দেশের
ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি
রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এই রোডম্যাপ অনুমোদন
দেওয়া হয়। পরে এক
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো.
নাছের।
গণমাধ্যমের
প্রতিবেদন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সূত্র বলছে, ব্যাংকখাতের উন্নয়নের সরকারের
উচ্চপর্যায়ের সম্মতিও নেওয়া হয়েছে। এই রোডম্যাপে ১৭টি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা
নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি হলো
রোডম্যাপ হলো- খেলাপি
ঋণ কমানো, বেনামি ঋণ ও জালিয়াতি
বন্ধ করা, যোগ্য পরিচালক
নিয়োগে ব্যবস্থা, উপযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ এবং দুর্বল ব্যাংককে
সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা, যাকে মার্জার
বলা হয়।
বাংলাদেশ
ব্যাংক বলেছে, তাদের লক্ষ্য তিনটি—১. ব্যাংকের সার্বিক
খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের
নিচে নামানো, যা এখন ১০
শতাংশের একটু কম। ২.
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ এবং
বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশে
নামিয়ে আনা, যা এখন
যথাক্রমে প্রায় ২২ ও ৭
শতাংশ। ৩. ব্যাংক খাতে
সুশাসন নিশ্চিতের জন্য সীমার বাইরে
দেওয়া ঋণ, বেনামি স্বার্থসংশ্লিষ্ট
ঋণ এবং জালিয়াতি ও
প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শূন্যে
নামিয়ে আনা।
বাংলাদেশ
ব্যাংক এসব লক্ষ্য পূরণের
সময়সীমা ঠিক করেছে ২০২৬
সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো.
নাছের বলেন, এই রোডম্যাপ অনুযায়ী
পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত যে,
আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত তিন মেয়াদে
ব্যাংক খাত নিয়ে ব্যাপক
সমালোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে লাফিয়ে
লাফিয়ে। ২০০৯ সালে খেলাপি
ঋণ ছিল সাড়ে ২২
হাজার কোটি টাকার মতো,
যা এখন ১ লাখ
৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
অবশ্য ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা
মনে করেন, দুর্দশাগ্রস্ত প্রকৃত ঋণ প্রায় চার
লাখ কোটি টাকা। বেনামি
ঋণ বিবেচনায় নিলে তা দাঁড়াবে
ছয় লাখ কোটি টাকায়।
দেশের
অর্থনীতি এখন সংকটে পড়েছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলে আসছেন, অর্থনৈতিক
সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে
যেসব উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তার একটি ব্যাংক
খাতে বড় সংস্কার। আওয়ামী
লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারেও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা
ও অপরাধ দমন, খেলাপি ঋণ
বারবার পুনঃ তফসিল করে
ঋণ নেওয়ার সুযোগ নিয়ন্ত্রণ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে
প্রভাবমুক্ত রাখার কথা বলা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এল বাংলাদেশ ব্যাংকের
পথনকশা।
রোডম্যাপে
খেলাপি ঋণ কমাতে বেশ
কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা বলেছে বাংলাদেশ
ব্যাংক। এর একটি হলো
খেলাপি ঋণ অবলোপন, অর্থাৎ
ব্যাংকের স্থিতিপত্র থেকে বাদ দেওয়া–সংক্রান্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কোনো ঋণ একাধারে
দুই বছর মন্দ বা
ক্ষতিজনক (খেলাপি) থাকলে সেসব ঋণের বিপরীতে
শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রেখে তা অবলোপন
করতে হবে।
এদিকে
বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা
কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়নের কথাও
বলা হয় পথনকশায়। আরও
বলা হয়, মন্দ ঋণ
ও অবলোপন করা সেই কোম্পানির
কাছে বিক্রি করে ব্যাংকগুলো তাদের
আর্থিক স্থিতিপত্র পরিষ্কার করতে পারবে। বিক্রির
মাধ্যমে পাওয়া টাকা ব্যাংক আয়
হিসেবে দেখাতে পারবে।
ঋণ পরিশোধের জন্য দেওয়া বাড়তি
মেয়াদ আর বাড়ানো হবে
না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ
ব্যাংক। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মনে করে, এতে
ব্যাংকের তারল্যসংকট কমবে। পাশাপাশি ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন
আনা হবে।
ইচ্ছাকৃত
খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা
তৈরি ও বাস্তবায়নের কথাও
বলা হয়েছে পথনকশায়। এতে আরও বলা
হয়, খেলাপি ঋণ আদায় করা
কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ ভাতা
চালু হবে। ঋণের জামানত
বাধ্যতামূলকভাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে দিয়ে মূল্যায়ন করাতে
হবে।
ব্যাংকিং
খাতের সুশাসন নিশ্চিতে ছয় পরিকল্পনার কথা
বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকের শেয়ারধারী
পরিচালকদের যোগ্যতা ও দায়িত্ব-কর্তব্য
সম্পর্কিত নীতিমালা সংশোধন করা এবং স্বতন্ত্র
পরিচালক নিয়োগ, তাদের সম্মানী নির্ধারণ ও দায়িত্ব-কর্তব্য
সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করার কথা বলা
হয়েছে।
বাংলাদেশ
ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ ও পুনঃ নিয়োগে
বাছাই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা
আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। পারফরম্যান্স
বা পারদর্শিতার সূচকের ভিত্তিতে এমডিদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে।
কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের রোডম্যাপে ব্যাংক একীভূত করার বিষয়টি উল্লেখ
করে বলা হয়েছে, একীভূত
হওয়ার তিন বছর পর্যন্ত
কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
ব্যাংকে পেশাদারদের নিয়োগে একাধিক পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে।
বেসরকারি
গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে
বলেন, ‘বেশির ভাগ ব্যাংক নিজেদের
আর্থিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছে,
তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ জন্য
সন্দেহের তালিকায় থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোতে
স্বাধীনভাবে বিশেষ নিরীক্ষা চালাতে হবে। তার আগে
এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংককে
সংস্কারকাজটি কঠিনভাবে করতে হবে। নরম
সুরে কাজ হবে না।
মন্তব্য করুন
রিজার্ভ চুরি বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্ক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বাজারে তীব্র ডলার সংকট। সবকিছু মিলিয়ে ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠাটাই এখন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়নের কিছু কম। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর মার্চ-এপ্রিল মাসে দায় মেটানোর পর মোট রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর হিসাব পদ্ধতিতে বিপিএম-৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন এক হাজার ৮৩২ কোটি ডলার বা ১৮.৩২ বিলিয়ন। প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু কম। আকুর বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১৬৩ কোটি ডলার। এর ফলে রিজার্ভ কমে যায়।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে। যদিও এখন তা ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কম। প্রতি মাসে দেশের আমদানি দায় মেটাতে এখন প্রায় ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হচ্ছে। আর এই অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে।
এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে এবং তা ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ অতিক্রম করছে। এই অবস্থা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়া বাজারে ডলারের দাম এ লাফে ৭ টাকা বাড়ানোর ফলে এখন ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। ডলারের জন্য হাহাকার ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে আমদানির ক্ষেত্রে। এই রকম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে সরকারকে এক ধরনের কৃচ্ছতা সাধন এবং সংকোচন নীতি অনুসরণ করতে হচ্ছে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বৃদ্ধির ফলে এখন প্রবাসী আয় বাড়বে। এই মাসে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন। তাছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ব্যাপারেও তারা আশাবাদী।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী নিজে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি বিবেচনা করছেন এবং সেই কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বৃদ্ধির একটি বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। যে সমস্ত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি বাণিজ্য রয়েছে, যেমন- ভারত, চীন; সেগুলোতে ডলারের পরিবর্তে সে দেশীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তবে সরকার মনে করছে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুতি চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ ধরনের ব্যবস্থাগুলোর সুফল আগামী অর্থবছরে পাওয়া যাবে।
ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ আইএমএফ রিজার্ভ
মন্তব্য করুন
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড বেভারেজের বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর কর (টার্নওভার ট্যাক্স) ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এই হার চলতি অর্থবছরের বাজেটেও প্রস্তাব করেছিল সংস্থাটি। পরে কোম্পানিগুলোর দাবিতে এনবিআর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে এই করহার ছিল শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ৫ শতাংশ করহার করার পরিকল্পনা নিচ্ছে এনবিআর। যদিও চলতি অর্থবছরেও এই প্রস্তাব ছিল আয়কর বিভাগের। পরে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে এই করহার ৫ শতাংশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। অর্থাৎ রোববার এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে এই করহারের বিষয়ে সায় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাজেটের সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলাদেশের পানীয় শিল্পের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। কোমল পানীয়ের খাত থেকে বর্তমানে জাতীয় কোষাগারে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আসে। প্রস্তাবিত টার্নওভার কর বেড়ে যাওয়ার সরাসরি ফলাফল হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে কমে যাবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বাজারে তীব্র ডলার সংকট। সবকিছু মিলিয়ে ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠাটাই এখন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড বেভারেজের বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর কর (টার্নওভার ট্যাক্স) ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই হার চলতি অর্থবছরের বাজেটেও প্রস্তাব করেছিল সংস্থাটি। পরে কোম্পানিগুলোর দাবিতে এনবিআর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে এই করহার ছিল শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ।