ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেভাবে প্রভাব ফেলবে ফুটবলে

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেভাবে প্রভাব ফেলবে ফুটবলে

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এখন রূপ নিয়েছে যুদ্ধে। এই সংকট থেমে থাকবে না কেবল অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সঙ্কটে। এর প্রভাব পড়বে ফুটবলেও। এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হওয়ার কথা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ম্যাচটি রাশিয়াতে হওয়া নিয়ে জেগেছে সংশয়। আপাতত টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে উয়েফা, এরপর নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।  

ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিশিয়াল ভ্রমণ স্পন্সর রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এরোফ্লট। কিন্তু মঙ্গলবার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে স্পেন যাওয়ার পথে তাদের বিমান ব্যবহার করেনি ইউনাইটেড। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাইরেও প্রভাব রাখবে চলমান সংকট। মার্চেই পোল্যান্ডের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে রাশিয়ায়। এই ম্যাচটা হবে কি না, হলেও কোথায় হবে এ নিয়েও দ্বিধা তৈরি হয়েছে। এই ম্যাচে রাশিয়া জিতলে ঘরের মাঠে তাদের খেলার কথা সুইডেন অথবা চেক রিপাবলিকের সঙ্গে। সেই ম্যাচগুলোকে নিয়েও রয়েছে সংশয়। 

এদিকে, ইউক্রেনও এখনও টিকে আছে ব্শ্বিকাপ খেলার দৌড়ে। তারা ম্যাচটা খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে, এই ম্যাচের জয়ী দল মাঠে নামবে ওয়েলস অথবা অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশই বিশ্বকাপ খেললে ফিফার জন্য পরিস্থিতিটা আরও বেশি জটিল হয়ে যাবে। 

এই সংকটের কারণে অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ফুটবল। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন গাজপ্রম ২০১২ সাল থেকে উয়েফার বড় স্পন্সরদের একটি। গত মে মাসে বার্ষিক ১৫ মিলিয়ন ডলারে ইউয়েফার সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে তারা। গাজপ্রমের প্রধান নির্বাহী আবার উয়েফার নির্বাহী কমিটির সদস্য। ইতোমধ্যেই উয়েফাকে এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ লেবার এমপি ক্রিস ব্রেন্ট। 

ইংলিশ ফুটবলে প্রভাব আছে আরও। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল চেলসির মালিকানা ২০০৩ সাল থেকেই রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রাহোমাভোচির দখলে। যদিও সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল না তার নাম। তবে ব্রিটিশ সরকারের লক্ষ্য তিনি হতেই পারেন। 

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে রোহিতের মত কোহলিরও ‘না’

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।

কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।

কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   আইপিএল   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্লে-অফের দৌঁড় থেকে ছিটকে মুস্তাফিজের জন্য চেন্নাইয়ের আক্ষেপ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল আইপিএলের ১৭তম আসরের। যেখানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। আসরের শুরু থেকেই নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই ছিল তারা। তবে শেষ দিকে এসে যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দল। যার জন্য প্লে-অফের দৌড় থেকেও ছিটকে গেছে তারা।

শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৫ রান। তবে রান রেটের হিসেবে ১৭ রান তুলতে পারলে প্লে-অফে জায়গা হতো চেন্নাইয়ের। কিন্তু সেটি করতে পারেনি তারা। মার্ক দয়ালের সে ওভার থেকে তোলে মোটে ৭ রান। এতে হারের পাশাপাশি রান রেটের হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো মৌসুম না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরল চেন্নাইয়ের অধিনায়কের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাথিরানার ইনজুরি, তারপর ফিজের না থাকাটা। এরপর পাথিরানা আসলো, দেশে ফিরে গেল, ফিজকেও আমরা হারিয়েছি। এরকম চলতে থাকলে স্কোয়াডে ভারসাম্য আনাটা কষ্ট। ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইও কঠিন হয়ে যায়। পুরো আসরে যেভাবে চোট, ক্রিকেটারদের না পাওয়ার সঙ্গে আমরা লড়েছি তাতে ১৪ ম্যাচে ৭ জয় খারাপ কিছু নয়।’

মুস্তাফিজ আর পাথিরানাকে চেন্নাইয়ের সম্পদ উল্লেখ করে রুতুরাজ বলেন, ‘আমাদের সামনের সারির দুজন বোলার ছিল না। যারা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিল। কনওয়েকে আমরা শুরুতে পাইনি। তিন জন মূল ক্রিকেটারের না থাকাটা বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফরা সবাই পুরো আসর জুড়ে আমাদের অনেক সমর্থন করেছে।’

প্রসঙ্গত, এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে দেশে ফিরতে হয় তাকে। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরতে হয় মাথিশা পাথিরানাকেও।


Indian Premier League   IPL T20   আইপিএল   মুস্তাফিজুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বন্ধ চোখে থমথমে ধোনি, আনন্দে কাঁদলেন কোহলি

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ১৭তম আসরের প্লে-অফ। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল তিন দলের শেষ চার। বাকি ছিল মাত্র একটি দল। আর সেই শেষ দল হিসেবে লড়াই জমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস বনাম র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। যেখানে প্লে অফে ওঠার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ছিল শুধু জয়। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দরকার ছিল অঙ্ক কষে জয়। প্লে অফের অঙ্ক মিলিয়ে আইপিএলের শেষ চারে পৌঁছে গেছে বিরাট কোহলিরা। বিপরীতে বিদায় নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।

ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকার লড়াই হিসেবে আগেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল শনিবারের ম্যাচ। ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। ইয়াশ দয়াল চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ বলটি করতেই কোহলির পাগলাটে উচ্ছ্বাস দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

শুধু উচ্ছ্বাস নয়, আনন্দে-আবেগে চোখের কোণও ভিজে গেল কোহলির। গ্যালারিতে কাঁদলেন তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। কাঙ্ক্ষিত জয় আসতেই চিন্নাস্বামীর মাঠে কোহলির দৌড়ের মধ্যে ছিল মুক্তির ছোঁয়া।

একটা সময় প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আরসিবির। সেখান থেকে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর কোহলি যেন ডানা মেলে উড়লেন মাঠে। মুদ্রার অন্য পিঠও চোখ এড়ায়নি ক্রিকেটভক্তদের।

দলকে আইপিএলের প্লে অফে তুলতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ৪২ বছরের ধোনি। ২০তম ওভারের প্রথম বলে দয়ালকে মারা বিশাল ছক্কাটায় তার পরিচিত সিংহ মেজাজ ধরা পড়েছিল।

ধোনির ছক্কায় ব্যাঙ্গালুরুর শিবিরে যেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তেমনই আশার আলো জ্বলেছিল চেন্নাইয়ের ডাগআউটে। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মুখ চকচক করছিল ধোনির ছক্কার পর।

পরের বলে আবার ছক্কা মারার চেষ্টা করতে গিয়ে বাউন্ডারির লাইনের কাছে থাকা স্বপ্নিল সিংহের হাতে ধরা পড়েন ধোনি। মুহূর্তে বদলে গেল দুই শিবিরের ছবি। হতাশায় ব্যাটে ঘুষি মারলেন ধোনি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়তো তখনই ভবিতব্য পড়ে ফেলেছিলেন।

ধোনি যখন হতাশ হয়েছেন, তখনই উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে কোহলিকে। আবার কোহলির হতাশায় স্বস্তি পেয়েছেন ধোনি। টান টান ম্যাচে ক্রমাগত বদলেছে দুই ক্রিকেটারের মুখের অবয়ব। তাদের স‌ঙ্গে বদলেছে চিন্নাস্বামীর আবহ। ক্রিকেট তো এমনই!


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইদুনা পার্কে রয়েসের রাজকীয় বিদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে সমাপ্তি হলো মার্কো রয়েস-বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দীর্ঘ এক যুগের সম্পর্ক। বয়স ভিত্তিক দলের সাথে সম্পর্ক হিসেব করলে এই সম্পর্কের স্থায়িত্ব আরও বেশি। হিসেব করলে এই সম্পর্কের সময় দাড়ায় ২১ বছর। পৃথিবীর সব সম্পর্কেরই শেষ আছে। তেমনি শেষ হয়েছে মার্কো রয়েসের ডর্টমুন্ডের সম্পর্কও। আর তার এই বিদায় হয়েছে রাজকীয় ভাবে।

ডর্টমুন্ডের সাথে রিউসের এই পথ চলার সময়ে কতো কিছুই না পাল্টেছে। কত ফুটবলার তারকা হয়েছেন, নিজের শৈশবের ক্লাব থেকে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য ক্লাবে, বহু চড়াই-উৎরায় পাড় করে অনেক ক্লাব উঠে এসেছে লিগের শীর্ষ স্থানে, কেউ আবার নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে নেমে গেছে তলানিতে। কিন্তু এই সময় বদলায়নি খালি মার্কো রিউসের ঠিকানা।

ইউরোপের বহু নামি-ক্লাব থেকে অফার পেলেও ছাড়েনি ক্লাব। তাই ফ্যানদের কাছ থেকে ‘লয়ালটির’ ট্যাগও পেয়েছে সে।

এর আগে ২০১২ সালে ডর্টমুন্ডের হয়ে মূল দলে অভিষিক্ত হয় রয়েস। এরপর কেটে গেছে ১২ টি মৌসুম। এই ১২ মৌসুমে ডর্টমুন্ডের উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছেন রয়েস। অবশেষে গত ৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জার্মান তারকা ঘোষণা দেন এই মৌসুমেই ক্লাব ছাড়বেন তিনি।

গতকাল (১৮ মে) ডর্টমুন্ডের ইদুনা পার্কে ডার্মস্টাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ডর্টমুন্ড। এই ম্যাচটি কাগজে-কলমে গুরুত্বহীন হলেও ডর্টমুন্ড সমর্থকদের জন্য ছিল ভিন্ন। কারণ এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ইদুনা পার্কে হলুদ জার্সি পড়ে শেষ বারের মতো দেখা যাবে ক্লাবের ‘লয়াল বয়’ মার্কো রয়েস। ম্যাচের শুরুতেই তাকে দল থেকে দেওয়া হয় ‘গার্ড অব হনার’। ম্যাচ শেষে তাকে অশ্রু সিক্ত বিদায় দেন ডর্টমুন্ড ফ্যান ও খেলোয়াড়রা।

ইদুনা পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটি অবশ্য রাঙ্গিয়ে নিয়েছে রয়েস। ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে এক অসাধারণ ফ্রি কিকের মাধ্যমে গোল করেন রয়েস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ৪-০ তে ডার্মস্টাটকে বিধ্বস্ত করেছে ডর্টমুন্ড। দলের পক্ষে অন্য তিনটি গোল করেন জুলিয়ান ব্রান্ডট, মালেন ও ইয়ান মাতসেন।

ডর্টমুন্ডের হয়ে ৪২৪ ম্যাচে খেলেছেন রয়েস। তাতে ১৬৮ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ১২৮টিতে। বরুশিয়ার হয়ে দুটি জার্মান কাপ এবং তিনটি জার্মান সুপার কাপ জিতেছেন রয়েস।


মার্কো রয়েস   ডর্টমুন্ড   বুন্দেসলিগা   ইদুনা পার্কে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন