ইনসাইড গ্রাউন্ড

জয় দিয়েই বছর শুরু বার্সেলোনার

প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ০৩ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail জয় দিয়েই বছর শুরু বার্সেলোনার

লুক ডি ইয়ং একাই পেতে পারতেন তিন গোল। একটি প্রচেষ্টা বাধা পেল পোস্টে, আরেকটি ক্রসবারে। পরে জালের দেখা পেলেন এই ডাচ স্ট্রাইকার। মায়োর্কাকে হারিয়ে নতুন বছর শুরু করল শাভি এরনান্দেসের দল।

প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।

এক ম্যাচ পর লিগে জয়ের দেখা পেল কাতালান দলটি। বড়দিনের বিরতির আগে সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা।

করোনাভাইরাস ও চোটের থাবায় জর্জরিত বার্সেলোনার ১৭ জন খেলোয়াড় মাঠের বাইরে। ‘বি’ দলের অনেককে নিয়ে মায়োর্কার বিপক্ষে দল সাজান কোচ শাভি।

বল দখলে শুরু থেকে একচেটিয়া আধিপত্য করা বার্সেলোনা দশম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। ‘বি’ দলের ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইলিয়াসের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন মায়োর্কার গোলরক্ষক মানোলো রেইনা।
২৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত সফরকারীরা। ফেররান হুতগ্লার পাসে লুক ডি ইয়ংয়ের শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বল পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে অস্কার মিনগেসার ক্রসে ডি-বক্সে ডি ইয়ংয়ের অসাধারণ ওভারহেড কিকে বল ক্রসবারে লেগে ফেরে।

অবশেষে ডি ইয়ং বিরতির আগে ‘ডেডলক’ ভাঙেন। মিনগেসার ক্রসে দূরের পোস্টে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান বার্সেলোনার নিকো গনসালেস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ১৯ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের শট লক্ষ্যে থাকেনি।

বাকি সময়ে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বার্সেলোনা। বরং তাদের ওপর চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা। ৮৪তম মিনিটে জর্দি এমবুলার জোরালো হেড পোস্টের সামান্য ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

যোগ করা সময়ে ইয়াওমে কস্তার ভলি দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
১৯ ম্যাচে আট জয় ও সাত ড্রয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে বার্সেলোনা।

আরেক ম্যাচে রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা আতলেতিকো মাদ্রিদ ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে।

সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ২-০ গোলে হারা রিয়াল বেতিস ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া।

গেতাফের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারা রিয়াল মাদ্রিদ ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।

লা লিগা   বার্সেলোনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগেরও বেশি সময় পর ঘরে ফিরছেন সিলভা

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

থিয়াগো সিলভা। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের জুনিয়র একাদশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ফুটবল ক্যারিয়ার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সেখান থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আজ সারা ফুটবল বিশ্বে সমাদৃত তিনি। পেয়েছেন অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের তকমাও।

সিলভা ফুটবলে সিরিয়ার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে। সেখানে এক বছর থাকার পর চলে যান রাশিয়ান ক্লাব ডায়ানামো মস্কোতে। রাশিয়ায় থাকতে সিলভার জীবনে নেমে বড় এক ঝড়। জটিল রোগ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে ২০০৭ সালে ফের ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেন সিলভা। ২ বছর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি।

২০০৯ সালে ব্রাজিল ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে (২০০৯-১২) যোগ দেন সিলভা। এরপর খেলেছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে। ফরাসি ক্লাবটিকে প্রায় ৮ বছর থাকার পর চেলসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সিলভা। চেলসিতে ৪ বছর মিলিয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে প্রায় ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার-ব্যাক।

চলতি মৌসুম শেষে চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে সিলভার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সঙ্গে থাকবেন না, তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন তিনি। সে হিসেবে চেলসির জার্সিতে আর মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন সিলভা। প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচটিই হতে পারে চেলসির জার্সিতে সিলভার শেষবারের মতো মাঠে নামা।

চেলসির পর কোথায় যাবেন সিলভা, এমন প্রশ্ন গত কয়েক দিন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলভক্তদের মাথায়। অনেকে মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে (এমএলএস) খেলবেন এই ব্রাজিলিয়ান। আবার অনেকের ধারণা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের মতো সৌদি প্রো লিগে যেতে পারেন তিনি।

এবার নিশ্চিত হওয়া গেছে, চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে কোথায় যাব্নে সিলভা। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি নয়, সেই ছোটবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে ফিরে যাবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্স। অর্থাৎ প্রায় ১৫ বছর ইউরোপে প্রবাস জীবন শেষ করে ঘরে ফিরছেন সিলভা।

২০২০ সালে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিলেন সিলভা। এটিই ইউরোপীয় ফুটবলে তার সবচেয়ে বড় সফলতা। এছাড়া জাতীয় ব্রাজিলের জার্সিতে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপ ও ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন এই সেন্টার-ব্যাক।


থিয়াগো সিলভা   ব্রাজিল   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলি-গাভাস্কার ইস্যু: গাভাস্কারের পক্ষ নিলেন ওয়াসিম আকরাম

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের মন্তব্যের পর বিরাট কোহলিকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এছাড়াও সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে কোহলি ঠিক করেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

আকরাম বলেন, দুজনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। সানি ভাইকে (গাভাস্কার) ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। মানুষ হিসেবেও চিনি। মাঠের বাইরের মানুষটাকে জানি। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও চিনি। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। কোহলি এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়ও বলা যায়। পরিসংখ্যান দেখলে সর্বকালের অন্যতম সেরাও বটে। পারফরম্যান্স করেই পর্যায়ে এসেছে। তবু বলব, কোহলি এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।

গাভাস্কারের পাশে দাঁড়িয়ে আকরাম আরো বলেন, ধারাভাষ্যকাররা তাদের কাজ করেন। কোহলি যদি দুটো ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করে থাকে এবং সেটা নিয়ে গাভাস্কার যদি কিছু বলে- এটা মনে রাখার মতো কী ঘটনা? ভুলে যাওয়াই উচিত। কোহলি তো এমন ধরনের ছেলে নয়। দুজনেই ভারতের গর্ব। দুজনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। মতবিরোধ হতেই পারে। মনে হয় না এই সমস্যাটা আরো বাড়বে। আশা করব কেউই এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবে না এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দুজনকেই চিনি আমি। তাই ভরসা আছে।

এদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ২৫টি বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি।

কোহলির এমন মন্থর ব্যাটিং দেখে গাভাস্কার বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে রয়েছে। সঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর আর একটাও চার মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮ মতো! দল ওর থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।

এর আগে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে কোহলি বলেন, আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।

তারপর গাভাস্কার আবার বলেছিলেন, কেউ ১১৮ স্ট্রাইট রেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়। সে আবার বলেছে, বাইরের কারো কথায় কান দেয় না। কারো কথায় পাত্তা দেয় না। ভাল। তাহলে সে বাইরের কথার উত্তর কেন দিচ্ছে? যাই বলা হোক না কেন। হয়তো ওর মতো প্রচুর না হলেও আমরা সকলেই অল্প কিছু ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। যা দেখি সেটাই বলি আমরা। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি আমরা।


বিরাট কোহলি   গাভাস্কার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে ফিরছেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য

প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচ ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে এবার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য স্বাগতিকরা দল ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার এক বিবৃতিতে টাইগারদের স্কোয়াডে এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিসিবি। এর আগে আইপিএল থেকে ফিরে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম, ডিপিএল খেলতে প্রথম তিনটিতে সাকিবকে ছুটি এবং চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা তিনজনই ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। তিন ক্রিকেটার দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শরিফুল ইসলাম। এর মধ্যে শরিফুলকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। বাকি দুই ক্রিকেটার স্কোয়াডে থাকলেও, এই সিরিজের কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি।

শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   সৌম্য সরকার   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হার্ড হিটে ভাঙলেন দর্শকের ফোন, পরে যা উপহার দিলেন মিচেল

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অন্যান্যবারের মতো এবারও আইপিএল শুরু হয়েছিল বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে। তবে এবারের আইপিএল যেন ব্যাটারদের জন্য একটু বেশিই কার্যকর হিসেবে গণ্য হয়েছে। কারণ এবারের আসরে প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে যেন ঝরছে রানের ফুলঝুড়ি।

আর এমন পরিস্থিতিতে চার-ছক্কার কারণে আইপিএলে বলের আঘাতে দর্শকদের আহত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার ম্যাচ শুরুর আগেই আহত হলেন এক দর্শক। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ড্যারিল মিচেলের শটে ভাঙে তার আইফোনও। এর বদলে সেই দর্শককে নিজের গ্লাভস উপহার দেন মিচেল।

ঘটনাটি ঘটে ধর্মশালার স্টেডিয়ামে। চেন্নাই বনাম পাঞ্জাব ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যাট করছিলেন মিচেল। পুল মারার অনুশীলন করছিলেন তিনি। বাউন্ডারির কাছেই ছিলেন মিচেল। হঠাৎ তার একটি শট গিয়ে লাগে এক দর্শকের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধরে বসে পড়েন ওই যুবক।

বোঝা যায়, হাতে ভালই লেগেছে তার। পরে দেখা যায়, যুবকের হাতে থাকা আইফোনটিও ভেঙে গেছে। তার মারা শটে যুবক আহত হয়েছেন দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান মিচেল। তিনি খোঁজ নেন আঘাত গুরুতর কি না।

পরে সেই যুবককে নিজের এক জোড়া গ্লাভস উপহার দেন মিচেল। গ্লাভসে সইও করে দেন তিনি। চেন্নাই ক্রিকেটারের সেই উপহার নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায় সেই যুবককে।

চলতি আইপিএলে প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে চেন্নাই। পাঞ্জাবকে হারানোর পরে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তারা। অন্যদিকে পাঞ্জাব বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে তারা।


মিচেল   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষের পথে এবারের আইপিএল, প্লে-অফের দৌড়ে যারা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। যেখানে শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত প্রতিটি দলের সাথে প্রতিপক্ষ দলের চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যা এখনও চলমান রয়েছে।

তবে আইপিএলের এবারের আসর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে ৫৬টি ম্যাচ। কিন্তু ৫৬ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই এখন পর্যন্ত প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি। আবার কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও কেউই আসর থেকে ছিটকেও যায়নি। আর তাই প্লে অফের শেষ মুহূর্তের লড়াইটা জমেছে বেশ।

এবার আইপিএলের অর্ধেক ম্যাচ শেষে টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে রাজত্ব ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবমিলিয়ে জমজমাট আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের লড়াই। প্লে-অফে উঠতে ১০ দলের সামনে এখন আলাদা আলাদা সমীকরণ।

দেখে নেওয়া যাক পয়েন্টস টেবিল অনুযায়ী আইপিএলের ১৭তম আসরের দলগুলোর বর্তমান অবস্থান-

১. কলকাতা নাইট রাইডার্স

১১ ম্যাচে ৮ জয়ে টেবিলের রাজত্ব করছে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। বাকি তিন ম্যাচে মুম্বাই, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এর মধ্যে যেকোনো এক ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট হবে তাদের। আর নেট রানরেটে (১ দশমিক ৪৫৩) এগিয়ে থাকায় তাদের সামনে প্লে-অফের সহজ সমীকরণ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এক ম্যাচে জয় পেলেই শেষ চারে উঠে যাবে শাহরুখ খানের কলকাতা।

তবে শুধু প্লে-অফই না, সেরা দুইয়ে থাকার সুযোগও আছে তাদের। এর জন্য অনন্ত দুটি ম্যাচে জিততেই হবে শ্রেয়াস আইয়ারদের। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের একটি ম্যাচে হারের প্রত্যাশাও করতে হবে কলকাতা শিবিরকে। আর তিন ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ২২। সেক্ষেত্রে আর কোনো সমীকরণই মেলাতে হবে না।

২. রাজস্থান রয়্যালস

কলকাতার সমান ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্টে নেট রানরেটে পিছিয়ে টেবিলের দুইয়ে রাজস্থান। নিজেদের পরের ম্যাচে চেন্নাই, পাঞ্জাব ও কলকাতার বিপক্ষে খেলবে তারা। কেকেআরের মতো যেকোনো একটি ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত তাদের। আর ৪ ম্যাচের মধ্যে সবটিতে জিতলেই সেরা দুইয়ে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করবে সাঞ্জু স্যামসনরা। এক্ষেত্রে কলকাতা ছাড়া আর কোনো দলের সামনেই তাদেরকে ধরার সুযোগ নেই।

৩. চেন্নাই সুপার কিংস

১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ তিন ম্যাচে গুজরাট, রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। সেই তিন ম্যাচে জয় পেলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৮। লখনৌ এবং হায়দরাবাদেরও সুযোগ আছে মোস্তাফিজের চেন্নাইকে পেছনে ফেলার। তাই লখনৌ কিংবা হায়দরাবাদ, যাতে একটি ম্যাচে হারে; সেই প্রত্যাশাই করতে হবে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে লখনৌ ও হায়দরাবাদের মধ্যে একটি ম্যাচ বাকি থাকায় কিছুটা স্বস্তি চেন্নাই শিবিরে। তাই চেন্নাইয়ের সামনে প্লে-অফের দৌড়ে সহজ সমীকরণ।

৪. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে হায়দরাবাদ। সোমবার (৬ মে) নিজেদের সবশেষ ম্যাচে মুম্বাইয়ের সঙ্গে হেরে প্লে-অফের দৌড়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। শেষ তিন ম্যাচে লখনৌ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের। এর মধ্যে লখনৌর বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বাঁচামরার লড়াই। এই ম্যাচে হারলেই প্লে-অফের দৌড়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে তাদের। আর গ্রুপ পর্বে চেন্নাই কোনো ম্যাচে হারলে, সেটিও হায়দরাবাদের জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে। তাই নিজেদের জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের পরাজয়ের প্রত্যাশাও করবে তারা।

৫. দিল্লি ক্যাপিটালস

১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে দিল্লি। তবে এখনও প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে ঋষভ পান্থের দল। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌয়ের মুখোমুখি হবে তারা। প্লে-অফের সমীকরণে টিকে থাকতে এই দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। সেই সঙ্গে নেট রানরেটের হিসেব তো থাকছেই। পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের হারের প্রত্যাশাও করতে হবে। তাহলেই প্লে-অফে উঠতে পারবে তারা।

৬. লখনৌ সুপার জায়ান্টস

সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের সমান পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটে (-০.৩৭১) পিছিয়ে টেবিলের পাঁচে লখনৌ। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে হায়দরাবাদ, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মোকাবিলা করবে তারা। তবে এই তিন ম্যাচে জয় পেলেও প্লে-অফ নিশ্চিত না তাদের। জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটের সমীকরণও মেলাতে হবে। সেই সঙ্গে চেন্নাই ও হায়দরাবাদের পরাজয়ের প্রত্যাশাও করতে হবে।

৭. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু

প্লে-অফের দৌড়ে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বিরাট কোহলিদের। শেষ তিন ম্যাচে পাঞ্জাব, দিল্লি ও চেন্নাইকে হারালে ১৪ পয়েন্ট হবে তাদের। আর প্রত্যাশা করতে হবে চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌ যাতে একটির বেশি ম্যাচে জয় না পায়। তাহলেই শেষ চারে উঠার পথ সম্মুখ হবে তাদের।

৮. পাঞ্জাব কিংস

১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে থাকা পাঞ্জাব নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু, রাজস্থান ও হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এই তিন ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ, লখনৌ এবং দিল্লির হারের প্রত্যাশাও করতে হবে তাদের। আর নেট রানরেটের জটিল সমীকরণ মেলাতে পারলেই প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে থাকবে পাঞ্জাবের।

৯. মুম্বাই ইন্ডিয়ানস

টানা ৪ ম্যাচে হারের বৃত্তে থাকা মুম্বাই নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে। এই জয়ে টেবিলের ৯-এ উঠে এসেছে তারা। তবে প্লে-অফে স্বপ্নটা বেশ কঠিনই বটে। কেননা, বাকি দুই ম্যাচে ম্যাচ কলকাতা ও লখনৌয়ের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে তাদের। নিজেদের দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌর সব ম্যাচে হারের প্রত্যাশা করতে হবে তাদের। একই সঙ্গে দিল্লির এক ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশাও করতে হবে।

১০. গুজরাট টাইটান্স 

পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে গুজরাট। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে চেন্নাই, কলকাতা ও হায়দরাবাদের মোকাবিলা করবে তারা। কাগজে-কলমের হিসেবে প্লে-অফের আশা থাকলেও নানান জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে বর্তমান রানার্স-আপদের। নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের প্রত্যাশাও করতে হবে। আর এক ম্যাচে হারলেই শেষ হয়ে যাবে প্লে-অফ স্বপ্ন।


আইপিএল   ক্রিকেট   ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন