চলতি বছরও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে ডলার শক্তিশালী থাকবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিদেশি মুদ্রা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সম্প্রতি যে জরিপ করেছে, তাতে জানা গেছে, চলতি বছর ডলারের শক্তি কমবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখনো শক্তিশালী, নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে ট্রেজারি বন্ডের সুদহারও বাড়তি, এমনকি উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এ কারণে নানা ঘাত–প্রতিঘাত সত্ত্বেও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলার এখনো শক্তিশালী।
এ বছরের মাঝামাঝি সময় মার্কিন ডলারের কিছুটা দরপতন হলেও সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে। জুনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর ২০২০ সালের পর সবচেয়ে নিচে নেমে যায়। এরপর ডলারের দর বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডলারের দর বেড়েছে ১ শতাংশ।
মূলত দুটি কারণে ডলারের দর বাড়ছে।
প্রথমত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের অবস্থা ভালো নয়, দেশটির প্রবৃদ্ধির হার কেবল কমছেই। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ডলারে বিনিয়োগ করছেন।
দ্বিতীয়ত, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ গত বছর থেকে নীতি সুদহার বৃদ্ধি শুরু করে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও শিগগিরই তারা যে নীতি সুদহার কমাবে, তেমন লক্ষণ নেই। নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে বন্ডের সুদহারও বেড়েছে। ফলে ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
রয়টার্সের জরিপে অংশ নেওয়া সিংহভাগ বিশ্লেষক মনে করছেন, ডলারের দর বরং আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে, কমার নয়। ৮১ শতাংশ বিশ্লেষক বা ৫৩ জনের মধ্যে ৪৩ জনই বলেছেন, ডলারের দর বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
রাবো ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রাবিষয়ক বিশ্লেষক জেইন ফোলি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডলারের দর আরও বাড়বে এবং আগামী তিন মাস এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
আবার অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, আগামী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাতে শুরু করবে এবং তখন ডলারের বিনিময় হার আবার কমবে।
জরিপে অংশ নেওয়া বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইউরোর দর বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। পূর্বাভাস হলো, আগামী তিন মাসে ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে উঠবে।
যদিও আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী ইউরোর দর আগামী ছয় মাসে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ১০ ডলার এবং আগামী এক বছরে তা ১ দশমিক ১২ ডলারে উঠবে।
এদিকে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম চলতি বছর ইতিমধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ডলারের বিপরীতে ১৪৭ ইয়েনে নেমেছে। তবে আগামী এক বছরে ইয়েনের দর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ডলারে বিপরীতে জাপানি মুদ্রার দাম ১৩২ ইয়েনে উঠে আসতে পারে।
মন্তব্য করুন
এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জারি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।
ডলারের দাম বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা।
মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও।
নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।
মন্তব্য করুন
সোনার দাম বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এর সঙ্গে একীভূত হতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সেই নির্দেশনা মানতে নারাজ রাকাব। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে ব্যাংকটি।
ব্যাংকের সবশেষ পর্ষদ সভায় বলা হয়, উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকটির রয়েছে প্রত্যক্ষ অবদান। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক। তাই একীভূতকরণের বিষয়েও ভাবতে হবে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাই যথেষ্ট নয়, লাগবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় রাকাব।
একীভূত করা নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা হলেও গত ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দেয়। এরপর গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একে অপরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে গেল ৩ এপ্রিল সরকারি খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ৮ এপ্রিল সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সমস্যাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংককে এবং ৯ এপ্রিল বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও।