ইনসাইড এডুকেশন

স্কুলে হাজিরা, কোচিংয়ে লেখাপড়া!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

শিক্ষার্থীরা এখন আর শেখার জন্য বা লেখাপড়ার জন্য স্কুলে যায় না। স্কুলে যায় হাজিরার জন্য, শিক্ষার্থী হিসাবে স্কুলের তালিকায় নাম থাকার জন্য। পড়ার জন্য, শেখার জন্য বা পরীক্ষার ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য ছোটে কোচিং সেন্টারে। ব্যতিক্রম ছাড়া এ চিত্র পুরো দেশের।

শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের এ ধারণার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। হাজিরা নিতেই সময় পার হয়ে যায় বা পার করেন। তারাও জানেন শ্রেণিকক্ষে না শেখালেও শিক্ষার্থীরা কোনো না কোনো কোচিং সেন্টারে গিয়ে পড়া শিখবে, পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাবে। তাই শ্রেণীকক্ষে শেখানোর এত তাড়া নেই। চিত্রটি এমন, কোচিংগুলোই এখন আমাদের মূল ব্যবস্থা; স্কুলগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

কোচিং সেন্টার বা শিক্ষকদের সৃষ্ট প্রাইভেট হোমে প্রতিদিন সকাল-বিকেল-রাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্রোত নামে। স্কুল-কলেজের সমান্তরালে শ্রেণিকক্ষের মতো আয়োজন করে এসব জায়গায় পড়ানো হচ্ছে, স্কুলের আদলে পরীক্ষা হয়, ক্লাস হয়, দেওয়া হয় হোম ওয়ার্ক। স্কুলের চেয়ে কোচিং সেন্টারের পড়াতেই বাধ্য হন অভিভাকদের। এ কারণে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার পর বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ অভিভাবরা সন্তানকে নিয়ে ছোটেন স্কুলে এবং কোচিং সেন্টারে।

গত কয়েকদিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্যের প্রমাণ মেলে। শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের স্কুলের সময়টা অপচয়ই হয়। এর চেয়ে কোচিংয়ে গেলে কিছু শেখা যায়। কোচিংয়ে বিষয়গুলো প্রাকটিস করে যেতে হয়। নিয়মিত কোচিংয়ে পরীক্ষা হয়। তাই কোচিংয়ের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। এ কারণে স্কুলে কোনো হোমওয়ার্ক দেওয়া হলেও তা করা হয় না। শিক্ষকদের ম্যানেজ করে নিতে হয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি এবং শিক্ষকদের প্রাইভেট-কোচিংমুখীকেই দায়ী করছেন অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেজাল্ট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। শেখার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীরা কি শিখল এটা এখন গুরুত্ব পায় না, গুরুত্ব পায় সে কতটা ভালো ফল করেছে। আর ভালো ফলের জন্য ছুটছে এক কোচিং থেকে অন্য কোচিংয়ে।

আরিফা আক্তার। রাজধানীর মিরপুরের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থী। স্কুল সময়  সকাল ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত। এরপরই তার বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু সে বাসায় ফেরে বিকাল ৫ টায়। স্কুল শেষেই আরিফা স্কুলের পাশেই একটি কোচিং সেন্টারে যায়। সেখানেই সময় কাটায় প্রায় ৪ ঘন্টা। কোচিংয়ের দেওয়া হোম ওয়ার্ক, পরীক্ষা নিয়েই পুরো ব্যস্ত সময় কাটে তারা। এই শিক্ষার্থীর বক্তব্য, স্কুলে লেখাপড়া হয় না। স্যারেরা তেমন গুরুত্ব দিয়ে পড়ান না। তাই কোচিংয়ের বিকল্প নেই। স্কুলে গুরুত্ব দিয়ে শেখালে এবং প্রাকটিস করালে কোচিংয়ে যেতে হতো না।

আরিফার সঙ্গে পুরোটা সময় ব্যয় করেন তার মা। স্কুল এবং কোচিং এই দুই জায়গায় গিয়ে পড়াশোনার কারণে বিরক্তও সে। কিন্তু নিরুপায়। তাঁর বক্তব্য, সবাই করছে। তাই আমারও এভাবে কষ্ট করতে হচ্ছে। স্কুল এবং কোচিংয়ের পেছনেই খরচ করতে হচ্ছে ৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তারিকুল ইসলামের স্কুলের ক্লাস শুরু সাড়ে ১২ টায়। কিন্তু সকাল ৮ টা থেকেই সে বাসা থেকে বের হয়। সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত একজন শিক্ষকের কাছে গণিত, নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আরেকজন শিক্ষকের কাছে পদার্থ । দুপুর ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এক কোচিংয়ে গিয়ে পড়ছে রসায়ন। এর পর বাসা থেকে টিফিন বক্সে আনা খাবার খেয়ে হাজির হয় স্কুলে। ক্লান্ত শরীরে কোনোরকম ক্লাসগুলো পার করে।  ভয় একটাই, স্কুলে হাজির না হলে আবার স্কুলে খাতা থেকে নাম কাটা যাবে।

আমিরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন কোচিং সেন্টার নির্ভর হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানের স্কুল থেকে শুরু করে নগরের নামিদামি স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করাচ্ছেন অভিভাবকরা। আর এসব কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে সন্তানদের ব্যয় মেটাতে রীতিমতো হিমশিম। অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলগুলোতে মানসম্পন্ন পড়াশোনা না হওয়ায় অপরাগ হয়েই তাঁদের কোচিং সেন্টারমুখী হতে হচ্ছে।

কোচিং প্রাইভেট বাণিজ্য বন্ধে সরকার ২০১২ সালে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ নেই। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড়জোর ১০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ নীতিমালা কাগজেই বন্দী। আলোর মুখ দেখে না।

শিক্ষামন্ত্রীও শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকদের প্রতি। তিনি বলেন, শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে শিক্ষক সমাজকে কলুষিত করছে। প্রাইভেট টিউশনি কোচিং বন্ধে আইন প্রনয়ণ করার কথাও বলেন তিনি।

মফস্বলের স্কুলগুলোতে পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা স্কুল বাদ দিয়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও টিউটোরিয়াল হোমে ভিড় করে।

তবে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, একটি শ্রেণীকক্ষে ৮০ থেকে একশ’র বেশি শিক্ষার্থীকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটে কি শেখানো যাবে। হাজিরা নিতেই তো সময় চলে যায়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যা জানতে চায় তা সময়ের অভাবে জানতে পারছে না। শেখানো যাচ্ছে না। তাই তারা বাধ্য হয়েই কোচিং সেন্টারমুখী হচ্ছে। তিনি এ কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিকে দায়ী করেন।

তবে শুধু শিক্ষকরাই নয় ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কোচিং বাণিজ্যের ব্যবসাও এখন জমজমাট। স্কুলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের সুযোগ নিতে চাইছে এই চক্র। স্কুলের আশপাশ ঘিরে এসব কোচিং সেন্টার যেন এক একটি স্কুল।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, স্কুলে শিক্ষা ব্যবস্থা ততটা ভালো নয়। প্রতি শ্রেণীকক্ষে ৬০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। যত ভাল পড়ানো হোক না কেন তেমন ফিডব্যাক পাওয়া যায়। এই সুযোগে  কোচিং সেন্টারে বিশেষ পদ্ধেিত পাঠদান করায়। প্যাকেজ প্রোগ্রাম করে। শিক্ষার্থী কম। প্রায় প্রতিদিনই পরীক্ষা নেয়। এ কারণে ভালো হোক মন্দ হোক শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারের দিকে ঝুকছে।

ন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ নুর আলম বলেন,  শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অনুপাত বেশি হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। স্কুলে লেখাপড়া একেবারে হয় না, এমন তথ্য ঠিক নয়। তবে সময় কম থাকায় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের শেখার চাহিদা মেটানো যায় না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (পরিচালক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, অভিভাবকরা শেখার চেয়ে নম্বর বেশি পাওয়ার দিকে নজর দিচ্ছে। এ কারণেই ছুটছে কোচিং সেন্টারের দিকে। তিনি বলেন, এখনো শিক্ষক রয়েছে যাদের ক্লাস করার জন্য শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকে। তবে এ সংখ্যা বেশি নয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে শ্রেণীকক্ষের মান উন্নয়নে শিক্ষকদের নজর দিতে হবে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশ ৩৬ শতাংশ


Thumbnail

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাশ করেছে ৩৬.৩৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

রোববার (৫ মে) জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় এ ফল উপস্থাপনের পর প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। 

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে  প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যে হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

উপাচার্য বলেন, পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ০.০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন। 

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। তার রোল নং ৩১৮৬৩০ এবং তাঁর কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।  

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলছে আজ

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধ ছিল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে রোববার (৫ মে) হতে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


স্কুল   কলেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

স্বাভাবিক হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম, কাল খুলছে স্কুল-কলেজ

প্রকাশ: ০৬:৪৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো..

·        তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

·        শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

·        তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


স্কুল-কলেজ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   বিজ্ঞপ্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

২৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ

প্রকাশ: ০৮:৪৩ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে শনিবার থেকে খুলছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গরমের কারণে কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।

এসব জেলার বাইরে সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকবে। এছাড়াও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী রোববার থেকে।


স্কুল   কলেজ   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামীকাল শনিবার (৪ মে) খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুরের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র গরমের কারণে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর গত ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন