ইনসাইড ইকোনমি

এমনভাবে বাজেট প্রণয়ন করবো যাতে ঋণ নেওয়া না লাগে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা আগামীতে এমনভাবে বাজেট প্রণয়ন করবো যাতে কোনো ধরনের ঋণ নেওয়া না লাগে। বাজেট হবে এমন যেন ঋণের প্রয়োজন না হয়, আগামীতে আর ঋণ নেবো না।’

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৩তম সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদ, বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ধীরে ধীরে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানে সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ২০৪১ সালের স্বপ্নের সিঁড়িতে আছি। আসন্ন বাজেট হবে জনবান্ধন, এ বাজেটটি হবে জনগণের সুবিধার্থে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে নারী ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করে।

ব্যবসায়ী এ সংগঠনটি প্রস্তাবে জানায়, পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানি করা উপকরণের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ আগাম কর ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আগাম করের ফলে শিল্প উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় বলেও জানায় এফবিসিসিআই। 


অর্থমন্ত্রী   আ হ ম মুস্তফা কামাল   বাজেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণ কেনায় চীনকে টেক্কা তুরস্কের, যেসব কারণে বাড়ছে সোনার দাম

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২৯০ টন স্বর্ণ কিনেছে। সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ কিনেছে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ৩০ টন। এ সময়ে স্বর্ণ কেনার দৌড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ২৭ টন ওয়ার্ল্ড তারা কিনেছে বলেছে জানিয়েছে, গোল্ড কাউন্সিল।

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এখন স্বর্ণ মজুত প্রায় ২ হাজার ২৬২ টন। ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে তাদের স্বর্ণের মজুত বেড়েছে ১৬ শতাংশ। মার্চ মাসেও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বর্ণ কিনেছে। ফলে এ নিয়ে টানা ১৭ মাস ধরে তারা স্বর্ণ কিনে চলেছে।

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর স্বর্ণের দাম প্রায় ৬০০ ডলার বেড়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের বিশ্লেষক হ্যারি ডেম্পসির মতে, স্বর্ণের দামের এই উত্থানকে ক্রিপ্টোকারেন্সির উত্থানের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

বাজার-বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতি এখন যেদিকে যাচ্ছে, তাতে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকেই বেছে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতি ১০০ দিনে এক লাখ কোটি (এক ট্রিলিয়ন) ডলার সরকারি ঋণ বাড়ছে। ফার্স্ট ইগল ইনভেস্টমেন্টের ম্যাক্স বেলমন্ট বলেছেন, মার্কিন সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি টেকসই হচ্ছে না বলে উদ্বেগ আছে। আর সে কারণে স্বর্ণের বাজার বেশ রমরমা।

যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডে বিনিয়োগ করে এখন উঁচু হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। ডলারও এই মুহূর্তের দারুণ চাঙা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে স্বর্ণের দাম কম হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিক উল্টোটিই ঘটছে। স্বর্ণের বাজার রীতিমতো জমজমাট।

স্বর্ণের দাম যখন কমার কথা, তখন এর দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত কারণ বাজারের বড় রকমের পরিবর্তন। পশ্চিমা নয়-এমন দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখছে। তারা বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ কিনছে এবং এর ফলেই স্বর্ণের বাজার রীতিমতো ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে।

মূলত রাশিয়ার বিপদ থেকে চীন শিক্ষা নেওয়ার কারণে এটা ঘটেছে। যুদ্ধকালীন যেকোনো সময়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে নিজেদের সম্পদ নিরাপদে রাখতে বেইজিং মস্কোর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমা জোট রাশিয়ার ওপর নানা রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার একটি ছিল পশ্চিমে থাকা রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করা। জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার যে আর্থিক সম্পদ জব্দ করেছে, তার মূল্যমানই ৩০ হাজার কোটি ডলার।


স্বর্ণ   চীন   তুরস্ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ!

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজস্ব আদায়ের নাজুক পরিস্থিতিতে বাজেটের অর্থের জোগান দিতে আগামী ১ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট–সহায়তা চায় বাংলাদেশ। রিজার্ভ সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি—এসব সমস্যার সমাধানে নগদ ডলারের বিকল্প নেই। আর এজন্যই নতুন করে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭৫ কোটি ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ৬৫ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ও ফ্রান্স সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে আসতে পারে ৭০ কোটি ডলারের বেশি। এখন এসব ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে দর-কষাকষি চলছে। এ ছাড়া চীনের কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা পাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরকারের এখন নগদ ডলার দরকার। প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা নিলে প্রকল্পের কেনাকাটার সময় ডলার আসে। এতে অনেক সময় চলে যায়। আর বাজেট–সহায়তার ডলার অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। তাই ডলারের জোগান বাড়াতে বাজেট–সহায়তাই উত্তম পন্থা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অন্তত ৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বাজেট–সহায়তা ছাড় করতে চায় ইআরডি। চলতি মে মাসেই বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ডিপিসির আওতায় বাজেট–সহায়তা অনুমোদনের কথা রয়েছে। কিন্তু তা ৫০ কোটি ডলার, নাকি ৭৫ কোটি ডলার হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।

চলতি অর্থবছরে ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের (ডিপিসি) আওতায় শেষ কিস্তির ২৫ কোটি ডলার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার এই অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ কোটি ডলার করার প্রস্তাব দেয়। বিশ্বব্যাংক তাতে রাজিও হয়।

এডিবির সঙ্গে এখন দুটি বাজেট–সহায়তা নিয়ে দর-কষাকষি চলছে। একটি হল, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৪০ কোটি ডলারের সহায়তা। অন্যটি হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ২৫ কোটি ডলারের সহায়তা। এই দুটি ঋণের অন্যতম শর্ত হলো রাজস্ব, ব্যাংক খাতসহ আর্থিক খাত সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনি সংস্কারসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবির কাছ থেকে এই অর্থ ছাড় হতে পারে।

এ ছাড়া এডিবি বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা পাওয়ায় সহায়তা করছে। এর মধ্যে আছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) ৪০ কোটি ডলার এবং ফ্রান্সের সাহায্য সংস্থার কাছে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার। এই দুটি সংস্থার কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা পেতে সাহায্য করছে এডিবি। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এই অর্থ পাওয়া যেতে পারে। ইআরডির কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকারের এখন প্রতিবছর ১ হাজার কোটি ডলারের মতো বিদেশি সহায়তার চাহিদা আছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারের এখন নগদ ডলার দরকার। প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা নিলে প্রকল্পের কেনাকাটার সময় ডলার আসে। এতে অনেক সময় চলে যায়। আর বাজেট–সহায়তার ডলার অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। তাই ডলারের জোগান বাড়াতে বাজেট–সহায়তাই উত্তম পন্থা।’


অর্থনীতি   বাংলাদেশ   ডলার   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রমশ তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার লোভে আইএমএফ-এর লোন পেতে মরিয়া সরকার শেষ পর্যন্ত আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনেই এই ধরনের বিষয়গুলো করেছেন বলে দাবি করেন অর্থনীতিবিদরা। আর এর ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাজারে, ব্যবসা বাণিজ্যে। অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ভালো নেই, সেই চেহারাটা এখন উন্মোচিত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন যে সংকটগুলো তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ডলার সংকট। ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের আগে আইএমএফ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নতুন সিলিং বেঁধে দিয়েছে। যা অনেকখানি কমানো হয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে টাকার মান আরেক দফা কমেছে এবং এক লাফে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি বহুমাত্রিক প্রভাব পড়বে। এর ফলে আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বেন। এর প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরেক দফা বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। 

দ্বিতীয়ত, সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়াবে এবং এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বাজারে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নতুন এই দুই সিদ্ধান্ত বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে সরকার যে সংস্কারের প্রস্তাব গুলো গ্রহণ করেছিলেন সেই সংস্কারের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মুখ খুবড়ে পড়ে গেছে। বেসিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি। ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে যে নৈরাজ্য তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এমনি ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে যেটির প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সামনে সরকারকে বাজেট দিতে হবে। এই বাজেটের জন্য যে অর্থ আহরণ প্রয়োজন, সেই অর্থ আহরণেও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোন ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে সরকারকে আরও ঋণের দিকে ঝুঁকতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থ আহরণের জন্য কর-ভ্যাট ছাড়াও যে সমস্ত উদ্যোগগুলো সরকার গ্রহণ করেছিল, সেই সমস্ত উদ্যোগে বড় ধরনের সাফল্য আসেনি। জাতীয় পেনশন স্কিমে এখন পর্যন্ত মানুষ সাড়া দেয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আহরণ একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

চতুর্থত, বাংলাদেশকে এখন ঋণ পরিশোধের দায় মেটাতে হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তা পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ঋণ পরিশোধের হার আরও বাড়বে। এই হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নতুন সংকট আনতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই সংকট মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে সেটি হলো দেখার বিষয়।

অর্থনৈতিক সংকট   বাংলাদেশ ব্যাংক   আইএমএফ   ডলার সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ডলারের দাম ১১৭

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে চা‌হিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জা‌রি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।


ডলারের দাম   বাংলাদেশ ব্যাংক   অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কার্যকর হলো স্বর্ণের নতুন দাম

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও। 

নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।


স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন