ইনসাইড ইকোনমি

আজ থেকে যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ৩১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বিনিময় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখার কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তপশিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে...

১. জনতা ব্যাংক পিএলসি, পোস্তগোলা শাখা, ঢাকা।

২. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা।

৩. উত্তরা ব্যাংক পিএলসি, যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা।

৪. পূবালী ব্যাংক পিএলসি, সদরঘাট শাখা, ঢাকা।

৫. মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, বাবু বাজার শাখা, ঢাকা।

৬. দি সিটি ব্যাংক পিএলসি, ইসলামপুর শাখা, ঢাকা।

৭. জনতা ব্যাংক পিএলসি, হাটখোলা রোড শাখা (মহিলা), ঢাকা

৮. ওয়ান ব্যাংক পিএলসি, লালবাগ শাখা, ঢাকা।

৯. জনতা ব্যাংক পিএলসি, আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

১০. অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

১১. জনতা ব্যাংক পিএলসি, টিএসসি কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

১২. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ঢাকা।

১৩. আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ শাখা, ঢাকা।

১৪. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল শাখা, ঢাকা।

১৫. ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি, লোকাল অফিস শাখা, ঢাকা।

১৬. মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, ঢাকা।

১৭. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা মেইন শাখা, ঢাকা।

১৮. রূপালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয়, ঢাকা।

১৯. এক্সিম ব্যাংক লি, মতিঝিল শাখা, ঢাকা।

২০. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, দিলকুশা শাখা, ঢাকা।

২১. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

২২. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মৌলভীবাজার শাখা, ঢাকা।

২৩. উত্তরা ব্যাংক পিএলসি, বাবু বাজার শাখা, ঢাকা।

২৪. দি সিটি ব্যাংক পিএলসি, মগবাজার শাখা, ঢাকা।

২৫. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, মগবাজার শাখা, ঢাকা।

২৬. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, ঢাকা।

২৭. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, কাকরাইল শাখা, ঢাকা।

২৮. এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, মালিবাগ শাখা, ঢাকা।

২৯. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, খিলগাঁও শাখা, ঢাকা।

৩০. অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রামপুরা টিভি শাখা, ঢাকা।

৩১. এবি ব্যাংক পিএলসি, প্রগতি স্বরণী শাখা, ঢাকা।

৩২. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, প্রগতি স্বরণী শাখা, ঢাকা।

৩৩. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, ঢাকা।

৩৪. ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, বনশ্রী শাখা, ঢাকা।

৩৫. ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, নন্দীপাড়া শাখা, ঢাকা।

৩৬. আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, নন্দীপাড়া শাখা, ঢাকা।

৩৭. ওয়ান ব্যাংক পিএলসি, বাসাবো শাখা, ঢাকা।

৩৮. ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা।

৩৯. প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, বসুন্ধরা শাখা, ঢাকা।

৪০. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বনানী শাখা, ঢাকা।

৪১. প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, বনানী শাখা, ঢাকা।

৪২. ব্যাংক এশিয়া লিঃ, বনানী–১১ শাখা, ঢাকা।

৪৩. আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, গুলশান শাখা, ঢাকা।

৪৪. যমুনা ব্যাংক পিএলসি, গুলশান কর্পোরেট শাখা, ঢাকা।

৪৫. ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, মহাখালী শাখা, ঢাকা।

৪৬. এসবিএসি পিএলসি, বিজয়নগর শাখা, ঢাকা।

৪৭. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

৪৮. ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

৪৯. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ঢাকা।

৫০. প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, এ্যালিফেন্ট রোড শাখা, ঢাকা।

৫১. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, ঢাকা।

৫২. ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, শ্যামলী শাখা, ঢাকা।

৫৩. সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা

৫৪. এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা।

৫৫. ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, সাত মসজিদ রোড শাখা, ঢাকা।

৫৬. যমুনা ব্যাংক পিএলসি, লালমাটিয়া শাখা, ঢাকা।

৫৭. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, রায়ের বাজার শাখা, ঢাকা।

৫৮. ডাচ- বাংলা ব্যাংক পিএলসি, নিউমার্কেট শাখা, ঢাকা।

৫৯. ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি, মিরপুর শাখা, ঢাকা।

৬০. এক্সিম ব্যাংক লিঃ, মিরপুর শাখা, ঢাকা।

৬১. ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, মিরপুর-১ শাখা, ঢাকা।

৬২. অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, ঢাকা।

৬৩. জনতা ব্যাংক পিএলসি, রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত কর্পোরেট শাখা)।

৬৪. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ইব্রাহীমপুর শাখা, ঢাকা।

৬৫. ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, উত্তরা শাখা, ঢাকা।

৬৬. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, উত্তরা মডেল টাউন শাখা, ঢাকা।

৬৭. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি, এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, ঢাকা।

৬৮. রূপালী ব্যাংক পিএলসি, উত্তরা মডেল টাউন কর্পো: শাখা, ঢাকা।

৬৯. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কোর্ট বিল্ডিং শাখা, গাজীপুর।

৭০. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, গাজীপুর।

৭১. মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭২. এক্সিম ব্যাংক লিঃ, শিমরাইল শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭৩. এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি, ভুলতা শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭৪. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ।

৭৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি, নারায়ণগঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ ।

৭৬. মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, সাভার শাখা, সাভার।

৭৭. প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, সাভার শাখা, সাভার।

৭৮. ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ, কেরানীগঞ্জ শাখা, কেরানীগঞ্জ।

৭৯. সোনালী ব্যাংক পিএলসি, মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, মুন্সীগঞ্জ।

৮০. ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, শ্রীনগর শাখা, মুন্সীগঞ্জ।


নতুন নোট   নতুন টাকা   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ  ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

অন্যদিকে বেসিক ব্যাংক বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না। তারা কোনো সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায়। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরীকে ডেকে সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের এই পরামর্শ দেন। অপরদিকে গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার জানান, কোনো ব্যাংক আমাদের একীভূত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের একীভূত হতে বলেনি। ফলে কারও সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একীভূত হতে হলে দুই পক্ষের সদিচ্ছা প্রয়োজন। না হলে সেটা অধিগ্রহণ হয়ে যায়। আমাদের নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে দেখি ব্যাংকটিকে ভালো করা যায় কি না।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনা কখনও তারা নেননি। একীভূত হওয়ার ইস্যুতে পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার কেউ জানেনও না। 

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪১ বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সমস্যা দেখা দিলেও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুনভাবে গঠন করে দিয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে এই ব্যাংক আবার দেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হবে।

এদিকে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তারা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তারা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে। 

এছাড়া বিডিবিএলকে একীভূত না করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি দিয়েছে বিডিবিএল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই দাবি না মানা হলে উত্তরাঞ্চল অচল করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ব্যাংক একীভূত করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্বল সূচকের অধিকারী ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি ভালো তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোও অস্বস্তিতে পড়েছে। তাছাড়া একীভূত হওয়ার প্রস্তাবে থাকার ব্যাংকগুলোর নেতিবাচক অবস্থানের কারণে অস্তস্তিবোধ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া আশা আলো দেখবে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এক্ষত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়।

ব্যাংক একীভূত   বাংলাদেশ ব্যাংক   ন্যাশনাল ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

টানা ৬ দফা কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চরম অস্থিতিশীল দেশের স্বর্ণের বাজার। চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর বিগত ৭ দিনে ৬ বারের মতো মূল্যবান এ বস্তুটির দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সর্বশেষ ভরিতে এক হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ছয় হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯১ হাজার ২০১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ সাত হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা।

এ নিয়ে গত ১২ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৭ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। আর সবশেষ ৬ দফা সমন্বয়েই কমেছে স্বর্ণের দাম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে সাতবার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৯ বার। এছাড়া ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কোনো ব্যাংকের সঙ্গে এখনই একীভূত না হয়ে বরং নিজেরাই সবল হতে চায় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। 

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগে থেকে কোনো ধরনের আলোচনা না করে হঠাৎ গত ৯ এপ্রিল ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হওয়ার কথা বলা হয়। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এ সিদ্ধান্ত জেনে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে শুরু করেন। তবে চাপিয়ে দেওয়া এ সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন হয়নি। ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ঋণ আদায় জোরদার করবে। বিশেষ করে শীর্ষ খেলাপিদের থেকে আদায়ে ক্রাশ কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থরে ঋণ আদায়ের একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হবে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন পারভীন হক সিকদার এমপি বলেন,  অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনা কখনও তারা নেননি। একীভূত হওয়ার ইস্যুতে পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার কেউ জানেনও না। 

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪১ বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সমস্যা দেখা দিলেও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুনভাবে গঠন করে দিয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে এই ব্যাংক আবার দেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ব্যাংক একীভূত   ন্যাশনাল ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক   ইউসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ছয় দিনে ৫ বার স্বর্ণের দাম কমলো

প্রকাশ: ০৬:১৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বাজারে গত ছয় দিনে টানা পাঁচ বার কমলো স্বর্ণের দাম। পঞ্চম দফায় স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১৫ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ ব্যবধানে পাঁচ দফায় ভালো মানের স্বর্ণের দাম কমেছে। এ সময়ে ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬ হাজার ৮১২ টাকা কমেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। একইদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে নতুন এ দাম নির্ধারণ হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩০৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২৫৬ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২১০ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল ২৭ এপ্রিল এবং তার আগে ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল চার দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ২৭ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

স্বর্ণ   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।


রেমিট্যান্স   ডলার   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন