ইনসাইড এডুকেশন

ছাত্রলীগের ‘নাম ভাঙিয়ে’ কাদের নিয়োগ দিলেন রাবির বিদায়ী উপাচার্য?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২১


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ছাত্রলীগের ‘নাম ভাঙিয়ে’ বিতর্কিত এক নিয়োগ কাণ্ড ঘটিয়ে গেলেন। নিয়োগে ছাত্রলীগের কথা বললেও ১৪১ জনের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান, সাবেকসহ আশেপাশের বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগের ৪৩ জনের বেশি ছাত্রলীগের নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ভয়ঙ্কর রকমের এক নিয়োগ বাণিজ্য করে গেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবাহান।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ ছাত্রলীগের চাকরিপ্রাপ্ত নেতারা। এছাড়াও দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত ছাত্রলীগ নেতাদের অধিকাংশকে তৃতীয় শ্রেণির পদে চাকরি দিয়ে তাদেরকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা কেউ কেউ আবার চাকরিতে যোগদানও করেননি।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম স্বপন জানান, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেছি। তারপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছি। তারপরও আমাকে নিম্নমান সহকারীর একটি তৃতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করছি, এটা আমাকে এবং ছাত্রলীগকে অপমান করার একটি কৌশল। সে কারণে আমি চাকরিতে যোগদান করিনি। আমার মতো অধিকাংশ নেতাকেই এভাবে অপমান করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনোমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের ফারুক হাসান নামের এক ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিকে উচ্চমান সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। স্নাতকে ফাস্ট ক্লাস ফোর হলেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উচ্চমান সহকারী পদে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু বলেন, বিদায়ী উপাচার্যের ছিল এটা একটা অপকৌশল। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে তিনি মূলত নিয়োগ বাণিজ্য-ই করে গেলেন।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়াদ শেষে যাবার আগে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আবদুস সোবহান যে শতাধিক অস্থায়ী নিয়োগে সই করেছেন, সেই তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান-স্ত্রী-স্বজন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে একাধিক সাংবাদিক নেতাও রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার নিয়োগের জন্য প্রস্তুতকৃত ভিসির সই করা কাগজগুলো প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেই তালিকা ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।

যদিও গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগকে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তালিকা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিবারের ৩ জন সদস্য শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন। যে বিভাগগুলোতে নিয়োগ দেখানো হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জানে না সেই বিভাগের প্লানিং কমিটিও। এর বাইরে কর্মকর্তা পদেও নিয়োগ পেয়েছেন একাধিক শিক্ষকের স্বজন।

শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের খন্দকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে ঋত্বিক মাহমুদ। যিনি সংগীত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ তালিকায় ৫ নম্বরে নাম তার। খন্দকার ফরহাদ হোসেন লেখালেখির জগতে অনীক মাহমুদ নামে পরিচিত।

বিভাগীয় প্লানিং কমিটি থেকে ঋত্বিক মাহমুদের নিয়োগের সুপারিশ গেছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে সঙ্গীত বিভাগের প্লানিং কমিটির সদস্য পদ্মীনি দে বলেন, “নিয়োগ নিয়ে বিভাগীয় প্লানিং কমিটির কোনো সভা হয়নি। কীভাবে নিয়োগ দিয়ে গেছেন উপাচার্য সেটা সবাই জানেন।”

ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র-এর ছেলে ইন্দ্রানিল মিশ্র। নিয়োগ তালিকার ৩ নম্বরে আছে তার নাম।

এছাড়া দুই শিক্ষকের স্ত্রী নিয়োগ পেয়েছেন আবাসিক শিক্ষিকা হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন টিচিং অ্যান্ড লার্নিং-এর সহযোগী অধ্যাপক (আইটি) হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলামের স্ত্রী ড. সাবিহা ইয়াসমিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কলেজ পরিদর্শক ও অধ্যাপক ড. আব্দুল গণির স্ত্রী ফারহানা একরাম নিয়োগ পেয়েছেন তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষিকা হিসেবে। সহকারী আবাসিক শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন রিয়াজির স্ত্রী বুরুজ ই জোবাইরা।

শেষ সময়ের এই নিয়োগে অধ্যাপক আবদুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন সাংবাদিকের নিয়োগপত্রেও সই করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, জানায়নি মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনের এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশাসনিক আদেশ দেয়নি। ফলে তা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

এর আগে, চলমান তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। এই গরমের মধ্যে স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এমন ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে আদালতকে জানান তিনি।

পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ ছাড়া যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলেও আদেশে বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত

প্রকাশ: ০৮:৩৬ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় ৪৪তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে উত্তীর্ণদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সাধারণ ক্যাডারে মৌখিক পরীখ্ষা ৮ মে শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে শেষ হবে ৩১ জুলাই।

সম্প্রতি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা, ২০২১ এর লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে, কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।

কমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট http://bpsc.teletalk.com.bd -এ তথ্য পাওয়া যাবে।

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়, আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।

৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।


৪৪তম   বিসিএস   মৌখিক পরীক্ষা   সময়সূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বিদ্যালয় বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে নাখোশ শিক্ষামন্ত্রী, আপিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তবে খোলার একদিনের মাথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন- সংবাদমাধ্যমে আসা এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন তাও দেখার বিষয়।

মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।


বিদ্যালয় বন্ধ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

মঙ্গলবার ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের কারণে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলা, ঢাকা বিভাগের ৬ জেলা, রংপুরের ২ জেলা এবং বরিশালের এক জেলাসহ মোট ২৭ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান আবহাওয়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়।

স্কুল-কলেজ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র দাবদাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন