর একটা ট্রাক। প্রবেশপথে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ট্রাকে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, তা তল্লাশি করে দেখছেন। এরপর কয়লার চালানের কাগজপত্র দায়িত্বরত কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তাকে দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ট্রাকগুলো। কোনো ট্রাকের কয়লা মাপা হয়নি। গত ৪ জানুয়ারি এই প্রক্রিয়ায় অর্ধশত ট্রাক কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে গোবরাকুড়া স্থলবন্দর দিয়ে।

ট্রাক থেকে কয়লা নামানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, তাঁদের হিসাবে প্রতি ট্রাকে ২০-২২ টন কয়লা ধরে। তাঁরা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে তা ট্রাক থেকে নামান।

বর্তমানে প্রতি টন কয়লা থেকে ২১৬৫.২৫৭ টাকা রাজস্ব পায় সরকার। সেই হিসাবে প্রতি ট্রাকেই ১৭ হাজার ৩২২ টাকার বেশি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন অসাধু আমদানিকারকরা।

তবে কয়েকজন আমদানিকারক দাবি করেছেন, বন্দরে ওজন মাপার স্কেল না থাকায় প্রায় সময় এলসিতে উল্লেখ করা পরিমাণের চেয়ে কম কয়লা পান তাঁরা। আর ভারত থেকে আসা ট্রাকগুলো সে দেশেই ওজন করে এপারে পাঠানো হয়। তাই কখনোই বেশি আনার সুযোগ নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছুদিন আগেও কড়ইতলি বন্দরের নিয়ন্ত্রণ ছিল এমপি জুয়েল আরেং এবং হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আজগরের হাতে। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে আলী আজগর মারা যাওয়ার পর জুয়েল আরেংয়ের একক নিয়ন্ত্রণে চলে যায় বন্দর। তিনি গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতিও।

বন্দর থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আমদানিকারক জানান, গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সদস্য তিন শতাধিক। কিন্তু এখন সক্রিয় আছেন মাত্র ১১০ জন। কারণ বন্দরে শুধু এমপির লোকজনই ব্যবসা করতে পারেন। অনেক ব্যবসায়ী চাইলেও প্রয়োজনমতো কয়লা আমদানি করতে পারেন না বলে জানান। কেউ কেউ তাই বন্দর থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন।

বন্দরের লোড-আনলোড এলাকায় গিয়ে এই ব্যবসায়ীর অভিযোগের সত্যতা মেলে। মেসার্স দত্ত অ্যান্ড ব্রাদার্স, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, সেতু ইন্টারন্যাশনাল, ফ্রেন্ড ইন্টারন্যাশনাল, আনিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স সিদ্দিক ইন্টারন্যাশনাল, আবির ট্রেডার্স, মেসার্স বড় ভাই এন্টারপ্রাইজসহ অনেক ডিপো খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

নাজমুল নামের এক শ্রমিক জানান, একজন কয়লা শ্রমিক সারা দিন খেটে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারেন। আমদানিকারক কম থাকায় অনেক শ্রমিকই দিনের পর দিন কাজ পান না। এতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাঁদের। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রমজান ও ইসমাইল নামের দুই শ্রমিক বলেন, ‘দুই দিন ধরে কোনো কাজ পাইনি। এই বন্দরে প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের বেশির ভাগেরই অবস্থা আমাদের মতো।’

৫ জানুয়ারি উপজেলার কড়ইতলি স্থলবন্দরে গিয়েও চোখে পড়ে প্রায় একই রকম দৃশ্য। আমদানি করা কয়লার ওজন যাচাই না করে শুধু এলসিপত্র দেখিয়ে একের পর এক ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকছে। এই বন্দরের নিয়ন্ত্রণে আছেন এমপি জুয়েল আরেংয়ের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ১ নম্বর ভুবনকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সুরুজ মিয়া। কড়ইতলি কোল অ্যান্ড কোক ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও তিনি।

এলসিপত্রের অতিরিক্ত কয়লা আনার অভিযোগ অস্বীকার করে গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার অপু ওরফে অপু সরকার বলেন, ‘ভারতীয় বন্দরে প্রতিটি ট্রাক ওজন স্কেলে পরিমাপ করে তবেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কয়লা বেশি আনার কোনো সুযোগ নেই। বরং ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন কয়লা থাকার কথা থাকলেও প্রায় সময় ২০০ থেকে ৫০০ কেজি কম থাকে। এতে অনেক ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। আর আমাদের বন্দরে ওজন মাপার স্কেল না থাকায় কয়লা গ্রহণের সময় ভারতের পাঠানো কাগজের ওপরই ভরসা করতে হয়।’

ট্রাকে কয়লা যদি ওজনে কম আসার সুযোগ থাকে তাহলে বেশি আসারও তো সুযোগ আছে। এটা হয় কি না? এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

কড়ইতলি কোল অ্যান্ড কোক ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুরুজ মিয়াও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘খুব শিগগির আমাদের দুটি বন্দরেই ওজন স্কেল বসানো হয়ে যাবে। আশা করছি, আগামী জুন-জুলাই মাসেই চলমান উন্নয়নকাজ শেষ হয়ে বন্দর দুটি পুরোপুরি চালু হয়ে হয়ে যাবে। তখন আর এমন অভিযোগ করার সুযোগ থাকবে না।’

এসব বিষয়ে জানতে গোবড়াকুড়া আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেংয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস করা হলেও সাড়া দেননি।

একইভাবে কথা বলতে রাজি হননি দুই স্থলবন্দরের কোনো শুল্ক কর্মকর্তা। তাঁরা বলেন, ‘ওপর থেকে অনুমতি নিয়ে আসেন। তারপর কথা বলব।’


বসুন্ধরা   কয়লা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দুদিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম বাড়ল

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। 

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার দাম   বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশ উন্নত হবে: পাটমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে আমরা অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ।’ 

মঙ্গলবার (৭ মে) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক  সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাকশিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। 

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক এই শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গতবছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। 

পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আফ্রিকার কোন নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এ দেশের উদ্যোক্তাগণ নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন। 

এবার দু'দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একীভূতকরণের নির্দেশনা মানতে নারাজ রাকাব

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এর সঙ্গে একীভূত হতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সেই নির্দেশনা মানতে নারাজ রাকাব। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে ব্যাংকটি।

ব্যাংকের সবশেষ পর্ষদ সভায় বলা হয়, উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকটির রয়েছে প্রত্যক্ষ অবদান। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক। তাই একীভূতকরণের বিষয়েও ভাবতে হবে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাই যথেষ্ট নয়, লাগবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় রাকাব।

একীভূত করা নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা হলেও গত ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দেয়। এরপর গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একে অপরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

পরে গেল ৩ এপ্রিল সরকারি খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ৮ এপ্রিল সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সমস্যাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংককে এবং ৯ এপ্রিল বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়।


বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক   রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছাতে কাজ করছে টিসিবি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি পণ্য যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য টিসিবি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। 

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বারিধারা এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে কূটনীতিকরা থাকেন। আমাদের দেশের সম্মান কিন্তু নির্ভর করে এই ডিপ্লোমেটদের কীভাবে রাখছি তার ওপর। বড় বড় দূতাবাস এখানে। পুলিশ বক্সের পয়েন্টের পাশে রিকশা ঘোরানোর জন্য ডিপ্লোমেটদের ১০-১৫ মিনিট যানজটে থাকতে হয়। চাইলে এই চলাচলটা খুব সহজ করে দেওয়া যায়। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এটা দেখতে বলব।  

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এটাই ছিল টিসিবির উদ্দেশ্য। আমি নিজেও ছোটবেলায় রেশন কার্ড নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে যেতাম, বিভিন্ন জিনিস আমরা সেখান থেকে এনেছি। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিজস্ব উৎপাদিত অনেক পণ্য ছিল না। টিসিবির মাধ্যমে এটা আসত।

তিনি বলেন, সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ডলার সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ লাখ টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন ভোটের পরেই রমজান আসছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য আছে। কিন্তু এটার ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এক কোটি পরিবার প্রায় ৪-৫ কোটি লোক, এই তালিকাটা একটু সংশোধন করা দরকার। কারণ প্রত্যেক জায়গায় কিছু লোক মারা গেছেন, কিছু লোক স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন।  

আগামীতে টিসিবির পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের সময় ভারতে যখন পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা ছিল তখন ট্রেনে পেঁয়াজ এনে ঈদের আগে দিতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায়।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


টিসিবি   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী   পণ্য   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   আহসানুল ইসলাম টিটু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

নতুন বিনিময় পদ্ধতি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ করে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবস্থা প্রণয়নে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারদের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিসক্যাল অ্যান্ড মনিটারি পলিসিস ইন দ্য ইভলভিং ইকোনোমিক অর্ডার: রিস্ক, ভালনারেবিলিটিস অ্যান্ড সলিউশন ‘শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ এবং বাংলা দৈনিক ‘বণিক বার্তা’র যৌথ আয়োজনে ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স, ঢাকা’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারের সঙ্গে একটি মুদ্রাকে হারের একটি ব্যান্ডের মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে স্থির বিনিময় শাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি ভাসমান বিনিময় হার শাসনের নমনীয়তা ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থ সচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সৎ ব্যবসায়ীদের স্বস্তি এবং ব্যাংক ও অধিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু বিষয় শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাতে তারা স্বাধীন নীতি প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত নীতির অগ্রাধিকারের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি গত ৫০ বছর ধরে একটি ফাঁদে পড়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্বল্প সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণের প্রবাহ বাড়ানোর নীতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতের বিশেষ করে আর্থিক খাতের তথ্যের মান উন্নত করতে হবে।

তিনি সরকারের সমস্ত অফিস ও বিভাগকে অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার পরামর্শ দেন, কারণ ছোট ব্যয়গুলো সামগ্রিকভাবে একটি বড় পরিমাণে দাঁড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত এটি আর্থিক হিসাবের ঘাটতি সৃষ্টি করে।

তিনি মুদ্রাবাজারে উচ্চক্ষমতার মুদ্রা সরবরাহ হ্রাস করার পরামর্শ দেন, যা মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তোলে।


বিনিময় পদ্ধতি   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন