নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৯
স্বল্পভাষী আল-আমিনের কথা শুনে মুগ্ধ হবে যে কেউ। তার দাবি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হওয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর তপন কুমার সরকার তাকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা চিঠির সূত্র ধরে রাজধানীর নিকুঞ্জে আল-আমিনের বাসায় যায় গণমাধ্যম কর্মীরা।
আল-আমিন তখন বলেন, বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর অনেক কষ্ট করে তার দাদা দাদি তাকে মানুষ করেছেন। তাদের সহযোগিতার কারণে দেশ সেরা ফল।
তিনি আরও বলেন, এইবার আমার পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। কেনো জানি আল্লাহ তালার অশেষ রহমত। আমার আশা ছিলো না সারাদেশে প্রথম হবো। এটা আসলে আমার আশার তুলনায় অনেক বেশি। এটা আল্লাহ তাআলার রহমত আমার প্রতি। আমি সর্বমোট নাম্বার পেয়েছি ১২৯৪।
তার কথা বলার সময় সন্দেহ হলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে জানা যায়। বোর্ড থেকে এমন কাউকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। আর চিঠিতে যার সই আছে তিনি সব কিছু শুনে অবাক।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার বলেন, এই রকম চিঠি কোন পরীক্ষার্থী কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানকে আমরা দেই নি। এটি সম্পূর্ণ একটি প্রতারক চক্র। এটা সম্পূর্ণ ফেক। এটা জালিয়াতি।
আল আমিন নিজেকে যে নটরডেম কলেজের পরিক্ষার্থী দাবী করছেন। সেই কলেজেও তার কোন অস্তিত্ব নেই।
এ ব্যাপারে নটরডেম কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফাদার লিওনার্ড শঙ্কর রোজারিও গণমাধ্যমে বলেন, আল-আমিনের রোল নাম্বার আমাদের কলেজের কারো সাথে মিলে না এটা ফেইক।
এদিকে আল-আমিনের এমন মিথ্যাচার লক্ষ্য মানুষের সহমর্মিতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করা। ২০১৭ সালে এইচএসসিতে দ্বিতীয় হয়েছে দাবি করেও আল-আমিন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল। তখন এই আল-আমিনের লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছিলেন অনেকে। তবে কেউ জানতেন না কারও খবর। এবারও নকল চিঠি দেখে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন অনেকেই।
প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণ হয়ে গেলে আরেকবার আল-আমিনের বাসায় গিয়ে কাউকে আর পাওয়া যায়নি। আর এমন প্রতারণার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিছেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা
পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
‘বি’ ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) এবার ৯৪ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, জানায়নি মন্ত্রণালয়
জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে গুচ্ছভুক্ত যে সব বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের শুক্রবার
(০৩ মে) সকাল ১১টা ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি
পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গুচ্ছে ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা নির্দেশনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় ৪৪তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে
উত্তীর্ণদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী
সাধারণ ক্যাডারে মৌখিক পরীখ্ষা ৮ মে শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে শেষ হবে ৩১ জুলাই।
সম্প্রতি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা, ২০২১ এর
লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক
পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের
প্রয়োজন হলে, কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
কমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের
ওয়েবসাইট http://bpsc.teletalk.com.bd -এ তথ্য পাওয়া যাবে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়, আবেদনের
শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের
২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী
পাস করেন। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া
হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০,
আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন
ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল
ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।
৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা সময়সূচি
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনের এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশাসনিক আদেশ দেয়নি। ফলে তা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।