এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে আরেক হাইভোল্টেজ ম্যাচে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হেরেছিলো ভারত এবং জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা। আজ জিততে পারলে লঙ্কানদের ফাইনালে ওঠার রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। অন্যদিকে ভারতের ফাইনালে ওঠার রাস্তাটা হয়ে যেতো কঠিন।
বিনা
উইকেটে ৯৭ রান ছিলো শ্রীলঙ্কা। স্কোরবোর্ডে ১১০ তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ শুরুর পরও হারের শঙ্কায়
পড়ে কুশল মেন্ডিয়। ভারতীয় স্পিন বোলাররা বেশ চেপে ধরেছিলেন
শেষদিকে এসে।
শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি ভারতের।
এক বল ও ৬ উইকেটের হাতে রেখেই ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের পথে এক পা
দিয়ে ফেলেছে দাসুন শানাকার দল।
ভারতেরও বিদায়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। যদিও
কাগজে কলমে এখনও সম্ভাবনা আছে। সেজন্য তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর
দিকে। পাকিস্তান আর আফগানিস্তান একটি
করে ম্যাচ জিতলে রানরেটে তাদের পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে ভারতের।
শেষ ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৬৪। টানা দুই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে লড়াই বাঁচিয়ে রাখেন ভানুকা রাজাপাকসে। তিন ওভারে ৩৩ যখন দরকার, শানাকা হাঁকান একটি ছক্কা। শেষ ১২ বলে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য প্রয়োজন ২১। ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমাররের হাতে বল এলে তার ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুই বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ মুঠোয় নিয়ে চলে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো মাত্র ৭ রান।
অর্শদীপ
সিং চাপের মুখে দারুণ বোলিং
করেন। প্রথম চার বলে দেন
মাত্র ৫। এমন মুহূর্তে
পঞ্চম বলটি ব্যাটে লাগাতে
পারেননি শানাকা, তবে রানের জন্য
দৌড় ঠিকই দেন। উইকেটরক্ষক
রিশাভ পান্ত বল হাতে নিয়ে
ননস্ট্রাইকে থ্রো করেন। সেখান
থেকে আরও এক রান
বাই। বাই ২ রান
নিয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটিতে জয়ের উল্লাসে মাতে
লঙ্কানরা।
১৭৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। প্রথম
দুই ওভারে দেখেশুনে শুরু করেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস আর
পাথুম নিশাঙ্কা। তোলেন মাত্র ৮ রান। তবে
কিছুটা সেট হয়েই তাণ্ডব
শুরু করেন তারা।
পাওয়ার
প্লের ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কা
বিনা উইকেটে তোলে ৫৭ রান।
জুটিটা টিকেছে ১১ ওভার পর্যন্ত।
১২তম ওভারে ভারতীয় সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান
ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। জোড়া উইকেট তুলে
নেন ৪ বলের মধ্যে।
মেন্ডিস-নিশাঙ্কার ৬৭ বলে ৯৭
রানের ঝোড়ো জুটিটি ভাঙে ওভারের প্রথম
বলেই। ফিফটি হাঁকানোর পরই রিভার্স সুইপ
করতে যান নিশাঙ্কা, ধরা
পড়েন রোহিতের হাতে। ৩৭ বলে ৪
চার আর ২ ছক্কায়
নিশাঙ্কা করেন ৫২।
এর দুই বল পর
সুইপ করতে গিয়ে টপএজ
হন নতুন ব্যাটার চারিথা
আসালাঙ্কা (০)। বিনা
উইকেট থেকে ৯৭ রানে
২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দানুশকা গুনাথিলাকাও
সুবিধা করতে পারেননি। ৬
বল খেলে মাত্র ১
রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
শিকার হন তিনি।
পরের
ওভারে চাহাল ফেরান সেট ব্যাটার কুশল
মেন্ডিসকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তিনি
এলবিডব্লিউ করেন কুশলকে। ৩৭
বলে ৪ বাউন্ডারি আর
৩ ছক্কায় ৫৭ রানে সাজঘরে
ফেরেন লঙ্কান ওপেনার।
শ্রীলঙ্কার
দুই ওপেনার যেভাবে শুরু করেন, তাতে
ভারত পাত্তাই পাচ্ছিল না। ৯৭ রানের
উদ্বোধনী জুটিতে সহজ জয়ের ভিত
গড়ে দেন তারা। কিন্তু
সেখান থেকে ১৩ রানের
মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে
ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলঙ্কা।
তবে
ভানুকা রাজাপাকসে আর দাসুন শানাকা
পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৬৪
রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ
ছেড়েছেন। শানাকা ১৮ বলে ৩৩
আর রাজাপাকসে ১৭ বলে ২৫
রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শুরুতে ভারতের
১২ রানে ছিল না
২ উইকেট। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে দারুণ
এক ইনিংস খেলে দেন রোহিত
শর্মা। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার
পরই ফের ভারতকে চেপে
ধরেন লঙ্কান বোলাররা।
১৩তম
ওভারে ২ উইকেটে ছিল
১১০ রান। সেখান থেকে
৮ উইকেটে ১৭৩ রানের পুঁজি
পেলো ভারত। রোহিতের ঝড়ো ফিফটির পরও
প্রত্যাশিত সংগ্রহ পাওয়া হয়নি দলটির।
দুবাইয়ে
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে এমন গুরুত্বপূর্ণ
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি ভারতের।
টস জিতে ভারতকে প্রথমে
ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
শানাকার
এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে শুরু থেকেই
ভারতকে চেপে ধরেন লঙ্কান
বোলাররা। ১২ রান তুলতেই
২ উইকেট হারিয়ে বসে রোহিত শর্মার
দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে থিকশানার ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন লোকেশ রাহুল
(৬)। রিভিউ নিয়েও
কাজ হয়নি।
পরের
ওভারেই বিরাট কোহলি ফেরেন শূন্য রানে। দিলশান মধুশঙ্কাকে ক্রস খেলতে গিয়ে
পুরো লাইন মিস করে
বোল্ড হন তিনি। বিপদে
পড়ে ভারত।
সেই
বিপদ দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেন রোহিত শর্মা।
সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে
৫৮ বলে ৯৭ রানের
জুটি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক,
৩২ বলেই করেন ফিফটি।
নবম
ওভারেই অবশ্য ফিরতে পারতেন রোহিত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এক্সট্রা কভারে
হাঁকাতে গেলে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে
পড়ে ক্যাচ নিতে যান শানাকা।
কিন্তু এক হাতে বল
পেলেও লঙ্কান অধিনায়ক কঠিন সে ক্যাচ
রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪১ রানে বেঁচে
যান রোহিত।
সেই
রোহিত ফিফটি করার পরও অনেকটা
সময় চালিয়ে খেলেছেন। অবশেষে ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাকে
সাজঘরের পথ দেখান পেসার
চামিকা করুনারত্নে। ৪১ বলে গড়া
রোহিতের ৭২ রানের ইনিংসে
ছিল ৫ চার আর
৪ ছক্কার মার।
রোহিত
ফেরার পর দ্রুত আরও
একটি উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। ১৫তম
ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই
মারকুটে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তার বাউন্সি ডেলিভারি
শর্ট থার্ডম্যান দিয়ে তুলে মারতে
গিয়েছিলেন সূর্য।
কিন্তু
টাইমিং না হওয়ায় ক্যাচ
উঠে যায়। ২৯ বলে
৩৪ করে ফেরেন এই
হার্ডহিটার। ৯ রানের ব্যবধানে
২ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে
ভারত।
হার্দিক
পান্ডিয়া শুরুটা করেছিলেন ভালো। ১৮তম ওভারে শানাকাকে
বড় এক ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন।
কিন্তু ওই ওভারে তাকে
তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক।
ডিপ মিডউইকেটে হার্দিক ধরা পড়েন ১৩
বলে ১৭ করে।
ওই ওভারে আরও একটি উইকেট
পড়তে পারতো। শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ
তুলে দিয়েছিলেন নতুন ব্যাটার দীপক
হুদা। কিন্তু রিপ্লে দেখে বাউন্সি ডেলিভারিটি
‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। ওই জীবন পেয়েও
অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি
দীপক।
পরের
ওভারে লেগস্টাম্প উম্মুক্ত করে মধুশঙ্কাকে মারতে
গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি এই
ব্যাটার (৪ বলে ৩)। এক বল
পর পান্তও বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে যান পুল
খেলতে গিয়ে (১৩ বলে ১৭)। ১৯তম ওভারটিতে
সবমিলিয়ে মাত্র ৪ রান দিয়ে
২ উইকেট নেন মধুশঙ্কা।
চামিকা
করুনারত্নের করা ইনিংসের শেষ
ওভারে এক উইকেট হারালেও
অশ্বিনের ছক্কায় ১২ রান তুলে
নেয় ভারত। অশ্বিন ৭ বলে ১৫
রানে অপরাজিত থাকেন।
মধুশঙ্কাই লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার।
এশিয়া কাপ সুপার ফোর ভারত শ্রীলঙ্কা
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
শক্তিশালী এই স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পুরো মূল্যায়নই করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন শানাকা, দুশমান্থ চামিরাদের নিয়ে শক্ত স্কোয়াড দাঁড় করিয়েছে তারা। রিজার্ভেও আছে ভানুকা রাজাপাকসের মতো হার্ডহিটার আর বিজয়কান্থ বিশ্বকান্থের মতো রহস্যময় স্পিনার।
যথারীতি দলের অধিনায়ক থাকছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। নিজের ৬ষ্ঠ আসরে খেলতে যুক্ত হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। পুরো দলে সাবেক আর বর্তমান অধিনায়কদের মেলাই বসিয়েছে দলটি। সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পাশাপাশি আছেন দাশুন শানাকা। এছাড়া বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও আছেন বিশ্বকাপের দলে।
পুরো দলে চমক বলতে গেলে দুনিথ ভেল্লালাগে। ২১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন নুয়ান থুসারাও। তিনি যাচ্ছেন ৮ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নিজেদের প্রবল এই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের। গ্রুপ-ডি তে লঙ্কানরা আছে টাইগারদের সঙ্গেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার গ্রুপেও আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। জুনের ৩ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচ ৮ জুন। এরপর ১২ জুন নেপাল ও ১৭ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে দলটি।
বিশ্বকাপ তারকা স্কোয়াড শ্রীলঙ্কা
মন্তব্য করুন
চ্যাম্পিয়নস
লীগে রিয়ালের ম্যাচ মানেই যেন নাটকীয়তা। আর এই নাটকীয়তার আরেকবার প্রমাণ দিল ‘দ্য গ্যালাক্টিকো’রা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্ট
বায়ার্ন মিউনিথকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা।
ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষ ৩ মিনিটে হোসেলুর করা ২ গোলে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পথে পা
দেয় রিয়াল।
এতে
দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নকে ৪:৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল নিশ্চিত করে
রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী ১
জুন যুক্তরাজ্যের ওয়েম্বলি স্টোডিয়ামে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
তবে,
এ ম্যাচটা এগোচ্ছিল অনেকটা
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বনাম মানুয়েল নয়্যার
লড়াইয়ের আবহে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল দুজনের
একজন হতে যাচ্ছেন ম্যাচের
নায়ক। তবে ভিনিসিয়ুস বা
নয়্যার নন, রিয়াল-বায়ার্ন
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল দ্বিতীয়
লেগের নায়ক বদলি নামা
হোসেলু।
৩৪
বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারই
এক গোলে পিছিয়ে থাকা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৩ মিনিটের মধ্যে
এনে দিয়েছেন দুই গোল। শেষ
দিকের মহামূল্যবান যে দুটি গোল
রিয়ালকে তুলে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস
লিগের ফাইনালে।
ম্যাচের
৬৮ তম মিনিটে আলফানসো ডেভিসের করা দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এতে আশায় বুক
বাধে বায়ার্ন সমর্থকরা। কিন্তু তারও ছিল শঙ্কা। কেননা বরাবরই শেষ মুহুর্তে যে কোন কিছু
ঘটাকে অভ্যস্ত রিয়াল। এর আগেও ২০২১-২২ মৌসুমের সেমিফাইনালে শেষ ১০ মিনিটের করা ৩ গোলে
ম্যান সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল দলটি। এবারও ঠিক হলো তাই।
ম্যাচের
৮১ মিনিটে ভালভার্দের বদলি হিসেবে নামেন হোসেলু। আর মাঠে নেমেই ৮৮ মিনিটে রিয়ালকে ঘুরে দাঁড়ানোর সেই
মুহূর্তই এনে দেন হোসেলু।
ভিনিসিয়ুসের শট সোজাসুজি হাতেই
পেয়েছিলেন বায়ার্ন গোলকিপার নয়্যার। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত
চারটি গোলের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেওয়া নয়্যার
এ দফায় বল হাত
ফসকে ফেলেন। সুযোগসন্ধানী হোসেলু খুব কাছে থাকায়
বল জালে জড়াতে একদমই
ভুল করেননি।
পরের
গোলটি আসে ৯১তম মিনিটে।
তাও নাটকীয়ভাবে। নাচোর কাছ থেকে পাওয়া
বল আন্টনি রুডিগার বাড়ান হোসেলুর দিকে, যিনি বল জালে
জড়িয়ে উল্লাস শুরু করতে না
করতেই অফসাইডের পতাকা তোলেন রেফারি। তবে ভিএআর চেকে
দেখা যায় রুডিগার-হোসেলু
দুজনই অনসাইডে ছিলেন। পুরো রিয়াল মাদ্রিদ
ডাগআউট গোলের আনন্দে মাঠে ঢুকে পড়ে।
হোসেলু হয়ে ওঠেন উৎসবের
মধ্যমণি।
অথচ
ম্যাচের প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয়ার্ধের
বড় অংশজুড়ে একের পর এক
আক্রমণ করেও গোলের দেখা
মিলছিল না রিয়ালের। ঝাঁপিয়ে
পড়লেও কিছুই করার ছিল না
লুনিনের। তবে শেষ পর্যন্ত
রিয়ালকে ওই গোল হজমের
স্তব্ধতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে
হয়নি। কারণ, শেষ দিকে একজন
হোসেলু ছিলেন মাঠে!
চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনাল রিয়াল বায়ার্ন
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই
মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে
প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায়
রয়েছে বাংলাদেশও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই
ভারত-ইংল্যান্ডসহ ১৩টি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত
করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও। ফলে স্কোয়াডে
কে আছেন আর কে বাদ পড়লেন, সেটা নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে।
অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী আইসিসিকে এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের তালিকা দেয়া
হয়েছে। ২৪ মে পর্যন্ত টি-২০ স্কোয়াড পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় নীরব বিসিবি।
তবে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু
নয়। অতীতের মত এবারও স্কোয়াড নিয়ে সবাইকে অপেক্ষায় রেখেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
মূলত দুর্বল পাইপলাইন ও ক্রিকেটারদের ইনজুরির কারণে যেকোন বৈশ্বিক
আসরের স্কোয়াড ঘোষণায় গড়িমসি হয় বাংলাদেশের। এমন দাবি করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। শুধু তাই নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বিশ্বকাপ প্রস্তুতির
জন্য আদর্শ নয় বলেও মনে করছেন সাবেক এ অধিনায়ক।
মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘সীমিত সংখ্যক খেলোয়াড়ের মধ্যে আমাদেরকে
দলটা ঘোষণা করতে হয়। এখানে যদি ইনজুরির কোন ব্যাপার থাকে এই জিনিসটা মাথায় কাজ করে।
এজন্য মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট থেকে সবার ফিটনেস যেন সেরা পর্যায়ে থাকে সেই অপেক্ষা করতে
হয়।’
আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আগেভাগে বাড়তি প্রত্যাশা রাখার পক্ষে
নন মিনহাজুল আবেদীন। জিম্বাবুয়ে সিরিজকে বৈশ্বিক আসরের প্রস্তুতি মঞ্চ বলতে নারাজ এ
সাবেক অধিনায়ক। সাগরিকায় ব্যাটাররা খেলতে পারেনি টি-২০ সুলভ। তিন ম্যাচ পর্যবেক্ষণে
নিরাশ হচ্ছেন না প্রধান নির্বাচক।
তবে বিসিবি এখনও দল ঘোষণা না করলেও আসন্ন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে
কারা থাকছেন এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে সিরিজ শুরুর পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, এই সিরিজ থেকেই নির্ধারণ
করা হচ্ছে দল।
তিনি বলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে প্রভাব
রাখতেও পারে। “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে
বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। কিন্তু হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক
হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে।”
আর শান্তর কথা অনুযায়ী, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে দল খেলছে সেই
দলের সদস্যদেরই সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার। তবে জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের যে দল, বিশ্রাম ও ছুটির কারণে
সেখানে ছিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচের জন্য
যে দল ঘোষণা করেছে বিসিবি সেখানে তারা ফিরেছেন। সেখানে সাকিব ও মুস্তাফিজের সাথে দলে
ফিরেছেন সৌম্য সরকারও।
মন্তব্য করুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়েই ছিল স্বাগতিকরা। তাদের কাঁদিয়ে তখন ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছিল সফরকারী বায়ার্ন।
কিন্তু তিন মিনিটের ঝড়ে পাল্টে গেল সব। বদলি হয়ে নামা এই ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করে উল্লাসে ভাসিয়ে তোলেন পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে। তাতে ভর করেই দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে লস ব্লাঙ্কোসদের একমাত্র বাধা এখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আগামী ১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুদলের মধ্যেই হবে শিরোপা লড়াই।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এমনটাই তো করে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ! যা প্রতিপক্ষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়। ফিরে আসার দারুণ গল্প তাদের চেয়ে ভালো আর কেইবা লিখতে পারে। তাও আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো মঞ্চে। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় সব রোমাঞ্চ যেন অপেক্ষা করছিল দ্বিতীয় লেগের জন্য।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। যদিও প্রথমার্ধের অনেকটা জুড়ে দাপট দেখায় রিয়াল। ডেডলক ভাঙার খুব কাছ থেকেই বারববার ফিরতে হয় তাদের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে রদ্রিগো শট নিলেও তা ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার।
বায়ার্ন গোলরক্ষক এরপর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ৩৮ বছর বয়সেও যে তার ঝাঁজ কমেনি, সেটাই যেন দেখিয়েছেন এই ম্যাচে। ৪০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বাড়ানো বল কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন নয়্যার। বিরতির আগপর্যন্ত গোলমুখে দুটি শট নেয় বায়ার্ন। কিন্তু জালের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও বলের দখল আগের মতোই ধরে রাখে রিয়াল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই নয়্যার। ৫৯ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া রদ্রিগোর বুলেট গতির ফ্রি-কিক বেশ দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই ফের গোলবঞ্চিত রাখেন ভিনিসিয়ুসকে।
এরপর আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। সেখান থেকে গোলের দেখা পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৬৮ মিনিটে হ্যারি কেইনের অসাধারণ পাস খুঁজে নেয় ‘আনমার্ক’ থাকা আলফোনসো ডেভিসকে। সামনে আন্তোনিও রুডিগার ও দানি কারভাহাল থাকলেও তাদের দুজনের মাঝখানেই বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নেন এই লেফট ব্যাক। তা রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি।
পিছিয়ে পড়ে দ্রুতই সমতায় ফিরেছিল রিয়াল। লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে গোলমুখে শট নেন ফেদে ভালভার্দে। তা অধিনায়ক নাচোর ছোঁয়া লাগার পর এক বায়ার্ন ফুটবলারের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। কিন্তু সেই গোল বাতিল হয় ভিএআরের কারণে। কেননা গোলের আগে ইয়োশুয়া কিমিখকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন নাচো। তাই গোল বাতিল করে ফাউলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
বার্নাব্যুর গ্যালারিতে তা যেন একরাশ হতাশা বয়ে আনে তখন। নয়্যারের দেয়াল ভাঙবে কে? প্রতিটি সমর্থকের মনে এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল! কিন্তু এ তো রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগে যারা ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। এবার সেই জাগিয়ে তোলার দায়িত্বটা নিলেন হোসেলু। ফেদে ভালভার্দেকে উঠিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে ৮১ মিনিটে মাঠে নামান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। নামার সাত মিনিটের মাথায়ই দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
বাঁ প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে এসে ভেতরে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। গোলমুখে তার নেওয়া শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সুযোগ সন্ধানী হোসেলু কাছাকাছিই ছিলেন। নয়্যারের হাতে লেগে ফিরে আসা বলে টোকা মেরে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। লস ব্লাঙ্কোসদের উল্লাস তখন ঠেকায়।
তিন মিনিট পরই খুশির মাত্রাটা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন হোসেলু। বক্সের ভেতর থেকে বাঁ প্রান্তে রুডিগারের উদ্দেশে বল বাড়ান নাচো। তখন বক্সের মাঝখানে হোসেলুর সামনে নয়্যার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রুডিগার কোনো ভুল করেননি পাসটি দিতে। আর হোসেলুও ভুল করেননি রিয়ালকে এগিয়ে দিতে। তবে নাটকীয়তার শেষ হয়নি তখনো।
রেফারির চোখে অফসাইডে ছিলেন হোসেলু। তাই গোল দিতে অপরাগতা জানান তিনি। কিন্তু ভিএআর দেখার পর বদলে যায় সিদ্ধান্তে। অফসাইড নয়, বরং অনসাইডেই ছিলেন হোসেলু। তাই গোলটি বৈধ হওয়ার পরই খুলে গেল রিয়ালের ফাইনালের দুয়ার। যা পরে আর বন্ধ করতে পারেনি বায়ার্ন। এগিয়ে থেকেও তাদের ২-১ গোলে হার মানতে হলো রিয়ালের আরও একটি দারুণ প্রত্যাবর্তনের সামনে। হোসেলুর সামনে!
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের পরও ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে পিএসজি। তবুও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। যদিও এই পরাজয়কে তিনি ‘অন্যায়’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
গতকাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দেওয়া কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আমি খুবই হতাশ। এখন আমি আর কোথাও নেই। নিজেদের মূল লক্ষ্য পূরণে আমরা ব্যর্থ।’
কালকের ম্যাচে পিএসজির চারটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক সমর্থকদের। জার্মানিতে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতেও পরপর দুটি শট পোস্টে লেগেছিল পিএসজির।
এনরিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এই ম্যাচে আমরা বাজে খেলেছি। ছয়বার আমাদের শট বারে লেগেছে। ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যা খুবই অন্যায়। ৩১টি শট টার্গেটে করলেও এর থেকে একটি গোলও আদায় করতে পারিনি। এই লড়াইয়ে ফুটবল আমাদের সাথে অন্যায় করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ফাইনালে খেলার জন্য। দ্রুত আমাদের এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দল নিয়ে আমি দারুন গর্বিত, এতে কোন সন্দেহ নেই। কোচ হিসেবে এই পরাজয়ের প্রথম দায়ভার আমার। কিন্তু তারপরও দলের মানসিকতায় আমি খুশি।’
ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল পিএসজি। একইসাথে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা ট্রফিটিও হাতে তুলে নেবার আশা তাদের ছিল।
এই মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেয়া এনরিকে বলেন, ‘পিএসজিতে আসার আগে আমি একটি লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা যেভাবে ভালো খেলি অন্তত সেই ধারা বজায় রাখা। কাপ ফাইনালের পর মৌসুম যখন শেষ হবে তখন ভেবে দেখবো আমরা কি অর্জন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে আমি কখনই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোন কথা বলি না। আজ আমার একটি প্রত্যাশা ছিল। এই ধরনের পরাজয়ে কোন সান্ত্বনা নেই। কিন্তু এটাই জীবন, এটাই খেলা। কিভাবে জেতা যায় সেটা জানা খুবই জরুরি। একইসাথে পরাজয়ের কারণও খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানানো উচিৎ ও এই পরাজয়কে মেনে নেয়া উচিৎ।’
লুইস এনরিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড পিএসজি
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়নস লীগে রিয়ালের ম্যাচ মানেই যেন নাটকীয়তা। আর এই নাটকীয়তার আরেকবার প্রমাণ দিল ‘দ্য গ্যালাক্টিকো’রা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিথকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষ ৩ মিনিটে হোসেলুর করা ২ গোলে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পথে পা দেয় রিয়াল।