ইনসাইড ইকোনমি

‘রিজার্ভ দিয়ে মেটানো যাবে চার মাসের আমদানি ব্যয়’

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন করছেন মন্ত্রী। 

মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে অর্ধেকেরও বেশি কমে ২০২২ সালে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে অতি দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে তিন-চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে ৫.৬ শতাংশ হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৬.১ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার তুলনায় সাড়ে নয়গুণের বেশি বৃদ্ধি করে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ (অনুদান ছাড়া) দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদানসহ এ ঘাটতি দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে। 

প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে, আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।


অর্থমন্ত্রী   আ হ ম মুস্তফা কামাল   রিজার্ভ   আমদানি ব্যয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ!

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজস্ব আদায়ের নাজুক পরিস্থিতিতে বাজেটের অর্থের জোগান দিতে আগামী ১ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট–সহায়তা চায় বাংলাদেশ। রিজার্ভ সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি—এসব সমস্যার সমাধানে নগদ ডলারের বিকল্প নেই। আর এজন্যই নতুন করে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭৫ কোটি ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ৬৫ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ও ফ্রান্স সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে আসতে পারে ৭০ কোটি ডলারের বেশি। এখন এসব ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে দর-কষাকষি চলছে। এ ছাড়া চীনের কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা পাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরকারের এখন নগদ ডলার দরকার। প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা নিলে প্রকল্পের কেনাকাটার সময় ডলার আসে। এতে অনেক সময় চলে যায়। আর বাজেট–সহায়তার ডলার অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। তাই ডলারের জোগান বাড়াতে বাজেট–সহায়তাই উত্তম পন্থা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অন্তত ৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বাজেট–সহায়তা ছাড় করতে চায় ইআরডি। চলতি মে মাসেই বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ডিপিসির আওতায় বাজেট–সহায়তা অনুমোদনের কথা রয়েছে। কিন্তু তা ৫০ কোটি ডলার, নাকি ৭৫ কোটি ডলার হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।

চলতি অর্থবছরে ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের (ডিপিসি) আওতায় শেষ কিস্তির ২৫ কোটি ডলার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার এই অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ কোটি ডলার করার প্রস্তাব দেয়। বিশ্বব্যাংক তাতে রাজিও হয়।

এডিবির সঙ্গে এখন দুটি বাজেট–সহায়তা নিয়ে দর-কষাকষি চলছে। একটি হল, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৪০ কোটি ডলারের সহায়তা। অন্যটি হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ২৫ কোটি ডলারের সহায়তা। এই দুটি ঋণের অন্যতম শর্ত হলো রাজস্ব, ব্যাংক খাতসহ আর্থিক খাত সংস্কার, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনি সংস্কারসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবির কাছ থেকে এই অর্থ ছাড় হতে পারে।

এ ছাড়া এডিবি বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা পাওয়ায় সহায়তা করছে। এর মধ্যে আছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) ৪০ কোটি ডলার এবং ফ্রান্সের সাহায্য সংস্থার কাছে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার। এই দুটি সংস্থার কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা পেতে সাহায্য করছে এডিবি। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এই অর্থ পাওয়া যেতে পারে। ইআরডির কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকারের এখন প্রতিবছর ১ হাজার কোটি ডলারের মতো বিদেশি সহায়তার চাহিদা আছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারের এখন নগদ ডলার দরকার। প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা নিলে প্রকল্পের কেনাকাটার সময় ডলার আসে। এতে অনেক সময় চলে যায়। আর বাজেট–সহায়তার ডলার অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। তাই ডলারের জোগান বাড়াতে বাজেট–সহায়তাই উত্তম পন্থা।’


অর্থনীতি   বাংলাদেশ   ডলার   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রমশ তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার লোভে আইএমএফ-এর লোন পেতে মরিয়া সরকার শেষ পর্যন্ত আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনেই এই ধরনের বিষয়গুলো করেছেন বলে দাবি করেন অর্থনীতিবিদরা। আর এর ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাজারে, ব্যবসা বাণিজ্যে। অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ভালো নেই, সেই চেহারাটা এখন উন্মোচিত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন যে সংকটগুলো তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ডলার সংকট। ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের আগে আইএমএফ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নতুন সিলিং বেঁধে দিয়েছে। যা অনেকখানি কমানো হয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে টাকার মান আরেক দফা কমেছে এবং এক লাফে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি বহুমাত্রিক প্রভাব পড়বে। এর ফলে আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বেন। এর প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরেক দফা বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। 

দ্বিতীয়ত, সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়াবে এবং এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বাজারে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নতুন এই দুই সিদ্ধান্ত বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে সরকার যে সংস্কারের প্রস্তাব গুলো গ্রহণ করেছিলেন সেই সংস্কারের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মুখ খুবড়ে পড়ে গেছে। বেসিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি। ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে যে নৈরাজ্য তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এমনি ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে যেটির প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সামনে সরকারকে বাজেট দিতে হবে। এই বাজেটের জন্য যে অর্থ আহরণ প্রয়োজন, সেই অর্থ আহরণেও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোন ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে সরকারকে আরও ঋণের দিকে ঝুঁকতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থ আহরণের জন্য কর-ভ্যাট ছাড়াও যে সমস্ত উদ্যোগগুলো সরকার গ্রহণ করেছিল, সেই সমস্ত উদ্যোগে বড় ধরনের সাফল্য আসেনি। জাতীয় পেনশন স্কিমে এখন পর্যন্ত মানুষ সাড়া দেয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আহরণ একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

চতুর্থত, বাংলাদেশকে এখন ঋণ পরিশোধের দায় মেটাতে হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তা পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ঋণ পরিশোধের হার আরও বাড়বে। এই হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নতুন সংকট আনতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই সংকট মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে সেটি হলো দেখার বিষয়।

অর্থনৈতিক সংকট   বাংলাদেশ ব্যাংক   আইএমএফ   ডলার সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ডলারের দাম ১১৭

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে চা‌হিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জা‌রি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।


ডলারের দাম   বাংলাদেশ ব্যাংক   অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কার্যকর হলো স্বর্ণের নতুন দাম

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও। 

নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।


স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দুদিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম বাড়ল

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। 

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার দাম   বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন