ইনসাইড ইকোনমি

উন্নত দেশেও মূল্যস্ফীতি, সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলাদেশ


Thumbnail উন্নত দেশেও মূল্যস্ফীতি, সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলাদেশ

করোনার প্রকোপ ভুগিয়েছে সারা বিশ্বকে। সেই প্রভাব কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ যে শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে হচ্ছে তাই নয়, এই যুদ্ধের প্রভাব গিয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সারা বিশ্বের অর্থনীতির অবস্থাই এখন টালমাটাল। নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, এখন শুধু বিশ্বের দরিদ্র দেশ নয়, সেই প্রভাব গিয়ে পড়েছে উন্নত বিশ্বের ওপরও। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের মূল্যস্ফীতির দিকে তাকালেই সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যাবে। করোনা মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বিশ্ব এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে, সেখান থেকে সহসাই মুক্তি যে মিলবে সে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব সারা বিশ্বেই যেমন পড়েছে, তেমনি বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু অসাধু মানুষ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই মূল্যস্ফীতিকে অন্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা দেখাতে চাইছেন শুধুমাত্র বাংলাদেশেই মূল্যস্ফীতি হয়েছে। আর এসব বলে তারা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থাই তুলনামূলক সহনীয় পর্যায়ে আছে।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, গত জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও একদফা সুদের হার বাড়িয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার ঝুঁকি দেখছেন বিশ্লেষকরা। সেটি ঠেকাতে প্রতি মাসেই মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কয়েক বিলিয়ন ডলার করে বন্ড কিনছে; যা মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করলেও, অস্থিতিশীল হচ্ছে বিশ্ব মুদ্রাবাজার। এ দৌড়ে যুক্তরাজ্যও খুব পিছিয়ে নেই। খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়তে থাকার প্রভাব পড়েছে যুক্তরাজ্যে। রয়টার্সের জরিপ বলছে, যুক্তরাজ্যে জুন শেষে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। যা আগের মাস থেকে ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ‘জুনে মাসিক ভোক্তা মূল্য ০ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে, যা আগের মাসের ০ দশমিক ৭ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। এপ্রিল থেকে এটি ২ দশমিক ৫ শতাংশ কম।’ যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস) বলছে, ১৯৮২ সালের পর সিপিআই সবচেয়ে বেশি হতে পারে চলতি বছর। আগামী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। জার্মানিতেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাচ্ছে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে খাবারের দাম আরও বাড়তে পারে। গত জুনে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

এদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে তুরস্ক। এ সমস্যার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অর্থনৈতিক নীতিকে দায়ী করছেন সমালোচকেরা। কিন্তু এরদোয়ান বলছেন, উচ্চ সুদে ধার নেওয়ার কারণেই মূলত খরচ বেড়েছে। তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের (টিএসআই) তথ্য অনুযায়ী বার্ষিক মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পরিবহন খাতে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০৭ দশমিক ৬ শতাংশে উঠেছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে গত জুনে মূল্যস্ফীতি গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশে। এছাড়াও রাশিয়ার মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে তাদের মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে। গত জুনে রাশিয়ায় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশে।

অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসও পড়েছে মূল্যস্ফীতির কবলে। দেশটিতে গত জুনে মূল্যস্ফীতি এসে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে। নেদারল্যান্ডসের বহুজাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আইএনজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইএনজি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্ট কোলিন বলেছে, ‘চলতি জুলাইয়ে আরও একটি কুৎসিত মূল্যস্ফীতি দেখতে হলো আমাদের।’ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি স্পেনে। দেশটিতে বিগত ৩৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। স্পেনের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, দেশটিতে বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৮ শতাংশ, যা মাত্র এক মাস আগেও ১০ দশমিক ২ শতাংশে ছিল।

মূল্যস্ফীতি ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান। গত জুনে দেশ দুটিতে মূল্যস্ফীতির হার যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ।  ন্যাশনাল কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা এনসিপিআই-এর নতুন হিসেবে মূল্যস্ফীতির এই ভয়াবহ অবস্থা উঠে আসে। এমনিতেই বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানির দাম বেশি। তারমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শেষ হওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কায় বিদেশি পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। আর এ কারণেই দেশের মধ্যে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে এই সংকট আরও গভীর হচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থাও দিনের পর দিন শ্রীলঙ্কার দিকেই এগুচ্ছে। 

বিশ্লেষকদের মতে, করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বেই কম-বেশি পড়েছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তবে অন্যান্য অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। দেশে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বৈশ্বিক এই সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায়ও সেসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বের সব দেশের মূল্যস্ফীতি বাড়ছে; এটি নিয়ে সব দেশের সরকার উদ্বিগ্ন। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বলছে, বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান সমস্যা এখন মূল্যস্ফীতি। এরকম পরিস্থিতিতেও দেশে কিছু অসাধু মানুষ এটিকে শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন। বাংলাদেশ সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার এক সফলতার গল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে আমরা। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলার সাহস রাখে না কেউ। দেশের তারুণ্যের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। এ অবস্থায় দেশে মানুষের উচিৎ বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে সঠিক তথ্য জানা। তাহলেই বোঝা যাবে বাংলাদেশ এখনও সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি   বাংলাদেশ   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তারল্য সংকটে ব্যাংক, এক দিনে ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।

কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে। তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।

এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।

এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে। ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।

এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।

এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।


তারল্য সংকট   ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একদিন পরই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিয়ম কড়াকড়ি

প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ জন্ম নেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তবে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো?

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

জানা গেছে, মূলত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। তাদের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো কিনা সেটি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার। এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসা ইত্যাদি এর কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে আসার একটি বড় কারণ ছিল নিজস্বতা। স্বাধীনভাবে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন পরিদর্শনসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আবার অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুযোগ-সুবিধাও কিছুটা বেশি পেতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা। ধীরে ধীরে তা কমিয়ে অন্য চাকরির মতোই করা হচ্ছে। 

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস   বিসিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ ঘণ্টার কম সময় ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
  
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন