ইনসাইড এডুকেশন

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের তিন ব্রোঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৪১ এএম, ২৪ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

করোনা মহামারিতে স্বস্তির সুবাতাস বয়ে আনলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও) থেকে এবার তিনটি ব্রোঞ্জপদক ও দুটি সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) আইএমও তাদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছে। এ বছর ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মো. মারুফ হাসান এবং ঢাকার নটর ডেম কলেজের তাহমিদ হামীম চৌধুরী ও আদনান সাদিক। এ ছাড়া সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নুজহাত আহমেদ এবং আনন্দ মোহন কলেজের তাহজিব হোসেন খান।

শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি দেশজুড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নানা ধাপে গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচন করে।

গণিত অলিম্পিয়াডে প্রতিটি দেশ থেকে ছয়জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রত্যেককে ৪২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের কারণে এ বছর ৬২তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) প্রতিযোগিতা হয়েছে ভার্চ্যুয়ালি। এবারের আয়োজক দেশ রাশিয়া। গত বছরও গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন রাশিয়া থেকে ভার্চ্যুয়ালি হয়েছে।

গত বছর ৬১তম আইএমওতে বাংলাদেশ ১টি রুপার পদক ও ৫টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছিল। আর ১১৮ নম্বর পেয়ে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৮তম।

অন্যদিকে এ বছর ৬৮ নম্বর পেয়ে বাংলাদেশ ১০৭টি দেশের মধ্যে ৪৩তম স্থান অধিকার করেছে। এবারের প্রতিযোগিতায় ভারত ২৬তম, শ্রীলঙ্কা ৮১তম, নেপাল ৯১তম ও পাকিস্তান ১০৩তম স্থান অধিকার করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জিতেছিল বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী।

১৯ ও ২০ জুলাই বাংলাদেশ দলের ছয় শিক্ষার্থী ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও দিল্লি থেকে অলিম্পিয়াডে ভার্চ্যুয়াল পরীক্ষায় অংশ নেয়।

ফল ঘোষণার পর বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যে তিনি খুব খুশি।

এ বছর দলীয়ভাবে ২৫২ নম্বরের মধ্যে ২০৮ নম্বর এবং ৬টি সোনার পদক পেয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে চীন। রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন পদক বিজয়ীসহ দলের সব সদস্যকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য করোনাকালে দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব মজুমদার বলেন, করোনার কারণে এবারের গণিত দলের সব সদস্যকে নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রস্তুতিতে সীমবদ্ধতা ছিল। এরপরও শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বিদ্যালয় বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে নাখোশ শিক্ষামন্ত্রী, আপিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তবে খোলার একদিনের মাথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন- সংবাদমাধ্যমে আসা এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন তাও দেখার বিষয়।

মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।


বিদ্যালয় বন্ধ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

মঙ্গলবার ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের কারণে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলা, ঢাকা বিভাগের ৬ জেলা, রংপুরের ২ জেলা এবং বরিশালের এক জেলাসহ মোট ২৭ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান আবহাওয়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়।

স্কুল-কলেজ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র দাবদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

২ মে পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতের নির্দেশ মেনে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


তীব্র গরম   প্রাথমিক বিদ্যালয়   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তটা কি জরুরী ছিল?

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তীব্র এই দাবদাহে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ছে। ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুরু হয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম।

তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দেশেরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রথম দিনেই সারা দেশে অনেকেরই ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে প্রাইমারি স্কুলের শিশুসহ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। আর এভাবে চলমান দাবদাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে সরকারের প্রতি অভিবাবকদের একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রথম দিনের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যেই তাপদাহে মৃত্যুর আসঙ্খা বেগতিক দেখে রাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ থেকে গতকাল রাতেই বার্তা দেয়, তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

গতকাল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলছেন, ‘বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের-কলেজ শিক্ষার্থীদের বেলায় বিষয়টা কিছুটা যৌক্তিক মনে হলেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিশুদের ক্লাস পাঠানোর বিরোধিতা করছেন অভিভাবক থেকে সচেতন মহলের অনেকেই।

তাদের মতে, আরও এক সপ্তাহ সরাসরি ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করাতে পারত সরকার। স্কুলে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী হিট স্ট্রোকে মারা গেলে এর দায় কে নেবে? এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। হিট স্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

যেখানে ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পরে খুলেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তখন জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর জানিয়েছিল, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী মহামারির এ সময় শ্রেণীকক্ষের বাইরে ছিল। সেখানে বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুদের স্বাস্থ ও নিরাপদের কথা বিবেচনা করে সরকার তাপপ্রবাহ চলাকালিন শিক্ষাপ্রতিষ্টান বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য বিবেচনয়া শিখাক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে মহামারি করোনার সময়ও করোনা মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ নিয়ে সফলতা দিয়ে তা মোকাবিলা করেছে। তখন যদি প্রায় দুই বছর স্কুলগুলো বন্ধ রেখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে তাহলে এই তীব্র দাবদাহে স্কুলগুলো কি বন্ধ রাখে মৃত্যুর মিছিল কি বন্ধ রাখা যায় না।

এছাড়াও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। বর্তমানে দাবদাহে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চালু করলে হয়ত ‘হিট স্ট্রোক’ কিংবা গরমে শিশু শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মারা যাওয়া বন্ধ হতে পারে। কেননা, গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়টাতে দেশের জলবায়ুর ফলে বৃষ্টি থাকে, আবহাওয়া অনেকটাই স্বাবাবিক থাকে। যার ফলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেত সহজেই।


দাবদাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   হিট স্ট্রোক   সরকার   তীব্রতাপ প্রবাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন