সাভার
সরকারি কলেজের ৪২জন শিক্ষক ১৩মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। কলেজটি সরকারি হওযার পর বাদ
পড়ে ২২ জন অস্থায়ী
শিক্ষক এবং ২০ জন
অতিথি শিক্ষক। তারা কলেজের নিয়মিত কার্যক্রমে
অংশ নিলেও ১৩ মাস
ধরে বেতন-বোনাস কিছুই
পাচ্ছেন না। এতে এক প্রকার
মানবেতর দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এসব
শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের
অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ বকেয়া
পরিশোধের আশ্বাস দিলেও সমস্যা সমাধানে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে
না । তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে,
ইতোমধ্যে শিক্ষকদের বকেয়া পরিশোধে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজের সাতটি
বিভাগের প্রধানদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন
করা হয়। ইতোমধ্যে তাদের
পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে
একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন।
এদিকে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের সমন্নয়হীনতার
কারণে এই সমস্যা সমাধানে
গঠিত কমিটির সুপারিশ থাকা সত্বেও দীর্ঘদিন
হওয়ার পরও বিষয়টির সমাধান
হচ্ছে না। অধ্যক্ষ একাডেমিক
কাউন্সিলের সহসভাপতি উপাধক্ষ্যকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকার জন্য
নির্দেশনা দেওয়ার পরেও সেটি বাস্তবায়ন
করছেন না তিনি।
ভুক্তভোগী
শিক্ষকরা জানান, সাভার সরকারি কলেজটি সরকারিকরণ করা হয় গত
বছর। একই বছরের ১৬
আগস্ট শিক্ষকদের এডহক নিয়োগ আদেশ
জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ। ওই আদেশে বাদ
পরে যান সাভার সরকারি
কলেজের ২২ জন শিক্ষক।
কলেজে নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তারা।
তাদের সঙ্গে অতিথি শিক্ষক হিসেবে আরও ২০ শিক্ষকও
শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন নিয়মিত।
তবে গত ১৩মাস তারা
কোনো বেতন-বোনাস পাননি।
বেতন-বোনাসের এ সমস্যা সমাধানে
স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কলেজের
অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময়ে সমস্যা সমাধানে
আশ্বাসও দিয়েছেন কিন্তু এখনো কোন সমাধান হয়নি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিভাগের প্রভাষক ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. সাদেক হোসেন
বলেন, ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিটি বিষয়ে আমরা নিয়মিত অংশ
নিচ্ছি। গত এক বছরের
বিভিন্ন সময়ে কলেজ অধ্যক্ষের
সঙ্গে কথা বলে আমাদের
সমস্যার কথা জানিয়ে সমাধান
চেয়েছি। তিনি প্রতিবারই আমাদের
আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সমস্যার
সমাধান হয়নি। তাই আমাদের দাবি,
অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই যেন এই সমস্যাটির
সমাধান করা হয়।
ইসলামিক
স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের ১৬
আগস্টের পর থেকে আমাদের
বেতন-বোনাস বন্ধ করে দেয়
কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর আগে আমাদের
নিয়মিত বেতন-বোনাস দেওয়া
হতো। গত এক বছরে
বারবারই আমাদের বলা হয়েছে সমস্যার
সমাধান হয়ে যাবে। আমরাও
আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষাকার্যক্রমে অংশ নিয়েছি। কখনোই
আমাদের নিষেধ করা হয়নি। কবে
সমস্যার সমাধান হবে সেটিও অনিশ্চিত।
ঈদেও আর্থিক ভাতা আমাদের দেওয়া
হয়নি। আমাদের সঞ্চয় যা ছিল তা
দিয়েই কোনমতে এতোদিন চলেছি। এখন দূরহ হয়ে
পড়েছে।
এদিকে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজটির একাধিক শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের মধ্যে
বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এতে নানান সময়ে
কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন বোনাস না
পাওয়ার বিষয়টি কেবলমাত্র একাডেমিক কাউন্সিলের সভা না হওয়ার
কারণে সমাধান হচ্ছে না। অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষকে
সভা ডাকার নির্দেশ দিলেও তিনি সভা ডাকছেন
না।
সভা
না ডাকার বিষয়টি স্বীকার করে কলেজের উপাধ্যক্ষ
ও একাডেমিক কাউন্সিলের সহ সভাপতি দিল
আফরোজ শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভাটি আমার ডাকার কথা।
অধ্যক্ষ আমাকে সভা ডাকতে বলেছেন।
কলেজের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে শিক্ষকদের বেতন
দেয়ার বিষয়ে এর আগে আমাদের
আলোচনা হয়েছে কিন্তু কতদিনের মধ্যে শিক্ষকদের বেতন বোনাস পরিশোধ
করা হবে অধ্যক্ষ এই
বিষয়টি আমাদের জানাননি। তাই আমি একাডেমিক
কাউন্সিলের সভাটি ডাকা হয়নি। সংকট
নিরসনে গঠিত কমিটির অনেকে
অস্থায়ী শিক্ষকদের অতিথি শিক্ষক করতে চাচ্ছেন। কিন্তু
আমি চাই তারা অস্থায়ী
শিক্ষক হিসেবেই থাকুক। অধ্যক্ষের সঙ্গে আমার কোনো মতোবিরোধ
নেই।
এ
ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইমরুল হাসান
গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৮ সালের আত্তীকরণ
বিধিমালা অনুসারে সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথাভাবে মেনে যাদের কলেজে
নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের আত্তীকরণ করা হয়। এই
নিয়মের বাইরে কাউকে আত্তীকরণ করা হয়নি। ২০২২
এর ১৬ আগস্ট এডহক
নিয়োগ আদেশ জারির সময়
সাভার সরকারি কলেজের ২২ জন অস্থায়ী
শিক্ষক বাদ পড়েন। তবে
ওই অস্থায়ী শিক্ষকরাসহ বেশ কয়েকজন অতিথি
শিক্ষক কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। তাদের
বকেয়া পাওনার বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে কলেজের ফিক্সড ডিপোজিটে কতো টাকা রয়েছে
তা যাচাই এবং সেখানে থেকে
বকেয়া পাওনা পরিশোধে করণীয় বিষয় জানতে একটি
কমিটি করা হয়েছিল। ওই
কমিটি একটি প্রতিবেদনও জমা
দিয়েছেন। এখন একাডেমিক কাউন্সিলের
সভা হলেই এ ব্যাপারে
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধানে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। ইতোমধ্যে উপাধ্যক্ষকে সভা ডাকার নির্দেশনা
দিয়েছি। আশা করছি তিনি
দ্রুতই সভা ডাকবেন।
সাভার সরকারি কলেজ শিক্ষক বেতন বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধ ছিল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা।
বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম
এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে
যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে
প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে রোববার (৫ মে) হতে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে, প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খুলে দেওয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস
বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়
বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ
থাকার পর আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে
এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার
(৫ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো..
·
তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
·
শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে
পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
·
তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার
ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের
জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
স্কুল-কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে শনিবার থেকে খুলছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গরমের কারণে কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।
এসব জেলার বাইরে সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকবে। এছাড়াও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী রোববার থেকে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন