জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে চালের দামেও লেগেছে আগুন। নিত্যপন্যের পর এবার চালের দাম বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। মোটা ও সরু চালে ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি চালে পাইকারিতেই বাড়তি ৪-৫ টাকা। আর পোলাউ চালে কেজিপ্রতি ৮ টাকা বেড়ে পাইকারিতেই বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জানা যায়, মিনিকেটে পাইকারিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে মানভেদে ৬৭ থেকে ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৮, মোটা আটাশ চালেও ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে পোলাউ চালে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে।
চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, চালের দাম বর্তমানে বাড়তির দিকে। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে ট্রাক ভাড়া। এসব কারণে চালের দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডিজেলের দাম বাড়তি। পরিবহন ভাড়াও বেশি আসছে। এর প্রভাব পড়ছে চালের ওপর।
পাইকারিতে ৪-৫ টাকা বাড়ায় এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে মোহাম্মদ টাউন হল কাঁচাবাজারে। মোটা চাল খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। অর্থাৎ খুচরায় মোটা চালে পাইকারি থেকে আরও ৫ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে।
খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকেরা কারসাজি করে চালের দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পরিবহন খরচ। এসব কারণেই মূলত চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
অন্যদিকে মিল মালিকদের দাবি, লোডশেডিংয়ের কারণে ডিজেল দিয়ে চালকল চালু রাখতে হয়। এতে খরচ বাড়ে। ডিজেলের কারণেই সবকিছুর খরচ বেড়েছে। এক জায়গা থেকে চাল অন্য জায়গায় নিতে পরিবহন লাগে। আবার গোডাউন থেকে মিলে ধান নিতেও পরিবহন লাগে। পরিবহন মানেই ডিজেলের ব্যবহার। ৮০ টাকা থেকে এক ধাপে ১১৪ টাকা হয়ে গেছে ডিজেলের লিটার। এ কারণেই চালের দাম বাড়তি।
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।