নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রায় এক শতক ধরে আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রায় শীর্ষস্থানে রয়েছে মার্কিন ডলার। ব্রিটিশ পাউন্ডকে পেছনে ফেলে এই অবস্থানে পৌঁছায় তাঁরা। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মোট রিজার্ভের প্রায় ৬২ শতাংশই সংরক্ষিত আছে মার্কিন ডলারে। আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৮৫ শতাংশই হয়ে থাকে ডলারে। কিন্তু এই অবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের বিকল্প চায় এমন দেশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইরান বেশ কয়েকমাস আগেই মার্কিন ডলারে লেনদেন আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহারে পদক্ষেপ নিয়েছে চীনও। রাশিয়ার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য দুদেশের নিজস্ব মুদ্রায় করার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকায় এই পদক্ষেপ নেয় আঙ্কারা। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপের দেশগুলোও আন্তর্জাতিক লেনদেনে ইউরো ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা করছে। ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে এমন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মার্কিন অবরোধ আরোপের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ডলার পরিহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে দেশগুলো। সম্প্রতি রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানান, তার ব্যাংক মার্কিন ডলারের ব্যবহার পরিত্যাগ করার নীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্বে ডলারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া দেশের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে মুদ্রাটির আধিপত্য অবশ্যই হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কী হতে যাচ্ছে ডলারের বিকল্প?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ইউরোতে আন্তর্জাতিক লেনদেন করবে বলে জানিয়েছে। রাশিয়া, তুরস্ক,ইরান ও চীনও নিজেদের মুদ্রা ব্যবহারের কাজ শুরু করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, অন্য দেশগুলোর মূদ্রার তুলনায় ইউয়ানই ডলারের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে।
চীন বর্তমান বিশ্বে তেলের বৃহত্তম ভোক্তা। দেশটি তেল আমদানির ক্ষেত্রে পেট্রো-ইউয়ানের প্রচলন শুরু করতে চায়। সর্বশেষ ব্রিকস সম্মেলনে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পেট্রো-ইউয়ানের পক্ষে অবস্থান নেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ পাকিস্তানসহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইউয়ানেই লেনদেন সম্পন্ন করার চিন্তা ভাবনা করছে।
গোটা বিশ্বেই পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চীনের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাঁর ওপর বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে চীনা বিনিয়োগের পরিমানও বাড়ছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ানই ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।