নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০২০
২০২২ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আসছে নতুন পাঠ্যক্রম। আর সেই পাঠ্যক্রমে আলাদা করে কোনো বিভাগ বিভাজন থাকবে না। অর্থাৎ এখন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পর্যায়, অর্থাৎ নবম শ্রেণিতে ভর্তির সময় বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য— এই তিনটি বিভাগের মধ্যে একটি বেছে নিতে হয়। নতুন পাঠ্যক্রমে নবম-দশম শ্রেণিতেও সবাই অভিন্ন একটি বিভাগের আওতায় পড়ালেখা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান। সংসদে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বিষয়ক বিল পাস করার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বিলের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধিতা করলে তাদের জবাব দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিকুলামের পুরোটা পর্যালোচনার কাজ চলছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই এর একটি চূড়ান্ত রূপ আপনারা দেখতে পাবেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন করে আমরা যে কারিকুলাম প্রণয়ন করছি, সেখানে সব ধরনের শিক্ষা থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নবম-দশম শ্রেণিতে আর বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা— এই বিভাগগুলো রাখছি না। সব শিক্ষার্থী সব ধরনের শিক্ষা নিয়ে স্কুলের ১০টি বছর শেষ করবে।
২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে সংসদে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, নতুন করে আমরা যে কারিকুলাম প্রণয়ন করতে যাচ্ছি, সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামনে রেখে তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের ইতিাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে উপজীব্য করে প্রণয়ন করা হচ্ছে এই কারিকুলাম। ২১ শতকের যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা করা, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করার জন্য আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জন করা এবং এর জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন, সেই সোনার মানুষ গড়ে তুলতে আমাদের নতুন এই কারিকুলাম হবে।
আমাদের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সবাইকে একই পাঠ্যক্রমে পড়ালেখা করতে হয়। নবম শ্রেণি থেকে শুরু হয় বিভাগ বিভাজন। নতুন পাঠ্যক্রম এলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে একই পাঠ্যক্রমে একই পাঠ্যবইয়ে পড়ালেখা করতে হবে। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের ১০ বছর সব শিক্ষার্থীই সব বিষয়ে সমান শিক্ষা পাবে। একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে বিভাগ বিভাজন শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ
থাকার পর আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে
এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার
(৫ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো..
·
তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
·
শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে
পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
·
তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার
ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের
জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
স্কুল-কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে শনিবার থেকে খুলছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গরমের কারণে কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।
এসব জেলার বাইরে সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকবে। এছাড়াও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী রোববার থেকে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা
পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
‘বি’ ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) এবার ৯৪ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, জানায়নি মন্ত্রণালয়
জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে গুচ্ছভুক্ত যে সব বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের শুক্রবার
(০৩ মে) সকাল ১১টা ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি
পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গুচ্ছে ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা নির্দেশনা
মন্তব্য করুন