ইনসাইড এডুকেশন

মানদণ্ড ঠিক থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২২


Thumbnail মানদণ্ড ঠিক থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানদণ্ড ঠিক থাকলে এমপিওভুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, পূর্বের জাতীয়করণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়লে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সবটুকু সক্ষমতা নিয়োগ করবে সরকার।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ মাঠে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এমপিওভুক্ততে সরকারের সক্ষমতার ব্যাপার আছে। কিন্তু যদি যোগ্য শিক্ষক না হন, তাহলে এমিপওভুক্তি সঠিক হবে না। শিক্ষক মানসম্পন্ন কি না, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, পাশের হার কত এসবের একটি মানদণ্ড থাকতে হবে। এসময় শিক্ষামন্ত্রী নিজেদের মানদণ্ড ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি আহ্বান জানান।

দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষার মান অর্জন করতে চাই। অতীতের অভিজ্ঞতা হলো আমরা যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান কি আরও বেড়েছে, নাকি কমেছে। এটা আগে বুঝতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে সেখানে শিক্ষার মান যদি বাড়ে তাহলে সবগুলোই জাতীয়করণ করা হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেকে দক্ষ করে তোলেন। আশা করবো আপনারা সবাই প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হবেন। যেখানে সুযোগ পাবেন সবাই প্রশিক্ষণ নিয়ে নেবেন। এখনতো অনলাইন, অফ লাইন দুইভাবে প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অনলাইনে নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন এখনও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দক্ষ, প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন। চলমান মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হবে। তবে শিক্ষা জাতীয়করণে সফলতা আসলেই হবে না, সেজন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে শিক্ষকদের।

স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।

মানদণ্ড   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   এমপিওভুক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শুরু হবে। এমনটি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১০ মে) সি (বাণিজ্য) ইউনিটের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, বিগত বছরের সংকীর্ণতা দূর করে এ বছর খুব দ্রুতই ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা আছে। আশা করছি ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ক্লাস শুরু হবে।

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবারের গুচ্ছের প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘সি’ ইউনিটে মোট ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী।

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকা ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)। 


শুরু   জুলাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

ঘরে বসেই জানা যাবে এসএসসির ফল

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী রবিবার (১২ মে) প্রকাশ করা হবে। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সম্প্রতি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১২ মে বেলা ১১টার পরে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর ফলাফল শিট ডাউনলোড করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের www.educationboardresults.gov.bd Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রির মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। এসএমএসে ফলাফল পেতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজেই শিক্ষার্থীরা ফলাফল পেয়ে যাবেন।


এসএসসি   ফল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের বি ইউনিটের পরীক্ষা আজ

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ। শুক্রবার (১০ মে) একযোগে সারাদেশের ২২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এ পরিক্ষা। সি ইউনিটে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের বিপরীতে প্রতি আসনে লড়াই করবেন ১১ জন শিক্ষার্থী।

গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের পরিবর্তে মোট আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী। এ হিসাবে আসন প্রতি লড়াই করবেন ১১ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী। আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরীক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা আগে সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ১৭ হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৫১৩ জন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার কলেজ ৩ হাজার ৪৮০ জন, ঢাকা গভ. মুসলিম হাই স্কুল ১ হাজার ২৪৫ জন পরীক্ষার্থী।

সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত কক্ষ খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। যদিও গুচ্ছের ভর্তি কমিটি বলেছেন, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্র প্রবেশ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার হলে কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।


গুচ্ছ বি ইউনিট   পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এতে জানানো হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে উদযাপন করতে হবে।

আগামী ২৫ বৈশাখ ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ১১ জ্যৈষ্ঠ ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সোমবার (৬ মে) দেশের মাদ্রাসাগুলোর অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের দুই কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে পালনের নির্দেশ দেয়।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   কবি   জন্মবার্ষিকী   মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু আজ

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

মঙ্গলবার (৭ মে) প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৬ মে) উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়। তবে দাবদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা ছাড়াও প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।

অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব এ ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে আগেই বিবৃতি দেয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ।

এতে আরও বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌‘কর্মবিরতি’ পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস ‘কর্মবিরতি’র মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তারা বলেন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ থাকেন। একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।


প্রাথমিক বিদ্যালয়   ক্লাস   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন