চলতি বছরের শেষ সময় এসে আকস্মিকভাবে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেন, ‘এই বৃত্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।’
বিবৃতি দাতা বিশিষ্ট নাগরিকেরা হলেন- অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, রামেন্দু মজুমদার, সুলতানা কামাল, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, রাশেদা কে চৌধূরী, অধ্যাপক মনজুর আহমেদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, কাজী ফারুক আহমেদ, আসিফ সালেহ, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নজরুল ইসলাম খান, কাজী রফিকুল আলম, এজাজুল ইসলাম, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, শাহীন আনাম, মোস্তাক রাজা চৌধুরী, এম. সাখাওয়াত হোসেন, সঞ্জিব দ্রং, করভি রাকসন্দ, মালেকা বেগম, খালেদ মাসুদ পাইলট, অধ্যাপক শফি আহমেদ ও অধ্যাপক এম তারিক আহসান।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এই দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আকস্মিকভাবেই এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়; যদিও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের শেষে হঠাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া একদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষা সংস্কারের জন্যও নেতিবাচক হবে।
বিশিষ্ট নাগরিকদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, এটি সর্বজন বিদিত যে ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত শিক্ষাক্রম সংস্কারসহ বর্তমান সরকারের কিছু শিক্ষাবান্ধব কৌশল ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু দৃশ্যমান সাফল্য এনেছে। এই অর্জনগুলো এখন সারা বিশ্বেও স্বীকৃত। এক সময় প্রচলিত ব্যবস্থায় মেধাবৃত্তি প্রদানের উপায় হিসেবে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতো ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা’। ২০০৯ সালে সেটি বাদ দিয়ে শুরু হয় ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি)’পরীক্ষা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা বিবেচনায় নিয়ে তিন বছর ধরে পিইসি পরীক্ষা হচ্ছে না। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম, যে শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ অবস্থায় বছরের একেবারে শেষ সময় আকস্মিকভাবেই পুরোনো ব্যবস্থার মতো ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা’ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার যৌক্তিকতা ও নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রতিবছর ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন স্তরের ও নানা ধরনের আর্থসামাজিক অবস্থানে থাকা, এমনকি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও বাছাই করা হয়ে থাকে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সব শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের এ রকম একটি সুন্দর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন শুধু ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য হঠাৎ ‘বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু করা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। তদুপরি এই পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা ইতিপূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে অভিভাবকদের বাড়তি খরচেরও সম্মুখীন হতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী শিক্ষায় পরিবর্তনের যে ইতিবাচক ধারা তৈরি হচ্ছে, সেখানে এভাবে হুট করে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের ওপর নানামুখী মানসিক ও শারীরিক চাপ পড়বে। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে যেখানে সব শিক্ষার্থীর মেধার সম্পূর্ণ বিকাশের নানা দিককে উৎসাহিত করা হচ্ছে, সেখানে মাত্র ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বাছাই করে একটি বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করলে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী।
বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, “আমরা আশা করছি, নীতিনির্ধারকেরা আকস্মিকভাবে ঘোষিত এবং জাতীয়ভাবে পরিচালিত “প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা”র মতো পাবলিক পরীক্ষার (High Stake Exam) পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর দিকনির্দেশনার আলোকে সব শিক্ষার্থীর জন্য উপজেলাভিত্তিক বাছাইয়ের মাধ্যমে মেধাবৃত্তি প্রদানের বিষয়টিকে বিবেচনা করবেন। এর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণের পথে এগিয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি। যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ এবং এসডিজি-৪–এর লক্ষ্য ‘সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা’র অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। বেগবান হবে জাতীয় সম্মিলিত প্রয়াস- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
বিশিষ্ট নাগরিকেরা আরও বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোর লক্ষ্যে বর্তমানে প্রচলিত সনাতন শিখনকালীন মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং পরীক্ষা নির্ভর, সনদসর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময় দেওয়া বক্তব্য অনুপ্রাণিত করেছে। কিন্তু শুধু ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে একটি বৃত্তি পরীক্ষা চালুর ঘোষণা হতাশ করেছে। শিক্ষা নিয়ে প্রায়ই এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে থাকে, যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে জানানো হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে উদযাপন করতে হবে।
আগামী ২৫ বৈশাখ ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ১১ জ্যৈষ্ঠ ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সোমবার (৬ মে) দেশের মাদ্রাসাগুলোর অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের দুই কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে পালনের নির্দেশ দেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবি জন্মবার্ষিকী মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ মে) প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৬ মে) উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়। তবে দাবদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা ছাড়াও প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব এ ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে আগেই বিবৃতি দেয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ।
এতে আরও বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‘কর্মবিরতি’ পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস ‘কর্মবিরতি’র মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তারা বলেন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ থাকেন। একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্লাস প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির
জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ (মানবিক) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
রোববার (৫ মে) জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় এ ফল উপস্থাপনের
পর প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির
জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।
ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির
জন্য এ বছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৮৫ হাজার
৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০
নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যে হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক
৩৩ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর
পেয়ে প্রথম হয়েছেন ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রুকাইয়া
ফেরদৌস লামিয়া। তার রোল নং ৩১৮৬৩০ এবং তার কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।
এ ছাড়াও পরীক্ষায় ৭৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে
৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০
নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের
উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ৩১০৮৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এ ছাড়াও পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল
হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১টা
৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে
পারবেন।
এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও
ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের
৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত
শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে
পাবেন। গুচ্ছভুক্ত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার (৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৬ মে) উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।