গ্রুপপর্বে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে
গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। হেরেছিল ৮ উইকেটের বড়
ব্যবধানে। এবার যেন সেই
হারের ‘প্রতিশোধ’ নিলো লঙ্কানরা।
শারজাহ
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বের প্রথম
ম্যাচে শুভসূচনা করলো দাসুন শানাকার
দল। আফগানিস্তানকে হারালো ৪ উইকেট আর
৫ বল হাতে রেখে।
১৭৬
রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে
উড়ন্ত সূচনা করেন লঙ্কান দুই
ওপেনার কুশল মেন্ডিস আর
পাথুম নিশাঙ্কা। ৩৯ বলে ৬২
রানের জুটি গড়েন তারা।
১৯ বলে ২ চার
আর ৩ ছক্কায় ৩৬
রানের ঝড় তুলে মেন্ডিস
হন নাভিন উল হকের শিকার।
এরপর
নিশাঙ্কাকে (২৮ বলে ৩৫)
উইকেটরক্ষকের দারুণ ক্যাচ বানান আফগান অফস্পিনার মুজিব উর রহমান। উইকেটে
এসে সুবিধা করতে পারেননি চারিথ
আসালাঙ্কা। ১৪ বলে মাত্র
৮ রান করা এই
ব্যাটারকে বোল্ড করেন নাবি।
কপাল
বোধ হয় একেই বলে!
বাংলাদেশের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিস একাই
পেয়েছিলেন ৫টি জীবন। এবার
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই বলে
বেঁচে যান লঙ্কান দুই
ব্যাটার।
ইনিংসের
১২তম ওভারে মোহাম্মদ নাবি চারিথ আসালাঙ্কাকে
(১৪ বলে ৮) বোল্ড
করলে ৯৪ রানে ৩
উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্রুত আরও দুটি উইকেট
হারালে বেশ বিপদেই পড়ে
যেতো লঙ্কানরা।
নাবির
ওই ওভারেই শেষ বলে উঠেছিল
ক্যাচ। কিন্তু গুনাথিলাকার সেই ক্যাচ ফাইন
লেগে ফেলে দেন করিম
জানাত। তার পরের ওভারের
প্রথম বলে রশিদ খানের
ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন লঙ্কান অধিনায়ক
দাসুন শানাকা। আম্পায়ারও আবেদনে আঙুল তুলে দেন।
কিন্তু
রিভিউ নিয়ে জিতে যায়
শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকা ১৩ আর শানাকা
জীবন পান ব্যক্তিগত ১
রানে। যদিও শানাকা সেই
জীবন কাজে লাগাতে পারেননি।
মুজিবের দ্বিতীয় শিকার হন ৯ বলে
১০ করেই।
১৬তম
ওভারে নাভিন উল হকের ওপর
চড়াও হন ভানুকা রাজাপাকসে।
প্রথম তিন বলে দুটি
বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা
হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার। ওভারের
শেষ বলেই আউট হতে
পারতেন রাজাপাকসে। এবার ডিপকভারে ড্রপ
হয় সহজ ক্যাচ।
পরের
ওভারে রশিদ খান বোল্ড
করেন ভয়ংকর গুনাথিলাকাকে। ২০ বলে ২টি
করে চার-ছক্কায় ৩৩
রান আসে গুনাথিলকার ব্যাট
থেকে। ১৫১ রানে ৫
উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তবে ততক্ষণে জয়ের
পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে।
২০ বলে দরকার ছিল
২৫ রান।
ভানুকা
রাজাপাকসে আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা
দলকে প্রায় জয়ের বন্দরে নিয়ে
আসেন। রাজাপাকসে (১৪ বলে ৩১)
অবশ্য শেষ সময়ে এসে
বোল্ড হন নাভিনের বলে।
তবে তখন ৯ বলে
মাত্র ২ রান দরকার
লঙ্কানদের। হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৬
রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই
মাঠ ছাড়েন।
আফগানিস্তানের
বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মুজিব
উর রহমান। ৪ ওভারে ৩০
রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন
এই অফস্পিনার।
এর আগে রহমানুল্লাহ গুরবাজ
যে ইনিংসটা খেলে দিয়েছেন, তাতে
মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু
শেষ ৫ ওভারে দারুণ
বোলিং করে আফগানদের বিশাল
পুঁজি গড়তে দেয়নি শ্রীলঙ্কা।
শেষ
৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে
আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৩৭
রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে
আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫
রান।
শারজাহ
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানিস্তানকে
প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানরা।
প্রথম
২ ওভারে মাত্র ১১ রান আসার
পর তৃতীয় ওভারেই চড়াও হন গুরবাজ।
লঙ্কান অফস্পিনার মাহিশ থিকশানাকে টানা দুই বলে
দুই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের
ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্ডোকে হাঁকান আরও একটি ছক্কা
ও চার।
ইনিংসের
তৃতীয় আর চতুর্থ ওভার
মিলিয়ে ২৯ রান তুলে
নেয় আফগানিস্তান। তবে পরের ওভারে
মধুশঙ্কা বোল্ড করে ফেরান ওপেনিংয়ে
গুরবাজের সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাইকে (১৬ বলে ১৩)। ভাঙে ২৯
বলে ৪৬ রানের ঝড়ো
উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১
উইকেটে ৪৯ রান তোলে
আফগানরা।
এরপর
২২ বলে ফিফটি তুলে
নেন গুরবাজ, যা কিনা আফগানিস্তানের
পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়
দ্রুততম। দেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবির (২১ বলে)।
শ্রীলঙ্কাকে
পেলেই যেন জ্বলে উঠেন
রহমানুল্লাহ গুরবাজ। গ্রুপপর্বে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮ বলে খেলেছিলেন
৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ২০ বছর বয়সী
এই আফগান ওপেনার সুপার ফোরপর্বেও শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন।
মাঠে
রীতিমত চার-ছক্কার বন্যা
বইয়ে দিচ্ছিলেন গুরবাজ। অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে
তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্ডো। এবারও ছক্কাই হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু বল অনেক ওপরে
উঠে যায়, মিডউইকেটে কঠিন
ক্যাচ তালুবন্দী করেন হাসারাঙ্গা।
সেঞ্চুরি
মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে
হয় গুরবাজকে। ৪৫ বলে গড়া
তার ৮৪ রানের বিধ্বংসী
ইনিংসে ছিল ৪টি চারের
সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার।
১৭ ওভারে দেড়শ ছোঁয় আফগানিস্তান।
১৮তম ওভারে ৩৮ বলে ৪০
করে মধুশঙ্কার শিকার হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম
জাদরান। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের
একটি করে চার-ছক্কায়
ওভারে ঠিকই ১৩ রান
তুলে নেয় আফগানিস্তান।
কিন্তু
শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত
রান পায়নি আফগানরা। ১৯তম ওভারে থিকসানা
আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবিকে (১) ফিরতি ক্যাচ
বানান, রানআউট হন নাজিবুল্লাহ (১০
বলে ১৭)। ওই
ওভারে মাত্র ৩ নিতে পারে
আফগানিস্তান।
২০তম
ওভারেও প্রথম তিন বল ব্যাটেই
লাগাতে পারেননি রশিদ খান। আসিথা
ফার্নান্ডোর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান
তিনি। তবে শেষ বলে
দুই নিতে গিয়ে রানআউট
হয়ে যান (৭ বলে
৯)।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দিলশান মধুশঙ্কা। তবে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান।
এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তান
মন্তব্য করুন
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা।
একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক কংগ্রেস। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্রাজিলের সঙ্গে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি (বিএনজি)।
তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ফিফার সদস্যভুক্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর ভোটে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। তারা পেয়েছে ১১৯টি ভোট। আর ইউরোপের তিন দেশের ঝুলিতে পড়ে ৭৮ ভোট। ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশে হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা পেয়েছে ব্রাজিল।
এ নিয়ে সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। ব্রাজিলে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ হবে। সেইসঙ্গে বিএনজি-কেও ধন্যবাদ। তারাও বিডে দুর্দান্ত ছিল।’
মন্তব্য করুন
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং।
এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
আগামী ১৬ জুন হামবুর্গে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো অভিযান শুরু করবে নেদারল্যান্ডস। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া।
এর আগে অবশ্য কানাডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১০ জুন।
নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক স্কোয়াড-
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিজলো, মার্ক ফ্লেকেন, বার্ট ভারব্রুগেন, নিক ওলিজ।
ডিফেন্ডার: নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, ডেনজেল ডামফ্রিস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুৎশারেল গের্ট্রুইদা, ম্যাথিজ ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন ডি ভেন, স্টেফান ডি ভ্রিজ।
মিডফিল্ডার: রায়ান গ্রাভেনবার্চ, ফ্রেঙ্কি ডি জং, টিউন কোপমেইনার্স, তিজানি রেইজেন্ডার্স, মার্টেন ডি রুন, জের্ডি স্কাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ি ভিরম্যান, জর্জিনিও উইজনালডাম।
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গউইজেন, ব্রায়ান ব্রোবি, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ডনিয়েল মালেন, ওয়াউট ওয়েগহোর্স্ট।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল এফএ। এ নিয়ে গত মার্চে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ।
ফিলিস্তিন ফুটবলের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এ নিয়ে এএফসির কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিফার ৭৪ তম বার্ষিক সভার কংগ্রেসে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে যে, বিশ্ব ফুটবলে ইসরায়েল নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেন, ‘এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।’
এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।’
মন্তব্য করুন
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।
আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’
শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল
মন্তব্য করুন
লম্বা-ভ্রমণের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, হিউস্টেনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
প্রতিবারই বড় স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে ইন্টারন্যাশনার ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসির বৈশ্বিক আসর খেলতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পেছনে থাকে ১৭ কোটি মানুষের আশা-ভালোবাসা আর প্রার্থনা। এবারও সেই একই ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
গত বুধবার (১৫ মে) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিশ্বকাপের জন্য শেষবারের মতো অনুশীলন করে চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর অংশ নেয় অফিসিয়াল ফটোশ্যূটে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে পুরো দলের ছবি তোলার পর শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্বকাপ শুরু আগে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। হিউস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে ম্যাচগুলো।
পরে আগামী ১ জুন নিউইয়র্কে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ডালাস ও নিউইয়র্কে। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন শান্তরা। সেখানে সেন্ট ভিনসেন্টে ১৩ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আর ১৭ জুন একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র শান্ত তাসকিন
মন্তব্য করুন
আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে নিজেদের নাম আগেই প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে নিশ্চিত হয়ে যায় ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইটা হবে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে। যে লড়াইয়ে লাতিনদের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউরোপিয়ানরা। একটু পরিস্কার করে বললে, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে জয়টা হয়েছে ব্রাজিলের। অর্থাৎ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক সেলেসাওরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর জন্য ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন চোটে আক্রান্ত বার্সা তারকা ফ্রাংকি ডি ইয়ং। এবারের ইউরোয় প্রতিটি দলের ২৬ জনের স্কোয়াড রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে ডাচরা ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জুনের মধ্যে অবশ্য খেলোয়াড় কমিয়ে চূড়ান্ত দল দিতে হবে তাদের।
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।