নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০১ অক্টোবর, ২০১৭
বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বুয়েটের পরীক্ষা সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক। শুধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, সব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের মধ্যেই বুয়েটের পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করে বুয়েটে পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। দেশের সেরা সেরা শিক্ষার্থীরা এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করে বলে সবারই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা।
বুয়েটে সুযোগ পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে তাঁর সবটুকু দিয়েই পরিশ্রম করতে হবে। খুবই নিকটে পরীক্ষা থাকায় ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। সেই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বাংলা ইনসাইডারের এই প্রতিবেদনে বুয়েটের ভর্তি কার্যক্রম ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হল।
ভর্তি কার্যক্রম
বুয়েটে ৫টি অনুষদের অধীনে মোট ১৮টি বিভাগ রয়েছে।
প্রকৌশল অনুষদ
এই অনুষদের অধীনে কেমিকৌশল ,বস্ত্র ও ধাতব কৌশল, গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ এবং গ্লাস ও সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং এই সাতটি বিভাগ রয়েছে।
যন্ত্রকৌশল অনুষদ
এই অনুষদের অধীনে যন্ত্রকৌশল, নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল এবং ইন্ড্রাস্টিয়াল এ্ন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এই তিনটি বিভাগ রয়েছে।
পুরকৌশল অনুষদ
পুরকৌশল ও পানিসম্পদ কৌশল এই দুটি বিভাগ রয়েছে এই অনুষদের অধীনে।
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল অনুষদ
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এই তিনটি বিভাগ রয়েছে এই অনুষদে।
স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ
এই অনুষদের অধীনে স্থাপত্য, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা ও মানবিক বিভাগ রয়েছে।
প্রস্তুতি
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। লিখিত মোট ৬০টি প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের মানবন্টন থাকবে ১০ করে। এই ৬০টি প্রশ্নের মধ্যে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থেকে ২০টি করে প্রশ্ন থাকবে।
গণিত
গণিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গণিতের চর্চা করতে হবে। গণিতের অনেক প্রশ্নই টেক্সট বই থেকে সরাসরি তুলে দেয়া হয়। আবার এমনও দেখা যায়, কিছু প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং মূল বই ভালোভাবে পড়া থাকলে গণিতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
গণিতের জন্য আফসার উজ্জামান, হারুনুর রশীদ কিংবা এস ইউ আহমদের বইটা কাজে দেবে। বলবিদ্যার অঙ্কগুলো বুঝে করতে হবে পাশাপাশি ক্যালকুলাসের সূত্রগুলো মনে রাখতে হবে। গণিতে ভালো করার জন্য বেশিবেশি অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। Integration, Probability, Limit, বিন্যাস-সমাবেশ, জটিল সংখ্যার আর্গুমেন্ট, স্থিতিবিদ্যা (বিশেষত লামির উপপাদ্য ও বল ত্রিভুজ-সম্পর্কিত সমস্যা) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
পদার্থবিজ্ঞান
প্রতিটি তত্ত্ব ও সূত্রের প্রমাণ মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। একবারে মুখস্থ না করে প্রতিটি সূত্রের স্টেপ বাই স্টেপ বোঝার চেষ্টা করতে হবে। ভেক্টর, দ্বিমাত্রিক গতি, মহাকর্ষ, শব্দের বেগ, পৃষ্ঠটান, তুল্য রোধ (বিশেষত শর্ট সার্কিটসহ সমস্যা), তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া, আলোর প্রতিসরণ ও প্রিজম ইত্যাদিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম পত্রে গতিবিদ্যাসহ প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। আর দ্বিতীয় পত্রে চুম্বক, তড়িৎশক্তি, আলো এসব অধ্যায় থেকে প্রায় প্রতিবছরই রচনামূলক প্রশ্ন থাকে। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি বিষয় মনোযোগসহকারে এবং অবশ্যই বুঝে পড়তে হবে। থিওরিগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। তাহলে সহজেই মনে থাকবে।
রসায়ন
রসায়নের প্রশ্ন যদিও গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো এতটা কঠিন হয় না। তবুও এ বিষয়টাতে অনেক সময় দিতে হবে, বিশেষ করে জৈব রসায়ন চর্চায়। বিক্রিয়াগুলো বারবার লিখে চর্চা করতে হবে এবং ভাল করে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় সব বিক্রিয়া, সংকেত আলাদা খাতায় লিখে নোট করে রাখলে। দ্বিতীয় পত্রে প্রচুর বিক্রিয়া,পরীক্ষাগার প্রস্তুতি, শিল্পোৎপাদন, সংকেত, রূপান্তর পড়তে হবে। হাইড্রোকার্বন,অ্যালকোহল, জারণ বিজারণ, অম্ল ক্ষারক সাম্যাবস্থা ইত্যাদি ভালোভাবে চর্চা করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/আরএইচবি
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ
থাকার পর আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে
এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার
(৫ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো..
·
তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
·
শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে
পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
·
তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার
ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের
জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
স্কুল-কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে শনিবার থেকে খুলছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গরমের কারণে কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।
এসব জেলার বাইরে সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকবে। এছাড়াও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী রোববার থেকে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা
পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
‘বি’ ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) এবার ৯৪ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, জানায়নি মন্ত্রণালয়
জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে গুচ্ছভুক্ত যে সব বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের শুক্রবার
(০৩ মে) সকাল ১১টা ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি
পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গুচ্ছে ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা নির্দেশনা
মন্তব্য করুন