নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২২ জুলাই, ২০২১
রাজধানীর লালবাগের পোস্তা এলাকা কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত। ঈদুল আজহার দিন দুপুর থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে আড়ত। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে অন্যবারের তুলনায় এ বছর পোস্তায় কাঁচা চামড়া তুলনামূলকভাবে কম এসেছে। সে জন্য সাভারের হরিণধরায় চামড়া শিল্পনগরের পাশেই অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা আড়তগুলোকে দায়ী করছেন চামড়া খাতের মালিকেরা।
এদিকে গতবারের চেয়ে এবার গরুর কাঁচা চামড়ার দর কিছুটা বাড়লেও ছাগলের কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে ছিল হতাশা। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকে ছাগলের কাঁচা চামড়ার দাম না পেয়ে বিনা পয়সায় রেখে গেছেন। কেউ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
গতকাল বুধবার দেশের সবচেয়ে বড় চামড়ার আড়ত রাজধানীর পোস্তা এলাকায় ঘুরে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যবারের তুলনায় এ বছর পোস্তায় কাঁচা চামড়া কম এসেছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন, ঢাকা ও এর আশপাশে অস্থায়ীভাবে অবৈধ অনেক আড়ত গড়ে উঠেছে। এসব আড়তের বৈধতা নেই। তা ছাড়া গত দুই বছরের মতো এবারও কাঁচা চামড়ার দাম মিলবে না, এমন আশঙ্কা থেকে অনেকে চামড়া বিক্রির চেষ্টা না করে মসজিদ, মাদ্রাসায় ও পঞ্চায়েতে দান করে দিয়েছেন। তাই পোস্তায় চামড়া এসেছে কম।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, হেমায়েতপুরে চামড়াশিল্প নগরের পাশে বিচ্ছিন্ন ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো অনেক আড়ত গড়ে উঠেছে। এগুলো কারও কাছ থেকে অনুমোদনও নেয়নি। রাজধানীতে অস্থায়ী হাট বসিয়ে চামড়া কেনা হচ্ছে। সে কারণে এবার পোস্তায় কাঁচা চামড়া কম এসেছে। তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি আছে। পোস্তায় যেটা শত বছরের ঐতিহ্য। সরকারের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করে সবাই। কিন্তু অন্য এলাকায় যেসব আড়ত গড়ে উঠেছে, সেসবের অনুমোদন নেই। টিপু সুলতান বলেন, ‘এসব অবৈধ আড়ত গুঁড়িয়ে দিতে আমরা শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু ফল পাওয়া যায়নি।’
এদিকে সাভার চামড়াশিল্প নগরে সরেজমিন দেখা গেছে, চামড়াশিল্প নগরে ঢোকার আগে হরিণধরা বাজরে অন্তত ৬৫টি আড়ত আছে। রাস্তার দুই পাশে এসব আড়ত গত এক বছরের ব্যবধানে গড়ে উঠেছে। এবার এই প্রথম সেখানে চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও কলাবাগান এলাকায় কাঁচা চামড়া কিনতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও চামড়াশিল্প নগরের পাশে লাগোয়া এমন আড়ত নেই। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব আড়ত চামড়াশিল্পের পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের মানসনদ পাওয়ার চেষ্টা করছি। তারা যদি এসে দেখে চামড়াশিল্প নগরের পাশে অবৈধভাবে আড়ত গড়ে উঠেছে, তাহলে মানসনদ পাওয়া কঠিন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব আড়ত উচ্ছেদ করতে আমরা শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। কিন্তু কিছু হয়নি।’
তবে আড়ত গড়ে তোলার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে হরিণধরা বাজারের সভাপতি আবুল বাসার বলেন, ‘চামড়া রক্ষার জন্য আমরা আড়ত দিয়েছি। দিন দিন আমাদের আড়তের চাহিদা বাড়ছে। পোস্তা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে হেমায়েতপুরে নিয়ে আসা অনেক কঠিন। সময়ও লাগে বেশি। আমাদের আড়ত থেকে চামড়া সংগ্রহ করে ট্যানারিতে নিতে সময় লাগবে পাঁচ মিনিট।’ তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর মানুষ চামড়ার দাম পায়নি। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা অস্থায়ী আড়ত দিয়েছি।’
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানালেন, অস্থায়ী এসব আড়ত অনুমোদন নেয়নি।
এদিকে গতকাল চামড়ার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছাগলের কাঁচা চামড়ার দাম মেলেনি। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। নুরুল করিম হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ১৮টি ছাগলের কাঁচা চামড়ার দাম হিসেবে তাঁর হাতে ২০০ টাকা ধরিয়ে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে প্রতি পিস কাঁচা চামড়ার দাম পড়েছে ১১ টাকা। অথচ সরকার ছাগলের কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা। মমতাজ আহমেদ নামের একজন জানালেন, তিনি ছাগলের কাঁচা চামড়া বিনা পয়সায় ছেড়ে দিয়ে এসেছেন পোস্তায়। কেউ প্রতি পিস ১০ টাকা কেউ ১৫ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
অন্যদিকে সরকার লবণজাত কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও কোরবানির পশুর রক্তমাখা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেনি। ফলে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যাঁর কাছ থেকে যে দামে পেরেছেন কিনেছেন। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এবার কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। চামড়াপ্রতি গতবারের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বড় আকারের গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়। মাঝারি মানের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ছোট মানের চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
মন্তব্য করুন
দেশের অর্থনীতি ক্রমশ নাজুক ঋণনির্ভর এবং সঙ্কটজনক অবস্থায় যাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে
বটে তবে এখন পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। অর্থনৈতিক মোকাবিলা করাই এখন সরকারের
জন্য সবচেয়ে বড় রকম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
সরকারের পক্ষ থেকেও অর্থনৈতিক সংকটের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে না।
বরং অর্থনীতিতে ৭টি বিপদ সংকেতকে সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই বিপদ
থেকে উদ্ধারের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। আগামী
বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যাবে বলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
অর্থনীতির যে সাতটি বিপদ সংকেত সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে
তা হলো-
১.ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম: ব্যাংকিং খাতে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি
হচ্ছে। জন আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংকিং খাতে। বিশেষ করে ব্যাংক একীভূত করার কৌশলটি
নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠেছে। ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হবে সেটি নিয়ে কথা উঠছে এবং খেলাপিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেওয়া
হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের এই নাজুক পরিস্থিতি অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে
পারে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
২.ঋণ নির্ভরতা বাড়ছে: বাংলাদেশের ঋণ নির্ভরতা বাড়ছে। সুদ এবং ঋণের দায় মেটানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। যার ফলে সামনের দিনগুলোতে বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর বড় ধরনের চাপ বাড়বে। এখনই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে নীচে নেমে গেছে এবং রিজার্ভ বাড়ানোর কোনও উদ্যোগই এখন পর্যন্ত সফল হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে ঋণ এবং সুদ মেটাতে সরকারকে হিমশিম খেতে হবে বলেও কোনও কোনও অর্থনীতিবিদ মনে করছেন। অর্থনীতিতে এই বিদেশি ঋণ পরিশোধ এখন সরকারের জন্য একটি বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে যে, সামনের দিনগুলোতে ঋণের দায় মেটানোটা সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
৩. মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। গত ১ বছরের গড় মুদ্রা
১০ এর কাছাকাছি। এর ফলে, জিনিসপত্রের দাম সীমাহীন ভাবে বাড়ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার
বাইরে চলে গেছে এবং এর ফলে জন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।
৪. প্রবাসী আয় কমে যাওয়া: প্রবাসী আয় যে ভাবে বাড়ার কথা ছিল সেভাবে
প্রবাসী আয়ে বাড়ছে না। প্রবাসী আয় কমে যাওয়াটা সরকারের জন্য একটা বড় ধরনের অস্বস্তির
কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
৫. অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের হতাশাজনক চিত্র: অর্থনৈতিক সঙ্কট মেটানোর
জন্য অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর এই অভ্যন্তরীণ রাজস্ব
আয়ের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও আশাজনক বাস্তবতা দেখা যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধিতে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেনি বলেই অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন।
৬. দুর্নীতি: একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে চলেছে অন্যদিকে,
দুর্নীতিও কমছে না। ফলে কোন কিছুতেই অর্থনৈতিক সংকট কমিয়ে আনার মত কোন বাস্তব পরিস্থিতি
থাকছে না বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
৭. বিদ্যুৎ এবং রপ্তানি আয়ের উপর আঘাত: বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সংকট
দেখা দিলে রপ্তানি আয়ের উপরেও একধরনের সমস্যা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ
করে, আমদানি নির্ভর জ্বালানি খাত সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতিতে, এবং রপ্তানি আয়ের উপর
বড় ধরনের প্রভাব পরবে বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। সব কিছু মিলিয়ে এই বিপদগুলোকে
কাটিয়ে ওঠায় সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতি প্রবাসী আয় দুর্নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
দেশের অর্থনীতি ক্রমশ নাজুক ঋণনির্ভর এবং সঙ্কটজনক অবস্থায় যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বটে তবে এখন পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। অর্থনৈতিক মোকাবিলা করাই এখন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় রকম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারের পক্ষ থেকেও অর্থনৈতিক সংকটের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে না। বরং অর্থনীতিতে ৭টি বিপদ সংকেতকে সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যাবে বলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।