দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধনের প্রত্যয়ে হাত মিলিয়েছে হেইলিবেরি ভালুকা ও বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিট। এ উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে উভয়ের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
হেইলিবেরি ভালুকা’র প্রতিষ্ঠাতা হেডমাস্টার সাইমন ও’গ্রেডি এবং ভ্যালর অফ বাংলাদেশ’এর নির্বাহী পরিচালক নাজমুস আহমেদ আলবাব নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
হেইলিবেরি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুল, যেটি বাংলাদেশে হেইলিবেরি ভালুকা’র মাধ্যমে দেশীয় শিক্ষা অবকাঠামোতে নতুন মাত্রা যুক্ত করছে। শিক্ষার্থীদের জন্য হেইলিবেরি ভালুকায় নিশ্চিত করা হয়েছে শিক্ষার অনন্য পরিবেশ, যা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের পাশপাশি তাদের মাঝে উদ্ভাবনী ও নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন কৌশলগত উদ্যোগের সাহায্যে দেশের অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ভ্যালর অফ বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠান দু’টির সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে এক কার্যকরী অংশীদারিত্বের পথ তৈরি হয়েছে, যা আগামীতে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষা, সেরা উদ্ভাবনী ও অভাবনীয় সাফল্যের সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
এই অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় নলেজ শেয়ারিং, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উন্নত সুযোগ ও কাঠামো তৈরি হতে যাচ্ছে। চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য সমূহের মধ্যে রয়েছে দক্ষতা বিনিময় (এক্সচেঞ্জ অব এক্সপার্টিজ)। শিক্ষা ও কৌশলগত দিক সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে হেইলিবেরি ভালুকা ও বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিটের মধ্যে নিজস্ব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আন্তবিনিময়ের মাধ্যমে কার্যকরী রূপান্তর সাধন করবে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী পন্থার বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং কনফারেন্স আয়োজিত হবে, যা পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে শিক্ষার্থীদের তাল মিলিয়ে চলতে আরো সক্ষম করে তুলবে।
শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবিদের জন্য যৌথভাবে শিক্ষামূলক প্রকল্প পরিচালনা করবে হেইলিবেরি ভালুকা ও বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিট। গবেষণা ক্ষেত্রে এমন যৌথ প্রয়াস শিক্ষা ও কৌশলগত খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে হেইলিবেরি ভালুকা’র প্রতিষ্ঠাতা হেডমাস্টার সাইমন ও’গ্রেডি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হেইলিবেরি ভালুকা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিটের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এর প্রমাণ। ক্রিস্টোফার নোল্যান কিংবা স্যাম বিলিংসের মত খ্যাতনামা শিল্পীরা হেইলিবেরি’র শিক্ষার্থী ছিলেন। আগামীতেও এমন মেধাবী ব্যক্তিত্ব ও উদ্ভাবনীর বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিটের সাথে হাত মিলিয়েছি।’
ভ্যালর অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক নাজমুস আহমেদ আলবাব বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বোর্ডিং স্কুল হেইলিবেরি ভালুকার সাথে একযোগে আমরা বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কৌশল ও উদ্ভাবনীগত দক্ষতায় অনবদ্য করে গড়ে তুলতে চাই। দেশের শিক্ষা ও কৌশলগত দক্ষতার বিকাশে এটি এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে।’
আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দানকারী তরুণদের সামনে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়ে আরো বেশি সুযোগ ও অনুপ্রেরণা সঞ্চার করার ক্ষেত্রে হেইলিবেরি ভালুকা ও বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিটের এই অংশীদারিত্ব এক মাইলফলক হিসেবে দাঁড়াবে বলে আশা করা যায়।
হেইলিবেরি ভালুকা বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি সামিট সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় ৪৪তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে
উত্তীর্ণদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী
সাধারণ ক্যাডারে মৌখিক পরীখ্ষা ৮ মে শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে শেষ হবে ৩১ জুলাই।
সম্প্রতি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা, ২০২১ এর
লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক
পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের
প্রয়োজন হলে, কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
কমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের
ওয়েবসাইট http://bpsc.teletalk.com.bd -এ তথ্য পাওয়া যাবে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়, আবেদনের
শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের
২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী
পাস করেন। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া
হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০,
আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন
ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল
ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।
৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা সময়সূচি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে খোলার একদিনের মাথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।
গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন- সংবাদমাধ্যমে আসা এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন তাও দেখার বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।
এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।
বিদ্যালয় বন্ধ শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র দাবদাহ
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনের এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশাসনিক আদেশ দেয়নি। ফলে তা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।