ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফা দ্য বেস্টে মেসি-রোনালদো কাকে ভোট দিলেন?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ফিফা দ্য বেস্টে মেসি-রোনালদো কাকে ভোট দিলেন?

ফিফা দ্য বেস্টের ছয় বছরের ইতিহাসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর (২০১৬ ও ২০১৭) পর রবার্ট লেভানডোভস্কি টানা দ্বিতীয়বার বর্ষসেরা হলেন। লিওনেল মেসি ও মোহাম্মদ সালাহকে পেছনে ফেলে সোমবার রাতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বিজয়ী হন তিনি। তারপর থেকে কৌতুহল কার ব্যালটে কার ভোট পড়েছে, বিশেষ আগ্রহ লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে, তারা কাকে ভোট দিয়েছেন?

ফিফার অন্তর্ভুক্ত জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক, কোচ ও প্রতিটি দেশের সাংবাদিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয় শীর্ষ তিন খেলোয়াড় বাছাইয়ের। চূড়ান্ত ভোটের মধ্যে ২৫ শতাংশ ধরা হয় অধিনায়ক ও কোচদের পক্ষ থেকে। তা পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার অধিনায়ক কাকে ভোট দিলেন, সেটা প্রকাশ্যে এসেছে।

গত নভেম্বরে সপ্তম ব্যালন ডি’অর জিতে মেসি বলেছিলেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেভানডোভস্কি ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অরের দাবিদার ছিলেন। মনে হতে পারে, এবারেরর ফিফা দ্য বেস্টে তার ভোট পড়েছে পোলিশ স্ট্রাইকারের দিকে। কিন্তু না। ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে লেভানডোভস্কিকে যোগ্য মনে হয়নি আর্জেন্টিনা অধিনায়কের। পিএসজি ফরোয়ার্ডের সেরা তিনেই জায়গা হয়নি বায়ার্ন মিউনিখ তারকার। মেসি তার পিএসজি সতীর্থ নেইমারকে রেখেছেন প্রথমে, দ্বিতীয় স্থানে তার আরেক ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং শেষে রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।

কিন্তু রোনালদোর প্রথম পছন্দ ছিলেন লেভানডোভস্কি। গত বছর প্রথমবারের মতো মেসিকে ভোটিংয়ে রাখলেও এবার পর্তুগাল অধিনায়কের সেরা তিনে জায়গা হয়নি তার। রোনালদোর পরের দুটি ভোট পড়েছে চেলসি মিডফিল্ডার এনগোলো কান্তে ও জর্জিনহোর পক্ষে।

বিজয়ী লেভানডোভস্কির প্রথম পছন্দের তালিকায় মেসি কিংবা রোনালদো নেই। পোল্যান্ডের অধিনায়ক এক নম্বর ভোট দিয়েছেন জর্জিনহোকে। দ্বিতীয়টি মেসি আর তিন নম্বরটি রোনালদোকে।  

মেসি   রোনালদো   ফিফা দ্য বেস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তিন মিনিটে কামব্যাক, বায়ার্নের স্বপ্ন ভেঙ্গে ফাইনালে রিয়াল

প্রকাশ: ০৪:১২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়েই ছিল স্বাগতিকরা। তাদের কাঁদিয়ে তখন ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছিল সফরকারী বায়ার্ন।

কিন্তু তিন মিনিটের ঝড়ে পাল্টে গেল সব। বদলি হয়ে নামা এই ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করে উল্লাসে ভাসিয়ে তোলেন পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে। তাতে ভর করেই দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে লস ব্লাঙ্কোসদের একমাত্র বাধা এখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আগামী ১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুদলের মধ্যেই হবে শিরোপা লড়াই।    

চ্যাম্পিয়নস লিগে এমনটাই তো করে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ! যা প্রতিপক্ষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।  ফিরে আসার দারুণ গল্প তাদের চেয়ে ভালো আর কেইবা লিখতে পারে। তাও আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো মঞ্চে। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় সব রোমাঞ্চ যেন অপেক্ষা করছিল দ্বিতীয় লেগের জন্য।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। যদিও প্রথমার্ধের অনেকটা জুড়ে দাপট দেখায় রিয়াল। ডেডলক ভাঙার খুব কাছ থেকেই বারববার ফিরতে হয় তাদের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে রদ্রিগো শট নিলেও তা ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার।

বায়ার্ন গোলরক্ষক এরপর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ৩৮ বছর বয়সেও যে তার ঝাঁজ কমেনি, সেটাই যেন দেখিয়েছেন এই ম্যাচে। ৪০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বাড়ানো বল কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন নয়্যার। বিরতির আগপর্যন্ত গোলমুখে দুটি শট নেয় বায়ার্ন। কিন্তু জালের দেখা পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধেও বলের দখল আগের মতোই ধরে রাখে রিয়াল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই নয়্যার। ৫৯ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া রদ্রিগোর বুলেট গতির ফ্রি-কিক বেশ দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই ফের গোলবঞ্চিত রাখেন ভিনিসিয়ুসকে।

এরপর আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। সেখান থেকে গোলের দেখা পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৬৮ মিনিটে হ্যারি কেইনের অসাধারণ পাস খুঁজে নেয় ‘আনমার্ক’ থাকা আলফোনসো ডেভিসকে। সামনে আন্তোনিও রুডিগার ও দানি কারভাহাল থাকলেও তাদের দুজনের মাঝখানেই বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নেন এই লেফট ব্যাক। তা রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ে দ্রুতই সমতায় ফিরেছিল রিয়াল। লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে গোলমুখে শট নেন ফেদে ভালভার্দে। তা অধিনায়ক নাচোর ছোঁয়া লাগার পর এক বায়ার্ন ফুটবলারের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। কিন্তু সেই গোল বাতিল হয় ভিএআরের কারণে। কেননা গোলের আগে ইয়োশুয়া কিমিখকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন নাচো। তাই গোল বাতিল করে ফাউলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।

বার্নাব্যুর গ্যালারিতে তা যেন একরাশ হতাশা বয়ে আনে তখন। নয়্যারের দেয়াল ভাঙবে কে? প্রতিটি সমর্থকের মনে এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল! কিন্তু এ তো রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগে যারা ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। এবার সেই জাগিয়ে তোলার দায়িত্বটা নিলেন হোসেলু। ফেদে ভালভার্দেকে উঠিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে ৮১ মিনিটে মাঠে নামান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। নামার সাত মিনিটের মাথায়ই দলকে সমতায় ফেরান তিনি।

বাঁ প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে এসে ভেতরে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। গোলমুখে তার নেওয়া শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সুযোগ সন্ধানী হোসেলু  কাছাকাছিই ছিলেন। নয়্যারের হাতে লেগে ফিরে আসা বলে টোকা মেরে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। লস ব্লাঙ্কোসদের উল্লাস তখন ঠেকায়।  

তিন মিনিট পরই খুশির মাত্রাটা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন হোসেলু। বক্সের ভেতর থেকে বাঁ প্রান্তে রুডিগারের উদ্দেশে বল বাড়ান নাচো। তখন বক্সের মাঝখানে হোসেলুর সামনে নয়্যার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রুডিগার কোনো ভুল করেননি পাসটি দিতে। আর হোসেলুও ভুল করেননি রিয়ালকে এগিয়ে দিতে। তবে নাটকীয়তার শেষ হয়নি তখনো।

রেফারির চোখে অফসাইডে ছিলেন হোসেলু। তাই গোল দিতে অপরাগতা জানান তিনি। কিন্তু ভিএআর দেখার পর বদলে যায় সিদ্ধান্তে। অফসাইড নয়, বরং অনসাইডেই ছিলেন হোসেলু। তাই গোলটি বৈধ হওয়ার পরই খুলে গেল রিয়ালের ফাইনালের দুয়ার। যা পরে আর বন্ধ করতে পারেনি বায়ার্ন। এগিয়ে থেকেও তাদের ২-১ গোলে হার মানতে হলো রিয়ালের আরও একটি দারুণ প্রত্যাবর্তনের সামনে। হোসেলুর সামনে!



রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরও দল নিয়ে সন্তুষ্ট এনরিকে

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের পরও ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে পিএসজি। তবুও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। যদিও এই পরাজয়কে তিনি ‘অন্যায়’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দেওয়া কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আমি খুবই হতাশ। এখন আমি আর কোথাও নেই। নিজেদের মূল লক্ষ্য পূরণে আমরা ব্যর্থ।’

কালকের ম্যাচে পিএসজির চারটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক সমর্থকদের। জার্মানিতে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতেও পরপর দুটি শট পোস্টে লেগেছিল পিএসজির।

এনরিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এই ম্যাচে আমরা বাজে খেলেছি। ছয়বার আমাদের শট বারে লেগেছে। ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যা খুবই অন্যায়। ৩১টি শট টার্গেটে করলেও এর থেকে একটি গোলও আদায় করতে পারিনি। এই লড়াইয়ে ফুটবল আমাদের সাথে অন্যায় করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ফাইনালে খেলার জন্য। দ্রুত আমাদের এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দল নিয়ে আমি দারুন গর্বিত, এতে কোন সন্দেহ নেই। কোচ হিসেবে এই পরাজয়ের প্রথম দায়ভার আমার। কিন্তু তারপরও দলের মানসিকতায় আমি খুশি।’

ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল পিএসজি। একইসাথে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা ট্রফিটিও হাতে তুলে নেবার আশা তাদের ছিল।

এই মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেয়া এনরিকে বলেন, ‘পিএসজিতে আসার আগে আমি একটি লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা যেভাবে ভালো খেলি অন্তত সেই ধারা বজায় রাখা। কাপ ফাইনালের পর মৌসুম যখন শেষ হবে তখন ভেবে দেখবো আমরা কি অর্জন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে আমি কখনই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোন কথা বলি না। আজ আমার একটি প্রত্যাশা ছিল। এই ধরনের পরাজয়ে কোন সান্ত্বনা নেই। কিন্তু এটাই জীবন, এটাই খেলা। কিভাবে জেতা যায় সেটা জানা খুবই জরুরি। একইসাথে পরাজয়ের কারণও খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানানো উচিৎ ও এই পরাজয়কে মেনে নেয়া উচিৎ।’


লুইস এনরিকে   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বরুশিয়া ডর্টমুন্ড   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগেরও বেশি সময় পর ঘরে ফিরছেন সিলভা

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

থিয়াগো সিলভা। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের জুনিয়র একাদশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ফুটবল ক্যারিয়ার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সেখান থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আজ সারা ফুটবল বিশ্বে সমাদৃত তিনি। পেয়েছেন অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের তকমাও।

সিলভা ফুটবলে সিরিয়ার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে। সেখানে এক বছর থাকার পর চলে যান রাশিয়ান ক্লাব ডায়ানামো মস্কোতে। রাশিয়ায় থাকতে সিলভার জীবনে নেমে বড় এক ঝড়। জটিল রোগ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে ২০০৭ সালে ফের ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেন সিলভা। ২ বছর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি।

২০০৯ সালে ব্রাজিল ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে (২০০৯-১২) যোগ দেন সিলভা। এরপর খেলেছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে। ফরাসি ক্লাবটিকে প্রায় ৮ বছর থাকার পর চেলসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সিলভা। চেলসিতে ৪ বছর মিলিয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে প্রায় ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার-ব্যাক।

চলতি মৌসুম শেষে চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে সিলভার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সঙ্গে থাকবেন না, তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন তিনি। সে হিসেবে চেলসির জার্সিতে আর মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন সিলভা। প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচটিই হতে পারে চেলসির জার্সিতে সিলভার শেষবারের মতো মাঠে নামা।

চেলসির পর কোথায় যাবেন সিলভা, এমন প্রশ্ন গত কয়েক দিন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলভক্তদের মাথায়। অনেকে মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে (এমএলএস) খেলবেন এই ব্রাজিলিয়ান। আবার অনেকের ধারণা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের মতো সৌদি প্রো লিগে যেতে পারেন তিনি।

এবার নিশ্চিত হওয়া গেছে, চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে কোথায় যাব্নে সিলভা। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি নয়, সেই ছোটবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে ফিরে যাবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্স। অর্থাৎ প্রায় ১৫ বছর ইউরোপে প্রবাস জীবন শেষ করে ঘরে ফিরছেন সিলভা।

২০২০ সালে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিলেন সিলভা। এটিই ইউরোপীয় ফুটবলে তার সবচেয়ে বড় সফলতা। এছাড়া জাতীয় ব্রাজিলের জার্সিতে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপ ও ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন এই সেন্টার-ব্যাক।


থিয়াগো সিলভা   ব্রাজিল   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলি-গাভাস্কার ইস্যু: গাভাস্কারের পক্ষ নিলেন ওয়াসিম আকরাম

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের মন্তব্যের পর বিরাট কোহলিকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এছাড়াও সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে কোহলি ঠিক করেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

আকরাম বলেন, দুজনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। সানি ভাইকে (গাভাস্কার) ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। মানুষ হিসেবেও চিনি। মাঠের বাইরের মানুষটাকে জানি। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও চিনি। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। কোহলি এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়ও বলা যায়। পরিসংখ্যান দেখলে সর্বকালের অন্যতম সেরাও বটে। পারফরম্যান্স করেই পর্যায়ে এসেছে। তবু বলব, কোহলি এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।

গাভাস্কারের পাশে দাঁড়িয়ে আকরাম আরো বলেন, ধারাভাষ্যকাররা তাদের কাজ করেন। কোহলি যদি দুটো ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করে থাকে এবং সেটা নিয়ে গাভাস্কার যদি কিছু বলে- এটা মনে রাখার মতো কী ঘটনা? ভুলে যাওয়াই উচিত। কোহলি তো এমন ধরনের ছেলে নয়। দুজনেই ভারতের গর্ব। দুজনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। মতবিরোধ হতেই পারে। মনে হয় না এই সমস্যাটা আরো বাড়বে। আশা করব কেউই এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবে না এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দুজনকেই চিনি আমি। তাই ভরসা আছে।

এদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ২৫টি বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি।

কোহলির এমন মন্থর ব্যাটিং দেখে গাভাস্কার বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে রয়েছে। সঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর আর একটাও চার মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮ মতো! দল ওর থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।

এর আগে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে কোহলি বলেন, আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।

তারপর গাভাস্কার আবার বলেছিলেন, কেউ ১১৮ স্ট্রাইট রেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়। সে আবার বলেছে, বাইরের কারো কথায় কান দেয় না। কারো কথায় পাত্তা দেয় না। ভাল। তাহলে সে বাইরের কথার উত্তর কেন দিচ্ছে? যাই বলা হোক না কেন। হয়তো ওর মতো প্রচুর না হলেও আমরা সকলেই অল্প কিছু ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। যা দেখি সেটাই বলি আমরা। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি আমরা।


বিরাট কোহলি   গাভাস্কার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে ফিরছেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য

প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচ ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে এবার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য স্বাগতিকরা দল ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার এক বিবৃতিতে টাইগারদের স্কোয়াডে এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিসিবি। এর আগে আইপিএল থেকে ফিরে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম, ডিপিএল খেলতে প্রথম তিনটিতে সাকিবকে ছুটি এবং চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা তিনজনই ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। তিন ক্রিকেটার দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শরিফুল ইসলাম। এর মধ্যে শরিফুলকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। বাকি দুই ক্রিকেটার স্কোয়াডে থাকলেও, এই সিরিজের কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি।

শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   সৌম্য সরকার   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন