ইনসাইড এডুকেশন

ঢাবিতে এক শিক্ষার্থীকে ‘গেস্টরুম নির্যাতন’, হুমকির মুখে হল ত্যাগ

প্রকাশ: ০৮:৪৩ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ঢাবিতে এক শিক্ষার্থীকে ‘গেস্টরুম নির্যাতন’, হুমকির মুখে হল ত্যাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলের মাঠে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর কথা বলার জেরে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থী ‘গেস্টরুম নির্যাতনের’ শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হুমকির মুখে হল ছেড়েছেন ওই শিক্ষার্থী। 

গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান। তিনি শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে পড়েন। এ ঘটনায় ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলের ওই শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

তার অভিযোগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী রোকনুজ্জামান রোকন তাকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেছেন। এ ঘটনায় হুমকির মুখে হল ছেড়েছেন তিনি। 

প্রাধ্যক্ষকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে তৈমুর বলেন, ‘হলের মাঠে সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে কেন কথা বলেছি—এটি জিজ্ঞাসা করে রোকনুজ্জামান আমাকে সর্বশক্তি দিয়ে থাপ্পড় দেন। এতে কয়েক ঘণ্টা কানে শুনতে পাইনি এবং তীব্র মাথাব্যথায় ভুগতে থাকি।’

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘এর পর রোকনুজ্জামান আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি হল প্রশাসনকে জানালে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। একপর্যায়ে আমি ভয় পেয়ে ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হল ছেড়ে ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি।’

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যোগাযোগ করা হলে মোল্লা তৈমুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছা ৎরক্তদাতা সংগঠন বাঁধনে কাজ করি। গত মঙ্গলবার রাতে ওয়ালিউল্লাহ রনি নামে তৃতীয় বর্ষের এক ভাই আমাকে রক্তের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডাকেন। হলের মাঠে আমি তার সঙ্গে কথা বলি। রোকনুজ্জামান আমাকে সেই বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন।’

তিনি বলেন, ‘গেস্টরুমের নিয়ম অনুযায়ী, ইমিডিয়েট সিনিয়র ছাড়া অন্য কোনো সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা যায় না। সাধারণত আমরা বলিও না। কিন্তু রক্তের ব্যাপার হওয়ায় ওই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। পরে সেদিন রাতে হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে আমাদের গেস্টরুম হয়।’

হলের মাঠে কোন ভাইয়ের সঙ্গে কী নিয়ে কথা বলেছি, গেস্টরুমে রোকনুজ্জামান আমার কাছে জানতে চান। তখন আমি বলি, রক্তের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের ওই ভাইয়ের নাম আমি বলিনি—বলেন তৈমুর। নাম না বলার জন্য রোকনুজ্জামান তার ওপর নির্যাতন চালান অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমার বুকে আঘাত করেন রোকন। পরে বালিশ দিয়ে কিছুক্ষণ মারেন। এর পর জোরে থাপ্পড় দেন। কোনো রকমে সেদিন সার্ভাইভ (রক্ষা) করে পরের দিন ভোরবেলাতেই ভাইয়ের বাসায় চলে এসেছি।’

এ এফ রহমান হলের অতিথিকক্ষ আকারে ছোট হওয়ায় গণরুমেই ‘গেস্টরুম নির্যাতন’ করা হয় উল্লেখ করে তৈমুর বলেন, গেস্টরুমে তার বন্ধুদের নিয়মিতই মারধর করা হয়। বুধবারও তিনজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের কান দিয়ে রক্তপাত হয়েছে। কিন্তু ওই ছাত্র অভিযোগ দিতে ভয় পাচ্ছেন।

যোগাযোগ করা হলে রোকনুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করেন। নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘গেস্টরুমে যাওয়ার পর আমি তৈমুরকে জিজ্ঞেস করি, তুমি কোনো ভাইকে চেন? অনেকবার জিজ্ঞেস করার পরও উত্তর না পেয়ে জিজ্ঞেস করেছি, তুমি কি বেয়াদব? এর বাইরে গেস্টরুমে কিছুই ঘটেনি। আমি তাকে কোনো হুমকিও দিইনি।’

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   ঢাবি   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৬ মে

প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল রোববার (১২ মে) প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। তাদের সামনে এখন ভালো কলেজের ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন। এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। সেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে ২৬ মে।

ভর্তি তারিখ, ফিসহ আনুষ্ঠানিক নানা বিষয় চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার (১৩ মে) বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। এবারও ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। কেবল অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে এবং নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে ফল প্রকাশের প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

এবার হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মিশনারি পরিচালিত নটরডেম, হলিক্রস ও সেন্ট জোসেফ কলেজ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করবে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।

অনলাইনে আবেদন

অনলাইনে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করা যাবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে এর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আগে প্রাথমিক নিশ্চায়ন ফি ছিল মোট ৩২৮ টাকা। রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪২ টাকা করায় মোট ফি বেড়েছে।

যারা ম্যানুয়ালি আবেদন করবে

পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হলেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান অথবা বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অথবা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় অথবা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে।

গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে

বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

ভর্তিতে ৭ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করতে হবে।


একাদশ   শ্রেণি   ভর্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, যেভাবে করতে হবে আবেদন

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল। এবারের পরিক্ষার ফলাফলে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম সোমবার (১৩ মে) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

রোববার (১২ মে) ফল প্রকাশের পর আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, সোমবার (১৩ মে) থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

যেভাবে আবেদন করতে হবে
শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএস-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যেকোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন: ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। ফল পুনর্নিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। 

পুনর্নিরীক্ষণে খাতার চারটি বিষয় দেখা হয়
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।


এসএসসি   চ্যালেঞ্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

যশোর বোর্ডে ফলাফলে এগিয়ে মেয়েরা


Thumbnail

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে পাসের হারের শীর্ষে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ বোর্ডে এ বছর মোট উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো ফলাফলে সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।

 

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাবে যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহম্মদ। 

 

তিনি জানান, ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন। উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সবথেকে ভলো ফলাফল করেছে মেয়েরা। এ বছর পাস করা ছাত্রদের সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৭৯১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭৮৬ জন।

 

তিনি আরও জানান, এবছর যশোর বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬১ জন। এর আগে গত বছর ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৬১৭ জন। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি। এছাড়া গত বছর পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। 

 

এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা জেলায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এবং সবচেয়ে কম পাসের হার মেহেরপুর ৮৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যশোর জেলায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ, খুলনা জেলায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ৬০, বাগেরহাট জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৭, কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাসের হার ৯০ দশমিক ৮২, ঝিনাইদহ জেলায় পাশের হার ৮৯ দশমিক ৫৯, মাগুরা জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাসান পারভেজ বলেন,'আমরা শিক্ষকেরা সবসময় অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা, এবং যশোর বোর্ড সারাদেশে সেরা।'


এসএসসি   ফলাফল   যশোর বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এসএসসি পরীক্ষায় এ বছর জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এই কলেজ থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। 

এবার জয়পুরহাট আরবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ২৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮২ জন। এছাড়া জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৭৯ জন। আর পাসের হার শতভাগ বলে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্তৃপক্ষ।

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, এ সাফল্য বিগত কয়েক বছর ধরে অর্জিত ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. মিজানুর রহমান সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ এ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা তাদের এ সাফল্যের পেছনে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং বিশেষভাবে তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। 

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মোঃ মিজানুর রহমান আশা প্রকাশ করেন জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও অক্ষুন্ন থাকবে।


এসএসসি   ফলালফল জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯.২৬


Thumbnail

সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডেও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার এ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এবার পাসের হারের সাথে বেড়েছে জিপিএ-৫। যা গত বছর ছিল ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ, শীর্ষে যশোর

এ বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ শিক্ষার্থী। যা গত বছর ছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ জন। বরাবরের মতো এবারও পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তোর দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এবার মেয়েদের পাসের হার ৯১.৯০ শতাংশ। আর ছেলেরা পাস করেছে ৮৬.৭৮ শতাংশ। এছাড়াও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৯৫ ছাত্রী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৫৭৯ জন ছাত্র।

আরও পড়ুন: কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় লাখ ৮৫৩ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন লাখ ৯৮ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৮ জন। অর্থাৎ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি ২১ হাজার ৩৭১ জন।


এসএসসি   ফলাফল   রাজশাহী বোর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন