চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ, পরবর্তী অর্থবছরে যা ১ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস জানুয়ারি ২০২৩’- শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তর থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাপান ১, ইউরোপ শূন্য দশমিক শূন্য ১, চীন ৪ দশমিক ৪, ইন্দোনেশিয়া ৪ দশমিক ৮ এবং থাইল্যান্ড ৩ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। সৌদি আরব ৩ দশমিক ৭, ইরান ২ দশমিক ২, মিশর ১ দশমিক ৯, পাকিস্তান ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তবে ভারত ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে ২০২২-২৩ সাল থেকে পরবর্তী বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কম দেখানো হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি বাংলাদেশের মতো আরও অনেক দেশকে ঋণ পেতে আইএমএফের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বৈশ্বিক সংকটের বড় ধাক্কা নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশ্বের জ্বালানি বাজারে অস্থিরতার কারণে দেশটিতে গৃহস্থালি কিংবা শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। সরকার অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি উচ্চমূল্যের কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিং দিচ্ছে, কারখানা খোলা রাখার সময় কমাচ্ছে, বিলাসপণ্য কেনা কঠিন করে তুলছে। এর সব কিছুই হচ্ছে ডলার সাশ্রয়ে। তবে চলমান সংকট পেরিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের গতিতে ফিরবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে যাবে বলে আভাস দিচ্ছে সংস্থাটি।
চলমান সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বের অনেক দেশই মন্দার কবলে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
জিডিপি চীন জাপান যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।