ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ১১টি খাতে আগামী কয়েক বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে বেশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছে।

নির্মাণাধীন একশোটি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও এক ডজন হাই-টেক পার্ক, সম্ভাবনাময় ১১টি খাত এবং নতুন পাওয়া সামুদ্রিক অঞ্চল সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য এই তিনটি বড় শক্তি রয়েছে বাংলাদেশের হাতে। 

তার ওপর বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। এর ফলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ৪১১ বিলিয়ন ডলারের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে বিপুলসংখ্যক পণ্য ও সেবার জন্য বাংলাদেশ এক বিশাল বাজারে পরিণত হয়েছে। 

এসবই নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি জানিয়ে এখনই এফডিআইয়ের (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) জন্য সঠিক সময় বলে মনে করছেন বিদেশী বিনিয়োগকারী, সহযোগী সংস্থা, কূটনৈতিক ও ব্যবসায়ীরা।

গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১-এর প্রথমদিনের প্লেনারি সেশনের আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।

শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা অবকাঠামো ফাস্ট-ট্র্যাক করতে এবং ভোক্তা বাজার বড় করতে সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রধান আকর্ষণ বলে স্বীকার করেছেন।

তারা অবশ্য বলেছেন যে, কর ব্যবস্থা আরও সহজ করা দরকার। এবং কোনো ক্রুজ জাহাজকে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করতে যেন ৪০টি দপ্তরের ছাড়পত্র না লাগে, সেজন্য একটি ওয়ান-স্টপ সমাধান প্রয়োজন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনিয়োগকারীদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের আশ্বাস দেন।

 

শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি বলেন, ১১টি খাতে আগামী কয়েক বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে বেশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী দেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে এফডিআই বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, এফআইসিসিআই সরকারের নীতি ও প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।


ইউনিলিভার দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব মেহতা বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশে আছে। চট্টগ্রামে একটি মাত্র কারখানা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ঢাকায় দ্বিতীয় কারখানা স্থাপন করা হয়। বিশাল ভোক্তা থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ খুব আকর্ষণীয় গন্তব্য বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কর-কাঠামো সহজ করা হলে বাংলাদেশ একটি দুর্দান্ত বিনিয়োগ গন্তব্য হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এখন পণ্য বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, 'আমি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গিয়েছি। আমার মনে হয়েছে, শিল্পাঞ্চলগুলোতে পোশাক খাতে প্রায় ১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য গেমচেঞ্জার হবে।'

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে (আইএফসি) বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার নুজহাত আনোয়ার বলেন, 'এই পর্যায়ে আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ একটি উন্নয়ন মডেলে পরিণত হয়েছে। এখন পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছার জন্য দেশের নতুন অর্থায়ন কৌশল থেকে শুরু করে নীতি সংশোধন পর্যন্ত একটি কৌশল প্রয়োজন। 

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবকাঠামোর জন্য ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৬০৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এই অর্থায়নের ৭৫ শতাংশ আসতে হবে  বেসরকারি খাত থেকে।

 

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, "বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করছে, বিশ্বজুড়ে এর স্বীকৃতিও আছে।" এদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, "অর্থনীতিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে সম্পদ যথেষ্ট না। টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব।" "দ্বিতীয় বিষয়টি হলো বিদেশি পুঁজি বাড়ানোর জন্য অর্থনৈতিক খাতের সংস্কার। আমি মনে করি পুঁজি বাজার আধুনিকীকরণের দারুণ সুযোগ আছে। এমনভাবে বিকাশের সম্ভাবনা আছে যাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে।" 

সম্মেলনের অন্য সেশনে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, দেশী ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক।  

মৎস্য জরিপের জন্য যৌথ উদ্যোগ, টুনা ফিশিংয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আওতায় প্রকল্প নির্ধারণ, জ্বালানির জন্য ভর্তুকি ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা রাখার মত পরামর্শ দেন তিনি। 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আবদুল মোমেন বলেন, "বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির বেশিরভাগ সম্পদই কাজে লাগানো হয়নি। এর ভগ্নাংশ থেকেই আমরা লাভবান হচ্ছি।" আরেকটি সেশনে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ৪৫৯টি কারখানার সাথে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ জোন চালু আছে। "এসব কারখানায় প্রায় ৪৭ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে, ৩৮টি দেশের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আছে," বলেন তিনি।


বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী সদস্য এম এরফান শরীফ শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য কর ছুটি, শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা এবং অন্যান্য কর ছাড়ের কথা তুলে ধরেন। তবে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া এর আগে বলেছিলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ও একই সাথে বিনিয়োগকারীদের ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার কারণে বোর্ড প্রায়ই সংকটে পড়ে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ নীতিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, "এটি এক নতুন, আলাদা বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ দেখে সরে দাঁড়ায় না।" "কোভিড-পরবর্তী বিশ্বের সব নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগকে আলিঙ্গন করে নিতে প্রস্তুত আমরা। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ভিশন ২০৪১ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার আহবান জানাই," বলেন তিনি। হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একদিন পরই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিয়ম কড়াকড়ি

প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ জন্ম নেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তবে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো?

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

জানা গেছে, মূলত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। তাদের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো কিনা সেটি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার। এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসা ইত্যাদি এর কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে আসার একটি বড় কারণ ছিল নিজস্বতা। স্বাধীনভাবে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন পরিদর্শনসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আবার অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুযোগ-সুবিধাও কিছুটা বেশি পেতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা। ধীরে ধীরে তা কমিয়ে অন্য চাকরির মতোই করা হচ্ছে। 

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস   বিসিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ ঘণ্টার কম সময় ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
  
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে শঙ্কা

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২.৩০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। আগের বছর ৯ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪১.৬৫ শতাংশ।

অর্থবছরের বাকি আছে আর তিন মাস থাকলেও এই সময়ের মধ্যে শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়ন করতে হবে ৫৭.৭০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় করতে হবে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।



গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থবছরের ছয় মাসে যেখানে অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি, সেখানে মাত্র তিন মাসে কী করে ৫৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন কোনো অর্থবছরেই সম্ভব হবে না।

আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির চলতি অর্থবছরে একটি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকা। ৯ মাসে তারা ব্যয় করেছে পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৯৬.৮৫ শতাংশ। আর শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকলেও টাকা খরচে এগিয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগটির ২৬৩টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

অর্থবছরের ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৪৬.০৩ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ২৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ১৩.৮৯ শতাংশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬৩.৮৭ শতাংশ। বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১৭৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৪০.১৯ শতাংশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে সাত হাজার ৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫৩.৯৮ শতাংশ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে চার হাজার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ৩২.৯৯ শতাংশ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ৫০.৯২ শতাংশ। তাদের বরাদ্দ ছিল ৪৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিপরীতে ৯ মাসে ব্যয় করেছে ২৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ২৪.৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা বিভাগের বাস্তবায়ন হার ৩৮.৫৬ শতাংশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৪.৪২ শতাংশ। ইআরডির ৭১.৬৭ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৩.৭৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৩১.৬৭ শতাংশ, অর্থ বিভাগের ৫০.০৮ শতাংশ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৩.৬৯ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪৯.৯১ শতাংশ, সেতু বিভাগের ৪৬.৬৮ শতাংশ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯.৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বাস্তবায়ন হার বেশি। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বসছি। যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প শেষ করছি। প্রকল্প পরিচালক দক্ষতা বাড়াতেও উদ্যোগ নিচ্ছি।’


বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি   এডিপি   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন