ইনসাইড গ্রাউন্ড

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেলো না ক্যারিবীয়রা

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১১ জুলাই, ২০২২


Thumbnail ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেলো না ক্যারিবীয়রা

ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো দল এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার প্রমাণ আরও একবার মাঠের খেলায় দিলো বাংলাদেশ। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধরাশায়ী হওয়া টাইগারদের এ এক অন্য রূপ। ওয়ানডেতে করেছে দুর্দান্ত সূচনা টাইগারদের।

গায়ানায় কার্টেল ওভারের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬ উইকেট আর ৫৫ বল হাতে রেখে হেসেখেলেই হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা। এ নিয়ে সর্বশেষ ৯ ওয়ানডেতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো বাংলাদেশ।

৪১ ওভারে ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ক্যারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেনের এক ঘূর্ণি ডেলিভারি লিটনের পায়ে লাগলে আবেদন হয়।

আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। অনেকটা সময় নেন। লিটন ভেবেছিলেন বেঁচে গেছেন। এমন সময়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন লিটন।

রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্প একটু ছুঁয়েছে, তবে বেশিরভাগই বাইরের দিকে। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে (৯ বলে ১)।

স্বাভাবিকভাবেই লিটন এতে খুশি হতে পারেননি। রাতে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছাড়েন, যাওয়ার সময় আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে রাগত স্বরে কিছু বলতেও দেখা যায় লিটনকে। পরে আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন তামিম।

লিটন ফিরলেও তামিম ভয়ংকর চেহারায় হাজির হয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে। সপ্তম ওভারে জেইডেন সিলসকে একটি চার আর ছক্কা হাঁকানো টাইগার দলপতিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল ক্যারিবীয়রা।

স্বাগতিকদের সেই দুশ্চিন্তা কেটেছে পরের ওভারেই। নাজমুল হোসেন শান্ত গালিতে বল ঠেলে দিয়ে দ্রুত এক রান নিতে চাইলে তামিমও দৌড় দেন। স্ট্রাইকিং এন্ডে সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দেন ফিলিপ। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় তামিমের ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের সমাপ্তি সেখানেই।

এরপর আরেকটি জুটি বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর শান্ত মিলে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শান্ত খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ ভুল শট খেলে বসার অভ্যাস থেকে বের হতে পারেননি শান্ত।

৭১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তিনি। গুদাকেশ মোদিকে অভিষেকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দিয়ে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দেন ডাউন দ্য উইকেটে যাওয়া শান্ত। ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে গড়া তার ইনিংসটি ছিল ৩৭ রানের।

আফিফ হোসেনও শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু ৯ রান করে বাজে শট খেলে নিকোলাস পুরানকে উইকেট উপহার দেন তিনি। তবে বাকি সময়টায় দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি মাহমুদউল্লাহ আর নুরুল হাসান সোহান।

৫৩ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। মাহমুদউল্লাহ ৬৯ বলে ৪১ আর সোহান ২৭ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে শরিফুল-মিরাজদের তোপে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ উইকেটে গুটিকয়েক ক্যাচ ড্রপ না হলে আরও কম রানেই আটকে রাখা যেতো ক্যারিবীয়দের।

গায়ানার প্রভিডেন্স পার্কে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দেশের ১৩৮তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন এরই মধ্যে ২২টি কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার হাতেই প্রথম ওভার তুলে দেন তামিম ইকবাল।

বাঁহাতি ব্যাটার কাইল মায়ার্সের বিপক্ষে প্রথম ওভারে কোনো রান খরচ করেননি নাসুম। তবে একটি ওয়াইড বল করায় প্রথম ওভারটি মেইডেন পাননি তিনি। নাসুমের দারুণ ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বাঁহাতি পেসারের প্রথম বলটি ছিল মিডল স্টাম্পের ওপর ইনসুইঙ্গার। যা খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত শাই হোপ (০)। তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। বাংলাদেশ পায় প্রথম সাফল্য।

সেই চাপ পরে ধরে রাখেন তাসকিন, মিরাজরাও। হাত খুলে খেলতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে স্বাগতিক দল।

কাইল মায়ার্স আর শামারাহ ব্রুকস শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বল খেলে ৩১ রানের ধীরগতির জুটি গড়েন তারা।

১২তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে কিছুই বুঝে ওঠার আগে স্টাম্প চলে যায় মায়ার্সের। অথচ বলটা ডিফেন্ড করেছিলেন মায়ার্স, বাঁক খেয়ে সেই বল ঢুকে যায় স্টাম্পে। মায়ার্স আউট হন ২৭ বলে ১০ করে।

এরপর আবারও খোলসে ঢুকে পড়ে ক্যারিবীয়রা। অনেকটা সময় উইকেট টিকিয়ে রেখেছিল তারা। ২১তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল।

বাঁহাতি এই পেসারকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে বদলি ফিল্ডার এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ হন রান নিতে গলদঘর্ম হওয়া ব্রেন্ডন কিং (৩১ বলে ৮)।

তার ঠিক পরের বলেই শরীরের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসবন্দী আরেক সেট ব্যাটার শামারাহ ব্রুকস (৬৬ বলে ৩৩)।

অবস্থা বেগতিক দেখে রয়েসয়ে খেলার বদলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন নিকোলাস পুরান আর রভম্যান পাওয়েল। তবে তাদের ১৯ রানের জুটিটি ২৮ বলের বেশি টিকতে দেননি মিরাজ।

২৬তম ওভারে টাইগার অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন পাওয়েল (৯)। বল প্যাডে লাগলে আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। পাওয়েল অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্প পেয়ে যেতো বল।

পরের ওভারে অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ তার প্রথম ওয়ানডে উইকেটটি প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন। ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরানের প্যাডে বল লাগলে আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান পুরান।

এর মধ্যে ঘটে আরেক ঘটনা। পুরান রানের জন্য দৌড় দিলে স্ট্রাইকিং এন্ডে স্টাম্প ভেঙেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু আম্পায়ারের আউটই বাঁচিয়ে দেয় ১৫ রানে থাকা পুরানকে।

রিভিউ নেন তিনি, তাতে দেখা যায় স্টাম্প মিস করে যেতো বল। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বল ডেড হয়ে যাওয়ায়, পরে আর রানআউটটি ধরা হয়নি।

যদিও শেষ রক্ষা হয়নি পুরানের। পরের ওভারেই তাকে বোল্ড করে দেন মিরাজ। ২৪ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ক্যারিবীয় এই মারকুটে ব্যাটার। এরপর আকিল হোসেন মিরাজের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হলে একশর আগেই (৯৬ রানে) ৭ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তবে ১১০ রানে ক্যারিবীয়দের ৯ উইকেট তুলে নিয়েও স্বস্তিতে শেষ করতে পারেনি টাইগার বোলাররা। বেশ কয়েকটি ক্যাচ ড্রপের সুবিধা নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে ৪৫ বলে ৩৯ রান তুলে দেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ আর জেইডেন সিলস। ফিলিপ ২১ আর সিলস ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শরিফুল ইসলাম। ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার তার। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। একটি উইকেট শিকার মোস্তাফিজুর রহমানের।

অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করেন। তাসকিন সমান ওভারে দেন ২৫।


ওয়ানডে   বাংলাদেশ   ক্যারিবীয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চূড়ান্ত হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর এই টুর্নামেন্টটিই বাতিল করে দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি ১৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, খসড়া সূচি তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি ঠিক করে আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আইসিসি থেকে নিরাপত্তা দল এসেছিল। তারা আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে এবং স্টেডিয়ামের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা সর্বদা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভালো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো।’


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি   ক্রিকেট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল: কোহলি

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।

এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’

‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তামিম, জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।


তামিম ইকবাল   নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাস গড়ে রোনালদোকে টপকালেন মেসি

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।

রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।

সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।

দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।

রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।

ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।

জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   আল নাসর   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ডবুকে নতুন পৃষ্ঠা যোগ করলেন ধোনী

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার।  দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে। 

গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। আর এই জয়ে নিজের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক দলের হয়ে ১৫০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছেন ধোনি।

চলতি আসরে শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের বোলাদের ত্রাস হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাখেন ফিনিশারের ভূমিকা। এই মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ২৫৯.৪৬ স্ট্রাইরেটে ৯৬ রান করেছেন ধোনি।

২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের ইতিহাসে মোট ২৫৯ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ২৪ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রান করেছেন ৫ হাজার ১৭৮।

চেন্নাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেখানে ৩.৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ৫১ রান, সেখানে গতকাল ২.৫ ওভার বল করে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ১৯ রান। শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   ধোনী   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন