সিরিজে দ্বিতীয়বার ৭০ ছুঁয়ে ফেলার পর আটকে গেলেন এনামুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬২ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন ২০ রান করে। আজকে ৭০ রানের ঘর ছুয়েও ৭১ বলে ৭৬ রান করে কট বিহাইন্ড হলেন। লুক জঙ্গুয়ের বলে শেষ পর্যন্ত ব্যাটের ফেসটা ওপেন করেখোঁচা দিয়ে ফিরতে হলো তাঁকে।
এরই সাথে ভাঙলো মাহমুদুল্লাহার সাথে ৯০ বলে ৭৭ রানের জুটি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০ ওভার শেষে ৪ উইকেয়াট হারিয়ে ১৪৭ রান। । ৫৬ বলে ২৬ করে ক্রিজে আছেন মাহমুদুল্লাহ। তার সঙ্গ দিচ্ছেন ১৬ বলে ১৩ রানে তরুণ আফিফ।
ইনিংসের শুরুটা ভালো করলেও দ্রুতগতিতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মুখে পড়ে টাইগার দল। অধিনায়ক তামিম রান আউটের পরপর দ্রুত গতিতে শান্ত ও মুশফিক সাজঘরে ফিরলেও ক্রিজের অপরম প্রান্তে টিকে ছিলেন বিজয়। ৪৮ বলে তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এখন পর্যন্ত চারটি চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনটি ছক্কা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশত রানের পার্টনারশিপ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ভালো শুরুর পরেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিজউয়ের ডাকে রানআউটে পঞ্চাশের আগেই ভেঙে গেছে উদ্বোধনী জুটি। পরে খালি হাতে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিম আউট হয়েছেন ১৯ রান করে। গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন শান্ত। একই ওভারে খালি হাতে আউট হয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমও।
দ্বিতীয়টিতে
এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় ম্যাচেও টাইগারদের
শুরুটা হয়েছে তেমনই। এবারও তামিমের সঙ্গী ছিলেন বিজয়।
কিন্তু ইনিংসের
নবম ওভারে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তামিমকে। দলীয় ৪১ রানে এনগ্রাবার বল অফ সাইডে ঠেলে
দিয়ে রান নেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন বিজয়, কিন্তু পরে তিনি থেমে যান। ততক্ষণে নন
স্ট্রাইকে থাকা তামিম অনেক দূর চলে গেছেন। তিনি ফেরার আগেই স্টাম্প ভাঙেন এনগ্রাবা।
এরপর কোনো নিজের
প্রথম বলেই মাধাভেরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্র্যাডলি ইভান্সের বলে আউট হয়েছেন নাজমুল
হোসেন শান্তও। পরে আসেন মুশফিকুর রহিম। সেও ইভান্সের বলে এনগ্রাবার হাতে ক্যাচ দিয়ে
ফিরেছেন শূন্য হাতেই। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ভালো বিপদেই পড়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয়
বলেই রিচার্ড এনগ্রাভাকে চার মেরে শুরু করেন তামিম। কিন্তু পরের দুই ওভারেই বাউন্ডারির
দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ভিক্টর নিয়াউচির করা চতুর্থ ওভারে তামিম মেরেছেন টানা দুই চার।
ওই ওভার থেকে এসেছে ১২ রান।
এর আগে, জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতেও টস হারে টাইগাররা। সেই সাথে যথারীতি বাংলাদেশকে ব্যাটিং এ পাঠায়
জিম্বাবুয়ে।
আন্তর্জাতিক
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৪০০তম ম্যাচ এটি। এখন পর্যন্ত ৩৯৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
যেখানে জয় ১৪৩ ম্যাচে আর পরাজয় ২৪৯টিতে, ফল আসেনি বাকি ৭টি ম্যাচে।
২০০৪ সালে নিজেদের ১০০তম ওয়ানডেতে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পর ২০০তম ওয়ানডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় ৩ উইকেটে। আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ৩০০তম ওয়ানডেতে ভারতের কাছে পরাজয় ১০৯ রানে। এবার দেখা যাক ৪০০তম ম্যাচে বাংলাদেশের ফলফলটা কি হয়।
মন্তব্য করুন
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে প্রথম লেগে পিএসজি হেরেছিল ১-০ গোলে। প্যারিসে আজ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে আরও একটা গোল খেয়ে বসল পিএসজি। ফলে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারতে হয় পিএসজিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ডর্টমুন্ড।
এর আগে, ২০১২-১৩ মৌসুমের সেই ফাইনালে ডর্টমুন্ড ২-১ গোলে হেরেছিল স্বদেশি ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। সেই ফাইনাল ছিল লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।
এবারও ফাইনাল ওয়েম্বলিতেই, আগামী ১ জুন। এবারও ফাইনাল হতে পারে দুই জার্মান ক্লাবের। অন্য সেমিফাইনালে যে প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ-রিয়াল মাদ্রিদ!
গত সপ্তাহে, সিগনাল ইদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের জয়ের নায়ক ছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার নিকলাস ফুলক্রুগ। তবে আজ পার্ক দে প্রিন্সেসে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি জয় এনে দিয়েছেন সেন্টার ব্যাক ম্যাটস হামেলস। ৫০ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি তার।
পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ডর্টমুন্ড
মন্তব্য করুন
বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের
এবারের আসর। যেখানে শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত প্রতিটি দলের সাথে প্রতিপক্ষ দলের চলেছে
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যা এখনও চলমান রয়েছে।
তবে আইপিএলের এবারের আসর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই
মাঠে গড়িয়েছে ৫৬টি ম্যাচ। কিন্তু ৫৬ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই এখন পর্যন্ত প্লে-অফ
নিশ্চিত হয়নি। আবার কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও কেউই আসর থেকে ছিটকেও যায়নি। আর তাই প্লে
অফের শেষ মুহূর্তের লড়াইটা জমেছে বেশ।
এবার আইপিএলের অর্ধেক ম্যাচ শেষে টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল
রাজস্থান রয়্যালস। তবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে রাজত্ব ছিনিয়ে নেয়
কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবমিলিয়ে জমজমাট আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের লড়াই। প্লে-অফে উঠতে
১০ দলের সামনে এখন আলাদা আলাদা সমীকরণ।
দেখে নেওয়া যাক পয়েন্টস টেবিল অনুযায়ী আইপিএলের ১৭তম আসরের দলগুলোর
বর্তমান অবস্থান-
১. কলকাতা নাইট রাইডার্স
১১ ম্যাচে ৮ জয়ে টেবিলের রাজত্ব করছে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর।
বাকি তিন ম্যাচে মুম্বাই, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এর মধ্যে
যেকোনো এক ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট হবে তাদের। আর নেট রানরেটে (১ দশমিক ৪৫৩) এগিয়ে
থাকায় তাদের সামনে প্লে-অফের সহজ সমীকরণ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এক ম্যাচে জয় পেলেই
শেষ চারে উঠে যাবে শাহরুখ খানের কলকাতা।
তবে শুধু প্লে-অফই না, সেরা দুইয়ে থাকার সুযোগও আছে তাদের। এর জন্য
অনন্ত দুটি ম্যাচে জিততেই হবে শ্রেয়াস আইয়ারদের। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের একটি ম্যাচে
হারের প্রত্যাশাও করতে হবে কলকাতা শিবিরকে। আর তিন ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ২২।
সেক্ষেত্রে আর কোনো সমীকরণই মেলাতে হবে না।
২. রাজস্থান রয়্যালস
কলকাতার সমান ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্টে নেট রানরেটে পিছিয়ে টেবিলের
দুইয়ে রাজস্থান। নিজেদের পরের ম্যাচে চেন্নাই, পাঞ্জাব ও কলকাতার বিপক্ষে খেলবে তারা।
কেকেআরের মতো যেকোনো একটি ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত তাদের। আর
৪ ম্যাচের মধ্যে সবটিতে জিতলেই সেরা দুইয়ে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করবে সাঞ্জু স্যামসনরা।
এক্ষেত্রে কলকাতা ছাড়া আর কোনো দলের সামনেই তাদেরকে ধরার সুযোগ নেই।
৩. চেন্নাই সুপার কিংস
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ তিন ম্যাচে গুজরাট,
রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। সেই তিন ম্যাচে জয় পেলে তাদের
পয়েন্ট হবে ১৮। লখনৌ এবং হায়দরাবাদেরও সুযোগ আছে মোস্তাফিজের চেন্নাইকে পেছনে ফেলার।
তাই লখনৌ কিংবা হায়দরাবাদ, যাতে একটি ম্যাচে হারে; সেই প্রত্যাশাই করতে হবে চারবারের
চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে লখনৌ ও হায়দরাবাদের মধ্যে একটি ম্যাচ বাকি থাকায় কিছুটা স্বস্তি
চেন্নাই শিবিরে। তাই চেন্নাইয়ের সামনে প্লে-অফের দৌড়ে সহজ সমীকরণ।
৪. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে হায়দরাবাদ। সোমবার (৬ মে)
নিজেদের সবশেষ ম্যাচে মুম্বাইয়ের সঙ্গে হেরে প্লে-অফের দৌড়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্যাট
কামিন্সের দল। শেষ তিন ম্যাচে লখনৌ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের। এর
মধ্যে লখনৌর বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বাঁচামরার লড়াই। এই ম্যাচে হারলেই প্লে-অফের দৌড়ে
কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে তাদের। আর গ্রুপ পর্বে চেন্নাই কোনো ম্যাচে হারলে, সেটিও হায়দরাবাদের
জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে। তাই নিজেদের জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের পরাজয়ের
প্রত্যাশাও করবে তারা।
৫. দিল্লি ক্যাপিটালস
১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে দিল্লি। তবে এখনও প্লে-অফের স্বপ্ন
জিইয়ে রেখেছে ঋষভ পান্থের দল। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌয়ের মুখোমুখি
হবে তারা। প্লে-অফের সমীকরণে টিকে থাকতে এই দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। সেই
সঙ্গে নেট রানরেটের হিসেব তো থাকছেই। পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের হারের প্রত্যাশাও
করতে হবে। তাহলেই প্লে-অফে উঠতে পারবে তারা।
৬. লখনৌ সুপার জায়ান্টস
সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের সমান পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটে (-০.৩৭১)
পিছিয়ে টেবিলের পাঁচে লখনৌ। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে হায়দরাবাদ, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের
মোকাবিলা করবে তারা। তবে এই তিন ম্যাচে জয় পেলেও প্লে-অফ নিশ্চিত না তাদের। জয়ের পাশাপাশি
নেট রানরেটের সমীকরণও মেলাতে হবে। সেই সঙ্গে চেন্নাই ও হায়দরাবাদের পরাজয়ের প্রত্যাশাও
করতে হবে।
৭. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু
প্লে-অফের দৌড়ে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের দিকেও তাকিয়ে
থাকতে হবে বিরাট কোহলিদের। শেষ তিন ম্যাচে পাঞ্জাব, দিল্লি ও চেন্নাইকে হারালে ১৪ পয়েন্ট
হবে তাদের। আর প্রত্যাশা করতে হবে চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌ যাতে একটির বেশি ম্যাচে
জয় না পায়। তাহলেই শেষ চারে উঠার পথ সম্মুখ হবে তাদের।
৮. পাঞ্জাব কিংস
১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে থাকা পাঞ্জাব নিজেদের শেষ
তিন ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু, রাজস্থান ও হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এই তিন ম্যাচে
জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ, লখনৌ এবং দিল্লির হারের প্রত্যাশাও করতে হবে তাদের।
আর নেট রানরেটের জটিল সমীকরণ মেলাতে পারলেই প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে থাকবে পাঞ্জাবের।
৯. মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
টানা ৪ ম্যাচে হারের বৃত্তে থাকা মুম্বাই নিজেদের সবশেষ ম্যাচে
জয় পেয়েছে। এই জয়ে টেবিলের ৯-এ উঠে এসেছে তারা। তবে প্লে-অফে স্বপ্নটা বেশ কঠিনই বটে।
কেননা, বাকি দুই ম্যাচে ম্যাচ কলকাতা ও লখনৌয়ের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে
তাদের। নিজেদের দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌর সব ম্যাচে হারের
প্রত্যাশা করতে হবে তাদের। একই সঙ্গে দিল্লির এক ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশাও করতে হবে।
১০. গুজরাট টাইটান্স
পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে গুজরাট। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে চেন্নাই,
কলকাতা ও হায়দরাবাদের মোকাবিলা করবে তারা। কাগজে-কলমের হিসেবে প্লে-অফের আশা থাকলেও
নানান জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে বর্তমান রানার্স-আপদের। নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের
হারের প্রত্যাশাও করতে হবে। আর এক ম্যাচে হারলেই শেষ হয়ে যাবে প্লে-অফ স্বপ্ন।
আইপিএল ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে
লাগল না পিএসজির। চলতি মৌসুম শেষেই কিলিয়ান এমবাপে প্যারিসের ক্লাবকে বিদায় জানাবেন।
সে হিসেবে এটাই ঘরের মাঠে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার শেষ ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে
এমবাপেও করে দেখাতে পারলেন না বিশেষ কিছু। বরং ম্যাটস হুমেলসের কাছেই যেন বন্দী হয়ে
ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ সেনসেশন। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আবার হারিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান দলটি।
মঙ্গলবার (০৭ মে) রাতে প্যারিসে সেমি-ফাইনালের
ফিরতি লেগে মাটস হুমেলসের একমাত্র গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। প্রথম লেগে ঘরের মাঠেও একই
ব্যবধানে জেতা বুন্ডেসলিগার দলটি ২-০ গোলের অগ্রগামিতায় শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে জায়গা
করে নিয়েছে।
ডর্টমুন্ড সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের
ফাইনাল খেলেছিল ২০১৩ সালে, ওয়েম্বলিতে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর ইউরোপ
সেরার প্রতিযোগিতায় নিজেদের একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ১৯৯৭ সালে, মিউনিখের ফাইনালে
ইউভেন্তুসকে হারিয়ে। দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে বায়ার্ন অথবা
রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড।
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এবার মৌসুমটা ভালো
কাটেনি ডর্টমুন্ডের। জার্মান কাপে তাদের পথচলা থামে শেষ ষোলোয়। দুই রাউন্ড বাকি থাকতে
বুন্ডেসলিগার টেবিলে তারা আছে পাঁচ নম্বরে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো ছিল
না। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পিএসজির মাঠে হেরেছিল ২-০ গোলে। সেই মাঠেই এবার দারুণ
জয়ে শেষ ধাপে পৌঁছে গেল এদিন তেরজিচের দল।
অন্যদিকে, মৌসুমে এরই মধ্যে দুইটি শিরোপা
জেতা পিএসজি চার ট্রফির আশায় ছিল। একটির আশা শেষ হয়ে গেল ফাইনালের আগেই। দ্বিতীয়বারের
মতো ইউরোপ সেরার ফাইনালে খেলার আশা পূরণ হলো না তাদের। প্যারিসের দলটির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স
লিগ এক আক্ষেপের নাম হয়েই রয়ে গেল। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রতিযোগিতাটির সেমি-ফাইনাল থেকে
বিদায় নিল তারা, একবার হেরেছে ফাইনালেও, ২০২০ সালে।
পাক দি ফ্রাঁসে শুরু থেকে সুযোগ তৈরি
করতে থাকে দুই দলই। তবে কোনো গোলরক্ষকের কঠিন পরীক্ষা নিতে পারছিল না কেউ। তৃতীয় মিনিটে
প্রথম লেগের একমাত্র গোলদাতা নিকলাস ফুয়েলখুগের হেড অনায়াসে ঠেকান জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
পরের মিনিটে গনসালো রামোসের প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল।
সপ্তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের ভলি ঠেকাতেও বেগ পেতে হয়নি তাকে।
ত্রয়োদশ মিনিটে গোল করার কাছাকাছি যেতে
পারেন রামোস। বক্সের বাইরে থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে
যায়। ৩৫তম মিনিটে বাম দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ফাবিয়ান রুইস কাট-ব্যাক করেন এমবাপের
উদ্দেশে, কিন্তু ছয় গজ বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে ঠিকমতো শট নিতে
পারেননি ফরাসি তারকা। সেখান থেকেই দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করে ডর্টমুন্ড।
বক্সে ঢুকে কারিম আদেইয়েমির নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফিরিয়ে পিএসজিকে বাঁচান দোন্নারুম্মা।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপের
গোলের উদ্দেশে নেওয়া শটে ফ্লিক করেন রামোস, আর দূরের পোস্টে ওয়ারেন জাইরে-এমেরির শট
পোস্টে লাগে। মিনিট তিনেক পর গোল খেয়ে বসে পিএসজি। সতীর্থের কর্নারে হেডে গোল করে দুই
লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন ৩৫ বছর বয়সী জার্মান ডিফেন্ডার হুমেলস।
২০১৮ সালের অক্টোবরে আয়াক্সের বিপক্ষে
গোলের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জালের দেখা পেলেন তিনি। প্রতিযোগিতাটির
সেমি-ফাইনালে হুমেলসের চেয়ে (৩৫ বছর ১৪৩ দিন) বেশি বয়সে গোলের কীর্তি আছে কেবল রায়ান
গিগস (৩৭ বছর ১৪৮ দিন, ২০১১ সালে) ও এদিন জেকোর (৩৭ বছর ৫৪ দিন, গত মৌসুমে)।
৬২তম মিনিটে আরেকবার দুর্ভাগ্যের ফেরে
গোল পায়নি পিএসজি। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নুনো মেন্দেসের জোরাল শট পোস্টে লাগে। ৬৫তম
মিনিটে উসমান দেম্বেলে ফাউলের শিকার হলে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। মার্কো
আসেন্সিওর শট প্রতিহত হয় রক্ষণ দেয়ালে।
৮১তম মিনিটে কাছ থেকে এমবাপের শট ঠেকান
গোলরক্ষক। ৮৭তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার প্রচেষ্টা কোবেলের
হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনিয়ার জোরাল শটও ক্রসবারে
লাগে। শেষ পর্যন্ত তাই আর গোল পাওয়া হয়নি লুইস এনরিকের দলের।
রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠের পাশের
বিজ্ঞাপন বোর্ড পেরিয়ে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা একে একে চলে যান গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের
কাছে। মেতে ওঠেন আনন্দ-উল্লাসে। পিএসজি শিবিরে তখন হতাশার কালো মেঘ! এখন
ফাইনালের প্রতিপক্ষ জানার অপেক্ষায় ডর্টমুন্ড। আজ বুধবার আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ৬ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের মুখোমুখি হবে রেকর্ড ১৪
বারের শিরোপা জয়ী রিয়াল। প্রথম লেগে ২-২ ড্র হয়েছিল।
পিএসজি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে আটকে রেখে দারুণ ফুটবল খেলে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। যার জন্য দ্বিতীয় লেগের পূর্বে নতুন কিছুর সন্ধানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, দলের পারফরমেন্স ভালো করা না গেলে জার্মান জায়ান্টদের পিছনে ফেলা মুশকিল হবে।
প্রথম লেগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুই গোলে মাদ্রিদ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ঐ ম্যাচের পর আনচেলত্তি আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে বলেছিলেন, ‘বায়ার্ন খুবই বিপদজনক দল। তারা আজ সেরা ম্যাচ খেলেছে, যা আমরা পারিনি। নিজেদের উন্নতি করার এখনও সময় আছে।’
এরই মধ্যে গত শনিবার কাদিজকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত করেই মাদ্রিদ ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্নকে আতিথ্য দিচ্ছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচকে সামনে রেখে লা লিগার শিরোপা জয় উৎসব আপাতত বন্ধ রেখেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এখন তাদের ইউরোপীয়ান মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করতে মুখিয়ে আছে।
আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা সকল সমর্থকদের সাথে জয়ের উৎসব উদযাপন করতে চাই। সবাই বিষয়টি বুঝতে পারছে। বুধবার আমাদের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মৌসুমে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’
মাদ্রিদ অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজও কোচের সাথে একমত পোষন করেছেন, ‘আমরা ফাইনালে খেলার একেবারে দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। সবাই এই একটি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। যে কারণে এই মুহূর্তে খুব একটা আনন্দ উদযাপন করছি না।’
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে প্রথম লেগে পিএসজি হেরেছিল ১-০ গোলে। প্যারিসে আজ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে আরও একটা গোল খেয়ে বসল পিএসজি। ফলে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারতে হয় পিএসজিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ডর্টমুন্ড।
বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। যেখানে শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত প্রতিটি দলের সাথে প্রতিপক্ষ দলের চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যা এখনও চলমান রয়েছে। তবে আইপিএলের এবারের আসর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে ৫৬টি ম্যাচ। কিন্তু ৫৬ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই এখন পর্যন্ত প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি। আবার কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও কেউই আসর থেকে ছিটকেও যায়নি। আর তাই প্লে অফের শেষ মুহূর্তের লড়াইটা জমেছে বেশ।
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে লাগল না পিএসজির। চলতি মৌসুম শেষেই কিলিয়ান এমবাপে প্যারিসের ক্লাবকে বিদায় জানাবেন। সে হিসেবে এটাই ঘরের মাঠে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার শেষ ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে এমবাপেও করে দেখাতে পারলেন না বিশেষ কিছু। বরং ম্যাটস হুমেলসের কাছেই যেন বন্দী হয়ে ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ সেনসেশন। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আবার হারিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান দলটি।
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে আটকে রেখে দারুণ ফুটবল খেলে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। যার জন্য দ্বিতীয় লেগের পূর্বে নতুন কিছুর সন্ধানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, দলের পারফরমেন্স ভালো করা না গেলে জার্মান জায়ান্টদের পিছনে ফেলা মুশকিল হবে।