ইনসাইড ইকোনমি

টাকা ফেরতে ইভ্যালি, ই–অরেঞ্জের গ্রাহকেরা যা করতে পারেন…

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

চটকদার বিজ্ঞাপন আর অর্ধেক দামে পণ্যর লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মত প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ ভোক্তা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়েছে। প্রথম দিকে অনেক গ্রাহক এ থেকে মুনাফা করলেও আস্তে আস্তে এসব কোম্পানির আসল কাজ মানুষের সামনে আসতে থাকে। এসব কোম্পানি গুলো বাংলাদেশের প্রথাগত ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম লঙ্ঘন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। আইনরক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসার পর এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সরকার এবং গ্রেফতার করা হয় কোম্পানিগুলো পরিচালনা পর্ষদের কর্তাদের।

দেশে কম দামে পণ্য দেওয়ার অন্যতম পথপ্রদর্শক ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একি রকমভাবে ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ কয়েকজন গ্রাহকদের কাছ থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গত ১৭ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন।

এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের আটকের ঘটনায় দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন লাখ লাখ গ্রাহক। গ্রাহকদের এখন একটাই দাবি যেকোনো মূল্যে তাঁরা টাকা কিংবা পণ্য ফেরত চান।

তবে এব্যাপারটি বেশ জটিল ও সময় সাপেক্ষ। এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, প্রতারিত গ্রাহকদের ফৌজদারি ও দেওয়ানি—দুই ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এই আইনি প্রক্রিয়ায় টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

লোভনীয় দামে পণ্য কেনার ফাঁদে আটকে যাওয়া শত শত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রতারক কোম্পানির সম্পত্তি ক্রোকের পর তা বিক্রি করার নতুন বিধান তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে যেসব কোম্পানি মানুষের কাছ থেকে নেওয়া টাকায় অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে, সেসব সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে মানুষের টাকা মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিলে সবচেয়ে ভালো হবে। প্রতারক কোম্পানির সম্পত্তি ক্রোক করে তা বিক্রির জন্য আলাদা বিধান করা উচিত। বিদ্যমান আইনে কোনো মামলার আসামি দণ্ডিত হওয়ার পর সম্পত্তি ক্রোকের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

ইভ্যালির গ্রাহকদের কীভাবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে, সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ গণমাধ্যমে বলেন, ইভ্যালি তো অস্বীকার করছে না যে তারা টাকা নেয়নি কিংবা টাকা ফেরত পাবেন না। রাসেল ও তাঁর স্ত্রী যদি জামিনে ছাড়া পান, তারপর নিশ্চয় তাঁরা গ্রাহকের টাকা কিংবা পণ্য ফেরত দেবেন। 

অবশ্য গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে ই–অরেঞ্জের উদ্যোক্তা সোনিয়া মেহজাবিনের আইনজীবী মামুনুর রশীদ গণমাধ্যমে কাছে দাবি করেন, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায় মেহজাবিন কিংবা তাঁর স্বামীর নয়। গত এপ্রিল মাসে বীথি আক্তার নামের এক ব্যক্তির কাছে প্রতিষ্ঠানটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগেও যুবক, ডেসটিনি কিংবা ইউনিপেটুইউর মতো প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় ফাঁদে আটকা পড়ে হাজার হাজার গ্রাহক টাকা খুইয়েছেন, কিন্তু কেউই তাঁদের টাকা ফেরত পাননি। বেশি লাভের আশায় টাকা বিনিয়োগ করে পথে বসে গেছেন অনেক গ্রাহক।
এসব ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষ এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকেও ফৌজদারি মামলা হয়েছে। সেসব মামলার বেশির ভাগ বিচারাধীন। অবশ্য ইউনিপেটুইউর ২৫৫ জন গ্রাহক টাকা আদায়ের জন্য ইউনিপেটুইউর চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামানসহ ১৫ জনকে বিবাদী করে ২০১৮ সালে ঢাকায় দেওয়ানি আদালতে ‘মানি মোকদ্দমা’ করেন। এই মামলার বিচার চলমান।

বর্তমানে ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালিসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কম দামে পণ্য বিক্রির লোভনীয় ফাঁদে যাঁরা আটকে গেছেন, সেসব গ্রাহকের কথা চিন্তা করে সরকারকে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শফিক আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, গ্রাহকেরা প্রতারিত হয়ে টাকা না পাওয়াটা দুঃখজনক। সরকারের উচিত, যেসব কোম্পানি গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া উচিত রাষ্ট্রের। যাকে মানুষ টাকা দিল, তার যদি সম্পত্তি থাকে, সেটা ক্রোক করে বিক্রি করে যতটুকু সম্ভব গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমে বলেন, ‘অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

একজন গ্রাহক প্রতারিত হয়ে টাকা খোয়ালে, বিদ্যমান ফৌজদারি আইন অনুযায়ী থানা কিংবা আদালতে বিচার চেয়ে ফৌজদারি মামলা করতে পারেন। মামলার পর অভিযুক্তের সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের বিধান রয়েছে। বিচার শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি দণ্ডিত হলে আদালত অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। এর বাইরে প্রতারিত গ্রাহক বিদ্যমান দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে ‘মানি মোকদ্দমা’ দায়ের করতে পারেন। ব্যক্তির পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এটি কার্যকর আইনি পদক্ষেপ বলে জানান আইনজ্ঞরা। অবশ্য কোনো কোম্পানি কিংবা ব্যক্তি যদি পাওনাদারকে চেক দেন, আর সেই চেক যদি ডিজঅনার (চেক প্রত্যাখ্যান) হয়, সে ক্ষেত্রেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টে এই মামলা করতে হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারিত হন, তিনি ফৌজদারি আইনের পাশাপাশি দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে মানি মোকদ্দমা করতে পারেন। বাদী যদি তাঁর দাবি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন, তাহলে আদালত বাদীর পক্ষে ডিক্রি দেন।’
অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মনে করেন, মানি মোকদ্দমা নিষ্পত্তি একটা লম্বা আইনি প্রক্রিয়া। বাদী মামলা করলে বিবাদীপক্ষ সব সময় তৎপর থাকেন, কীভাবে মামলা ঝুলিয়ে রাখা যায়। তবে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে ‘মানি মোকদ্দমা’ই একমাত্র আইনি সমাধান।

সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক টাকা আদায়ের জন্য কোম্পানি কিংবা অন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে পারেন। এটি কার্যকর আইনি পদক্ষেপ।

অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যুবক, ইউনিপেটুইউ এবং ডেসটিনির বিরুদ্ধে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে।

ইউনিপেটুইউ নামে প্রতিষ্ঠানটি ১০ মাসে বিনিয়োগের দ্বিগুণ গ্রাহককে ফেরত দেওয়ার ফাঁদ পাতে। স্বর্ণে বিনিয়োগ করার স্কিমও নেয়। হাজার হাজার গ্রাহক এ ফাঁদে পা দেন। এ ঘটনায় ইউনিপেটুইউর চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামানসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। এসব মামলার মধ্যে একটি ফৌজদারি মামলা ঢাকার আদালতে নিষ্পত্তি হয় ২০১৯ সালে। ওই মামলায় ইউনিপেটুইউর চেয়ারম্যানসহ ছয় কর্মকর্তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

এ ছাড়া ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলা দুটি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, এমডি রফিকুল আমীন।

অতি মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি বা যুবক। ২০০৫ সালে যুবকের প্রতারণামূলক কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকলে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবৈধ ব্যাংকিংয়ের অভিযোগে তখন যুবকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর এক দফা সময় বাড়িয়ে ২০০৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে যুবককে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ টাকা গ্রাহকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়, নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তা নিয়ে কেটে যায় কয়েক বছর। অবশ্য ঘটনার এত বছরেও ৩ লাখ ৪ হাজার গ্রাহক তাঁদের পাওয়া ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ফেরত পাননি।

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হলেও ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা টাকা ফেরত না পেয়ে দিনের পর দিন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমে বলেন, ‘চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার জন্য গ্রেপ্তার করা বা না করা, এটি কোনো বিষয় নয়। যদি কেউ অপরাধী হয়ে থাকেন, তিনি আইনের আওতায় আসবেন। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম অনুসারে যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে সবচেয়ে বড় স্পর্শকাতর বিষয় হলো, কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো, আইনের আওতায় তাঁকে আনা হলো, তারপর আইন তার নিজস্ব গতিতে চলতে থাকল। এর মাঝখানে লাখ লাখ গ্রাহক টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরা পথে বসে গেলেন। প্রথম দিকে একজন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে, তাঁর কাছে যেসব সম্পদ আছে, সেগুলো রক্ষা করে গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না, সেটিই বিবেচ্য বিষয়।’

ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ মোশাররফ হোসেন কাজল আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয় না। গ্রাহকের স্বার্থ যদি সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অতীতে এ রকম গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এমন লম্বা তালিকা রয়েছে। গ্রাহক কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন, তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য অবিলম্বে এই সব প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা উচিত এবং প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান রাখা দরকার। গ্রাহকের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয়, সে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত রাষ্ট্রের।’

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ  ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

অন্যদিকে বেসিক ব্যাংক বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না। তারা কোনো সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায়। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরীকে ডেকে সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের এই পরামর্শ দেন। অপরদিকে গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার জানান, কোনো ব্যাংক আমাদের একীভূত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের একীভূত হতে বলেনি। ফলে কারও সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একীভূত হতে হলে দুই পক্ষের সদিচ্ছা প্রয়োজন। না হলে সেটা অধিগ্রহণ হয়ে যায়। আমাদের নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে দেখি ব্যাংকটিকে ভালো করা যায় কি না।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনা কখনও তারা নেননি। একীভূত হওয়ার ইস্যুতে পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার কেউ জানেনও না। 

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪১ বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সমস্যা দেখা দিলেও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুনভাবে গঠন করে দিয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে এই ব্যাংক আবার দেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হবে।

এদিকে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তারা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তারা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে। 

এছাড়া বিডিবিএলকে একীভূত না করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি দিয়েছে বিডিবিএল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই দাবি না মানা হলে উত্তরাঞ্চল অচল করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ব্যাংক একীভূত করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্বল সূচকের অধিকারী ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি ভালো তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোও অস্বস্তিতে পড়েছে। তাছাড়া একীভূত হওয়ার প্রস্তাবে থাকার ব্যাংকগুলোর নেতিবাচক অবস্থানের কারণে অস্তস্তিবোধ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া আশা আলো দেখবে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এক্ষত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়।

ব্যাংক একীভূত   বাংলাদেশ ব্যাংক   ন্যাশনাল ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

টানা ৬ দফা কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চরম অস্থিতিশীল দেশের স্বর্ণের বাজার। চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর বিগত ৭ দিনে ৬ বারের মতো মূল্যবান এ বস্তুটির দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সর্বশেষ ভরিতে এক হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ছয় হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯১ হাজার ২০১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ সাত হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা।

এ নিয়ে গত ১২ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৭ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। আর সবশেষ ৬ দফা সমন্বয়েই কমেছে স্বর্ণের দাম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে সাতবার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৯ বার। এছাড়া ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কোনো ব্যাংকের সঙ্গে এখনই একীভূত না হয়ে বরং নিজেরাই সবল হতে চায় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। 

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগে থেকে কোনো ধরনের আলোচনা না করে হঠাৎ গত ৯ এপ্রিল ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হওয়ার কথা বলা হয়। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এ সিদ্ধান্ত জেনে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে শুরু করেন। তবে চাপিয়ে দেওয়া এ সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন হয়নি। ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ঋণ আদায় জোরদার করবে। বিশেষ করে শীর্ষ খেলাপিদের থেকে আদায়ে ক্রাশ কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থরে ঋণ আদায়ের একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হবে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন পারভীন হক সিকদার এমপি বলেন,  অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনা কখনও তারা নেননি। একীভূত হওয়ার ইস্যুতে পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার কেউ জানেনও না। 

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪১ বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সমস্যা দেখা দিলেও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুনভাবে গঠন করে দিয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে এই ব্যাংক আবার দেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ব্যাংক একীভূত   ন্যাশনাল ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক   ইউসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ছয় দিনে ৫ বার স্বর্ণের দাম কমলো

প্রকাশ: ০৬:১৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বাজারে গত ছয় দিনে টানা পাঁচ বার কমলো স্বর্ণের দাম। পঞ্চম দফায় স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১৫ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ ব্যবধানে পাঁচ দফায় ভালো মানের স্বর্ণের দাম কমেছে। এ সময়ে ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬ হাজার ৮১২ টাকা কমেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। একইদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে নতুন এ দাম নির্ধারণ হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩০৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২৫৬ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২১০ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল ২৭ এপ্রিল এবং তার আগে ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল চার দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ২৭ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

স্বর্ণ   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।


রেমিট্যান্স   ডলার   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন