ইনসাইড গ্রাউন্ড

সালতামামি ২০২১: বিশ্ব ফুটবলের আলোচিত ২১ ঘটনা

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail সালতামামি ২০২১: বিশ্ব ফুটবলের আলোচিত ২১ ঘটনা

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এল ২০২১ সাল। বিশ্ব ফুটবলে অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের দেখা মিলেছে এ বছর। বিশেষ করে ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দলবদলের উত্তাপ, ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে ইতালির ইউরো জয়, আর্জেন্টিনার জার্সিতে লিওনেল মেসির প্রথম শিরোপা জয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবলে উল্টেপাল্টে যাওয়া ক্রীড়াঙ্গনে যা কিছু হওয়ার কথা ছিল আগের বছর, ঠাসা সূচিতে সবই হলো এবার। কোয়ারেন্টিন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। এত এত সমস্যার ভীড়েও খেলার মাঠ ছিল চেনা রূপে, লম্বা বিরতির পর গ্যালারিতেও ফেরে প্রাণ। সব মিলিয়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন অনেকটাই ছিল তার আপন মহিমায়। ২০২১ সাল ফুটবলপ্রেমীদের উপহার দিয়েছে রুদ্ধশ্বাস সব মুহূর্ত। বর্ষপরিক্রমার এই আয়োজনে ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে স্মৃতির ভেলায় ভেসে এক নজরে দেখা নেওয়া যাক ২০২১ এর ফুটবল বিশ্বের আলোচিত ২১ ঘটনা। 

মেসির কোপা জয়: ক্লাব ফুটবলে সব শিরোপা একাধিকবার জেতা মেসি কিছুতেই জাতীয় দলের হয়ে পাচ্ছিলেন না শিরোপার দেখা। তিনটি কোপা আমেরিকা ও একটি বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও ব্যর্থতাকে সঙ্গী করার হতাশা ছিল। কোপা ফাইনালের শিরোপা লড়াইয়ের সামনে প্রতিপক্ষ ব্রাজিল, খেলাটাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাটিতে। তবে এই আর্জেন্টিনা কোনো কিছুতেই ভড়কে না গিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে হাসে আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে দি মারিয়ার একমাত্র গোলে ২৮ বছর পর শিরোপা উৎসবে মাতে আর্জেন্টিনা।

রোনালদোর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন: মেসির ঘটনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ট্রান্সফার জগতে তোলপাড় থাকলেও রোনাল্ডোর দলবদল হয়েছে অনেকটাই আকস্মিক। মেসির সাথে অবশ্য রোনালদোর দলবদলের ঘটনার কোনই মিল নেই। শুধুমাত্র নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই জুভেন্টাস থেকে রোনালদো পুরোনো ক্লাবে ফিরে আসেন। রোনালদো যখন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে যখন জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন তখন ইতালিয়ান জায়ান্টদের মূল লক্ষ্যই ছিল সিআর সেভেনকে দলে ভিড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতা। কিন্তু রোনালদোকে সাথে নিয়ে তিন বছরে সেই লক্ষ্যের পৌঁছাতে পারেনি তুরিনের বুড়িরা। সেপ্টেম্বরে দীর্ঘ ১২ বছর পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লেখান রোনালদো। পুরোনো ক্লাবের হয়ে এরই মধ্যে গোলের পসরা সাজিয়েছেন তিনি। রোনালদোকে দ্বিতীয় দফায় দলে নিতে সাবেক ক্লাব ইউনাইটেড কোন ভুল করেনি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের লাল জার্সিতে ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা কতখানি রাঙ্গাতে পারেন রোনালদো সেদিকেই তাকিয়ে আছে পুরো ফুটবল বিশ্ব। কেননা ম্যানইউতে যোগ দিয়েই টানা গোল করে ফর্মের তুঙ্গে থাকেন ফুটবলের এই মহারাজ। 

সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো: বছরের শুরুতেই নতুন এক চূড়ায় উঠে বসেন রোনালদো। গত ১১ জানুয়ারি সিরিআয় সাস্সুয়োলোর জালে বল পাঠিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৭৫৯ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। উঠে বসেন ইয়োসেপ বিকানের পাশে।  তিনি ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছেন কোপা ইতালিয়ানা ও ইতালিয়ান সুপার কাপ শিরোপা। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলি দাই'কে ছাড়িয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেছেন তিনি।

মেসির দলবদল: ট্রান্সফারের সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে চুক্তিপত্রে লিওনেল মেসি ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বার্সেলোনার সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছেন সেই গুজবকে সত্যি প্রমাণ করে বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যান। করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া কাতালান ক্লাবটি আর মেসির মত খেলোয়াড়ের ভার বহন করতে পারছে না; এটাও জানানো হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। 

ইতালির ইউরো জয়: ২০১৮ সালে ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলা থেকে বঞ্চিত হয় ইতালি। বাছাইপর্ব পেরোতে না পারার সেই যন্ত্রণা ইতালি ভুলেছে ২০২১ ইউরো জিতে। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয় রবার্তো মানচিনির দল। ছন্দে থেকে ইউরো অভিযান শুরু করলেও শুরুতে ইতালিকে ফেবারিটের তালিকায় রাখেনি কেউ। কিন্তু সেই ইতালিই পরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জিতে নেয় শিরোপা।

ফ্রান্সের নেশনস লিগ জয়: ইউরোতে ভালো করতে পারেনি ফ্রান্স। শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়তে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। এ নিয়ে বেশ চাপেও ছিল তারা। তবে দিদিয়ের দেশমের দল ইউরোর ব্যর্থতা ভুলেছে উয়েফা নেশনস লিগ জিতে। সান সিরোতে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে-করিম বেনজেমারা।

বিশ্বকাপ বাছাই: আসছে বছরের শেষ দিকে বসবে ফুটবলের মহারণ, কাতার বিশ্বকাপ। চলছে তারই জোর প্রস্তুতি। ইউরোপের বাছাইপর্বের মূল ধাপ শেষ হয়ে গেছে, ১০ গ্রুপের সেরা হয়ে টিকেট নিশ্চিত করেছে ১০ দল। তবে জুলাইয়ের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি বাছাইপর্বে এসে আবারও যেন পথ হারাতে বসেছে। সরাসরি বিশ্বকাপে ওঠার জোর সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে আবারও বিশ্বকাপ খেলতে না পারার শঙ্কায় পড়ে গেছে তারা।

লালিগায় অ্যাথলেটিকোর জয়গান: লা লিগার ইতিহাসে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ সবসময়ই অন্যতম বড় দলের তকমা পেয়ে আসছে, তবে কখনই তারা পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারেনি। ২০১১ সালে আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো সিমেওনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তারা আরও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি গত এক দশকে দ্বিতীয়বারের মতো চমক দেখিয়ে স্পেনের শীর্ষ লিগ জিতে নেয় দলটি।

সিটির শিরোপা পুনরুদ্ধার: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত দশকের সবচেয়ে সফল দল ম্যানচেস্টার সিটি ২০১৯-২০ মৌসুমে লিভারপুলের দোর্দন্ড প্রতাপের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। তবে গত মৌসুমে আবারও লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে সিটি।

লেভানডস্কির তিক্ত অভিজ্ঞতা: বিদায় নিতে চলা বছরটা অবিশ্বাস্য কেটেছে রবার্ট লেভানডফস্কি। একের পর এক ম্যাচে মেশিনের মতো গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই পোলিশ স্ট্রাইকার। ২০২১ সালে ৫৯ ম্যাচে তাঁর গোল ৬৯টি! এ ছাড়া ছোট-বড় অনেকগুলো রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন লেভা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও বছরটা পুরোপুরি হাসিমুখে কাটাতে পারেননি তিনি। ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে মেসির পেছনে থেকেই শেষ করতে হয়েছে তাঁকে।

নাটকীয় দলবদল: দলবদলের জন্য ২০২১ সাল হয়ে থাকবে ঐতিহাসিক বছর। শুরুতে উত্তাপ টের পাওয়া না গেলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শেষ মুহূর্তে চোখের জলে বার্সেলোনাকে বিদায় জানিয়ে মেসি পাড়ি দেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। এরপর মঞ্চস্থ হয় রোনালদো নাটক। এ ছাড়া জ্যাক গ্রিলিশের রেকর্ড গড়ে ম্যানসিটিতে যাওয়ার ঘটনাও ছিল আলোচনায়।

মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর: দলীয় অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনেও ২০২১ সালে নতুন উচ্চতায় উঠেছেন মেসি। সপ্তমবারের মতো মেসির হাতে উঠেছে ব্যালন ডি’অর। রোনালদোর দখলেও আছে ৫টি ব্যালন ডি’অর।

বায়ার্নের টানা নবম টাইটেল: বুন্ডেসলিগায় টানা নবম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দারুণ শুরুর ধারাবাহিকতা মৌসুম জুড়ে ধরে রাখে বায়ার্ন মিউনিখ। দলকে কক্ষপথে রাখতে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় গোল করতে থাকে রবের্ত লেভানদোভস্কি। আসরে দলের ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ২৯টি খেলেই ৪১ গোল করে ভেঙে দেন এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড; ভেঙে দেন জার্ড মুলারের ৪৯ বছরের পুরনো রেকর্ড। জিতে নেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।

জুভেন্তুসের পথ হারানো: দলে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো মহাতারকা ছিলেন। তার সঙ্গে আক্রমণভাগে আরও ছিলেন পাওলো দিবালা, কার্যকরী ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি। রক্ষণে লিওনাদোর্ বোনুচ্চি ও জর্জো কিয়েল্লিনির মতো অভিজ্ঞ সেনানী। সব মিলিয়ে টানা দশম শিরোপা সেরি আ জয়ের সব রসদই ছিল। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকেই যে পথ হারানোর শুরু, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। একের পর এক হোঁচটে তো শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করতে পারা নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল দলটি। শেষ তিন রাউন্ড জিতে কোনোমতে চতুর্থ হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করে তুরিনের ক্লাবটি।

পিএসজির শিরোপা হাতছাড়া: জুভেন্তাসের মতো অতটা ছন্দপতন না হলেও ঘরোয়া লিগে পিএসজিরও মৌসুমটা কাটে হতাশায়। দলে তারকার উপস্থিতি ও কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে তাদের ধারে কাছে ছিল না ফরাসি লিগটির কোনো ক্লাব। কিন্তু ড্রেসিং রুমের শক্তি মাঠে তো মেলে ধরতে হবে। সেই কাজটিই ধারাবাহিকভাবে করতে পারেনি তারা। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিস্ময়: বছরের শুরুতেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা লড়াইয়ে চেলসির পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল না তেমন। ঘরোয়া লিগেই যে ধুঁকছিল তারা। তবে টমাস টুখেলের হাত ধরে আমূল বদলে যায় দলটি। দারুণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় শেষ ষোলোয় আতলেতিকো মাদ্রিদকে, কোয়ার্টার-ফাইনালে পোর্তোকে ও সেমি-ফাইনালে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় চেলসি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ম্যানচেস্টার সিটি, সেখানেও ফেভারিটের তকমাটা ছিল পেপ গুয়ার্দিওলার দলের গায়েই। তবে তাদেরকেও পেছনে ফেলে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে টুখেলের চেলসি।

এরিকসেনের দুর্ঘটনা: ডেনমার্কের ফুটবলাররা ব্যক্তিগত পর্যায়ে খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড়ই স্পট লাইটে আসতে পেরেছেন। তার মধ্যেই নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। ইউরো শুরুর আগে থেকেই টুর্নামেন্টের যে কয়জন তারকা খেলোয়াড় সামনের দিকে ছিলেন সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন ইন্টার মিলানের এই মিডফিল্ডার। কিন্তু গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান। মাঠের ভিতরেই সতীর্থদের সহযোগিতায় পুরো মেডিকেল টিম যেভাবে এরিকসেনকে চিকিৎসা দিয়েছে সেই দৃশ্য পুরো ফুটবল বিশ্বকে শিহরিত করে তুলেছিল। হাসপাতালে নেবার আগ পর্যন্ত এরিকসেন ছিলেন সংজ্ঞাহীন। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে তার জ্ঞান ফেরার খবর আসে, এমনকি সতীর্থদের ম্যাচে অংশ নেবারও অনুরোধ জানান তিনি।

কোকা-কোলা কান্ড: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর খবর নিয়ে সবসময় সরব থাকে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জুনে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে খেলতে নেমেছিলো পর্তুগাল। সেখানে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাঠের বাইরের এক ঘটনায় জন্ম দেয় রোনালদো, যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় পুরো বিশ্বে। সংবাদ সম্মেলনে বসে রোনালদো সামনে রাখা দুটি কোকা কোলার বোতল টেবিল থেকে নামিয়ে রাখেন। ঐসময় এসব কোমল পানীয়র পরিবর্তে সবাইকে সাধারণ পানি পান করার জন্য বলেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় কোকা কোলা কোম্পানী মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলো। রোনালদোর এই ঘটনার পর আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ও এর পুনরাবৃত্তি করেন। 

সুপার লিগ বিতর্ক: ইউরোপের বেশ কিছু শীর্ষ ক্লাব নিয়ে প্রস্তাবিত ইউরোপীয়ান সুপার লিগের পরিকল্পনা নিয়ে ফুটবল বিশ্বে ঝড় কম হয়নি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম ছাড়াও এসি মিলান, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস,অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এই লোভনীয় সুপার লিগে নিজেদের সম্পৃক্তার ঘোষনা দেয়। নিয়মিত প্রতিযোগিতার বাইরে গিয়ে ক্লাবগুলোর এই বিদ্রোহী আচরণ কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি বিশ্ব ফুটবলের দুই প্রধান সংস্থা ফিফা ও উয়েফা। দুই সংস্থা থেকেই এই ক্লাবগুলোকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়, নতুবা যেকোন ধরনের বড় সিদ্ধান্তের হুমকি দেয়া হয়। সর্মথকরাও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র নিয়ে নাটকীয়তা: বছর শেষের চমক ছিলো চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ড্র নিয়ে উয়েফার কান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বের ড্র হয়েছে দুই দুইবার। এই বিতর্কিত কাণ্ড নিয়েই ফুটবল প্রেমীদের রোষাণলে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। টেকনিক্যাল ভুলের কারনে গত ১২ ডিসেম্বর উয়েফার সদর দপ্তর নিয়নে অনুষ্ঠিত প্রথমবারের ড্র বাতিল করে কিছু সময় পরেই দ্বিতীয়বারের মত ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবার হওয়া ড্র নিয়ে অবশ্য আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েছিলো পুরো ফুটবল বিশ্বে। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেই যে দেখা হয়ে যাবার কথা পিএসজি আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। দল যেমন তেমন, ফুটবল বিশ্ব আরো একবার দেখতো মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ। কিন্তু এই ড্র বাতিল করে পর ফুটবল প্রেমিদের সকল স্বপ্নে জল ঢেলে দেয় উয়েফা। দ্বিতীয়বারের ড্র’তে পিএসজি পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে আর ইউনাইটেড পেয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। তবে উত্তেজনা আছে এখানেও, তারকায় ঠাসা পিএসজির হয়ে যে মাঠে নামবেন লস ব্ল্যাঙ্কোস শিবিরের সাবেক সেনাপতি সার্জিও রামোস।

নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের মালিকানা পরিবর্তন: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ধনকুবের মালিক পেয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটির শেখ মানসুর, চেলসির রোমান আব্রামোভিচ, আর্সেনালের স্ট্যান ক্রোয়েনেকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গ্লেজারদের পাশাপাশি এবার নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে কিনে নিয়েছে সৌদি আরবের ধনী প্রতিষ্ঠান পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। ট্রান্সফার মার্কেটে ধারাবাহিক ভাবে ইংলিশ ক্লাবগুলো একের পর এক রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এই মালিকদের সুবাদে। ম্যাগপাইদের নিজেদের সম্পত্তিতে পরিণত করতে ৩২০ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমানের পিআই ফান্ড। যা প্রিমিয়ার লিগের অতীতের সব রেকর্ডকে ভঙ্গ করে দিয়েছে।


সালতামামি   বিশ্ব-ফুটবল   আলোচিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লপের বিদায়ে কী বললেন সালাহ?

প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লিভারপুলের ডাগআউট থেকে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমেই সরে দাঁড়িয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। এরই মধ্যে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট। জানা গেছে, তার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছে অল রেডরা।

এদিকে ক্লপ যুগেই বিশ্ব দরবারে নিজেকে চিনিয়েছেন মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ। অথচ সেই ক্লপের শেষ সময়ে তার টানাপোড়েন! গত মাসের শেষ দিকে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামার আগমুহূর্তে সাইডলাইনে ক্লপের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান সালাহ। সেই তর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

সেই ম্যাচ শেষে সালাহ বলেছিলেন, ‘আজ আমি কথা বললে আগুন লেগে যাবে।’ তবে লিভারপুলের বিদায়ী কোচ ক্লপ জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সব কিছু ঠিক আছে।

মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে ক্লপকে সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালাহ। এবার ক্লপকে শুভ কামনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন মিশরীয় এই ফুটবলার।

ক্লপের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিভারপুল তারকা লিখেছেন, ‘গত সাত বছর ধরে ঐসব ট্রফি ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা ছিল দারুণ ব্যাপার। ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং আশা করি, আবার দেখা হবে আমাদের।’

গেল মৌসুম শুরুর আগে সৌদি আরবের ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সালাহ। বেতনের অর্থও ছিল চড়া কিন্তু সালাহ থেকে যান লিভারপুলে। আসছে মৌসুমেও লিভারপুলে থাকার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

সালাহ বলেন, ‘আমরা জানি যে, ট্রফি জয় করাকেই গোণায় ধরা হয় এবং পরের মৌসুমে তা সম্ভব করে তুলতে সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করব। আমাদের সমর্থকদের এটা প্রাপ্য এবং আমরা তীব্র লড়াই করে যাব।’


ইয়ুর্গেন ক্লপ   মোহাম্মদ সালাহ   লিভারপুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নরমাল ম্যান বিং দ্যা স্পেশাল ওয়ান

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।

২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।

এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।

কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে। আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।

২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।

আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই

ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’। আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।

ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয় পাবে।’

নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য সকল ট্রফি জেতেন।

একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:

২০১৯-২০

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন,

২০১৯-২০

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন

২০১৯-২০

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

২০২১-২২

এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন

২০২১-২২, ২০২৩-২৪

ইএফএল চ্যাম্পিয়ন

 

সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।


ইয়ুর্গেন ক্লপ   লিভারপুল   ইংলিশ লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভাল কিছু করতে পারিনি: লিটন

প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছেন তিনি।

চলতি বছরটাতে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। সামর্থ্য বিবেচনায় স্রেফ নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগেই চেনা ছন্দে ফিরতে চান এই টাইগার ওপেনার। মঙ্গলবার বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’-তে লিটনের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্বকাপে এখনও ভাল কিছু করতে পারেননি।

 বলেই মনে করেন লিটন কুমার দাস। আগের চেয়ে তাই এবারের বিশ্বকাপে একটু হলেও উন্নতি করতে চান তিনি। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারলে বাংলাদেশ দলও বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বলে বিশ্বাস তার।

এই টাইগার ওপেনার বলেন, ‘আমার (পারফরম্যান্সের) কথা বললে, ‘নট আপ টু দা মার্ক।’ আমি যে লেভেলের খেলোয়াড় বা যে পারফর্ম করা উচিত আমার, সেটা করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসটা যদি এভাবে বলি যে, আগের দুটি বিশ্বকাপে যদি ১০০ রান না করি, এবারের বিশ্বকাপে যদি ১০১ করতে পারি, তাহলে আরো ভালো করেছি। যা করিনি, চেষ্টা করব তার থেকে ভালো কিছু করার।’

লিটনের যা সাম্প্রতিক ফর্ম, তাকে অবশ্য সেঞ্চুরির চিন্তা বহুদূর, আগে ছন্দে ফেরা জরুরি। সবশেষ ১০টি টি-২০তে তার ফিফটি নেই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ২১ ইনিংসে পঞ্চাশের মুখ দেখেননি তিনি।

লিটন বলেন, ‘খারাপ সময়ে অতি বেশি চিন্তার কিছু থাকে না। কারণ, আপনি ব্যাডপ্যাচে যখন থাকেন, যত বেশি চিন্তা করবেন, যত কিছু নিয়ে ভাববেন, তত আপনার জন্য খারাপই হয়ে আসবে। আপনার কাছে একটা বিকল্পই থাকে, কতটুকু কঠোর পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে, অনুশীলনকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছেন, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’


লিটন দাস   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে ধোনীকে আর দেখা যাবে তো?

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন অনেক আগেই। ভক্তরা তাঁর খেলা দেখতে অপেক্ষা করেন কবে শুরু হবে আইপিএল। গত শনিবার আইপিএল থেকে চেন্নাইয়ের বিদায়ের পর এখন ধোনী ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, ধোনীকে আর দেখা যাবে তো?

শনিবার (১৮ মে) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৭ রানে ম্যান হারের পর অনেকেই ভেবেই নিয়েছেন, এটাই হয়তো আইপিএলে ৪২ বছর বয়সী ধোনীর শেষ ম্যাচ। 

কিন্তু ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইপিএলে এটি ধোনির শেষ ম্যাচ না–ও হতে পারে!

বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের ৩৫ রান দরকার থাকলেও কোয়ালিফায়ার উঠার জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। ধোনি প্রথম বলে বিশাল ছক্কা মেরে বল হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনী। 

বেঙ্গালুরুর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক ম্যাচ শেষে চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ হিসেবে ধোনির ছক্কাকে টেনে নিয়ে এসে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে ধোনির ছক্কা মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। ফলে আমরা নতুন একটা বল পেয়েছি, যেটা বোলিংয়ের জন্য আগেরটার চেয়ে ভালো (শুকনা)।’ 

যাহোক, হারের পর ধোনীর কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে অনেকেই হয়তো ভারতীয় এই কিংবদন্তির এবার বিদায় নিবেন। তবে আইপিএল থেকে ধোনির বিদায়টা সম্ভবত এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূত্র বলেছে, ‘ধোনি চেন্নাইয়ের কাউকে বলেনি, তার এটাই শেষ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সে কয়েক মাস অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছে ম্যানেজমেন্টকে।’

চেন্নাই আশা করছে, তাদের ঘরের মাঠে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলবেন ধোনি। বয়স হয়ে গেলেও ফিটনেস এখনো বেশ ভালোই ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের। 

আগামী বছর আইপিএলের নিলামে দলগুলোকে পাঁচজন করে খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে, মাথিশা পাথিরানা ও রবীন্দ্র জাদেজাকে চেন্নাইয়ের ধরে রাখা মোটামুটি নিশ্চিত। পাঁচজনের মধ্যে শেষ খেলোয়াড়টি ধোনির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


ধোনী   আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। এটিকে রেখে ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে ব্রাজির ও মেক্সিকো। এবার প্রাথমিক দল ঘোষণা করলো আর্জেন্টিনাও।

কোপার আগে ইকুয়েডর ও গুয়েতালারর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাই এই দুই প্রীতি ম্যাচ ও ২১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার জন্য ২৯ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন লিওনেল স্কালোনি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই প্রীতি ম্যাচের পর প্রাথমিক দল থেকে তিন জনকে বাদ দিয়ে কোপার চূড়ান্ত দল করবে আলবিসেলেস্তরা।

সোমবার (২০ মে) আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি এই দল ঘোষণা করেন। তার দলে আছেন অভিজ্ঞ লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, নিকোলাস ওটামেন্ডিরা।

ঘোষিত দলে গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার সঙ্গী হিসেবে আছেন ফ্রাঙ্কো আরমানি জেরোমিনো রুল্লি।

রক্ষণভাগ সামলানোর দায়িত্ব পড়েছে তরুণ বার্কোর ও বেলার্ডির উপর। সাথে রয়েছে, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দির মতো অভিজ্ঞরা।

মিডফিল্ডে গুইদো রদ্রিগেজ, জিওভন্নি লো চেলসো এবং এক্সিকিয়েল প্যালাসিওস জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও বড় চমক হিসেবে ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন ১৯ বছরের তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ভ্যালেন্টিন কারবোনি।

আক্রমণভাগে অভিজ্ঞদের প্রতিই আস্থা রেখেছে আর্জেন্টাইন বস। আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সঙ্গে অভিজ্ঞ ডি মারিয়া রয়েছেন দলে। এছাড়া আলেজান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেস, লওতারো মার্টিনেজ, হুয়ান আলভারেজরা প্রতিপক্ষকে নাকানি-চুবানি খাওয়াতে পটু।

তবে আটালান্টায় দারুণ পারফরম্যান্স করা হুয়ান মুসো ও পাওলো দিবালার জায়গা হয়নি ২৯ সদস্যের দলে। 

আর্জেন্টিনার স্কোয়াড:

ফ্রাঙ্কো আরমানি, জেরোনিমো রুলি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, লিওনার্দো বালের্দি, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জের্মান পেজ্জেলা, লুকাস কুয়ার্তা, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস অ্যাকুনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, ভ্যালেন্তিন বার্কো, গিদো রদ্রিগেজ, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, এক্সিকুয়েল প্যারাসিওস, এনজো ফার্নান্দেজ, জিওভানি লো সেলসো, আনহেল ডি মারিয়া, ভ্যালেন্তিন কার্বোনি, লিওনেল মেসি, আনহেল কোরেয়া, আলেহান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেজ, লাউতারো মার্টিনেজ হুলিয়ান আলভারেজ।

তবে আটালান্টায় দারুণ পারফরম্যান্স করা হুয়ান মুসো ও পাওলো দিবালার জায়গা হয়নি ২৯ সদস্যের দলে। 


কোপা   আর্জেন্টিনা   প্রাথমিক দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন