ইনসাইড এডুকেশন

শিক্ষার ১২ টা কি বেজেই গেল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

 

বাংলাদেশে করোনা সংকটের শুরু থেকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল অর্থনীতিকে। মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি শিক্ষা খাতকে। করোনা সংকট আবার দেখিয়ে দিল যে, শিক্ষা আমাদের কাছে কত উপেক্ষিত! গত মার্চ মাস থেকেই দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকের পরীক্ষা হয়েছে, ফলাফলও প্রকাশিত করা হয়েছে- এটাই কেবল সাফল্য।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে চলতি সেশনের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে, অনলাইনে তাদের ক্লাশ চলছে। আর এভাবে অনলাইনের নামে শিক্ষা যেন এখন মোবাইল বা টেলিভিশনে বন্দী হয়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম এখন যেন পুরোটাই অনানুষ্ঠানিক হয়ে গেছে। কিন্তু এতো কিছুর মধ্যে শিক্ষা বর্ষ শেষে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার একটা আশ্বাস বা আশা ছিল। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রী জানান, এ বছর আর স্কুল খুলছে না। সেইসাথে স্কুল বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। পরবর্তী ক্লাশে উত্তীর্ণ হবার জন্য শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক মূল্যায়নের কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এজন্য এক মাসের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে তার ওপর এই মূল্যায়ন হবে।

কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রী কি জানেন? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এক্সেস বা ডিজিটাল মাধ্যমে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুবিধা নেই। ফলে এই সময়ে অনলাইন ক্লাশের নামে যা হচ্ছে- তাতে খুব কম শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হচ্ছে; মুষ্টিমেয় কিছু উচ্চবিত্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া। সরকার অর্থনীতিকে চালু করার জন্য সবকিছুকেই চালু করে দিয়েছে। অফিস-আদালত থেকে শুর করে হাট-বাজার সকল কিছু। খেলা, সিনেমা হলও চালু হয়ে গেছে। কিন্তু শুধু এক শিক্ষা নিয়েই করোনার ভয়ের কথা বলা হচ্ছে। করোনার জুজু যেন শিক্ষা খাতকে গ্রাস করে ফেলছে।

করোনার এই সাত মাসে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত এখন শিক্ষা খাত। ইউনিসেফের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, করোনা শেষে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশের শিক্ষার্থী আর স্কুলে ফিরতে পারবে না। শিক্ষার সাথে যে শুধু পড়াশোনাই জড়িত, এমন নয়; এর সাথে অনেক বিষয়ই জড়িত। দেশের দরিদ্র্য পীড়িত অঞ্চলে স্কুল থেকে মিড ডে ফুড পায় শিক্ষার্থীরা। এটা শিক্ষার্থীদের পুষ্টির অনেক বড় একটি অংশের জোগান দেয়। দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনেক বড় একটা অংশ বিভিন্ন খণ্ডকালীন চাকরি করে পরিবারে অর্থের জোগান দেয়। অনেকে শিক্ষার্থী আবার টিউশনির টাকায় নিজের খরচ চালিয়ে গ্রামে মা-বাবাকে টাকা দেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ। তাদের থাকার জায়গা নেই, টিউশনি নেই। ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মতো স্থবির হয়ে পড়েছে তাদের উপার্জনের একমাত্র উৎসটি।

দীর্ঘদিন পর এবার উচ্চ শিক্ষাতেও একটি সেশন জট তৈরি হয়েছে। সংকটকালীন এই সময়ে অর্থনৈতিক ঝুকি এড়াতে প্রণোদনা প্যাকেজ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে সংকট এড়াতে কিছুই যেন করা হয়ে উঠেনি। শিক্ষামন্ত্রী কিছু দিন পরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে একটা বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেখানে দৃশ্যমান কিছুই থাকে না। চেষ্টা করলেই যে, কাজ করা যায়- তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখিয়ে দিয়েছে। প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, তারা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিবে না। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেশের সবকটি বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশে অনেক শিক্ষাবিদ রয়েছে, যারা শিক্ষা নিয়ে অনেক কাজ করেছেন, অনেক গবেষণা করেছেন। মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এই রকম অসংখ্য শিক্ষাবিদ রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী তাদের সাথে কোন রকম পরামর্শ করেছেন কিনা, কথা বলেছেন কিনা- তা জানা যায় না। তাদের সাথে কথা বললে সমাধানের একাধিক পথ খুঁজে পাওয়া যেত। প্রতিবেশি দেশ ভারতের কয়েকটি জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। একাধিক শিফট কিংবা সপ্তাহে একদিন স্কুলে আসা সহ অসংখ্য বিকল্প পদ্ধতিতে একটা পথ খুঁজে বের করা যেত। যতটুকু পারা যায় পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সুযোগ ছিল, সুযোগ ছিল সময় নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ারও। এসব নিয়ে কোন রকম গবেষণা ছাড়াই, মাথা ব্যাথায় মাথা কেটে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

এভাবে কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও অনলাইনের পাশাপাশি ক্লাশ চালু করে দিয়েছে। ইউরোপ সহ বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে তুলনা করে তো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। আমাদের কাছে শিক্ষা যে সব সময় একটা উপেক্ষিত বিষয়, এই করোনা সংকট যেন তা আবারও আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, প্রমাণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের যদি কোন সূচনা বিন্দু থাকে, তাহলে এই সূচনা যেন শুরু হয়েছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর হাত ধরে। আর তাই বলাই যায়, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ১২ টা বাজতে আর বেশি দেরি নেই।          



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে- এই তিনটি তারিখের মধ্যে যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ, এসব পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয় ১২ মার্চ। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


এসএসসি   শিক্ষা বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ (২৭ এপ্রিল)। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিনে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নেওয়া হবে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা।

এছাড়া আগামী ৩ মে শুক্রবার (‘বি’ ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (‘সি’ ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন।

চলতি বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসেবে আসনপ্রতি লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলে ১২-২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।


গুচ্ছ   ভর্তি   পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন