জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে এবার জাপান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) এর সাথে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জাপানের রাজধানী টোকিও’তে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই’র পক্ষে এর চেয়ারম্যান কেন কোবায়েশি স্মারকে সাক্ষর করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, বর্তমান সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অবকাঠামো প্রকল্প, শিল্প প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। পরিবর্তনশীল এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ পার করার সময়ে আমাদের দুই দেশের সম্ভাব্য খাতগুলোসহ নতুন সম্ভাবনা খোঁজা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘জেসিসিআই’র সহযোগিতায় বাংলাদেশকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে প্রস্তুত করতে ক্রমাগত প্রচারণামূলক কাজ করে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। ২০২৬ সালের মধ্যে আরসিইপি-এর গেটওয়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষের ব্যবসাকে সহজ ও সমর্থন করার জন্য চলমান আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বিজনেস সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বিএসইজেড) ও ব্যাসিস এর পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে ২৬ এপ্রিল রাতে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে জেসিসিআই। এতে অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ২৫ এপ্রিল বেশকিছু বাণিজ্যিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চার দিনের সফরে জাপান গেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ীক প্রতিনিধিদল।
জাপান এফবিসিসিআই জেসিসিআই বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।