ইনসাইড গ্রাউন্ড

আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েও এসেছে দারুণ জয়। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। 

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ১১টায়।  বাংলাদেশের একাদশে কোনো পরিবর্তন না আসলেও আফগানিস্তান ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে।

একনজরে বাংলাদেশ দলের একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সৌম্য সরকার এখন শূন্য সরকার!

প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টি-২০ বিশ্বকাপের জয় দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে বাংলাদেশ। শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

এর আগেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এ টুর্নামেন্টে দু’বারের মুখোমুখিতে হারলেও তৃতীয়বারে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে লাল-সবুজের দল। তবে এমন জয়ের দিনে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্য সরকার।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লজ্জার রেকর্ডটি গড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যদিও তার সমান ১৩টি ডাক মেরেছেন আয়ারল্যান্ডের হার্ডহিটার ব্যাটার পল স্টার্লিংও। তবে সৌম্যর চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছেন এই আইরিশ ব্যাটার।

এতদিন ৮৩ ম্যাচ খেলা সৌম্যর ‘ডাক’ ছিল ১২টি। শনিবার (৮ জুন) সকালে লঙ্কান স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে শূন্য রানে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। এতেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ৮৪ ম্যাচের ৮৩ ইনিংসে সৌম্যর ডাকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩টি। এতেই তিনি পল স্টার্লিংয়ের লজ্জার রেকর্ডে ভাগ বসান। স্টার্লিং ১৪৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য স্ট্রার্লিংয়ের পর ১২টি করে যাক মেরেছেন তিন ব্যাটার। কম ম্যাচ খেলা রুয়ান্ডার ব্যাটার কাবারে কেভিন ইরাকোজ রয়েছেন এই তালিকার তিন নম্বরে। মাত্র ৫৫ ইনিংস ব্যাট করে তিনি ১২টি ডাক মেরেছেন। সমান বার শূন্য রানে আউট হওয়া অন্য দুই ব্যাটার হলেন, আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন এবং ভারতের রোহিত শর্মা।

আর সৌম্যের এমন শূন্য রানের রেকর্ডের পর সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে- সৌম্য সরকার এখন শূন্য সরকার। মূলত এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার একদিন পূর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিন। সেদিন সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস ও অধিনায়ক শান্ত দ্রুত নিজেদের উইকেট হারিয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় গ্যালারি থেকে একজন দর্শক সেই ভিডিওটি ধারণ করেন। এবং সেখানে তিনি সৌম্য সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আর কত ডাক মারবেন সৌম্য ভাই? সৌম্য সরকার এখন শূন্য সরকার।’

এরপর থেকে সেই সূত্র ধরেই বিষয়টি ভাইরাল হয়। বিভিন্ন কমেন্ট ও পোস্টের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রেমীরা এটি শেয়ার করে। আর আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে আবারও সৌম্যের ডাক মারার পর বিষয়টি আরও জোর পায়।

উল্লেখ্য, সৌম্য সরকার টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের জার্সিতে এ পর্যন্ত ৮৩ ইনিংস ব্যাট করে তুলেছেন এক হাজার ৩৯৮ রান। ক্যারিয়ারে তিনি পাঁচটি অর্ধশতক করেছেন। এই ফরম্যাটে তার গড় ১৭ দশমিক ৬৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১২২ দশমিক ৯৫। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ৬৮ রানের। এই ফরম্যাটে ১৪১টি চার ও ৫২টি ছক্কা মেরেছেন।


সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ   বিসিবি   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে আফগানদের দ্বিতীয় জয়

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েক বছর ধরে আইসিসির টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করে আসছে আফগানিস্তান দল। তারই ধারাবাহিকতায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দিয়েছেন রশিদ খানরা। ফজলহক ফারুকি ও রশিদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না কিউইরা। মাত্র ৭৫ রানে অলআউট কেইন উইলিয়ামসনের দল ৮৪ রানের বিশাল হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।

আফগানদের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে থাকে কিউইরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় হার দেখেছে। কেইন উইলিয়ামসন, ড্যারি মিচেলসহ কোনো ব্যাটারই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে টিকে থাকতে। তারা হিমশিম খেয়েছেন ফারুকি ও রশিদ খানদের মোকাবিলায়। রশিদ ও ফারুকি দুজনেই সমান চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন গ্লেন ফিলিপস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো বটেই, সংক্ষিপ্ত সংস্করণেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম জয় এটি। পরপর দুই ম্যাচ জিতে সুপার এইটের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল আফগানরা। গায়ানার প্রভিডেন্সে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের এক ঘণ্টা আগে শুরু হয় নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচটি। রশিদদের করা ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথমে বল হাতে নিউজিল্যান্ডের টপ-অর্ডার ধসিয়ে দিলেন ফারুকি। মিডল-অর্ডারে তোপ দাগান রশিদ। আর তাতেই নাস্তানাবুদ কিউই শিবির, আফগানরা পেল স্মরণীয় এক জয়।

ক্যারিবীয় দ্বীপে গায়ানার কন্ডিশন কিছুটা স্পিনবান্ধব বলে আগে থেকেই সতীর্থদের সতর্ক করে আসছিলেন উইলিয়ামসন। সেই স্পিনেই তারা হারালেন ৬ উইকেট, দুটি শিকার ধরেন মোহাম্মদ নবি। ফিলিপস (১৮) ও ম্যাট হেনরি (১২) বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারলেন না। ফলে আগের চারবারের দেখায় সবকটিতে জয় পাওয়া কিউইরা এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারল আফগানদের কাছে। যা এই সংস্করণের বিশ্বকাপে রশিদদের তৃতীয় বড় জয়।

এর আগে ব্যাট হাতে আফগানদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। সেই অনুসারে অবশ্য শেষটা ভালো হয়নি। ওপেনিং জুটিতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান মিলে তুলেছিলেন ১০৩ রান। তবে গুরবাজের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীত চিত্র দেখিয়েছেন ইব্রাহিম। তিনি ৪১ বলে ৪৪ রানে ফিরলে আফগানদের বড় পুঁজি এনে দেওয়া জুটি ভাঙে। এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইও ফেরেন ঝড়ের আভাস দিয়ে। ১৩ বলে তিনি ২২ রান করেন।

১০৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানরা পরের ৩৩ বলে ৫৬ রান তুলতেই আরও পাঁচ উইকেট হারায়। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল সত্ত্বেও একপ্রান্ত আগলে রানের গতি ঠিক রাখেন মূলত গুরবাজই। শেষ ওভারে ফেরার আগে ৫৬ বলে ৫টি করে চার–ছক্কায় ৮০ রান করেছেন।

বিপরীতে কিউইদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি। লকি ফার্গুসন একটি শিকার ধরেন।


নিউজিল্যান্ড   আফগানিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্রীলংকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা

প্রকাশ: ১০:০৪ এএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে আজ (শনিবার) নিজেদের প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। আর এই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে লংকানদের হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে টাইগাররা।

এদিন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১২৪ রান করেছিল শ্রীলংকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। ধনঞ্জয় ডি সিলভার করা প্রথম ওভারেই আউট হন সৌম্য। দুই বল খেলে ডাক মারেন এ ব্যাটার। আরেক ওপেনার তামিম ৩ রানে বোল্ড হন।

লিটন ও শান্ত একটু ধরে খেলার চেষ্টা করেন। তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে থুসারার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শান্ত। টাইগার কাপ্তান করেন ৭ রান। মাত্র ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় বাংলাদেশ।

কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন লিটন ও তাওহীদ হৃদয়। দুজনে গড়েন ৬৩ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দ্বাদশ ওভারে টানা তিন বলে ৩ ছক্কা হাঁকান হৃদয়। তবে পরের বলেই পরাস্ত হন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৪০ রান।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলংকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ইনিংসের তৃতীর ওভারে আক্রমণে এসেই ১০ রান করা মেন্ডিসকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ।

ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসেই তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিসকে তানজিম সাকিবের তালুবন্দী করেন মুস্তাফিজুর রহমান। কামিন্দু করেন ৪ রান। একপ্রান্তে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এ ওপেনার। এর আগে ৪৭ রান করেন তিনি।

দলীয় শতকের পর ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে শ্রীলংকা। শেষ ছয় ওভারে দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্য উপহার দেন টাইগার বোলাররা। এ সময় মাত্র ২৪ রান করতে পারে লংকানরা। যার শুরুটা হয় ধনঞ্জয় ২১ রানে ফেরার মধ্য দিয়ে।

লংকানদের অন্যদের ভেতর চারিথ আসালঙ্কা ১৯ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ১৬ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি, তাসকিন দুটি ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেন।


বাংলাদেশ   শ্রীলঙ্কা   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে আজ (শনিবার) নিজেদের প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এদিন আগে ব্যাট করেছে শ্রীলঙ্কা। আর দুর্দান্ত বোলিংয়ে লংকানদের অল্পেই বেঁধে ফেলেছে টাইগাররা। তবে রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজের দল।

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভারে তিন উইকেটে ৩৪ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১২৪ রান করেছে শ্রীলংকা।

বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। ধনঞ্জয় ডি সিলভার করা প্রথম ওভারেই আউট হন সৌম্য। দুই বল খেলে ডাক মারেন এ ব্যাটার। আরেক ওপেনার তামিম ৩ রানে বোল্ড হন।

লিটন ও শান্ত একটু ধরে খেলার চেষ্টা করেন। তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে থুসারার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শান্ত। টাইগার কাপ্তান করেন ৭ রান। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন লিটন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলংকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ইনিংসের তৃতীর ওভারে আক্রমণে এসেই ১০ রান করা মেন্ডিসকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ।

ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসেই তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিসকে তানজিম সাকিবের তালুবন্দী করেন মুস্তাফিজুর রহমান। কামিন্দু করেন ৪ রান। একপ্রান্তে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এ ওপেনার। এর আগে ৪৭ রান করেন তিনি।

দলীয় শতকের পর ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে শ্রীলংকা। শেষ ছয় ওভারে দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্য উপহার দেন টাইগার বোলাররা। এ সময় মাত্র ২৪ রান করতে পারে লংকানরা। যার শুরুটা হয় ধনঞ্জয় ২১ রানে ফেরার মধ্য দিয়ে।

লংকানদের অন্যদের ভেতর চারিথ আসালঙ্কা ১৯ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ১৬ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি, তাসকিন দুটি ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেন।


বাংলাদেশ   শ্রীলঙ্কা   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কার হাতে উঠবে এবারের ব্যালন ডি’অর?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবলের চলতি মৌসুম প্রায় শেষ। ক্লাব ফুটবলের বড় সব আসরের শিরোপাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এরই মধ্যে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে কারা আছেন, তা নিয়েই আলোচনা শুরু হয়েছে। 

বিশ্ব ফুটবলের এই সম্মানজনক ট্রফিটি পাওয়া যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই সম্মানজনক। গত দেড় যুগ ধরে ট্রফিটি নিজেদের করে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মেসি তো একে একে আটবার ট্রফিটি নিজের ঝুলিতে পুরেছেন। তারপরেই অবস্থান পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।

তবে এ দুজনের বয়স হয়ে গেছে, তারা রয়েছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। ইতোমধ্যে এ দু’জন ইউরোপকে বিদায় জানিয়ে একজন মাতাচ্ছেন সৌদি প্রো লিগ, আরেকজন মাতাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস।

বরাবরের মতো এবারও একাধিক ফুটবলার ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই শত শত কোটি ফুটবলপ্রেমীর কৌতূহল, ২০২৪ সালে কে পেতে যাচ্ছেন সম্মানজনক পুরস্কারটি।

জনপ্রিয় ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকমের জরিপে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়ালের এই তারকা ২৪ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি গোল। সেই সঙ্গে ঝুলিতে পুরেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, সুপার কোপা ও লা লিগা শিরোপা। 

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম। রিয়ালের এই ইংলিশ তারকা ২০২৩-২৪ মৌসুমে ২৫ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৬টি গোল। সেই সঙ্গে ঝুলিতে পুরেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, সুপার কোপা ও লা লিগা শিরোপা। 

আগের তালিকায় তিনে থাকা পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পেকে সরিয়ে তার জায়গা দখল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান তারকা টনি ক্রুস। তিনি এক গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১২ গোল। সেই সঙ্গে ঝুলিতে পুরেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, সুপার কোপা ও লা লিগা শিরোপা। 

আগের তালিকায় তিনে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে একধাপ পিছিয়ে অবস্থান করছেন চারে। তিনি আগামী ৫ বছর রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে মাঠ মাতাবেন। পিএসজির জার্সিতে মৌসুম শেষ করা ফরাসি এই তারকা ৫০ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৭টি গোল। সেই সঙ্গে জিতেছেন কোপ দে ফ্রান্স, ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়ন ও লিগ ওয়ান শিরোপা।

আগের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা ম্যানেচস্টোর সিটির ইংলিশ তারকা ফিল ফোডেন এক ধাপ পিছিয়ে অবস্থান করছেন পঞ্চম স্থানে। তিনি গত মৌসুমে ম্যানসিটির হয়ে ট্রেবলজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ২৮ গোল করেছেন তিনি। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১২টি গোল। জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপের ট্রফি।

গোলডটকমের শীর্ষ ২০ জনের তালিকায় লিওনেল মেসির নাম থাকলেও জায়গা হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তবে তাদের ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মেসি আগের তালিকায় ১৬তম স্থানে থাকলেও নতুন তালিকায় একধাপ এগিয়ে এসে অবস্থান করছেন ১৫তম স্থানে। ইন্টার মায়ামিতে খেলা মেসি ২৫ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৫টি গোল। সেই সঙ্গে ঝুলিতে পুরেছেন লিগস কাপের শিরোপা। অন্যদিকে, ইনজুরির কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকা নেইমারের জায়গা হয়নি তালিকাতে।

ব্যালন ডি’অরের ৬৮তম আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ অক্টোবর। প্যারিসের থিয়েটার ডু শাটালেটে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই অনুষ্ঠান। 

এবারের অনুষ্ঠানে মোট ৯টি পুরস্কার দেয়া হবে। মৌসুমের সেরা পুরুষ এবং নারী ফুটবলার পাবেন ব্যালন ডি’অর। এবার নতুন করে যোগ করা হচ্ছে সেরা কোচের পুরস্কার। পুরুষ এবং নারী ক্লাবের সেরা কোচের হাতে উঠবে এই পুরস্কার। সকল পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ।


ফুটবল   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   লিওনেল মেসি   ব্যালন ডি’অর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন