ইনসাইড গ্রাউন্ড

ওয়ানডেতে প্রথম উইকেট নাসুমের

প্রকাশ: ০৮:৩৬ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২২


Thumbnail ওয়ানডেতে প্রথম উইকেট নাসুমের

উইকেট পাওয়ার পর হাসতে হাসতে রিভিউয়ের সংকেত দেখাচ্ছিলেন নাসুম আহমেদ। এটিই আসলে বলে দেয় অনেক কিছু! রিভিউ এর আগে তিন বার ওয়ানডে প্রথম উইকেট থেকে বঞ্চিত করেছে নাসুমকে, এবার  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার রিভিউয়ের সুযোগ রাখলেন না। শামার ব্রুকসকে করলেন ক্লিন বোল্ড! 

এক বল আগে মিডউইকেট দিয়ে একটা চার মেরেছিলেন ব্রুকস, তবে এবার লাইন ধরে রাখা বলটি পুরোপুরি মিস করে গেছেন। নাসুম পেয়েছেন প্রথম ওয়ানডে উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়েছে ইনিংসে দ্বিতীয়টি, ৩৯ রানের মাথায়। ব্রুকস ফিরেছেন ১৩ বলে ৫ রান করে। 

প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের দুয়ারে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্য বাংলাদেশের। আর এই উদ্দেশ্যেই আজ মাঠে নেমেছে টাইগাররা।

ফিল্ডিংয়ে নেমেই একটি রানআউট, একটি স্টাম্পিং, একটি কট-বিহাইন্ডের সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। রিভিউয়ের কারণে ফসকে যায় আরেকটি উইকেট। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের চিত্র এমনই। এর মাঝে স্পিন আধিপত্য বিস্তার করেছে।

প্রায় প্রথম ওয়ানডের মতো করেই অফ স্পিনারকে ইনসাইড দ্য লাইনে খেলতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন কাইল মায়ার্স। এবার অবশ্য বোলার মোসাদ্দকে হোসেন। ১১তম ওভারে এসে ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদশ। মায়ার্স ফিরেছেন ৩৬ বলে ১৭ রান করেন।

এর আগে, টসে জিতেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস জিতেই নিয়েছেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিধ্বস্ত হলেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। একদিনের ফরম্যাটে ফিরেই স্বরুপে দেখা মিলেছে টাইগারদের। 

এই ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিবে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান বলছে, এই মাঠে খেলা আগের চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তাই আজও জয়ের জন্যই মাঠে নামবে তামিম-আফিফরা।

ওয়ানড   উইকেট   নাসুম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশের অনন্য সাফল্য

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একটা লম্বা সময় ধরে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে যেন কিছুই ছিল না। সেই ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ অংশ নিলেও কোনোটিতেই উঠতে পারেনি দ্বিতীয় রাউন্ডে। গত আটটি আসরের প্রতিটিতেই বাংলাদেশ বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। 

এত কিছুর পরও বছর ঘুরে পুনরায় সামনে এলো আরো একটি বিশ্বকাপ। যেখানে অংশ নিতে বেশ আট-ঘাট বেঁধেই  চলতি বছরে প্রস্তুতিস্বরূপ শ্রীলংকা সিরিজের মধ্য দিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে সেখানেও ধরাশায়ী টাইগাররা। 

নতুন ক্যাপ্টেন, তারুণ্য নির্ভর দল। সেই সাথে নির্বাচক প্যানেলও পরিবর্তিত। সব মিলিয়ে যেন নতুন এক বাংলাদেশকে দেখার অপেক্ষায় ছিল ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু শ্রীলংকার পর জিম্বাবুয়ের সাথে বাজে পারফরমেন্স এবং অভিবাসীদের নিয়ে গড়া দল আনকোরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও সিরিজ হারে মুখ থুবড়ে পড়ে টাইগাররা। 

আর বিশ্ব ক্রিকেটের এমন একটি বড় টুর্নামেন্টের পূর্বে টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স যেন শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল ভক্ত-সমর্থকদের। অনেকে এটাও ভেবে নিয়েছিলেন যে, এবারও পূর্বের মতই গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়বে বাংলাদেশ। 

তবে একের পর এক বাজে পারফর্মেন্সের পরও দলের উপর ভক্ত-সমর্থকদের আস্থা রাখতে বলেছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিরিজ হারের পরও শান্ত বলেছিলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করবে। আপনারা আস্থা রাখুন। 

এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচ দিয়েই নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যেখানে সব আলোচনা-সমালোচনা পেরিয়ে লঙ্কানদের নাস্তানাবুদ করে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। আর শ্রীলংকার বিপক্ষে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টাইগাররা একদিকে যেমন নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিল, ঠিক অন্যদিকে ভক্ত-সমর্থকরা নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছিল। 

তবে ভাগ্যের ফেরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আবারো যেন ব্যাকফুটে চলে গেছিল বাংলাদেশ। বিতর্কিত আম্পায়ারিং এর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশকে চার রানে হারতে হয়েছিল এই ম্যাচে। 

কিন্তু এত কিছুর পরেও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। আশা ছিল এবারের বিশ্বকাপে সেকেন্ড রাউন্ডে যাবে টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং কর গড়ে তুলেছিল টাইগার ব্যাটাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল ডাচরা। 

তবে বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার বিষাদ হোসেন এর এক ওভারে যেন মোড় ঘুরে যায় ম্যাচের। পর পর দুই উইকেট নিয়ে ডাচদের ব্যাটিং লাইনআপ চুরমার করে দেয় সে। আর সেই ধারাবাহিকতায় শেষমেষ ২৫ রানের জয় পায় টাইগাররা। 

যাতে করে এবার টাইগাররা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হওয়ার সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। তবে এর পেছনে রয়েছে কিছু বিশেষ কারণও। যার মধ্যে রয়েছে-

প্রথমত, তারুণ্য নির্ভরতা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবার তারুণ্য নির্ভর এক দল। যেখানে যেমন রয়েছে তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয়দের মতো ব্যাটাররা, তেমন রয়েছে  রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিবদের মত প্রতিভাবান বোলাররা। আর এই তরুণদের উপর নির্ভর করেই এবারের বিশ্বকাপে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। 

দ্বিতীয়ত, অভিজ্ঞতার কান্ডারী সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই রত্ন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। আর এই দুই রত্নের প্রভাব রয়েছে এবারের বিশ্বকাপেও। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর প্রতিনিয়ত ব্যাট হাতে একদিকে যেমন হাল ধরছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ঠিক তেমনি অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সের মধ্য দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। 

তৃতীয়ত, ভারসাম্যপূর্ণ ক্রিকেট। বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই নড়বড়ে অবস্থানে ছিল। তবে এবারের বিশ্বকাপে তারুণ্য নির্ভর এই বাংলাদেশকে দেখে মনে হয়েছে এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ। যেখানে ব্যাটারদের সাহসী ব্যাটিং এবং বোলারদের নৈপূণ্যতা ছিল প্রশংসনীয়। 

আর এই তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ এবার স্বপ্ন দেখাচ্ছে লাখো কোটি ভক্ত-সমর্থকদের। আর তাই বাংলাদেশের সামনে এখন একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। সেটি হচ্ছে, এই লাখো কোটি ভক্তদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবে টাইগাররা?

উল্লেখ্য, গ্রুপ-ডিতে ৩ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ পয়েন্ট পাওয়া প্রোটিয়াদের নেট রান রেট প্লাস ০.০৬৩। ৩ ম্যাচে দুই জয় ও এক পরাজয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ নেট রান রেট প্লাস ০.৪৭৮, পয়েন্ট ৪। ৩য় স্থানে থাকা ডাচদের ৩ ম্যাচে ১টি মাত্র জয় রান রেট মাইনাস ০.৪০৮, পয়েন্ট ২।

যেহেতু শ্রীলঙ্কার এই পয়েন্ট অর্জন করা আর কোনোভাবেই সম্ভব না, তাই গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে লঙ্কানরা। শেষ ম্যাচে টাইগাররা নেপালের বিপক্ষে জয় পেলেই হবে। বাড়তি কোনো হিসাব-নিকাশের প্রয়োজন হবে না।

তবে বাংলাদেশ নেপালের কাছে হেরে গেলে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাচরা জিতে গেলে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। এমন অবস্থায় নেট রানরেটের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে সুপার এইটের সমীকরণ। কিন্তু কোনো প্রকার সমীকরণে যেতে চায় না শান্ত বাহিনী। তাই নেপালের বিপক্ষে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছে না।

ধরে টি-টোয়েন্টি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আয়ারল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচে বৃষ্টি হলে কপাল পুড়বে পাকিস্তানের!

প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে সুপার এইটের পাঁচ দল। বাকি তিন দল হিসেবে কারা উঠছেন কোয়ার্টারে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এবারের বিশ্বকাপে শুরুর দিকে শক্তিশালী দল হিসেবে অন্যান্য দলের সাথে পাকিস্তানকেও ধরা হয়েছিল। কিন্তু আসরের প্রথম দুই ম্যাচে পর পর হেরে ইতোমধ্যেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বাবর-রিজওয়ানরা। যদিও সুপার এইটের আশা এখনও শেষ হয়নি পাকিস্তানের।

অপরদিকে টানা তিন জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আর তিন ম্যাচের দুটিতে জিতে পরের পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনও নিশ্চিত নয় তারা। কারণ, পয়েন্ট কম হলেও তাদের চেয়ে রান রেট ভালো পাকিস্তানের। স্বাভাবিকভাবেই আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের জয়ের বিকল্প নেই।

তবে যদি হার কিংবা বেরসিক বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেস্তে যায় তাহলে কপাল পুড়বে পাকিস্তানের। কারণ, আইরিশদের হারালে দুই পয়েন্ট পেয়ে মোট ৬ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে যাবে স্বাগতিকরা। বৃষ্টি হলেও আমেরিকারই লাভ। আগে থেকে ৪ পয়েন্ট পাওয়া দলটি আর এক পয়েন্ট পেলেই সুপার এইটের টিকিট পাবে। অতএব পাকিস্তান নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারালেও কোনো লাভ হবে না।

সুপার এইট বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে শুক্রবার মাঠে নামছে যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড। ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আশঙ্কা আছে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ারও। আর সেটা হলে কপাল পুড়বে পাকিস্তানের।

বছরের এই সময়টাই ফ্লোরিডায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা থাকে সবসময়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও কথা বলছে বৃষ্টির পক্ষে। দুই দিন আগে এই মাঠে অনুষ্ঠিতব্য শ্রীলঙ্কা-নেপালের ম্যাচও ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এই ম্যাচেও এমন চিত্র দেখার সম্ভাবনা আছে।  
 
বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সুপার এইটে উঠবে যুক্তরাষ্ট্র। আর বাদ পড়ে যাবে কানাডা, পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড। সেক্ষেত্রে এই দুই দলের শেষ ম্যাচটা স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হবে।


ভারত   পাকিস্তান   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   যুক্তরাষ্ট্র   আয়ারল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাবর-রিজওয়ানদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে সুপার এইটের পাঁচ দল। বাকি তিন দল হিসেবে কারা উঠছেন কোয়ার্টারে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এবারের বিশ্বকাপে শুরুর দিকে শক্তিশালী দল হিসেবে অন্যান্য দলের সাথে পাকিস্তানকেও ধরা হয়েছিল। কিন্তু আসরের প্রথম দুই ম্যাচে পর পর হেরে ইতোমধ্যেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বাবর-রিজওয়ানরা। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ধাক্কা, দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে আকস্মিক হার- সব মিলিয়ে এখন ‘যদি-কিন্তুর’ বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের সুপার এইট সমীকরণ।

বিশ্বকাপের সূচি বলছে, পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা বাবর আজমরা সুপার এইটে কোয়ালিফাই করবে কি না, এটা পরিস্কার হয়ে যেতে পারে আজই। আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ফ্লোরিডার লডারহিলে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র। তিন ম্যাচে দুই জয় পাওয়া আমেরিকা এদিন আইরিশদের বিপক্ষে জয় কিংবা পয়েন্ট ভাগাভাগি করলেও কপাল পুড়বে পাকিস্তানের। সে ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে চলে যাবে স্বাগতিকরা।

এদিকে, গেল কদিনে ফ্লোরিডায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। তুমুল বৃষ্টির কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভয়াবহ বন্যারও। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন নিয়েও চূড়ান্ত শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ যুক্তরাষ্ট্র বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও বৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। যা এখন মাথাব্যথার কারণ পাকিস্তানের।   

আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছে, আজ ফ্লোরিডায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৯১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচটিতে আইরিশদের জয় দরকার পাকিস্তানের। এরই মধ্যে দুই জয়ে অনেকটাই সুপার এইটের পথে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে আইরিশদের হারাতে পারলে সুপার এইটে চলে যাবে তারা। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও সুবিধা পাবে স্বাগতিক আমেরিকা।

নতুন কোচিং স্টাফ, পুরনো নেতায় আস্থা এবং সর্বশেষ অবসর ভেঙে দলে ফেরানো হয় দুই তারকা ক্রিকেটার। বেশ আটঘাঁট বেধেই শিরোপা পুনরুদ্ধারের আশায় মার্কিন মুল্লুকে পা রেখেছিল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে অবিশ্বাস্য হারের পর এখন বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাবর আজম বাহিনী। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে জয়ে যদিও কাগজে-কলমে আশা এখনো টিকে আছে। তবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সুপার এইটের ভাগ্য বাস্তব হওয়া এখন মিরাকলের চেয়েও বেশি কিছু হতে পারে।

‘এ’ গ্রুপের বাকি থাকা ম্যাচগুলোতে পাকিস্তানের যা দরকার-

১৪ জুন : যুক্তরাষ্ট্র বনাম আয়ারল্যান্ড- আইরিশদের জয়
১৫ জুন : কানাডা বনাম ভারত- ভারতের জয়
১৬ জুন : আয়ারল্যান্ড বনাম পাকিস্তান- নিজেদের জয়



ভারত   পাকিস্তান   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   যুক্তরাষ্ট্র   আয়ারল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডাচদের বিপক্ষে টাইগারদের জয়ের সাক্ষী হলেন হামজাও

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের সাথে জিতে শুভসূচনা করলেও পরবর্তীতে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভাগ্যের ফেরে হেরে আবারও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টাইগাররা। আর এতে করে শঙ্কা জেগেছিল সুপার এইটে ওঠা নিয়ে। তবে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গতকাল ২৫ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে এখন টাইগারদের সুপার এইটের পথ অনেকটাই নিশ্চিত।

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এমন জয়ের দিনে দেশের ফুটবল নিয়ে জন্ম নিয়েছে নতুন এক আলোচনা। টাইগারদের ও ডাচদের এই ম্যাচ দেখার ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ ফুটবলার, লেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। আর ব্রিটিশ ফুটবলারের এই স্টোরির পর তার দেশের খোঁজ খবর রাখার বিষয়টি যেন নজরে এসেছে সবার।

মূলত হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশের পর থেকেই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেশের ফুটবল সমর্থকদের ঢুঁ মারা বেড়েছে। আর গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত তিনটার দিকে হামজার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চোখ রাখলে কেউ কেউ হয়তো অবাকও হয়েছেন। এই অবাক হওয়াটা অবশ্য বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীদের জন্য উপভোগ্যই। হামজা যে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও খোঁজ রাখেন, খেলাও দেখেন।

হামজার পরিচয় এত দিনে গোটা বাংলাদেশেরই জানা। তিনি লেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। লেস্টার সিটির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে উঠতে পারে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–২১ দলে খেলা ২৬ বছর বয়সী এ ফুটবলারের। এই হামজাই গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট করেছেন। ছবিটি সম্ভবত তার নিজ ঘরে তোলা। দেয়ালে সেটে রয়েছে একটি টিভি। আর সেই টিভিতে যা চলছিল, সেটাই এই ছবির কেন্দ্রবিন্দু। কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান লিটন দাস।

অর্থাৎ গতকাল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ–নেদারল্যান্ডস ম্যাচটি দেখেছেন হামজা। যে ম্যাচে ডাচদের ২৫ রানে হারিয়ে সুপার এইটের খুব কাছে চলে গেছে নাজমুল হোসেনের দল।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করা ছবিতে হামজা কিছুই লেখেননি। সম্ভবত শুধু ছবিটি পোস্ট করেই বুঝিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খোঁজখবর তিনি ভালোই রাখেন। অবশ্য সংবাদমাধ্যমে হামজার ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখার ব্যাপারটি বেশ আগেই এসেছে।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলার সময় জানা গিয়েছিল হামজার বাবা ক্রিকেট খুব পছন্দ করেন। সে সময় বাবাকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচের টিকিটও বাবা দিবসের উপহার হিসেবে কিনে দিয়েছিলেন হামজা। নটিংহামে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে সেই ম্যাচটি দেখেওছিলেন হামজার বাবা।

২০২০ সালের মে মাসে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রথম আলোকে নিজের মুগ্ধতার কথাও জানিয়েছিলেন হামজা, ‘তিনি অনেক উঁচু মানের খেলোয়াড়। ব্যাটিং–বোলিং দুটিতেই ভালো। বড় ম্যাচে ও কঠিন মুহূর্তে ভালো খেলতে পারেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব আমার ভালো লাগে। তিনি অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের খেলা থাকলে আমি সব সময় আপডেট নেওয়ার চেষ্টা করি।’ সাকিব ছাড়াও তামিম ইকবাল ও লিটনকে চেনার ব্যাপারটি তখন জানিয়েছিলেন হামজা।


টি-২০ বিশ্বকাপ   হামজা চৌধুরি   বাংলাদেশ ক্রিকেট   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে রিশাদকে যা বলেছিলেন শান্ত

প্রকাশ: ০৩:৪৭ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের সাথে জিতে শুভসূচনা করলেও পরবর্তীতে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভাগ্যের ফেরে হেরে আবারও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টাইগাররা। আর এতে করে শঙ্কা জেগেছিল সুপার এইটে ওঠা নিয়ে। তবে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গতকাল ২৫ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে এখন টাইগারদের সুপার এইটের পথ অনেকটাই নিশ্চিত।

এদিন ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে নৈপুণ্য দেখান রিশাদ হোসেন। মূলত এই লেগির করা ১৫তম ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। মাচ শেষে মিক্স জোনে রিশাদ বলেন, ‘শান্ত ভাই আমাকে বলেছেন, 'তুই পারবি, চেষ্টা কর, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। যখনই বোলিংয়ে আসি, চিন্তা করি দলকে কী দেওয়া যায়। উইকেট দিয়ে হোক কিংবা ডট বল দিয়ে হোক; চেষ্টা করেছি শুধু। বাকিটা আল্লাহ দিয়েছেন।’

সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট নিয়ে রিশাদ বলেন, ‘উইকেট ভালোই ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে খেলার জন্য। মাঠে যারা ছিলাম, কখনোই মনে হয়নি হারার জন্য নেমেছি বা হেরে যাচ্ছি। সব সময় চিন্তা করেছি ফলাফল শেষ বলে দেখা যাবে। আমার মনে হয় ৫-১০ রান কম হয়েছে, তবে ঠিক আছে।’

সাকিবকে নিয়ে রিশাদ বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের প্রতি আমরা মোটেই আস্থা হারাইনি। আমরা জানি, বিগত দিনগুলোতে সাকিব ভাই কী করে আসছেন। সাকিব ভাইয়ের প্রতি সবার বিশ্বাস আছে। ইনশা আল্লাহ, (সেটা) আজকে দেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’

তিনি যোগ করেন, ‘চাপ কিছু না, আমরা যখন ১১ জন মাঠে নামি, চেষ্টা করি সবাই এক হয়ে থাকার জন্য। প্রতিদিন তো একজন ভালো খেলে না। দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে। সামনে যতগুলো ম্যাচ আছে, অবশ্যই সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করব।’


বাংলাদেশ   ক্রিকেট   রিশাদ হোসেন   নাজমুল শান্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন