ইনসাইড গ্রাউন্ড

ম্যান ইউকে উড়িয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল

প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail ম্যান ইউকে উড়িয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুল দুই দলের প্রথম ম্যাচে সালাহর হ্যাটট্রিকে ম্যানচেস্টারকে ৫-০ গোলের মালা পরিয়ে দেয় লিভারপুল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-০ গোলে আবারও ম্যানচেস্টারকে হারিয়ে ১ অক্টোবরের পর প্রথমবার লিগশীর্ষে স্থান করে নিল লিভারপুল।

প্রথমার্ধে দুই দল কেমন খেলেছে, সেটি সম্ভবত বিরতিতে ম্যান ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার পল স্কোলসের কথায়ই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইউনাইটেড কেমন খেলেছে, প্রশ্নে স্কোলস বললেন, তিনি ইউনাইটেডকে নিয়ে কিছুই বলবেন না, বরং ইয়ুর্গেন ক্লপের কতটা চোখধাঁধানো ফুটবল খেলেছে তা নিয়ে বলতেই ভালো লাগবে তাঁর।

কতটা ভালো খেলেছে লিভারপুল? কয়েকটা সংখ্যাই বোঝাতে পারে। ৪৫ মিনিটে লিভারপুলের পোস্টে ইউনাইটেড কোনো শট তো নিতেই পারেনি, লিভারপুল বক্সেই বলে স্পর্শ করেছে দুবার। এর প্রথমটি ৩৪ মিনিটে, কর্নারে ম্যাগুয়ারের হেড জমা পড়ে লিভারপুল ডিফেন্ডারের কাছে, বিরতির কিছুক্ষণ আগে দ্বিতীয়টি ছিল ভেসে আসা পাসে রাশফোর্ডের পা ছুঁয়ে বল লিভারপুল গোলকিপার আলিসনের হাতে জমা পড়া।

আর লিভারপুল? শট নিয়েছে ৯টি, যার ৩টি পোস্টে, দুটি ফিরিয়েছে ইউনাইটেডের রক্ষণ। ইউনাইটেডের ১৪৬ পাসের বিপরীতে ৩০০টি পাস বেশি দিয়েছে। প্রথম চার মিনিটে অ্যানফিল্ডে কলজে জিবের ডগায় এনে মুহূর্ত উপহার দিয়ে দুবার আলিসনের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, দুবারই শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় আলিসনেরই। এর বাইরে লিভারপুলকে, আলিসনকে কোনো পরীক্ষাই দিতে হলো না!

আর কাজের কাজ হয়ে গোল দুটি তো আছেই! ৫ মিনিটে প্রথমটি দারুণ, ১৭ মিনিট পর দ্বিতীয়টি চোখধাঁধানো। ম্যাগুয়ার-দালোতদের পজিশনিংয়ের ভুলে লিভারপুলের সালাহ ও আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের সামনে 'বিস্তীর্ণ প্রান্তর' খুলে যায়। মানের দারুণ থ্রু ধরে ডানদিক থেকে সালাহর ক্রসে দিয়াজের পা ছোঁয়ানোই দরকার ছিল, কলম্বিয়ান উইঙ্গারের এটুকুতে ভুল হয়নি।

এই গোল যদি অ্যানফিল্ডে স্বস্তি আনে, ২২ মিনিটে সালাহর গোলটি মন ভরিয়েছে! ইউনাইটেড বক্সের সামনে এক স্পর্শের ফুটবলের দারুণ প্রদর্শনীর পর মানের অসাধারণ লব যখন খুঁজে নেয় সালাহকে, সামনে শুধু ইউনাইটেড গোলকিপার দাভিদ দে হেয়া। পরিণতি? আর কী, গোল! পেপ গার্দিওলার ২০১১ সালের বার্সেলোনাও এ গোলে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেবে!

ম্যাচে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছিলেন সাদিও মানে, যেভাবে নিচে নেমে বারবার সালাহ-দিয়াজকে বলের যোগান দিচ্ছিলেন, খেলা দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো মানে নন, খেলছেন মানেরই সতীর্থ ফিরমিনো! এভাবেই নিচে নেমে এসে দুই উইঙ্গারকে গোল করার সুযোগ করিয়ে দেওয়াটা এতদিন ফিরমিনোর ট্রেডমার্ক ছিল। এখন মানেরও হয়ে গেল!

প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। বলা ভালো, লিভারপুলই অত বেশি দাপট দেখায়নি প্রথমার্ধের শেষ কিছু সময়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে ছকটা ৩-৫-২ থেকে বদলে ৪-৩-৩ করে ফেলেন ইউনাইটেডের জার্মান কোচ রালফ রাংনিক। লক্ষ্য একটাই, প্রথমার্ধে বলের পিছে ছুটতে থাকা ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা যেন এবার একটু বল নিয়ে খেলতে পারেন। রক্ষণে একজন খেলোয়াড় কমিয়ে আক্রমণে একজন খেলোয়াড় বাড়ানোর ফলে সে কাজে একটু হলেও সফল ইউনাইটেড। নতুন নামা সানচো, রাশফোর্ড কিংবা ব্রুনোর কল্যাণে এবার অপেক্ষাকৃতভাবে একটু বেশি সময় বল পায়ে রাখার সুযোগ পায় ইউনাইটেড।

ব্যস, লাল শয়তানদের সাফল্য এতটুকুই। এ ছাড়া যথারীতি লিভারপুলই ছড়ি ঘুরিয়েছে ইউনাইটেডের ওপর, যখনই সুযোগ পেয়েছে প্রতি আক্রমণে উঠে গিয়ে ম্যাগুয়ার-দালোতদের হৃদকম্পন বাড়িয়েছে।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে লুইস দিয়াজ আর লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসনের দুর্দান্ত রসায়নের ফল হিসেবে ডিবক্সে ওঁত পেতে থাকা মানের কাছে বল চলে আসে। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন সেই সেনেগালিজ উইঙ্গার। ততক্ষণে ইউনাইটেডের মনোবল একদম ভেঙে চুরমার!

৮৫ মিনিটে সালাহর দ্বিতীয় গোলেও যার ছাপ দেখা গেল। মাঝমাঠ থেকে বল যোগাড় করে একরকম একাই আধা মাঠ দৌড়ে এসে সালাহকে বলের যোগান দিলেন দিয়াজের বিকল্প হিসেবে মাঠে নামা দিওগো জোতা। সেখান থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করে ফেলেন সালাহ। যে সালাহর ফর্ম নিয়ে এই ম্যাচের আগেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল সমর্থকদের কপালে, ইউনাইটেডের ভঙ্গুর রক্ষণভাগ পেয়ে সে চিন্তা আর বাড়াতেই দেননি এই মিসরীয় উইঙ্গার।

ম্যাচের একদম শেষদিকে গোলের আরেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন। গোল করতে পারলে হয়তো প্রথম লিভারপুল খেলোয়াড় হিসেবে ইউনাইটেডের বিপক্ষে মৌসুমের দুই লিগ ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার অনন্য কীর্তি গড়া হয়ে যেত সালাহর। কিন্তু সেটা হয়নি। ৪-০ স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ। লিগে ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে লিভারপুল ৯ গোল করল। এমন রেকর্ড আর কখনও করতে পারেনি দলটা, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

রেকর্ডের পাশাপাশি সিটির শিবিরে একটা হুঁশিয়ারিও কি পাঠানো হয়ে গেল না তাতে?


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   লিভারপুল   ওল্ড ট্রাফোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২৫ ক্লাবের স্কোয়াডের চেয়ে বেশি বেতন মেসির

প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলোয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বাৎসরিক বেতন পান লিওনেল মেসি। তার বাৎসরিক বেতন ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বর্তমানে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তী। ৮ বারের ব্যালন ডিঅরজয়ী মেসির বেতন বাকিদের চেয়ে বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় মেসির এই বেতন শুধু যে খেলোয়ারদের মাঝে বেশি তা নয়। লিগের অন্য ২৫ টি দলের পুরো স্কোয়াডের বেতনের চেয়েও বেশি মেসির বেতন। কি অবাক হচ্ছেন!

এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের গতকাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, লিগে ২৫টি ক্লাব নিজেদের স্কোয়াডকে যে বেতন দেয়, মেসির বেতন তার চেয়েও বেশি। মেসির নিট বেতন কোটি ২০ লাখ ডলার। বিভিন্ন বোনাস সহকারে সব মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়ায় কোটি ৪৪ লাখ হাজার ৬৬৭ ডলার।

তবে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা এই তথ্যে মেসির বেতনের সঙ্গে তাঁর বাণিজ্যিক চুক্তি, এনডোর্সমেন্ট স্পনসর চুক্তি থেকে আয় যোগ করা হয়নি।

পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ২ বছরের চুক্তিতে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। মেসি এমএলএসে যাওয়ার আগে প্রতিযোগিতাটিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় ছিলেন টরন্টো এফসির ইতালিয়ান স্ট্রাইকার লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। এখন তিনি তালিকায় দ্বিতীয়কানাডিয়ান ক্লাবটি থেকে বছরে কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেন ইনসিনিয়ে।

এমএলসে মোট ২৯টি দল ইস্টার্ন ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রত্যাশিতভাবেই খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বেতন দেয় ইন্টার মায়ামি। খেলোয়াড়দের বাৎসরিক মোট কোটি ১৬ লাখ ডলার বেতন দেয় ক্লাবটি। কোটি ১৪ লাখ ডলার বেতন দিয়ে দ্বিতীয় টরন্টো। বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রুজ বেতন দেয় কোটি ৫১ লাখ ডলার।

এমএলএসে সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড় (শীর্ষ পাঁচ):

খেলোয়াড়

ক্লাব

বেতন (বছরে)

লিওনেল মেসি

ইন্টার মায়ামি

২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার

লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে

টরন্টো

১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার

সের্হিও বুসকেটস

ইন্টার মায়ামি

৮৮ লাখ ডলার

জেরদান শাকিরি

শিকাগো ফায়ার

৮১ লাখ ৫৩ হাজার ডলার

সেবাস্তিয়ান দ্রিউসি

অস্টিন এফসি

৬৭ লাখ ২২ হাজার ডলার

তবে, এমএলএসে অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় বেতনে মেসি অনেক এগিয়ে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য খেলাধুলার তারকাদের চেয়ে বেশ কম আয় করেন তিনি। বাস্কেটবল লিগ এনবিএ-তে সবচেয়ে বেশি আয় করা গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের স্টিফেন কারি প্রতি মৌসুমে কোটি ১৯ লাখ ডলার করে আয় করেন। এনএফএলের দল সিনসিনাটি বেঙ্গলসের কোয়ার্টারব্যাক জো বারো গত বছর দলটির সঙ্গে বছরের চুক্তি সই করেন। এই চুক্তির অধীনে প্রতি মৌসুমে সাড়ে কোটি ডলার করে আয় করবেন বারো।


মেসি   পারিশ্রমিক   ২৫ ক্লাব   এমএলএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: রেকর্ডের মহানায়করা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। তারপরেই দামামা বাজবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের। বিশ্ব ক্রিকেটের মেগা এই ইভেন্টকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বেশ জমজমাট পুরো ক্রীড়াঙ্গন। আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিকে যেমন শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে ঠিক তেমনই নিজেদের ব্যাগ গোছানোতে ব্যস্ত অংশগ্রহণকারী দলের ক্রিকেটাররা।

১৭ বছর পূর্বে সেই ২০০৭ সালে বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্ডিয়া। এরপর মাঠে গড়িয়েছে আরও সাত আসর। সময়ের সঙ্গে জমজমাট হয়েছে লড়াই, বেড়েছে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা।

বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে সেই শুরুর আসর থেকে বিভিন্ন দলের সব নামী দামী খেলোয়াড় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন। গড়েছেন একাধিক কীর্তি। তবে সময় যত গড়িয়েছে, খেলার ধরন ও খেলোয়াড় সবই বদলেছে এই টুর্নামেন্টে। 

টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই এবার আর নেই মাঠের লড়াইয়ে। তবে ব্যতিক্রমী রয়েছেন দুইজন। আর এর মধ্য দিয়েও বিরল এক কীর্তি গড়েছেন এই দুই কিংবদন্তী।

সেই কিংবদন্তীরা হলেন, ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। যদিও এই দুইজনের মধ্যে ম্যাচ খেলার বিচারে এগিয়ে রোহিত। বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৩৯ ম্যাচে মাঠে নেমেছেনে হিটম্যান। ৩৬ ম্যাচ খেলা সাকিবের অবস্থান দ্বিতীয়তে। এরপর আছেন ৩৫ ম্যাচ খেলা দিলশান। ব্রাভো, আফ্রিদি, মালিক ও ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৪টি করে ম্যাচ।

শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে একেক ক্রিকেটারের রয়েছে এক একরকম কীর্তি। কেউ বা ব্যাটে, কেউ বা বলে; আবার কেউ বা ‍উভয় ভাবেই এই টুর্নামেন্টে গড়েছেন নানা রেকর্ড। যার মধ্যে ভিরাট কোহলি থেকে শুরু করে ক্রিস গেইল, ব্রেট লি থেকে শুরু করে লাসিথ মালিঙ্গা- সকলেরই রয়েছে ব্যক্তিগত নানা রেকর্ড।

চলুন জেনে নেওয়া যাক টি-২০ বিশ্বকাপে কে কোন রেকর্ডের মালিক-

চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে বর্তমানে সর্বোচ্চ রানের মালিক ভিরাট কোহলি। তার নামের পাশে রয়েছে এক হাজার ১৪১ রান। হাজার রান পেরোনো অপর ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন তার পরের অবস্থানে। বিশ্বকাপে এই লঙ্কান কিংবদন্তির রান এক হাজার ১৬। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ক্রিস গেইলের রান ৯৬৫। রোহিত শর্মা ৯৬৩ রান নিয়ে আছেন এর পরই। পঞ্চম অবস্থানে থাকে আরেক লঙ্কান দিলশানের রান ৮৯৭।

এছাড়া সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে আছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪৭ উইকেট। এরপরই রয়েছে ৩৯ উইকেট পাওয়া পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ও ৩৮ উইকেট শিকারি লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। বর্তমানে খেলছেন এমন কেউই নেই সাকিবের ধারেকাছে।

ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় সবার উপরে ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপরই আছেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ১১৭ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২০১৪ বিশ্বকাপে অ্যালেক্স হেলসের অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসটি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা গেইলের ৪৭ বলে সেঞ্চুরিটি এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এখনও দ্রুততম।

ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৬৩ ছক্কার মালিকও ইউনিভার্স বস গেইল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রোহিত শর্মার সঙ্গে তার ব্যবধানটা অনেক বেশি। রোহিত এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৫টি। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ ছক্কা হাঁকানো যুবরাজও আছেন এই তালিকায়। তিনে থাকা বাটলার ও যুবরাজ ৩৩টি করে ছক্কা মেরেছেন।

বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগারটা লঙ্কানদের দখলে। অজান্থা মেন্ডিসের ৮ রানে ৬ উইকেট এখনও আছে ‘অপরাজিত’। মাত্র ৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারই স্বদেশি রঙ্গনা হেরাথ। এরপরই রয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করা পাকিস্তানি পেসার উমর গুল।

টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ডিসমিসালসের মালিক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্লাভস হাতে ২১ ক্যাচের পাশাপাশি ১১ বার স্টাম্পিং করেছেন এই ভারতীয়। এবারের আসরে খেলবেন এমন উইকেটরক্ষকের মধ্যে সেরা পাঁচে রয়েছেন একমাত্র কুইন্টন ডি কক। এই প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের ডিসমিসাল রয়েছে ২২টি। আর ফিল্ডার হিসেবে সর্বাধিক ২৩ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ডটা আছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। আট আসরের মধ্যে ক্যারিবীয় ও ইংলিশরা দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ দল। চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগুলো রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার এইট পর্বে উন্নীত হবে। এই পর্বে উন্নীত দলগুলিকে নিয়ে আবারও গ্রুপ হবে। প্রতি গ্রুপে ৪টি দল নিয়ে তৈরি দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে এবং প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, যেখানে দুটি সেমি-ফাইনাল এবং একটি ফাইনাল থাকবে।


টি-২০ বিশ্বকাপ   রেকর্ড   মহানায়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে বিক্রি হয়ে গেল মেসির সেই ন্যাপকিন

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির সাথে বার্সার ঐতিহাসিক চুক্তির কথা জানে না এমন কোন ফুটবল ভক্ত বোধহয় খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। ২০০০ সালে বার্সার সাথে ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেন মেসি। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান বার্সেলোনা শহরে। এর পরের গল্পটি সবারই জানা। বার্সার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ টি গোল তিনি করেছেন।

গত ৯ মে বিট্রিশ অকশন হাউস বোনাহামসের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেল মেসি-বার্সা এই ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রটি।

উল্লেখ্য, মেসি-বার্সার এই চুক্তিটির দাম উঠেছে লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশ মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২০১ টাকা।


মেসি   বার্সা   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল দলে বড় ধাক্কা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে কোপা আমেরিকার লড়াই। যেখানে ফেবারিট হিসেবেই অংশ নেবে ব্রাজিল ফুটবল দল। তবে এর আগে বড় ধাক্কায় খেয়েছে সেলেসাওরা।

কোপা আমেরিকা শুরু হওয়ার মাস খানেক আগে চোট পেয়েছেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এদারসন। আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে এদারসনের ইনজুরি কিছুটা হলেও ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

জানা গেছে, চোখের ইনজুরিতে পড়েছেন এদারসন। গেল সপ্তাহে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষককে। এ কারণে প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি।  

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার সিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না।

তবে ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণটা একটু বেশিই। কারণ, আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা। 

যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরো দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২০২৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। 

একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।

শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।

তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল। 

এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’


ফুটবল   বিশ্বকাপ   ব্রাজিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন