ইনসাইড ইকোনমি

সংকোচনমূলক বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail সংকোচনমূলক বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার

আগামী বাজেটে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, সার ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য এবং ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে পৃথিবীর সার্বিক অস্থিরতা। এসবই অর্থনীতির ওপরে একটি প্রভাব ফেলেছে। এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন। কিন্তু এবার বাজেটের আকার যে পরিমাণ প্রস্তাব করা হচ্ছে তাতে মনেই হচ্ছে সাধারণ ভাবনার বাইরে গিয়ে ব্যয় কমানোর দিকেই মনোযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এ কারণে আগামী অর্থবছরের জন্য সম্প্রসারণমূলক বাজেট থেকে সরে কিছুটা সংকোচনমূলক বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। 

আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রস্তাব করা হচ্ছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৫.৪ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল জিডিপির ১৭.৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে সরকারের জিডিপির অংশ হিসেবে বাজেটের আকার ২ শতাংশ কমিয়ে আনতে চাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বাজেট ব্যবস্থাপনা ও  সম্পদ’ কমিটির বৈঠকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার তুলে ধরেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাণিজ্যসচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পদ কমিটির বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার আগামী অর্থবছরের বাজেটের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। এই রূপরেখাকে সামনে রেখেই চূড়ান্ত বাজেট প্রস্তুত করা হবে। আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে চূড়ান্ত বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। তবে ৯ জুনের আগ পর্যন্ত এই রূপরেখায় সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ আছে এবং প্রতিবছর তা হয়েও থাকে। এতে বাজেটের আকার কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে। চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে ৯ জুন বাজেট পেশের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

এছাড়াও বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এবার আমদানির বিপরীতে রপ্তানি কম হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমদানি যে হারে বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে সে তুলনায় কম। এর মধ্যে আবার রেমিট্যান্সে ধারাবাহিকভাবে পতন হচ্ছে। যে কারণে চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ)। আট মাসের ব্যবধানে ৪৮ বিলিয়ন থেকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে রিজার্ভ। এ পরিস্থিতিতে ডলার খরচ কমাতে সতর্ক অবস্থানে থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পদ কমিটির বৈঠকে আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের একটি সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরা হয়। বৈঠকে বলা হয়েছে, অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আয় কম থাকলেও এখন বাড়ছে। অর্থনীতির সূচকগুলো ইতিবাচক থাকলে আগামী অর্থবছরেও রাজস্ব আয় বাড়ার প্রবণতা বজায় থাকবে। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও সারের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারি ভর্তুকির বোঝা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সরকার আয় বাড়িয়ে এই বোঝা লাঘব করতে চায়। তাই আগামী অর্থবছর চলতি অর্থবছরের তুলনায় মোট রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ধরা হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯.৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১১.৩ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের হার প্রায় ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সব মিলিয়ে এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৬.১২ শতাংশ। অর্থাৎ এনবিআরের আয় বাড়ছে। তাই নতুন বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। এনবিআর তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা পাচ্ছে। এটি জিডিপির ৮.৪ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এনবিআরের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ৯.৫ শতাংশ)। সে হিসাবে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে। শতকরা হিসাবে তা ১২ শতাংশ। তবে জিডিপির হিসাবে ১ শতাংশের বেশি কমছে লক্ষ্যমাত্রা।

আগামী বাজেটে এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব আছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ দুই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১৬ হাজার কোটি টাকা ও ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে যথাক্রমে ১৩ ও ৫ শতাংশ।

নতুন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫.৫৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৬.২ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। সে হিসাবে ঘাটতি কমানোর প্রস্তাব থাকছে বাজেটে। কিন্তু জিডিপির তুলনায় ঘাটতি কমলেও টাকার অঙ্কে ঘাটতি বাড়ছে ৩০ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে। একইভাবে পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, ইলেকট্রো মেকানিক্যাল দ্রব্যের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৯৪ শতাংশ। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব নেই বাজেটে।

আগামী বাজেটের রূপরেখায় চলতি অর্থবছরের তুলনায় সরকারের পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় বাড়ছে ১২.৩৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা ৫৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সে অনুপাতে বাড়ছে না বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ছে ২০ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।

আসছে বাজেটে এডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে দুই লাখ ৪৬ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫.৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এডিপির আকার দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৬.৫ শতাংশ।   

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আসন্ন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়ছে খুব একটা নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ছে। তাই সরকারের আয় ও ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। 

করোনার সময়ে সরকার কৃচ্ছ সাধনের চেষ্টা করেছে। গাড়িসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিলাসবহুল পণ্য ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি খাতে কখনো হাত দেওয়া হয়নি। সেটি হলো সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা। নতুন বাজেটেও সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় সরকারের ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, চলতি বাজেটে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে ৭৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বৃদ্ধি ৮.৭২ শতাংশের বেশি।

এ ছাড়া ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা রয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হচ্ছে ৮০ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা রয়েছে ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

বাজেট   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

মূল্যস্ফীতি ফের ১০ শতাংশ ছাড়াল

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের ঘরে উঠেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে এখন ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। অর্থাৎ ৪ মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার দশ শতাংশ ছাড়াল। আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা এপ্রিলে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়ায়। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। মার্চে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অন্যদিকে, গ্রামে শহরের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। গত এপ্রিলে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। শহরে এই হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি গ্রামে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে এই হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি   বিবিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স; যা আগের মাসের তুলনায় বেশি।

সোমবার (১২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নামছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

আগামীকাল সোমবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর আর কখনও নিচে নামেনি। আগামীকাল নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আকু একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে প্রতি দুই মাস অন্তর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।

একসময় শ্রীলঙ্কা আকুতে থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছর তারা নিজ থেকেই বেরিয়ে যায়।

আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত মানতে হচ্ছে। আইএমএফ আগামী জুনে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে।

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় অবশ্য শর্ত ছিল আগামী জুনে ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখতে হবে। গত মার্চে নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ১৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।


রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হল বিডিবিএল

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা-এক্সিম ব্যাংকের পর একীভূত হতে এবার কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিএল)।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনালী ও বিডিবিএলের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম ও বিডিবিএলের এমডি হাবিবুর রহমান গাজী। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
সমঝোতা স্মারক সই শেষে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস সাংবাদিকদের বলেন, বিডিবিএল ব্যাংকের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা রয়েছে। সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।
   
সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, একীভূতকরণের কারণে বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বরং ব্যাংকটি আরও সবল হবে। এমওইউ সইয়ের ফলে অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এসময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।
 
এর আগে গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক সই করে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। এর মাধ্যমে সবল এক্সিম ব্যাংক দ্বায়িত্ব নিয়েছে দুর্বল পদ্মা ব্যাংকের। ফলে পদ্মা ব্যাংক নামে থাকবে না আর কিছু, কার্যক্রম পরিচালিত হবে এক্সিম ব্যাংকের নামে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছিল বিডিবিএল।

সোনালী ব্যাংক   বিডিবিএল   একীভূত   বাংলাদেশ ব্যাংক   আব্দুর রউফ তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার (১২ মে) এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।

এরআগে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ২০ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ে ২৭টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানি শেয়ারের দর।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন