হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫শ মার্কিন ডলার পাচার করার সময় একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং একজন তুর্কি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছেন ঢাকা কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসলাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার (১ জুন) সন্ধ্যা ও রাতে ডলার পাচারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি ও এক তুর্কি নাগরিককে আটক করে ঢাকা কাস্টমস হাউজ। পরে এ ঘটনায় বিশেষ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটকদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমিরেটসের ইকে ৫৮৭ ফ্লাইটে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী মাহমুদা ফিরোজ নামের এক যাত্রীকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে সাড়ে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়। মাহমুদ ফিরোজ যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিলেন, সেখান তার ২ ছেলে-মেয়ে থাকেন। তিনি রাজধানীর নিউমার্কেটের বাসিন্দা।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের অপর এক অভিযানে রাত সাড়ে ৯টায় বিমানবন্দর থেকে ২ লাখ মার্কিন ডলারসহ মেহমেত রেমজি নামে এক তুর্কি নাগরিককে আটক করা হয়। পরে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কাস্টমস হাউজ জানায়, তার্কিশ এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই তিনি ডলারগুলো বহন করছিলেন।
মন্তব্য করুন
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এতে এক হাজার ২৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রকল্পের মধ্যে বড় ১০টি মেগাপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে,
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের
সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনইসি সভায় আগামী
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য
উপস্থাপন করা হবে। এর আগে গত ৭ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় আগামী অর্থবছরের এডিপির
খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বর্ধিত সভা সূত্রে জানা গেছে, চলতি
অর্থবছরে এডিপির আকার ছিল দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে এবার এডিপির আকার
বাড়ছে দুই হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে আকার কমে দাঁড়ায় দুই লাখ ৪৫ হাজার কোটি
টাকা। সেই হিসাবে নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার বাড়ছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত এডিপিতে এক হাজার ৩৩৭টি
প্রকল্প রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প রয়েছে ৭৯টি।
জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উনয়ন কর্মসূচি প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,
মেট্রো রেল লাইন-১ প্রকল্প, পাওয়ার গ্রিডের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এবং পদ্মা
রেল ও বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ
পাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্প।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এই প্রকল্পের
জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে চতুর্থবারের
মতো এই গুচ্ছ কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে আগামী এডিপিতে
এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় খরচ হবে ৩৮ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০
হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১
লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭১ হাজার ৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে মাতারবাড়ী
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ছয় হাজার পাঁচ কোটি
টাকা। এরপরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে তিন
হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট: মেট্রো রেল
লাইন-১’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ তিন হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিডের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ
প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে
বরাদ্দ তিন হাজার ৫৪৪ কোটি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম
পর্যায়) প্রকল্পের জন্য রাখা হয়েছে তিন হাজার ৫৩৫ কোটি, এক্সপাংশন অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং
অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া শীর্ষক প্রকল্পের জন্য তিন হাজার
৩৮৪ কোটি এবং পাঁচটি হাসপাতাল ৫০০ শয্যা উন্নীতকরণ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন
হাজার কোটি টাকা।
এদিকে প্রস্তাবিত এডিপি অনুযায়ী ৫৮টি
মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের
জন্য। স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা
হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।
এ ছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য ৯ হাজার
৩৭১ কোটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ৯ হাজার ২২৭ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জন্য চার হাজার ৯০৩ কোটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য চার হাজার ৫৮৮ কোটি,
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য চার হাজার ৪২৫ কোটি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের
জন্য দুই হাজার ৯২৭ কোটি এবং সেতু বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ কোটি
টাকা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশনা অনুযায়ী এবার যেসব প্রকল্প শেষ হওয়া সম্ভব, সেগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত
বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরও সেভাবে কাজ করায় ভালো সুফল পাওয়া গেছে। প্রকল্প শেষ
করতে এবার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিকল্পনা কমিশন এবং আইএমইডি সবাই তৎপর ছিল,
যার ফলে ৩৩৪টি প্রকল্প এবার শেষ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আগে প্রকল্প বাস্তবায়নে
অনেক ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল। সেই সঙ্গে দক্ষতার অভাব, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়া অনুমাননির্ভর
প্রকল্প নেওয়া এবং বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ ঠিকমতো না করায় সময়মতো প্রকল্পের বাস্তবায়ন
হতো না। পরে আমরা চেষ্টা করেছি ওয়ার্ক প্ল্যান নেওয়ার।’
মেগাপ্রকল্প পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অর্থবছর এডিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রিজার্ভ চুরি বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্ক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বাজারে তীব্র ডলার সংকট। সবকিছু মিলিয়ে ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠাটাই এখন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়নের কিছু কম। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর মার্চ-এপ্রিল মাসে দায় মেটানোর পর মোট রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর হিসাব পদ্ধতিতে বিপিএম-৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন এক হাজার ৮৩২ কোটি ডলার বা ১৮.৩২ বিলিয়ন। প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু কম। আকুর বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১৬৩ কোটি ডলার। এর ফলে রিজার্ভ কমে যায়।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে। যদিও এখন তা ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কম। প্রতি মাসে দেশের আমদানি দায় মেটাতে এখন প্রায় ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হচ্ছে। আর এই অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে।
এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে এবং তা ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ অতিক্রম করছে। এই অবস্থা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়া বাজারে ডলারের দাম এ লাফে ৭ টাকা বাড়ানোর ফলে এখন ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। ডলারের জন্য হাহাকার ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে আমদানির ক্ষেত্রে। এই রকম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে সরকারকে এক ধরনের কৃচ্ছতা সাধন এবং সংকোচন নীতি অনুসরণ করতে হচ্ছে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বৃদ্ধির ফলে এখন প্রবাসী আয় বাড়বে। এই মাসে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন। তাছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ব্যাপারেও তারা আশাবাদী।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী নিজে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি বিবেচনা করছেন এবং সেই কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বৃদ্ধির একটি বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। যে সমস্ত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি বাণিজ্য রয়েছে, যেমন- ভারত, চীন; সেগুলোতে ডলারের পরিবর্তে সে দেশীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তবে সরকার মনে করছে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুতি চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ ধরনের ব্যবস্থাগুলোর সুফল আগামী অর্থবছরে পাওয়া যাবে।
ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ আইএমএফ রিজার্ভ
মন্তব্য করুন
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এতে এক হাজার ২৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রকল্পের মধ্যে বড় ১০টি মেগাপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে।
অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বাজারে তীব্র ডলার সংকট। সবকিছু মিলিয়ে ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠাটাই এখন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।