What an interview by Ebadot Hossain 👏
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 5, 2022
(via @btsportcricket )pic.twitter.com/bxy766hoGi
“We raised our hand and said 'We have to beat New Zealand in their own soil and we can do it.' They are Test champions, if we can beat them our next generation will be inspired,” Ebadot Hossain said. #NZvBANhttps://t.co/1A8fU43TZo
— Circle of Cricket (@circleofcricket) January 5, 2022
Ebadot Hossain is now our favourite cricketer.
— Cricket on BT Sport (@btsportcricket) January 5, 2022
One of the 𝗯𝗲𝘀𝘁 post-match interviews you'll watch from a professional athlete 👏
He joined the Bangladesh Air Force and played volleyball and now he's just bowled his country to a famous win 🐯#NZvBAN pic.twitter.com/CBKquRpzUx
এবাদত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন টাইগাররা।
তবে সিরিজের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। বড় বাধা ছিল আবহাওয়া। তবে সেই বাধা এখন আর নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই সিরিজটি মাঠে গড়াবে। সেই লক্ষ্যে রোববার (১৯ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা) অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ দল হিউস্টনে পৌঁছার পর এক দিন বিশ্রাম করে এবং এক দিনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে। শনিবার থেকে টাইগাররা স্কিলের অনুশীলন শুরু করেছেন। হিউস্টনের প্রেইরিভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে শান্তরা শুরুতে ওয়ার্ম আপ ও ফুটবল খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। বাকি দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়। সিরিজ শেষে ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেই আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
১ জুন ভারতের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের লড়াই শুরুর আগে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য সবমিলিয়ে ৫টি ম্যাচ পাচ্ছে টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে লাল সবুজদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। প্রথম দুটি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে বাকি দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবারের মত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এবারের মৌসুমে সিটির এই শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন আর্লিং হালান্ড। আর সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৭ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন হালান্ড।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসির কোল পালমারকে পেছনে এই পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে গোল্ডেন বুট জিতেছেন এই ফুটবলার।
সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে ২২ গোল করেছেন ব্লুজদের তরুণ তুর্কি পালমার। সেই হিসেবে তার থেকে ৫ গোল বেশি করেছেন হালান্ড।
গতকাল মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
অপরদিকে এভারটনের বিপক্ষে জয় পেলেও তা কোনো কাজে আসেনি আর্সেনালের। তাদের থেকে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
আর্লিং হালান্ড ম্যানচেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
ইউরোপীয়
শীর্ষ ৫ ক্লাব ফুটবলের মধ্যে অন্যতম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল)। এটিকে বলা হয়ে থাকে
বিশ্বের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। ফুটবল বোদ্ধাদের এই টুর্নামেন্ট
নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই লিগের শেষ ম্যচ ডে পর্যন্ত অপেক্ষা
করতে হয় শিরোপা কার হাতে উঠছে তা দেখার জন্য।
চলতি
২০২৩-২৪ মৌসুমও এর ব্যতিক্রম না। এবারও এই লিগের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কার মাথায় উঠবে
তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ম্যাচ ডে পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত জমেছে আর্সেনাল,
ম্যান সিটি ও লিভারপুলের ত্রিমুখী লড়াই। তবে এই লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছিল লিভারপুল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়েছে পেপ ও আর্তেতার শিষ্যরা।
শেষ
ম্যাচ ডে শিরোপার সমীকরণে দুটি ভিন্ন খেলায় মাঠে নেমেছিল দুই দল। সমীকরণটি এমন ছিল
যে, ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে সিটি যদি পয়েন্ট হারায় আর এভারটনের সাথে আর্সেনাল জিতে
তাহলে শিরোপা আর্সেনালের কাছে যাবে। অন্যথায় শিরোপাটি নিজেদের কাছেই রাখবে ডিফেন্ডিং
চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ পর্যন্ত শিরোপা নিজের ঘরেই রেখেছে ম্যানসিটি।
শুরু
থেকে ছন্দে, তবুও মাঝে এসে ব্যাকফুটে। তারপর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন।
সবমিলিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির জার্নি টা বেশ কিছুটা
সিনেমার গল্পের মতোই ছিল। শুধু তাই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোন দলই টানা
চারবার শিরোপা জিততে পারেনি। তবে সেই অসাধ্য কাজটিই এবার করে দেখিয়েছে পেপ গার্দিওলার
শিষ্যরা।
তবে
এবারের প্রিমিয়ার লিগের লড়াইটা জমেছে বেশ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব দলই হাড্ডাহাড্ডি
লড়াই করেছে একে অপরের সাথে। আসুন ৫ পয়েন্টে দেখে নেয়া যাক এবারের ইপিএলের আদ্যোপান্ত-
১. বিগ সিক্সের অবস্থান:
আর্সেনাল,
চেলসি, লিভাপরপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম। এই ছয়টি দলকে
বলা হয় ইপিএলের বিগ সিক্স। এই ছয় দলের মধ্যে এবার চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হয়ত
তাদের সবচেয়ে খারাপ মৌসুম কাটিয়েছে। লিগে ৩৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৬০ পয়েন্ট তুলতে পেরেছে
ম্যান ইউনাইটেড। তাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে।
অন্যদিকে
আরেক জায়ান্ট ক্লাব চেলসি সংগ্রহ করতে পেরেছে ৬৩ পয়েন্ট। তাদের অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে।
টটেনহাম টপ ফোরে যাওয়ার জন্য লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের থেকে ২ পয়েন্ট বেশি পয়েন্ট
নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তী আসর নিশ্চিত করেছে এস্টন ভিলা। আর ম্যান সিটি, আর্সেনাল,
আর লিভারপুল যথাক্রমে ১,২ ও ৩ এ থেকে মৌসুম শেষ করেছে।
২. সিটির টানা চার
ম্যানচেস্টার
সিটি সম্ভবত তাদের ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা সময় কাটাচ্ছে গত চার মৌসুম ধরে। কেননা
ইপিএলে টানা ৪টি শিরোপা জিতেছে দলটি। এর আগে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ম্যান ইউনাইটেড
টানা ৩ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর তাদের এই রেকর্ড ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে পেপ গার্দিওয়ালার
শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত আর্সেনালের সাথে মাত্র ২ পয়েন্ট ব্যবধানে লিগ জিতল তারা। এটি
সিটিজেনদের ক্লাব ইতিহাসের ৬ষ্ঠ লিগ শিরোপা। এর আগে ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ আসরে
চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। নিজেদের সেরা মাঠে কিভাবে নিঙ্গরে দিতে হয় তা গত ৪ মৌসুমে দেখিয়েছে
তারা। পেপ গার্দিওয়লার টেক্টিস, গ্যাম প্লানের কাছে হয়েছে সব নামি-দামি কোচ।
৩. গানারদের আক্ষেপ
শেষ
বার যখন এমিরাট স্টোডিয়ামে ইপিএল ট্রফি গানাররা দেখে তখন সবার হাতে ছিল বাটন ফোন। ফেসবুক,
টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে সেভাবে কিছুই ছিল না। মৌসুমটি ছিল
২০০২-২০০৪। এরপর থেকে আর ইপিএল শিরোপা জিততে পারেনি ইংল্যান্ডের ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গত
কয়েক বছরে আর্সেনালের মাঠের পারফরম্যান্সও একবারে যে খারাপ তা বলা যায় না। ইপিএলের
২০২২-২৩ মৌসুমে শুরু থেকে দাপট দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যান সিটির কাছে ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে
লিগ শিরোপা হারাতে হয় দলটিকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে
আসা আর্সেনাল শেষ পর্যন্ত এই মৌসুমে শিরোপা নিজের করে নিতে পারেনি। মাত্র ২ পয়েন্টের
আক্ষেপ নিয়ে হয়ত তাদের আরেকটি মৌসুম অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ আক্ষেপ শেষ করতে।
অবশ্য
এ মৌসুমে তাদের কপাল পোড়ানোর পিছনে সিটির যতটুকু অবদান তার চেয়ে বেশি অবদান ফুলহ্যামের।
কারণ পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা এই দলটির বিপক্ষে মুখোমুখি ২ ম্যাচেই হোচট খেয়েছে
গানারর্সরা। যার ফল টুর্নামেন্টের শেষ দিকে
এসে তাদের ভুগিয়েছে।
৪. লিভারপুলের ছন্দপতন
এবারের
ইপিএলে লিভারপুলও বেশ ভালোভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। শুরু থেকেই দুর্দন্ত ফর্মে থাকা
মোহাম্মদ সালাহরা গত এক মাস আগেও ছিল টেবিল টপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিটির চেয়ে ৯
পয়েন্ট আর আর্সেনালের থেকে ৭ পয়েন্টের বড় ব্যবধান নিয়ে লিগ হারাতে হয়েছে তাদের। ফুটবল
বিশ্লেষকরা মনে করেন, লিভারপুল বস ক্লপের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরই তাদের
এই ছন্দপতন হয়েছে।
৫. কথা রাখলেন মার্টিনেজ
১৯৮২-৮৩
তে শেষ বার ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলেছিল এস্টন ভিলা। এর আগে ১৯৮১-৮২
তে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দলটি। কিন্তু এরপরই হয় ছন্দপতন। এরপর থেকে আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে
জায়গা করে নিতে পারেনি ভিলা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক
কথা দেয় যে, এস্টন ভিলাকে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবার তুলবেন। দলের হারানো ঐতিহ্য
তিনি ফেরাবেন। আর নিজের কথামতো মাঠের কাজও করে দেখালেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬৮ পয়েন্ট
নিয়ে ৪ নম্বরে শেষ করেছে দলটি। আর এর ফলে তারা পৌঁছে গেল আগামী ২০২৪-২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে।
সবমিলিয়ে
বলতে গেলে এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমটি ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ছন্দপতন ও
ঘুরে দাঁড়ানোর মিশেলে ভরা এক গল্প। যার শ্রেষ্ঠত্ব ছিল ইতিাহাদের মাটিতে। যেটি ছিনিয়ে
নিতে চেয়েছিল গানাররা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি আর সম্ভব হয়নি। রোববার লিগের শেষ ম্যাচে
ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্য দিয়ে ইংলিশ লিগের একমাত্র
দল হিসেবে টানা চারটি লিগ শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছে সিটিজেনরা।
ইপিএল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ক্লাব ফুটবল ৫ পয়েন্টে ইপিএল
মন্তব্য করুন
শুরু থেকে ছন্দে, তবুও মাঝে এসে ব্যাকফুটে। তারপর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন। সবমিলিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির জার্নি টা বেশ কিছুটা সিনেমার গল্পের মতোই ছিল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো দলই টানা চারবার শিরোপা জিততে পারেনি। তবে সেই অসাধ্য কাজটিই করে দেখালে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
রোববার লিগের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্য দিয়ে ইংলিশ লিগের একমাত্র দল হিসেবে টানা চারটি লিগ শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছে সিটিজেনরা।
আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবশ্য টানা তিনটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের কীর্তি আছে। সবমিলিয়ে এটি সিটির দশম লিগ শিরোপা।
এদিন ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় সিটি। বের্নার্দো সিলভার অ্যাসিস্টে গোল করেন ফিল ফোডেন। এবার ফোডেন গোল করেন জেরেমি ডোকুর পাস থেকে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবশ্য গোলের ব্যবধান কমায় আর্সেনাল। মোহাম্মদ কুদুসের গোলে ২-১ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। তবে ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে সিলভার বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর শট নিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান আরো বাড়ান রদ্রি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলেই জেতে সিটি।
ম্যানচেস্টার সিটি আর্সেনাল প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকদিন। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের
সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, মাঠের লড়াইয়ে দাপটটাও তাদেরই
বেশি। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে
দল।
আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই
দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।
অন্যান্যবার কুড়ি ওভারের এই বিশ্বযজ্ঞে ১০টি দল অংশগ্রহণ করলেও
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যেখানে সেরা আট দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর
সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং
আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই
ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা
এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।
আর দল বেশি হওয়ায় এবারের সমীকরণটাও কিছুটা ভিন্ন। নতুন আদলের এবারের
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে
থাকবে ৫টি করে দল।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা
করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে
সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। বৈশ্বিক এই আসরকে
সামনে রেখে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ১৯টি দল। ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র পাকিস্তান।
তবে জানা গেছে, তারাও শীঘ্রই দল ঘোষণা করবে।
তবে এবার প্রতিটি টি-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২০টি দলের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি নজরে থাকছে ক্যারিবীয়রা। কারণ ঘরের মাঠে এবার তাদের শক্তির পরীক্ষা। শুধু
তাই নয়, ক্যারিবীয়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যেন আরও নজর কেড়েছে ক্রিকেট বোদ্ধাদের।
আর তাইতো বিশ্লেষকদের মতে, এবারের সেমিফাইনাল খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সাবেক কিংবদন্তী মাইকেল ভন, ব্রায়েন লারা, মোহাম্মদ হাফিজদের মতে-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল করতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, প্রথমত
নিজেদের ঘরের মাঠ ও দ্বিতীয়ত তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। সবমিলিয়ে যেন দুইবারের
চ্যাম্পিয়নরা এবার মুখিয়ে রয়েছে মাঠের লড়াইয়ের জন্য।
তবে ক্যারিবীয়দের এবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করার বেশ কয়েকটি কারণ
রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে-
১. আইপিএলের অভিজ্ঞতা
ভারতে চলছে তাদের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে
অংশ নিয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপ দলে থাকা বেশিরভাগ ক্যারিবীয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম-
আন্দ্রে রাসেল, সিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান। আইপিএলে এবার যে রানবন্যা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে
চলছে তুমুল সমালোচনা সেই রানবন্যার অন্যতম কারিগর হলেন এই ক্যারিবীয়রা। ১৬০ এর উপরে
স্ট্রাইক রেটসহ চার-ছক্কার যে মারকুটে ব্যাটিং স্টাইল, তা পুরোটাই প্রায় ক্যারিবীয়দের
দখলে।
২. বিধ্বংসী ব্যাটিং
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই টি-২০তে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য সেরাদের
কাতারে শীর্ষে ছিল। ক্রিস গেইল থেকে শুরু করে কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল থেকে ডয়েন
ব্রাভো- প্রতিটা খেলোয়াড়ই যেন এক একসময় নিজেদের দানবীয় রূপে ধরা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।
আর এবার তো নিজেদের ঘরের মাটিতেই খেলা। যার জন্য ক্যারিবীয়দের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের
দ্বারা যেকোন সেরা বোলারও নড়বড়ে অবস্থায় থাকেন।
ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইন-আপে রয়েছেন অভিজ্ঞ শাই হোপ, নিকোলাস
পুরান, ব্রেন্ডন কিং, সিমরন হেটমায়ার ও জনসন চার্লসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটাররা।
৩. ট্রিকি বোলিং
ক্যারিবীয় বোলারদের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে তারা এক একজন ভিন্ন রকমের
এন্টারটেইনিং পার্সোনালিটি মেইনটেইন করে চলে। শুধু তাই নয়, নিজেদের পার্সোনালিটির পাশাপাশি
বল হাতেও নানারকম কারিশমা দেখাতে পারেন তারা। ধরুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন বোলার ওভারের
প্রথম তিনটি বল ১৪০-১৪৫ কি.মি. গতিতে করল। আর পর পর তিনটি বল এমন গতির দেখে ব্যাটাররা
সাধারণত ধরেই নিবে পরের বলটিও এমন গতিতেই হবে। কিন্তু চতুর্থ বলটি হুট করে বোলার ৯০-৯৫
অথবা ১০০-১১০ কি.মি. গতিতে করলেন। এমন ট্রিকসের ফাঁদে পড়ে যেকোন নামীদামী ব্যাটারই
নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিতে পারেন। আর এই ট্রিকি বোলিংও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি বড় হাতিয়ার।
৪. অলরাউন্ডারদের দাপট
এবারের বিশ্বকাপে উইন্ডিজ অলরাউন্ডারদের পাল্লা বেশ ভারি। অধিনায়ক
রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে ছড়ি ঘোরাতে পারেন জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেলরা।
একাদশে সুযোগ পাওয়ার বিবেচনা কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন শেরফান রাদারফোর্ড। তবে বোলিংয়ে
দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি কার্যকরী ব্যাটিং করতে পারেন রোমারিও শেফার্ড।
৫. ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস
ক্যারিবীয়দের বোলিং ইউনিটে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে শামার জোসেফ। অস্ট্রেলিয়ার
গ্যাবায় বল হাতে ঝড় তুলে নিজের অভিষেকের মাসেই প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কার জিতেছিলেন
তিনি। বল হাতে সুইং আর গতির যে কম্বিনেশন তিনি তৈরি করেন তাতে যেকোন বিশ্বমানের ব্যাটারও
নড়বড়ে অবস্থায় চলে যাবে।
সেই সাথে এবার শামার জোসেফের সঙ্গে বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের
মনে কাঁপন ধরাতে প্রস্তুত আলজেরি জোসেফও। এছাড়া ঘূর্ণি দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছেন রস্টন
চেজ, গুদাকেশ মোতি ও আকিল হোসেনরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। আসরের উদ্বোধনী
ম্যাচে কানাডাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দিনের অন্য ম্যাচে
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হবে আরেক স্বাগতিক ওয়েস্ট
ইন্ডিজ। সেই হিসেবে আর ১৩ দিন পর নামতে হবে তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের দল
ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।
আসন্ন বিশ্বকাপ দলে আছেন আলোচিত পেসার শামার জোসেফ। অভিজ্ঞদের মধ্যে
আছেন সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার এবং আন্দ্রে রাসেলও বিশ্বকাপ দলে আছেন। তবে নেই
আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সুনিল নারিন ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মাতিয়ে বেড়ানো
কাইল মেয়ার্স। বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আছে
আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এবং উগান্ডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:
রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজেরি জোসেফ, জনসন চার্লস, রস্টন চেজ,
সিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুদাকেশ
মোতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড।
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জ
মন্তব্য করুন
ইউরোপীয় শীর্ষ ৫ ক্লাব ফুটবলের মধ্যে অন্যতম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল)। এটিকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। ফুটবল বোদ্ধাদের এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই লিগের শেষ ম্যচ ডে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় শিরোপা কার হাতে উঠছে তা দেখার জন্য।