ইনসাইড ইকোনমি

ডলার সংকট: নেপথ্যে ষড়যন্ত্র

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাংলাদেশের ডলার সংকট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রেমিটেন্স প্রবাহ নিম্নগামী, রপ্তানি আয়ও কমে যাচ্ছে। আর এটি যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক সংকট নয় সেটা বোঝার জন্য অর্থনীতিবিদ বা গবেষক হওয়ার দরকার নেই। একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও মনে করছেন। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান করে তথ্য পেয়েছে যে, কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট সৃষ্টি করার জন্য গুজব অপপ্রচার মিথ্যাচার করা হচ্ছে দেশে- দেশের বাইরে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক সুস্পষ্টভাবে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে বাংলাদেশের কোন ব্যাংকই বন্ধ হবে না এবং জনগণের আমানতের টাকা কখনো নষ্ট হবে না। বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি-জামাতপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠালে সেই টাকা পাওয়া যাবে না, ব্যাংক গুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং আমানতের টাকা ফেরত পাবেন না এমন গুজব ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ডলার সংকট সৃষ্টির পিছনে ৫ ধরনের ষড়যন্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।

১. প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে টাকা না পাঠানোর জন্য প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে: মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশেই যেখানে অভিবাসী বাঙালিরা আছে সেখানে বিএনপি-জামাত পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিক এবং অভিবাসীদের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে একসাথে জড়ো করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের নানারকম কল্পকাহিনী শোনান  হচ্ছে। বলা হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠালে এই টাকা মার যাবে এবং এ কারণে সাধারণ মানুষ যেন হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় সে ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এই উদ্বুদ্ধকরণের প্রভাব যে রেমিট্যান্স আয়ের ওপর পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। গত অক্টোবরে বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহ সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে। এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।

২. বাজার থেকে ডলার কিনে নেয়া হচ্ছে: একটি সংঘবদ্ধচক্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এবং সরকারকে সংকটে ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে বাজার থেকে ডলার কিনছে। শেয়ারে বিনিয়োগের মত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এখন ডলার কিনলে ডলারে লাভ হবে এবং এটি খুব চটজলদি লাভ করার একটি উপায় হিসেবে বিভিন্ন মহলকে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে যেন মানুষ ডলার কেনে। এজন্য বিদেশে যাচ্ছে না কিন্তু প্রচুর মানুষ ডলার কিনে সংরক্ষণ করছে চটজলদি মুনাফার আশায়। এটিও একটি পরিকল্পনার অংশ বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছে।

৩. সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: দেশের অর্থনীতির দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, সরকারের কাছে টাকা নেই, ডলার সংকটে অর্থনীতি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি নানারকম গুজব ছড়িয়ে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে করে সাধারণ মানুষ সরকারের ওপর আস্থা হারায় এবং ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়। বিএনপি-জামাতগোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থে প্রবাহ নেই। ফলে সবাই যেন ব্যাংকগুলো থেকে তাদের টাকা তুলে নেয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ গুজব এবং মিথ্যা অপপ্রচার। বিএনপি-জামাতগোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই ধরণের অপপ্রচার চালিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটকে আরও ঘনীভূত করতে চাইছে।

৪. কিছু কিছু ব্যাংকের অসহযোগিতা: কিছু কিছু ব্যাংকে ডোলার থাকা সত্বেও এলসি করাসহ বিভিন্ন কাজে গাফিলতি দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো। এলসি করছে করার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

৫. ওভার ইনভয়েসিং: করোনার সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে যেভাবে রপ্তানি করা হয়েছে সেই রপ্তানির অনেক টাকাই আসেনি। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে যারা গার্মেন্টসে সঙ্গে জড়িত তারা ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানি করেছে অধিক দাম দিয়ে, এর মাধ্যমে বেশকিছু ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আবার অনেকে রপ্তানি আয়ের টাকা দেশে আনেনি। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বেশকিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আর এখন এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। না হলে এই ডলার সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেনা সম্ভব বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রমশ তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার লোভে আইএমএফ-এর লোন পেতে মরিয়া সরকার শেষ পর্যন্ত আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনেই এই ধরনের বিষয়গুলো করেছেন বলে দাবি করেন অর্থনীতিবিদরা। আর এর ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাজারে, ব্যবসা বাণিজ্যে। অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ভালো নেই, সেই চেহারাটা এখন উন্মোচিত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন যে সংকটগুলো তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ডলার সংকট। ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের আগে আইএমএফ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নতুন সিলিং বেঁধে দিয়েছে। যা অনেকখানি কমানো হয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে টাকার মান আরেক দফা কমেছে এবং এক লাফে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি বহুমাত্রিক প্রভাব পড়বে। এর ফলে আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বেন। এর প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরেক দফা বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। 

দ্বিতীয়ত, সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়াবে এবং এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বাজারে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নতুন এই দুই সিদ্ধান্ত বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে সরকার যে সংস্কারের প্রস্তাব গুলো গ্রহণ করেছিলেন সেই সংস্কারের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মুখ খুবড়ে পড়ে গেছে। বেসিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি। ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে যে নৈরাজ্য তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এমনি ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে যেটির প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সামনে সরকারকে বাজেট দিতে হবে। এই বাজেটের জন্য যে অর্থ আহরণ প্রয়োজন, সেই অর্থ আহরণেও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোন ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে সরকারকে আরও ঋণের দিকে ঝুঁকতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থ আহরণের জন্য কর-ভ্যাট ছাড়াও যে সমস্ত উদ্যোগগুলো সরকার গ্রহণ করেছিল, সেই সমস্ত উদ্যোগে বড় ধরনের সাফল্য আসেনি। জাতীয় পেনশন স্কিমে এখন পর্যন্ত মানুষ সাড়া দেয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আহরণ একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

চতুর্থত, বাংলাদেশকে এখন ঋণ পরিশোধের দায় মেটাতে হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তা পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ঋণ পরিশোধের হার আরও বাড়বে। এই হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নতুন সংকট আনতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই সংকট মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে সেটি হলো দেখার বিষয়।

অর্থনৈতিক সংকট   বাংলাদেশ ব্যাংক   আইএমএফ   ডলার সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ডলারের দাম ১১৭

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে চা‌হিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জা‌রি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।


ডলারের দাম   বাংলাদেশ ব্যাংক   অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কার্যকর হলো স্বর্ণের নতুন দাম

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও। 

নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।


স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দুদিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম বাড়ল

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। 

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার দাম   বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশ উন্নত হবে: পাটমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে আমরা অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ।’ 

মঙ্গলবার (৭ মে) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক  সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাকশিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। 

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক এই শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গতবছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। 

পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আফ্রিকার কোন নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এ দেশের উদ্যোক্তাগণ নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন। 

এবার দু'দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন