ইনসাইড গ্রাউন্ড

এখন আর পঞ্চপাণ্ডব নির্ভর নয় বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail এখন আর পঞ্চপাণ্ডব নির্ভর নয় বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো তাদেরকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাঁচ দিনই রীতিমতো দাপট দেখিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রদর্শনে কিউইদের হারিয়েছে টাইগাররা। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এটাই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম কোনো জয়। এমন অর্জনের পর স্বভাবতই প্রশংসায় ভাসছে টাইগাররা। তবে এই জয়ে যে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে তা হচ্ছে এতো বড় ঐতিহাসিক একটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে পঞ্চপাণ্ডবের অবদান ছাড়াই। তাই এই জয়ের আলাদা একটা তাৎপর্য তো আছে। এটাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্তের সূচনাও বলছেন অনেকে। 

গত এক দশকে বাংলাদেশের সবগুলো জয়েই পঞ্চপাণ্ডব সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ এবং মাশরাফি কারো না কারও অবদান ছিলোই। তাই তাদের পাঁচজনের মধ্যে চারজনের অনুপস্থিতিতে দল ছিলো ব্যাকফুটে। তার উপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি, পাকিস্তান সিরিজের ব্যর্থতা এবং প্রতিবার নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে ফেরার রেকর্ড, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে ছিলোনা টাইগারদের। 

এমন কঠিন পরিস্থিতিতেই নিউজিল্যান্ড সফরে যায় টিম টাইগার্স। কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি এই সফরে কোনো জয়ের দেখা পাবে বাংলাদেশ। তবু সকল ব্যর্থতা ও চাপকে টপকিয়ে দলগত পারফরম্যান্স করে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে এনেছে জয়, এবাদত, লিটনরা। সেটাও পঞ্চপাণ্ডবদের কোন অবদান ছাড়াই। দলে রয়েছেন 'বিগ ফাইভ' এর শুধু একজন মুশফিকুর রহিম, তবে ম্যাচে তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি৷ 

ম্যাচের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ছিলো এবাদত-তাসকিনদের বোলিং এবং লিটন, জয়, শান্ত, মমিনুলদের ব্যাটিং। শক্তিশালী কিউইদের বিপক্ষে যে সাবলীল ক্রিকেট খেলেছেন তারা, তা সবারই নজর কেড়েছে। এমন পারফরম্যান্সে টাইগার সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছে।

সবাই আশংকায় ছিলো যে পঞ্চপাণ্ডবদের পর কি হবে ক্রিকেটের অবস্থা? কে ধরবে হাল? কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এমন সাফল্যে সে দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে আপাতত। মুমিনুল, জয়, শান্ত, লিটন, এবাদতদের পারফরম্যান্সে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা সাফল্য এসেছে যে তাদের হাত ধরেই। তাই তাদের উপর ভরসা রাখতে দ্বিধা নেই। হতাশার কালো মেঘ দূর হয়ে যেন সূর্যের হাসি দেখা গেল ক্রিকেটপাড়ায়।


বাংলাদেশ ক্রিকেট   পঞ্চপাণ্ডব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক নজরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলগুলোর স্কোয়াড

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে ক্রিকেটের মেগা টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। আগামী জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি নেই এক মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া আসরটির জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দেশ।

গত ১ মে ছিল আইসিসিকে খেলোয়াড়দের নাম জমা দেওয়ার জন্য বোর্ডগুলোকে বেধে দেওয়া সময়ের শেষদিন। তবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই পরিবর্তন আনা যাবে দলে। এই সুযোগের কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোয়াড ঘোষণা করেনি।

তবে তারপরেও যে দেশগুলো নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে তাদের দল কতটা শক্তিশালী হল দেখা যাক...

নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড

কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচীন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি। ট্রাভেলিং রিজার্ভ: বেন সিয়ার্স।

দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড

এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিয়েল বার্টমেন, জেরাল্ড কোয়েটজে, কুইন্টন ডি কক, জর্ন ফরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো জানসেন, হেইনরিখ ক্লাসেন, কেশভ মহারাজ, ডেভিড মিলার, এনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ত্রিস্টান স্টাবস। ট্রাভেলিং রিজার্ভ: নান্দ্রে বার্গার, লুঙ্গি এনগিডি

ইংল্যান্ড স্কোয়াড

জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি (সহ-অধিনায়ক), স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, মার্ক উড, রিচ টপলি।

ভারতের স্কোয়াড

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। রিজার্ভ: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।

আফগানিস্তানের স্কোয়াড

রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইশাক, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, নাঙ্গিয়াল খারোতি, নুর আহমেদ, নাভিন উল হক, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক ও মুজিব উর রহমান। রিজার্ভ খেলোয়াড়: হজরতউল্লাহ জাজাই, সেদিকউল্লাহ অটল ও সালিম সাফি।

অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড

মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাস্টন অ্যাগার, ম্যাথু ওয়েড, ক্যামেরন গ্রিন, টিম ডেভিড, মিচেল স্টার্ক, নাথান এলিস, জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স।

নেপাল স্কোয়াড

রোহিত পৌডেল (অধিনায়ক), আসিফ শেখ, অনিল কুমার শাহ, কুশাল ভুর্তেল, কুশাল মাল্লা, দীপেন্দ্র সিং আইরে, ললিত রাজবংশী, করণ কেসি, গুলশান ঝা, সোমপাল কামি, প্রতীশ জিসি, সুদীপ জোরা, অভিনাশ বোহারা, সাগর ধাকাল, কামাল সিং আইরে। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াড

রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুদাকেশ মোতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড।

কানাডার স্কোয়াড

সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), অ্যারন জনসন, ডিলন হেইলিগার, দিলপ্রিত বাজওয়া, হার্শ ঠাকার, জেরেমি গর্ডন, জুনায়েদ সিদ্দিকি, কলিম সানা, কানওয়ারপাল তাথগুর, নবনিত ঢালিওয়াল, নিকোলাস কারটন, পরগত সিং, রবিন্দরপাল সিং, রাইয়ানখান পাঠান ও শ্রেয়াস মোভা। রিজার্ভ খেলোয়াড়: আম্মার খালিদ, তাজিন্দর সিং, আদিত্য বরধরাজন, পারভিন কুমার এবং যতিন্দর মাথারু।

যুক্তরাষ্ট্রের স্কোয়াড

মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ প্যাটেল, নিতিশ কুমার, নশতুশ কেনজিগে, সৌরভ নেথ্রালভাকার, শ্যাডলি ফন শ্যালকউইক, স্টিভেন টেইলর ও শায়ান জাহাঙ্গীর। রিজার্ভ খেলোয়াড়: গজানন্দ সিং, হুয়ানয় ড্রাইসডেল ও ইয়াসির মোহাম্মদ।

ওমানের স্কোয়াড

আকিব ইলিয়াস (অধিনায়ক), জিশান মাকসুদ, কাশ্যপ প্রজাপতি, প্রতিক আথাভেল, আয়ান খান, শোয়েব খান, মোহাম্মাদ নাদিম, খালিদ কাইল, নাসিম খুশি, মেহরান খান, বিলাল খান, রফিকউল্লাহ, কলিমউল্লাহ, ফায়াজ বাট, শাকিল আহমেদ। রিজার্ভ খেলোয়াড় : জতিন্দর সিং, সামায় শ্রিবাস্তব, সুফিয়ান মেহমুদ, জয় ওডেড্রা।

শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), চারিথ আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), কুশাল মেন্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, মাহিশ থিকশানা, দুনিথ ভেল্লালাগে, দুশমান্থ চামিরা, নুয়ান থুসারা, মাথিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা। ট্রাভেল রিজার্ভ: আসিথা ফার্নান্দো, বিজয়কান্থ বিশ্বকান্থ, ভানুকা রাজাপাকসে এবং জানিথ লিয়ানাগে। 

আয়ারল্যান্ডের স্কোয়াড

পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, অ্যান্ড্রু বালবার্নি, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, জশ লিটল, ব্যারি ম্যাককার্থি, নিল রক, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ক্রেইগ ইয়াং।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   স্কোয়াড   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাকিবের সামনে নতুন কীর্তি গড়ার সুযোগ

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের বিশ্বকাপে সাকিব নতুন এক কীর্তি গড়বেন। কারণ, ৪৭ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। শুধু বাংলাদেশরই নন, ৪৭ উইকেট নেওয়া সাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

বাংলাদেশ দল এখনো ঘোষণা না হলেও তাতে সাকিবের থাকা নিশ্চিত। আর মাত্র ৩ ইউকেট পেলে প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়বেন। কারণ, শীর্ষ ৫ উইকেটশিকারির বাকি সবাই অবসর নিয়েছেন।

এদিকে বিশ্বকাপে খেলবেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, তার উইকেট ৩১টি।

শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ অষ্টম স্থানে আছেন সাকিব। ৩৬ ইনিংসে ২৩.৯৩ গড় আর ১২২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৭৪২।


সাকিব আল হাসান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেইমার-ক্যাসেমিরোকে ছাড়াই কোপা আমেরিকার জন্য ব্রাজিল দল ঘোষণা

প্রকাশ: ১২:৫২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শীর্ষ টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

কোপা আমেরিকাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতিস্বরূপ দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল ফুটবল দল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। আর এই দুই প্রীতি ম্যাচ এবং কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে সেলেসাওরা। যেখানে স্কোয়াডে রাখা হয়নি পুনর্বাসনে থাকা নেইমার জুনিয়রকে। একই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। তবে চমক দিয়ে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ স্ট্রাইকার ফেলিপে এন্দরিক। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন সেলেসাওদের কোচ দরিভাল জুনিয়র।

আগামী  ৯ জুন মেক্সিকো ও ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। প্রীতি ম্যাচ ও গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রায় এক মাস আগেই দল ঘোষণা করেছে সেলেসাওরা।

দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়ার পর দরিভালের অধীনে গত ২৪ মার্চ ইংল্যান্ড ও ২৭ মার্চ স্পেনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল। দুই প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াড থেকেই মূলত ২৩ জনকে বেছে নিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এ কোচ। অবশ্য ঐ দুই প্রীতি ছিলেন না ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার গিলহের্মে অ্যারানা ও ২৪ বছর বয়সী এভানিলসন।
 
আগামী ২৫ জুন কোপার যাত্রা শুরু হবে ব্রাজিলের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া।

ব্রাজিলের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক:
অ্যালিসন, বেনতো, এডার্সন।
রক্ষণভাগ: বেরালদো, এদের মিলিতাও, ম্যাগালায়েস, মারকুইনস, দানিলো, ইয়ান কুতো, অ্যারেনা, ওয়েনদেল।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রেস পেরেইরা, গিমারেস, ডগলাস লুইজ, জোয়াও গোমস, লুকাস পাকেতা।
ফরোয়ার্ড: এন্দরিক, এভানিলসন, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, রাফিনিয়া, রদ্রিগো, সাভিনিও ও ভিনিসিউস জুনিয়র।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে পিএসজি ছাড়ছেন এমবাপ্পে, জানালেন নিজেই

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরাসী তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদলের খবর এখন প্রায়ই শিরোনামে থাকছে। আগামী জুনেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে তার। এরপরেই ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। পিএসজিকে এরই মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত জানালেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন না।

তবে এবার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে নিজের পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

নতুন মৌসুমে কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড? ভিডিওবার্তায় এমবাপ্পে বলেন, আমি সবসময়ই আপনাদের বলে এসেছি, যখন সময় আসবে, আমি নিজ থেকেই বলব। পিএসজিতে এটাই আমার শেষ মৌসুম হতে যাচ্ছে। চুক্তি নবায়ন করতে আমি আগ্রহী নই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ক্লাবটির সাথে এই যাত্রা শেষ হয়ে যাবে আমার।

পিএসজির হয়ে খেলতে পারাটা বেশ আবেগের বলে মনে করেন কিলিয়ান। জানান, আমি কখনও ভাবিনি পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা এতটা কঠিন কাজ হবে আমার জন্য। এখানে মিশে আছে অনেক আবেগ। বিশ্বের বড় ক্লাবগুলোর একটিতে খেলতে পারা আমার জন্য বেশ সম্মানের। তবে সাত বছর পর নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নেয়া বেশ প্রয়োজন বলে মনে করি আমি।

ঘরোয়া লিগে পিএসজি’র জার্সিতে আলো ছড়ালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি এমবাপ্পে। চলতি মৌসুমে তাদের যাত্রা শেষ হয় সেমিফাইনালের মঞ্চে। ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে কাটানো সময় একই সাথে চাপ ও উপভোগের ছিল বলে মনে করেন এই ফরওয়ার্ড।

তিনি বলেন, পিএসজিতে বেশ কিছু তারকাদের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। মেসি-নেইমারদের সাথে স্মরণীয় মূহুর্ত রয়েছে আমার। এখানে কাটানো প্রতিটি সময় উপভোগের সাথে চাপের এক দারুণ সংমিশ্রণ ছিল। এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ দেয়ার জন্য ক্লাবের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

২০১৭ সালে মোনাকো থেকে ধারে খেলতে পিএসজিতে আসেন এমবাপ্পে। পরের বছরই এই ফরোয়ার্ডকে কিনে নেয় প্যারিসের দলটি। পিএসজির জার্সিতে ছয়টি লিগ শিরোপা, তিনটি ফরাসি কাপসহ আরও বেশ কিছু ট্রফি জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।


কিলিয়ান এমবাপ্পে   ফ্রান্স   পিএসজি   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিচ্ছন্ন অভিযানে তামিম ইকবাল

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফল ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একটা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন নানা কারণেই। তবে কবে আবারও ফিরছেন জাতীয় দলে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এরই মধ্যে তামিম আবারও নতুন করে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এবার ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে নয়।

এবার সিলেট নগরীর সড়কে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-সুরমাতীর পর্যন্ত পচ্ছিন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি। এ সময় বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একটি সড়ক পরিষ্কার করেন দেশসেরা এ ওপেনার।

এ সময় তামিম বলেন, এমনিতে সারাদেশে সিলেটবাসীর আলাদা একটা সুনাম আছে। আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশি পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে ফুটপাত এবং রাজপথে হকার্সদের হাঁকাহাঁকি ঝুট-ঝামেলা বন্ধ করতে অল্প সময়েই সক্ষম হয়েছেন সিলেটবাসীর প্রিয় মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সাবেক টাইগার অধিনায়ক আরো বলেন, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি।

সিসিক সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতা কাজে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে তামিম ইকবাল মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে ঐ কাজে অংশ নেন।

সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরো বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’


তামিম ইকবাল   সিলেট সিটি কর্পোরেশন   আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন