বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল হওয়ায় শ্রেণিভেদে প্রতিদিন গড়ে ৩৬৬ থেকে ৪৭০ গ্রাম চাল ভোগ করে একজন বাংলাদেশি। দরিদ্র বা হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষ চালের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তাদের ভোগের পরিমাণও বেশি। একই সঙ্গে চালের দাম বাড়লে দরিদ্র মানুষেরা মাছ মাংসের মতো পুষ্টিকর খাবারের ব্যয় কমিয়ে শাক সবজির ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্যমতে, দরিদ্র মানুষের মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয় শুধু চাল কিনতে।আর জাতীয় ভাবে চালে খরচ হয় ব্যয়ের ২১ শতাংশ।বিগত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বাড়ছে চালের দাম। ছয় বছরে শুধু নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ১৮ টাকা। ৫-৭ টাকা বেড়েছে পাইজাম ও ইরি-বোরোতে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই)২০১৭ সালের অক্টোবর
মাসে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের
দাম ছিলো ৬৪ টাকা ৪৮ পয়সা। বর্তমানে এটা বেড়ে ৮২ টাকা ৩৪ পয়সা হয়েছে।
একই সময় প্রতি কেজি পাইজাম ৬০ টাকা
৭৬ পয়সায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা ৪১ পয়সায়। এই চালেও কেজিতে
বেড়েছে ৫ টাকা। অন্যদিকে এই একই সময়ের ব্যবধানে ০৭ টাকা ০৮ পয়সা বেড়ে প্রতি কেজি ইরি
ও বোরো চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা ২৩ পয়সায়। পূর্ব যেখানে দাম ছিলো ৫০ টাকা ১৫ পয়সা।
এখন দরিদ্র মানুষের মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয় চাল কেনায়। চালের দাম বাড়লে নিম্ন
আয়ের মানুষের ওপর বেশি চাপ বাড়ে।
বিবিএস’র সবশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড
এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক মোট আয়ের
৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে এটা মাসিক
মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ। আবার তাদের চাল ভোগের পরিমাণও অন্যদের চেয়ে বেশি। যখন দেশে
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চালের মাথাপিছু দৈনিক ভোগ ৪৭০ গ্রাম, তখন অন্যদের ক্ষেত্রে তা ৩৬৬
গ্রাম। প্রধান এ খাদ্যপণ্যটির মূল্যস্ফীতিতে তারা ভোগেন সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের
(বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য-মূল্যস্ফীতি বাড়লে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ
হতদরিদ্র পরিবারই তখন চালের ভোগ কমিয়ে দেয়। দরিদ্র পরিবারের বেলায় এ হার ৬৬ শতাংশ।
তাই মোটা চালের দাম উচ্চহারে বাড়লে তাদের খাদ্যনিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়ে।
বিবিএস জানায়, জাতীয় গড় মূল্যস্ফীতিতে
ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে খাদ্যপণ্যের, বিশেষ করে প্রধান খাদ্যপণ্য
চালের মূল্যস্ফীতি দেশের স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
চালের মূল্যস্ফীতিকে তারা ভয় পান। দেশের কমবেশি ৯০ শতাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য চাল
থেকে তৈরি ভাত। জীবনধারণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এ খাদ্যপণ্যটির দাম গত প্রায় দু’দশকে তিনগুণেরও
বেশি বেড়েছে।
চালের দাম বাড়লে সবার কষ্ট হয় জানিয়ে
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, চালের দাম বাড়লে সবার কষ্ট হয়, এটা
স্বীকার করতে হবে। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য। তবে মূল্যস্ফীতি
কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। মানুষ যাতে কম দামে খাদ্যপণ্য
পায় সেজন্য উৎপাদনে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। আমরা উৎপাদন বাড়ালে এটা কমে আসবে। এজন্য
দেশের এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখবো না। জমিতে নানা ধরনের ফসল ফলাবো। এজন্য সরকার কৃষকদের
সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে।’
চাল দরিদ্র শ্রেণী মূল্যবৃদ্ধি পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সোনালী ব্যাংক বিডিবিএল একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক আব্দুর রউফ তালুকদার
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
(ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার
মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায়
ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে
অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে
১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার
ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার (১২ মে) এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে
২২১টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।
এরআগে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ২০
পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর
সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে
সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম
স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান
করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ে ২৭টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানি শেয়ারের দর।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।