প্রতিনিয়ত বাড়ছে
ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ডলার লেনদেনের প্রবণতা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম
আট মাসেই (জানুয়ারি-আগস্ট) ২ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গত ২০২১ সালের একই
সময়ের চেয়ে যা ১৬৬ দশমকি ২৭ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে মানুষ বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করেছে ১ হাজার
৬৯৬ কোটি টাকা বেশি লেনদেন করেছে। গত বছরের লেনদেন এর পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ২০ কোটি
টাকা।
সংশ্লিষ্টদের
মতে, দেশে ডলার সংকটের মধ্যেই মানুষ ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যবসার কাজেও বিদেশে
ডলার নিয়ে যাচ্ছেন। যারা যাচ্ছেন, তারা কার্ডে ডলার এনডোর্স করে নিয়েই যাচ্ছেন। এসব
কারণে কার্ডের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা ও ডলারের লেনদেন বেড়েছে।
প্রতিবেদন বলছে,
চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে ৩৬ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা
গত জুলাই মাসে ছিল ৩৮ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এ হিসাবে জুলাই মাসের চেয়ে আগস্ট মাসে কার্ডের
মাধ্যমে লেনদেনে ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা কম ছিল।
আগস্টে কার্ডভিত্তিক
স্থানীয় মুদ্রায় ৩৬ হাজার ৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় আর বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের পরিমাণ
ছিল ৫২০ কোটি টাকা। আগস্টে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন কমলেও ডলারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল
বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক
অনেক আগেই ক্রেডিট কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদন দেয়। তবে ২০২০ সালের জুনে
ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকদের হিসাবের বিপরীতে আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া
হয়।
দ্বৈত মুদ্রার
(ডুয়েল কারেন্সি) এসব কার্ড দিয়ে দেশে বসেই বিদেশের হোটেল বুকিং, নির্দিষ্ট পরিমাণের
কেনাকাটাসহ নানান খরচ করা যাচ্ছে। আবার বিদেশে যাওয়ার সময়ও অনেকে কার্ডেই বৈদেশিক মুদ্রা
এনডোর্স করে নিয়ে যাচ্ছেন।
কার্ডে বছরে
খরচ করা যাবে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার। নগদে ও কার্ডে দুভাবেই ডলার কেনা যায় ব্যাংক
থেকে।
তথ্য বলছে,
কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন চলতি বছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। চলতি
বছরের জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৬ কোটি, মার্চে ২৮০ কোটি, এপ্রিলে
২৪১ কোটি, মে মাসে ৩৫৮ কোটি, জুনে ৩৯৯ কোটি, জুলাইয়ে ৪৪০ কোটি ও আগস্টে ৫২০ কোটি টাকা
লেনদেন হয়েছে।
গত আগস্ট পর্যন্ত
ব্যাংকগুলোর মোট ইস্যু করা কার্ডের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ৪২৯টি। এর মধ্যে
ডেবিট কার্ড ২ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৯৪ আর ক্রেডিট কার্ড ২০ লাখ ২২ হাজার ২৫৯ ও প্রিপেইড
কার্ডের সংখ্যা ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৭৬। কার্ডভিত্তিক লেনদেনের সিংহভাগই হয় ডেবিট কার্ডের
মাধ্যমে।
চলতি বছরের
আগস্টে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মোট ৩৩ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের
মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা আর প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে
২৯৭ কোটি টাকা।
কার্ডভিত্তিক
লেনদেন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ
জাগো নিউজকে বলেন, নগদ ডলার না পেয়ে মানুষ বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য কার্ডের
মাধ্যমে ডলার লেনদেন করছে। এতে সাম্প্রতিক সময়ে কার্ডের মাধ্যমে ডলারে লেনদেন বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) আন্তঃব্যাংকে ডলার সর্বনিম্ন ১০৪ টাকা ৭৬ পয়সা ও সর্বোচ্চ
১০৫ টাকা ৬৬ পয়সা দরে বিক্রি হয়। আর মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ১০০
টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা দরে।
এদিকে বাংলাদেশ
ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে ৯৭ টাকা দরে। গত মঙ্গলবার ৬ কোটি
২০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত ডলার
বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০০ কোটিতে। এর বিপরীতে বাজার থেকে এসেছে ৩৮ হাজার
কোটি টাকার মতো।
গত ২০২১-২২
অর্থবছরে মোট ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়। আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ফলে
৪৮ বিলিয়ন ডলারের উপরে ওঠা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংক কার্ড ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লেনদেন
মন্তব্য করুন
এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জারি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।
ডলারের দাম বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা।
মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও।
নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।
মন্তব্য করুন
সোনার দাম বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এর সঙ্গে একীভূত হতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সেই নির্দেশনা মানতে নারাজ রাকাব। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে ব্যাংকটি।
ব্যাংকের সবশেষ পর্ষদ সভায় বলা হয়, উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকটির রয়েছে প্রত্যক্ষ অবদান। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক। তাই একীভূতকরণের বিষয়েও ভাবতে হবে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাই যথেষ্ট নয়, লাগবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় রাকাব।
একীভূত করা নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা হলেও গত ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দেয়। এরপর গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একে অপরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে গেল ৩ এপ্রিল সরকারি খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ৮ এপ্রিল সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সমস্যাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংককে এবং ৯ এপ্রিল বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও।